সালাদ বানান পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে
মজাদার মাটির নিচের আলু দিয়ে মাছের ঝোল
জানা অজানা অনেক খাবার থাকে কেউ আমরা চিনতে পারি আবার কেউ হয়তো কখনো দেখি নাই। এমন একটি মজাদার খাবার হচ্ছে মাটির নিচের আলু,অনেকেরই জানা নেই এটি খেতে কতো মজা,যেমন দেখতে অনেক সুন্দর খেতে ও তেমনি সুস্বাদু। দেখা যাই গ্রাম এ অনেক বাড়িতেই এই আলুটি থাকে,কেউ ভর্তা খেতে ভালবাসে কেউবা মাছ দিয়ে খেতে ভালোবাসে,তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে আসি কিভাবে মাটির নিচের আলু দিয়ে মাছের ঝোল রান্না করে।
উপকরণ:
* মেটে আলু ডুমো করে কাটা : ৩০০ গ্রাম
* রুই মাছ : ৬ টুকরো
* আদা ও কাঁচালঙ্কা ও জিরে বাটা : ১ টেবিল চামচ
* হলুদ গুঁড়ো : ১ চা চামচ
* নুন : স্বাদমত
* তেল : পরিমাণ মত
* গোটা জিরে : ফোড়নের জন্য।
প্রণালী:
আলু একটু গরম পানি ভাপিয়ে নিন। পানি ছেঁকে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে মাছ নুন হলুদ মেখে লাল করে ভেজে তুলে নিন। এবার ওই তেলে আলু ভেজে নিন। এর সাথে বাটা ও গুড়ো মশলা দিয়ে কষিয়ে নিন। পানি ও মাছ দিন। আলু সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন। এবার কড়াইতে ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে মাছ ও আলুর ঝোল টা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে কিছুটা টালা জিরের গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিন।
এবার আমরা গরম ভাতের সাথে খেতে পারি মজাদার মাটির নিচের আলু দিয়ে মাছের ঝোল।
Thank you for reading!
সহজেই বানিয়ে নিন মজাদার ক্লাব স্যান্ডউইচ
লাউয়ের খোসা ভাজি
লাউ আমাদের সবার একটা প্রিয় খাবার আমরা কম বেশি সবাই এটি খেয়ে থাকি,তার থেকে আরো মজাদার খাবার হচ্ছে লাউয়ের খোসা ভাজি। এই শীতে গরম ভাতের সাথে লাউয়ের খোসা থাকলে আর কিছুই লাগেনা। আমরা অনেক সময় লাউয়ের খোসা ফেলে দেই এটি ফেলে না দিয়ে আমরা রান্না করতে পারি মজার একটা ভাজি। আসুন দেখে আসি কিভাবে রান্না করতে হয় মজাদার লাউয়ের খোসা ভাজি।
উপকরণ
লাউয়ের খোসা – ১টি মাঝারি মাপের।
কালোজিরা – ১চা চামচ।
পিঁয়াজ – ১ টি মাঝারি মাপের।
কাঁচা লঙ্কা – ৩ টি।
হলুদ গুঁড়া – ১চা চামচ।
লবণ – স্বাদ মতো।
সরিষার তেল – ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালী
* প্রথমে লাউয়ের থেকে লাউয়ের খোসা গুলো কিন্তু ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবারে লাউয়ের খোসা গুলো ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
* এবার লাউয়ের খোসা গুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে। তার জন্য আমি ব্যবহার করছি একটা প্রেসার কুকার। প্রেসার কুকারে এবার লাউয়ের খোসা গুলো দিয়ে দিলাম। এবার এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছে হাফ কাপ পরিমাণ পানি , সামান্য পরিমাণ লবণ ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো। এবারে লাউ এর খোসাগুলো সেদ্ধ করে নেব।
* এবারে রান্নাটা করার জন্য নিয়ে নিয়েছি একটা কড়াই তার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি ৩ টেবিল চামচ সরিষার তেল। ফরন এর জন্য দিচ্ছি ১ চা চামচ কালোজিরা ফরণ টা একটু গরম করে নিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিলাম একটা মিডিয়াম সাইজের পেঁয়াজ কুচি।
* পিয়াজ টি কিন্তু ভালো করে ভাজা করে নিতে হবে। পিয়াজ টা যখন ভাজা হয়ে আসবে তখন এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছি । তার সাথে দিতে হবে তিনটি চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা।
