খাসির মাংস রান্না করার বেশ কিছু প্রচলন রয়েছে। আমাদেশে দেশে এক রকম, আবার অন্য দেশে আরেক রকম রান্না করে। এ দেশের রাজা বা নবাবদের জন্য এক স্টাইলে রান্না করা হত , আর রেস্টুরেন্টে অন্য স্টাইলে রান্না করা হয়। তাই আজকে দেখে নিন, বাদশাহী এবং রেস্টুরেন্টে কিভাবে ভিন্ন স্বাদে খাসির রেজালা রান্না করে। রেস্টুরেন্টের স্বাদে খাসির রেজালা
উপকরণ:
লবন, আদা, পিয়াজ, মরিচ, হলুদ, গোল মরিচ, তেজপাতা, খাসির মাংস, দারুচিনি, লবঙ্গ, টক দই ইত্যাদি।
প্রাণালী:
* দেড় কেজি খাসির মাংসর জন্য
* স্বাদ মতো লবন, ২ টেবিল চামচ
* আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ
* রসুন বাটা, ১ চা চামচ
* মরিচের গুঁড়ো, ২ চা চামচ
* হলুদের গুঁড়ো,২ চা চামচ
* ২ টি তেজপাতা
* সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ
* সাহি জিরার গুঁড়ো এক চিমটি
* দারুচিনি ২ টুকরা
* ৪টি লবঙ্গ, ১/৩ কাপ তেল
* ২ কাপ পেয়াজ কুঁচি এবং এলাচ ২ থেকে ৩টি দিয়ে মাংস মাখাতে হবে।
এবার এর সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ১ চা চামচ গরম মসলার গুঁড়া, ১ চা চামচ জয়ফলের গুঁড়া, ১ চা চামচ জয়ত্রীর গুঁড়া দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিবেন। আরও দিতে হবে ৩ টেবিল চামচের মতো টক দই। ২ থেকে ৩ মিনিট পর কেউড়া জল দিতে হবে ১ চা চামচ এবং সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিবেন। ৬ থেকে ৭ টি কাঁচা মরিচ, ১ টেবিল চামচের মতো মাখন, দেড় টেবিল চামচ মাওয়া, দেড় টেবিল চামচ গুড়া দুধ, এক চা চামচ ঘি দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিবেন। চুলার আঁচ এক দম কমিয়ে আরও ৫ থেকে ৬ মিনিট রান্না করতে হবে। এ ভাবেই তৈরি হয়ে যাবে রেস্টুরেন্টের স্টাইলে খাসির রেজালা।
Thank you for reading!
আমরা সারা বছরই বেড়ানোর জন্যে উপযুক্ত সময় থাকলেও আমরা সাধারণত শীতকালেই পিকনিক করতে বেশি পছন্দ করি। শীতের মধ্যে স্কুল-কলেজ কিছুটা বন্ধ থাকে। তাই কিছুদিন একটা ছুটির আমেজ থাকে। আর পিকনিকের জন্যেও শীতের আবহাওয়া বেশ উপযোগী। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্টাডি ট্যুরের জন্যে এই সময়টাই বেছে নেয়।নোদন ও মানসিক প্রশান্তির জন্যে কর্মস্থল থেকে সবাই মিলে শীতে পিকনিক করা খুব সাধারণ ব্যপার হয়ে গেছে। শীত এলেই পরিবার পরিজন নিয়ে দেশে নাকি বিদেশে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, শুরু হয়ে যায় নানা পরিকল্পনা।
কোথায় ঘুরতে যাওয় যায় তা নিয়ে অনেকেই অনেক রকম পিকনিক পরিকল্পনা করছেন। কোথায় পিকনিক করবেন তার চেয়েও গুরুত্বপূর্র্ণ বিষয় হলো পিকনিক প্রস্তুতি। ঘুরতে যাবার আগে ভালো প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করবে পিকনিক কতটা আনন্দময় হবে। পিকনিক পূর্ববর্তী প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে পিকনিক সময় কি কি বিষয় আগে থেকে জানা দরকার, তা নিয়েও ভাবতে হবে।
পিকনিকের খাদ্য
টুরিস্ট রেস্টুরেন্টগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। যেখানে বেড়াতে গেছেন সেখানে আশপাশে ঘুরে, লোকাল বসবাসকারীরা যেখানে খান সেখানে খাওয়া-দাওয়া সারবেন। খরচটা কমবে উল্লেখযোগ্যভাবে। পিকনিকের খাবার-দাবারের ব্যাপারে প্রথমে যে জিনিসটি মাথায় রাখা উচিত তা হল হাইজেনিক ফ্যাক্টর। আপনি যে খাবারটি খাচ্ছেন তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না তা যাচাই করে নেয়া উচিত।
খাওয়া দাওয়া নিয়ে কিছু জিনিস
সঙ্গে করে সবসময় কিছু শুকনো খাবার সাথে রাখতে পারেন।