* এবারে এই সব কিছু ২থেকে ৩ মিনিটের জন্য একটু ভাল করে ভেজে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে স্বাদমতো লবণ আর ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো। এরপর পেঁয়াজ টা কে কিন্তু আরো একবার ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
* লাউয়ের খোসা টা এই কারণেই সিদ্ধ করে নিয়েছি যাতে লাউয়ের খোসা টা খুব ভালো করে ভাজা হয় আর যাতে নরম হয়ে যায়। এবারে লাউয়ের খোসা টা কিন্তু পেঁয়াজ আর আলুর সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে তারপর কম আঁচে রেখে কিন্তু এই সবকিছু একটু ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
* লাউয়ের খোসা ভাজি কিন্তু প্রায়ই হয়ে এসেছে তবে আরেকটু লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।
* তার জন্য সময় লাগবে ২ – ৩ মিনিট। লাউয়ের খোসা ভাজি কিন্তু একদমই তৈরি হয়ে গেছে এবারে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে নিচ্ছি ।
আসুন এবার গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করি মজাদার লাউয়ের খোসা ভাজি।
Thank you for reading!
শীতের দিনের সেরা পানীয় কী জানেন? এক কাপ হট চকোলেট!
পেঁপে দিয়ে গরুর মাংস
কাঁচা পেঁপে দিয়ে মজাদার গরুর মাংস খেতে আমদের কম বেশি সবারই ভালো লাগে। তাছাড়া কাচা পেঁপে আমাদের শরীরে নানান রকম পুষ্টি যোগাই ,কাচা পেঁপে রান্না ছাড়া ও আমরা নানান ভাবে খেয়ে থাকি, কখনো কাচা কখনো সালাদ হিসাবে ও খেয়ে থাকি। তাই আজ ভিন্ন স্বাদে দেখে আসি পেঁপে দিয়ে গরুর মাংস রান্না। যেমন স্বাদে নিয়ে আসবে ভিন্নতা, তেমনি মাংসের পাশাপাশি খাওয়া হবে সবজিও। জেনে নিন প্রেসার কুকারে মাত্র ২০ মিনিটে কীভাবে এই আইটেমটি রান্না করে ফেলবেন।
উপকরণ
*গরুর মাংস- ২ কেজি (হাড়সহ)
*পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ
*টমেটো- ১টি (কুচি)
*তেজপাতা- ২টি
*এলাচ- ৩টি
*গোলমরিচ- ৫টি
*লবঙ্গ- ৫টি
*দারুচিনি- ২ টুকরা
*লবণ- স্বাদ মতো
*হলুদ গুঁড়া- ২ চা চামচ
*মরিচ গুঁড়া- ২ চা চামচ
*ধনিয়া গুঁড়া- ১ চা চামচ
*জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
*আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
*রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
*তেল- ১ কাপ
*পেঁপে- ১টি
*টেলে নেওয়া জিরার গুঁড়া- ১ টেবিল চামচ
*প্রস্তুত প্রণালি
গরুর মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে প্রেসার কুকারে নিয়ে নিন। পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, তেজপাতা, এলাচ, গোলমরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, লবণ, তেল এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে দিন। হাত দিয়ে মেখে নিন মসলাসহ মাংস। এবার দেড় কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢাকনা আটকে নিন প্রেসার কুকারের। চুলায় বসিয়ে দিন উচ্চতাপে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন চুলায়। এরপর ঢাকনা খুলে পেঁপের টুকরো দিয়ে দিন। আরও পাঁচ মিনিট প্রেসার কুক করে নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।
Thank you for reading!
বাড়িতেই বানিয়ে নিন গরম গরম রসগোল্লা
হিম শীতে কফি বানান ভিন্ন ভাবে
ঘরেই বানান বিফ পাস্তা
ঢাকায় পোড়া মাটির কাপে তান্দুরি চা
ঘরেই বানান আলুর চিপস
বিলম্বি ফল কি? বিলম্বি কিভাবে খাবেন?
পরোটা কি ওজন বাড়ায়?
জ্বরে খেতে অরুচি? এই খাবার গুলো চেষ্টা করতে পারেন
বাজারে এসেছে ফুলকপি, হয়ে যাক চটজলদি রেসিপি
এই শীতে চায়ের সাথে ‘টা’ হোক
বাচ্চারা সবজি খেতে চায় না, কি করবেন?
ভাপা পিঠার রেসিপি
রং চায়ের উপকারিতা
শিশুর স্কুল টিফিন কেমন হবে?
ঘরে সহজে তৈরি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
চিতই পিঠা রেসিপি
বন্যায় কিভাবে খাবার পানি সংরক্ষণ করবেন
ময়মনসিংহের মন্ডা
ময়মনসিংহের মন্ডার নাম মুখে নিলেই চলে আসে জীভে জল। এখানকার মণ্ডার সুখ্যাতি শোনেননি, এমন মানুষ বোধ হয় কম পাওয়া যাবে। আর এই মানুষেরা মণ্ডার নাম শুনে দেরি করেন না। কিনে নেন সুস্বাদু এই মিষ্টি। সেটা হোক ঢাকা, ময়মনসিংহ কিংবা বাংলাদেশের অন্য কোনো শহরের দোকান। কিন্তু তাঁরা কি আসল মণ্ডা কেনেন। তো মণ্ডার জন্য এখানে একটা দোকানের কথাই সবাই বললেন। সেটা হলো ‘গোপাল পালের প্রসিদ্ধ মণ্ডার দোকান’।
রবীন্দ্রনাথ পাল জানালেন, মুক্তাগাছার মণ্ডার আবিষ্কারক তাঁর পূর্বপুরুষ গোপাল পাল। তিনি ১৮২৪ সালে দোকানটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কেটে গেছে প্রায় ২০০ বছর। মণ্ডা তৈরির ব্যবসা চলছে বংশানুক্রমে। এক পুরুষ থেকে আরেক পুরুষে। সে হিসাবে এখন পঞ্চম পুরুষের ব্যবসা চলছে। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, ‘মণ্ডা তৈরির মূল রেসিপিটা আমাদের পারিবারিক। গোপনীয় এই কৌশলটা শুধু আমরাই জানি। ফলে মণ্ডার নামে এখানে-সেখানে যা বিক্রি হয়, তা কোনোভাবেই আসল না। ময়মনসিংহ, ঢাকাসহ দেশের কোথাও আমাদের কোনো শাখা, এজেন্ট, শোরুম, বিক্রয়কেন্দ্র বা বিক্রয় প্রতিনিধি নেই। আসল মণ্ডার স্বাদ পেতে হলে মুক্তাগাছায় আমাদের এই দোকানে আসতে হবে।’
মণ্ডার সঙ্গে বৃহৎ কোনো গোষ্ঠী নয়, বরং একটি পরিবারের কৃতিত্ব জড়িয়ে রয়েছে—এটি নিশ্চিত হওয়ার পর মণ্ডা নিয়ে আরও জানতে চাইলাম। রবীন্দ্রনাথ পাল তখন ছোট্ট একটি পুস্তিকা হাতে ধরিয়ে দিলেন। মণ্ডা বিষয়ে সেখানে লেখা আছে—মণ্ডা এক প্রকারের সন্দেশ। শুধু ছানা ও চিনি দিয়ে এটি বানানো হয়। তবে স্বাদের রহস্যটা ‘পাকের’ মধ্যে লুকিয়ে আছে, যা বছরের পর বছর ধরে গোপন রেখেছেন গোপাল পালের বংশধরেরা।
মণ্ডা তৈরির পদ্ধতিটি গোপাল পাল স্বপ্নে পেয়েছিলেন—এমন একটি দাবি আছে পুস্তিকাটিতে। তবে মণ্ডার প্রসারের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন মুক্তাগাছার জমিদারেরা। গোপাল পাল তাঁর উদ্ভাবিত মণ্ডা প্রথমে খাওয়ান মুক্তাগাছার জমিদার সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীকে। এর স্বাদ তাঁকে মুগ্ধ করে। এরপর এটি জমিদারবাড়ির দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় জায়গা করে নেয়। শুধু তা-ই নয়, জমিদারবাড়ির অতিথিদের মণ্ডা দিয়ে আপ্যায়ন করা নিয়মিত ঘটনা ছিল। আবার জমিদারেরা উপহার হিসেবে বিশিষ্টজনদের কাছে মণ্ডা পাঠাতেন। এভাবেই মুক্তাগাছার ছোট্ট গণ্ডি পার হয়ে মণ্ডার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেনের মতো রাজনীতিকদের পাশাপাশি চলচ্চিত্র জগতের রাজ্জাক, আনোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, বুলবুল আহমেদ, কবরী, শাবানা, ববিতাসহ আরও অনেকে এই দোকানে বসে মণ্ডা খেয়ে সুনাম করেছেন।মণ্ডা খেয়ে যখন ফিরছিলাম, তখন এই ভেবে আনন্দ হলো—যাক, জীবনে প্রথমবারের মতো প্রকৃত স্বাদের এতো মজাদার মণ্ডা খেলাম! আবার মনটা একটু খারাপও হলো। এত দিন মণ্ডার নামে যা খেয়েছি, অন্যরা যা খাচ্ছে, সবই ভেজাল—এটা ভেবে। অথচ এটা দেখার বা ঠেকানোর যেন কেউ নেই।ময়মনসিংহের মন্ডার কনো তুলুনা হয়না,এটা আমাদের দেশে অন্নতম একটা মিস্টি ভান্ডার হয়ে পরিচিতো থাকবে।
Thank you for reading!
মহেশখালীর পান
পান একটি সৌখিন খাবার।
এক সময় আমাদের দেশে ঘরে ঘরে দাদা-দাদী, নানা-নানী বয়স্করা পান খেতে খুব ভালবাসতেন।
আর এখন সব বয়সের নারী-পুরুষ শখের বসে পান খেয়ে থাকে। কেবল স্বভাব হিসেবেই নয়, বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে সামাজিক রীতি, ভদ্রতা এবং আচার-আচরণের অংশ হিসেবেই পানের ব্যবহার চলে আসছে।
এটি এক প্রকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের লতাজাতীয় গাছের পাতা। নিশ্বাসকে সুরভিত করা এবং ঠোঁট ও জিহ্বাকে লাল করার জন্য মানুষ পান খায়।
এটি মানুষের খাবারের হজমে অনেকটা সহায়তা করে।
বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলেই পান চাষ করা হয়। তবে , খুলনা, বরিশাল, দিনাজপুর, রংপুর ও চট্টগ্রাম জেলা পান চাষের জন্য বিখ্যাত।
চট্রগ্রামের মহেশখালীর পান দেশে বিদেশে সমাদৃত। মহেশখালীর পান নিয়ে রয়েছে মজার মজার কাহিনি, আর রোমান্টিক যত গান। যার একটি হচ্ছে “যদি সুন্দর একটা মুখ পাইতাম, মহেশখালীর পান খিলি তারে বানায় খাওয়াইতাম” এই রোমান্টিক গান দিয়েই বুঝা যায় পান কতোটা জনপ্রিয়।
রাজধানীর ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় এলাকার পানের আড়ৎগুলো ঘুরে দেখা যায় আড়তের শ্রমিকরা ব্যস্ততায় সময় পার করছে।
শ্যামবাজার ঘাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিয়ে আসা নৌকা ভর্তি পানের ঝুড়িগুলো আড়তে তুলছেন শ্রমিকরা। আড়তে পানের ঝুড়ি আনার পরে তা খুলে ছোট বড় ও মাঝারি সাইজের পান গুলোকে আলাদা করা হয়।
পানগুলো আলাদা আলাদা ঝুড়িতে ভরে তা পাইকারি বিক্রেতার কাছে পাঠানো হয়। পাইকারি বিক্রেতারা ছোট-বড় পান এক সঙ্গে বিড়া বানিয়ে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করেন।
পানের দাম গ্রীষ্মকালের চেয়ে বর্ষাকালে দাম চড়া হয়ে থাকে। সাধারণত ভালো মানের পানের প্রতি পোন বা বিড়া বিক্রি হয় ২০০-৫০০ টাকা, মাঝারি মানের প্রতি বিড়া পান বিক্রি হয় ১৬০ টাকায় ও ছোট আকারের পানের প্রতি বিড়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, ভালো মানের পানের প্রতি গাদি (৮০ পোন/বিড়া) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২১-২২হাজার টাকা, মাঝারি মানের প্রতি গাদি পান বিক্রি হচ্ছে ২১ হাজার টাকায়, ছোট পানের প্রতি গাদি বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা।
পান একটা দারুন মজার খাবার নামেই পরিচিত থাকবে।
Thank you for reading!
বগুড়ার দই
বগুড়া শব্দটা আলোচনায় এলেই চলে আরেকটা শব্দ দই। বগুড়ার দই। উত্তরবঙ্গের ‘গেটওয়ে’ বলে পরিচিত বগুড়া জেলা। কিন্তু দই কথাটা যেন এই জেলার নামের প্রতিশব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানকার দইয়ের সুনাম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বগুড়ায় বাহিরের কেউ বেড়াতে এলে তার যেন দইটা চাখা চাই-ই চাই। এই জেলা থেকে বাহিরে বেড়াতে গেলেও তার সঙ্গী হয় দই। তাছাড়া বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানও দই ছাড়া কল্পনা করা যায় না। অতিথি আপ্যায়নে দই যোগ করাটা এ এলাকার ঐতিহ্যের অংশ। বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নিতে যে কেউ আগ্রহী হয়ে ওঠেন। খাওয়ার পর স্বীকার করেন, অন্য এলাকার দইয়ের সাথে এখানকার দইয়ের স্বাদ অন্যরকম। সেই অন্যরকমটা অবশ্য প্রশংসার দিকেই ঝুঁকে থাকে। মোট কথা, বগুড়া আর দই শব্দগুলো সময়ের হাত ধরে একে অন্যের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বগুড়ার দই আর দইয়ের বগুড়া- এই কথাগুলো যেন সমান্তরাল।
বগুড়ার বিখ্যাত দই কিভাবে তৈরি করা হয়?
বগুড়া শব্দটা আলোচনায় এলেই চলে আরেকটা শব্দ। দই। বগুড়ার দই। উত্তরবঙ্গের ‘গেটওয়ে’ বলে পরিচিত বগুড়া জেলা। কিন্তু দই কথাটা যেন এই জেলার নামের প্রতিশব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানকার দইয়ের সুনাম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বগুড়ায় বাহিরের কেউ বেড়াতে এলে তার যেন দইটা চাখা চাই-ই চাই। এই জেলা থেকে বাহিরে বেড়াতে গেলেও তার সঙ্গী হয় দই। তাছাড়া বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানও দই ছাড়া কল্পনা করা যায় না। অতিথি আপ্যায়নে দই যোগ করাটা এ এলাকার ঐতিহ্যের অংশ। বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নিতে যে কেউ আগ্রহী হয়ে ওঠেন। খাওয়ার পর স্বীকার করেন, অন্য এলাকার দইয়ের সাথে এখানকার দইয়ের স্বাদ অন্যরকম। সেই অন্যরকমটা অবশ্য প্রশংসার দিকেই ঝুঁকে থাকে। মোট কথা, বগুড়া আর দই শব্দগুলো সময়ের হাত ধরে একে অন্যের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বগুড়ার দই আর দইয়ের বগুড়া- এই কথাগুলো যেন সমান্তরাল।
ইতিহাসঃ
ঐতিহ্যবাহী এই খাবার ব্যাপক প্রচলনের কারণে এটি সামাজিকতার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে উৎপাদন ও বিপনন, চাহিদা ও জনপ্রিয়তা। দই তৈরির প্রক্রিয়াগত পরিবর্তনও হয়েছে ব্যাপকভাবে। বানানগত দিক থেকেও ঘটেছে পরিবর্তন। আগে খাবারটি নাম লেখা হতো “দৈ”, অনুমান করা যায়, এখন থেকে প্রায় ২শ বছর আগে।
দেশভাগের কাছাকাছি সময়ে ভারত থেকে বগুড়ায় আসেন গৌরগোপাল ঘোষ। ঠাঁই নেন শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে শেরপুরে। আগে থেকেই তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা সেখানে থাকত। নতুন জায়গায় এসে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করতে থাকেন। দই বানানোর কৌশল তাঁর আগে থেকেই জানা ছিল। তিনি দইয়ের স্বাদ ও মানে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। শেরপুরে দই বানিয়ে ভাঁড়ে করে হেঁটে হেঁটে শহরে চলে আসতেন ফেরি করে দই বিক্রির জন্য। দইয়ের সঙ্গে আনতেন সরভাজা। গৌরগোপালের সরভাজাই কিন্তু পরে সরার দই, মানে বগুড়ার দই হিসেবে সুখ্যাতি পায়।এখন আমরা বগুড়ার দই বলতে যা বুঝি, তা মূলত ওই গৌরগোপালেরই ফর্মুলা।
যাই হোক দিনে দিনে তাঁর সরভাজা এতই জনপ্রিয় হয় যে জমিদারবাড়িতেও সরবরাহের আদেশ পান। তার তৈরি করা দইয়ের (সরভাজা) স্বাদ পেয়ে উচ্ছ্বসীত হয়ে ওঠেন তৎকালীন পাকিস্তানের নওয়াব মোহাম্মদ আলী।বগুড়ার নওয়াব মোহাম্মদ আলীর পরিবার তাঁকে ডেকে প্যালেসের আমবাগানে গৌর গোপালকে বসত এবং দইয়ের কারখানা স্থাপনের জায়গা করে দেন। ষাটের দশকের শেষ ভাগ পর্যন্ত সেই আমবাগানে গৌরগোপাল স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
প্রথমদিকে তিনি শুধু বগুড়ার দুটি নবাব পরিবারের জন্যই দই তৈরি করতেন। পরে তার ভাই সুরেন ঘোষের সাথে ব্যবসা সম্প্রসারিত করে বগুড়ার দইয়ের এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে চলেন ঘোষ পরিবারের আরেক সদস্য কুরানু ঘোষ। এরপর দই শিল্পে সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি দাঁড়া করান মহরম আলী। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আকবরিয়া হোটেলও দই ব্যবসায় এগিয়ে আসে। ১৯৮৫ সালে আহসানুল কবির তার ‘দই ঘর’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দই শিল্পে নিয়ে আসেন আধুনিকায়ন। দই তৈরির প্রক্রিয়া, প্যাকিং এবং বিপননে তার প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি দইশিল্পের নতুন সম্ভাবনা খুলে দেয়। স্বাদের উন্নতি এবং পরিবহনের সুবিধাজনক পদ্ধতির কারণে বগুড়ার দই ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। সম্প্রতি দইয়ের স্বাদে নতুনত্ব আনায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে এশিয়া সুইটমিট। এছাড়াও শ্যামলি, রুচিতা, চিনিপাতা, সাউদিয়া, দইবাজার, ফুডভিলেজ নামের আরো শতাধিক প্রতিষ্ঠান দই উৎপাদন এবং বিপনন করছে বগুড়ায়।
তৎকালীন বাংলার বিট্রিশ গভর্নর স্যার জন এন্ডারসন বগুড়ায় আসেন। তিনি বগুড়ার নওয়াব বাড়ির আতিথ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো বগুড়ার দইয়ের স্বাদ নেন। তার জন্যে কাঁচের পাত্রে তৈরি করা বিশেষ ধরনের দই সরবরাহ করা হয়। দইয়ের স্বাদ তাকে এতটাই মুগ্ধ করে যে, তিনি এখানকার দই ইংল্যান্ডে নিয়ে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানও মেতে যান বগুড়ার দইয়ের সুস্বাদে। শোনা যায়, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সহানুভূতি পেতে তিনি সেখানকার কর্মকর্তাদের কাছে উপঢৌকন হিসেবে বগুড়ার দই পাঠিয়েছেলেন।
দইয়ের একালঃ
সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলার একটি সভায় বগুড়ার দই নিয়ে খুব কথাবার্তা হয়। সেখানকার বাণিজ্য মেলায় বগুড়ার দইয়ের চাহিদা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ১০ মেট্রিক টন (৬০০ গ্রাম ওজনের ১৭ হাজারেরও বেশি সরা) দই সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। অবশ্য অল্প সময়ের মধ্যে এত পরিমাণ দই পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে ৫০০ কেজি দই পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার লোক লাইন ধরে কিনেছিল। নিমাই ঘোষ, লিটন ঘোষ প্রমুখ দই উৎপাদনকারী জানালেন, পাতলা দই তৈরির ক্ষেত্রে আগের পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হয়। শুধু চিনির পরিবর্তে একই পরিমাণ দুধের মধ্যে দুই তোলা পরিমাণ স্যাকারিন ব্যবহার করতে হয়। শেরপুরের মতো সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন দই দেশের আর কোথাও তৈরি হয় না। কারণ এখানকার আবহাওয়া দই তৈরির জন্য ভালো। এখানকার পানিও সুস্বাদু। তা ছাড়া এত দক্ষ কারিগরও অন্য কোথাও মিলবে না। এখন শেরপুরের বিখ্যাত দইয়ের দোকান সাউদিয়া, জলযোগ, বৈকালী, আলিবাবা, সম্পা ইত্যাদি। দই কয়েক রকম হয়ে থাকে—টক দই, সাদা দই, চিনিপাতা দই ও মিষ্টি দই। সাধারণত মাটির পাত্রে দই বাজারজাত করা হয়। সরা, পাতিল, বারকি, কাপ, বাটি ইত্যাদি নাম এসব পাত্রের।
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় স্থানীয় কায়দায় বানানো দই বগুড়ার দই নামে বিক্রি করা হয়। কোথাও কোথাও অবশ্য সত্যি সত্যি বগুড়া থেকে নিয়ে গিয়ে দই বিক্রি করা হয়। রঙ এর দিক থেকে বগুড়ার দই হালকা লালচে হয়।
উপকরণঃ
এক কেজি দই বানানোর জন্য নিতে হবে গরুর দুধ ২ কেজি, চিনি ২৫০ গ্রাম, সামান্য পরিমাণ পুরোনো দই এবং মাটির একটি হাঁড়ি ও সরা।
প্রণালীঃ
একটি পরিষ্কার কড়াই বা পাতিলে দুধ ছেঁকে ঢেলে দিন। কড়াই চুলাতে বসান। এবার জ্বাল দিতে থাকুন। চুলায় আগুন যত ধীরে জ্বলবে দই তত সুস্বাদু হবে। আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী, সাদা বা ঘিয়ে রঙের দই তৈরি করবেন। সাদা রঙের দই তৈরি করতে চাইলে ঘণ্টা দুয়েক পর কড়াই নামিয়ে ফেলুন। আর ঘিয়ে রঙের দইয়ের জন্য তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা চুলাতে কড়াই রাখুন। দুধ ফুটিয়ে দুই কেজি থেকে এক কেজিতে এলে তাতে চিনি ঢেলে দিন। চিনি না গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দুধ উথলে উঠলে কড়াই নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মাটির হাঁড়ি বা সরা একটু গরম করুন। এবার সরায় ঠান্ডা দুধ ঢেলে নিন। পুরোনো এক চিমটি দই দুধের সঙ্গে ভালোভাবে মেশান। এবার ঝাঁপি দিয়ে সরা ঢেকে দিন। ছাইচাপা আগুনে সরা বসিয়ে চার ঘণ্টা রেখে দিন। জমাট না বাঁধলে আরও দেড়-দুই ঘণ্টা সময় নিন। জমাট বাঁধার পর ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
স্বাদঃ
স্বাদে অসাধারণ, মিষ্টি, নরম, মুখে দিলে যেন গলে যায়। বগুড়া ছাড়া ও অনেক জায়গায় এখন দই পাওয়া যায়। খুলনা, সাতক্ষীরা, সিলেট, ঢাকাসহ অনেক জায়গায় দই পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলোর স্বাদ বগুড়ার দই এর স্বাদের ধারে কাছেও না।
Thank you for reading!
পুনর্জন্ম ৩ তে কাটা নখ আঙ্গুল বানিয়ে ফেলুন খাবারের আইটেম দিয়েই
কি ফিচার ছবি দেখেই ঘাবড়ে গেলেন? না ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আদতে এটি সত্যিকারের কাটা আঙ্গুল না। তবে খাবারের উপকরণ দিয়েই এইরকম ঘাবড়ে দেবার মত কিছু বানানো যায়। চলুন জেনে নেই কিভাবে বানাবেন-
উপকরণঃ
১) বাটার কুকিজ
২) ভ্যানিলা ফ্লেবার ( এসেন্স )
৩) এলমন্ড ( নকল নখ বানাবার জন্য )
৪) আইস সুগার
৫) বেকিং পাউডার
৬) ডিম
প্রনালী- উপকরণ তো দেখে নিলেন। এবারে সবকিছু একেবারে নিয়ে বেক করতে হবে ১৭০ ডিগ্রী তাপমাত্রায়
ছবি কৃতজ্ঞতায়ঃ আতিয়া আমজাদ।
Thank you for reading!
বাসায় বানান ব্রোস্ট চিকেন
কেএফসি বা অন্য যেকোন রেস্টুরেন্টে গেলে সবারই চিকেন ব্রোস্ট খাওয়া চাই। এই জিনিষ আমরা নিজেরাও বাসায় বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারি। চলুন দেখি কিভাবে বানানো যায় লোভনীয় চিকেন ব্রোস্ট।
উপকরণ
মুরগির পা এবং থাই ১/২ কেজি
শুকনা মরিচ গুড়া ১ চা চামুচ
গোল মরিচ গুড়া ১ চা চামুচ
সাদা ভিনেগার ১ চা চামুচ
টেস্টিং সল্ট ১ চিমটি
চিলি সস ১ চা চামুচ
লেবুর রস
কর্ণ ফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামুচ
ব্রেড ক্রাম ১ টেবিল চামুচ
লবন স্বাদ অনুযায়ী
তেল পরিমান মত।
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে মুরগির টুকরা গুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। একটি বড় পাত্রে লেবুর রস, শুকনা মরিচ গুড়া, গোল মরিচ গুড়া, সাদা ভিনেগার,টেস্টিং সল্ট, চিলি সস, লবন দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এরপর ঢেকে ২/৩ ঘন্টা ফ্রিজে ম্যারিনেট করার জন্য রেখে দিন। এখন কর্ণ ফ্লাওয়ার ও ব্রেড ক্রামে মুরগির টুকরা গুলো মাখিয়ে আরো ১০ মিনিট ঠান্ডা স্থানে রেখে দিতে হবে। এরপর তেল গরম করে মুরগির টুকরা গুলো অল্প আচে সোনালী করে ভাজতে হবে। এবার বাসায় বসে মজার খাবার ব্রোস্ট চিকেন খেয়ে নিন।
Thank you for reading!
ভাপা ইলিশের রেসিপি
বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর ইলিশ। আর দামও সাধ্যের মধ্যে। ইলিশ দিয়ে ঘরেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু অনেক খাবার।
ইলিশের একটি ব্যতিক্রমী রেসিপি নারিকেল বাটা দিয়ে ভাপা ইলিশ। জিভে জল আনা এই খাবার খুব সহজে তৈরি করতে পারেন ঘরেই।
উপকরণ……
ইলিশ মাছ, সরিষার তেল, জিরা গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, কালোজিরা, কাঁচামরিচ ও নারিকেল বাটা।
যেভাবে তৈরি করবেন……
মাছ ভালো করে ধোয়ার পর লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে তিন চামচ সরিষার তেল দিন। গরম হলে অল্প কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে মরিচ বাটা, হলুদ গুঁড়া ও মরিচের গুঁড়া দিন।
সামান্য পানি দিয়ে কষাতে হবে। এবার তার মধ্যে চার চামচ নারিকেল বাটা দিন। প্রয়োজনমতো পানি দিন।
মাছগুলো সাবধানে ছেড়ে সামান্য জিরা গুঁড়া, স্বাদমতো লবণ দিয়ে ৩ মিনিট ঢেকে রাখুন। রান্না শেষ করার আগে কয়েকটা কাঁচামরিচ চিরে দিন। ব্যাস, তৈরি নারিকেল বাটা দিয়ে ভাপা ইলিশ।
Thank you for reading!