স্থানীয় কোন ঐতিহ্যবাহী খাবার থাকলে তা খেয়ে দেখতে পারেন।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোড়কজাত খাবার কেনার বেলায় এক্সপায়ার ডেটের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন এবং সঙ্গে অবশ্যই মেনুফেচার।
পিকনিকে একবারে বেশি করে খাবার না গ্রহণ করাই উচিত। কারণ পুরো ভুঁড়িভোজন শরীরে আলস্য নিয়ে আসে, যা পিকনিকে একান্তই কাম্য নয়।
সকালের নাস্তায় আঁশযুক্ত এবং শর্করাসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। সঙ্গে লো-ফ্যাট দধি, ফলজাতীয় খাবার, সিদ্ধ ডিম, চা-কফি থাকতে পারে।
লাঞ্চে আমরা ভারী খাবার খেতে অভ্যস্ত। তাই খাবার হওয়া উচিত কম মশলাদার, তেল পরিমিত রান্না করা, সহজে পরিপাক হয় এমন। এক্ষেত্রে ভাজা-পোড়া মেন্যু পরিহার করাই শ্রেয়।
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে দেহকে রিচার্জ করতে রাতের খাবার হওয়া উচিত উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং সহজপাচ্য।
পিকনিকের খাবারে ফাস্টফুড আইটেম, বেভারেজ, ফ্লেভারড জুস, চিপস ইত্যাদি পরিহার করুন। এইসবের পরিবর্তে দেশীয় ফল খেতে পারেন।
খাবারের তালিকায় বেশি তেলে ভাজা খাবারের পরিবর্তে স্বাভাবিক খাবার রাখুন।
Thank you for reading!
আমরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে যখন উঠি বেশির ভাগ সময়ে আমাদের চায়ের কথা মনে পড়ে। সারাদিন আমাদের অনেকেরই চা খাওয়ার কথা মনে পরে,সারাদিন কাজের ফাকে অথবা অবসর সময়ে আমরা যা খাই সেটা হল চা। অনেকে আবার রুটিন মাফিক প্রতিদিন চা খান। কাজে,মিটিংয়ে,আড্ডায় কিম্বা অপেক্ষায় চায়ের কাপে চুমুক দেয়া রীতিমত নেশার মত। তাহলে যেনে নেই দুধ চা নাকি লাল কোনটা আমাদের জন্য উপকারী।
মজার তথ্য হলো ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিস আমলে জনবহুল জায়গাগুলোতে ব্রিটিস সরকার চায়ের ওষুধি গুনের নানা বিজ্ঞাপন লিখে আমাদের চা খাওয়ার জন্য প্রচারনা চালাতো। সেই সময় ইংরেজরা ভারতীয়দের চা পান করার জন্য বিনা পয়সায় চা পান করাতো ও চায়ের বিজ্ঞাপন করতো। সেই সময়কার চায়ের বিজ্ঞাপনগুলোতে লিখা থাকতো চা পান করলে টাইফয়েড, কলেরা, বসন্ত আমাশয়সহ নানা রোগের প্রতিকার হয়। পরবর্তিতে গবেষণায় দেখা গেছে, চা পান করলে কলেরা-টাইফয়েড ভাল না হলেও এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় ও দেহের কোষের ক্ষয় রোধ হয়। তবে আমরা যারা নিয়মিত চা খাই তাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন দুধ চায়ের চেয়ে লাল চা শরীরের জন্য বেশী উপকারী
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে বলা হয়েছে- লাল চা পান করলে মানুষের রক্ত নালী ও ধমনির কার্যক্রম তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পায়, কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে চায়ের সুফল অনেক কমে যায় কারন রক্ত পরিবহনতন্ত্রের জন্য চায়ের উপকারিতার বিপরীতে কাজ করে এই দুধ। অন্যদিকে দুধ চায়ে দুধের প্রোটিন চায়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্টের সাথে মিশে যায় বলে চায়ের বেশীরভাগ ওষুধি গুন নষ্ট হয়ে যায়। তাই বলা যায় দুধ চা পান করার চেয়ে লাল চা পান করাই শরীরের জন্য বেশী ভালো। তাই যারা চা পান করে শরীরে ওষুধি উপকার পেতে চান তারা অবশ্যই দুধবিহীন চা বা লাল চা পান করুন সেইসাথে চাঙা শরীর ও মন।
Thank you for reading!
আমরা কম বেশি সবাই চিনি হাওাই মিথা। আমাদের বাসার অনেক জায়গা শহরের অলিগলিতে হাঁক মেরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে হকাররা। বাঁশের কাঠিতে গুঁজে দেওয়া হয় হাওয়াই মিঠাইয়ের তুলতুলে বল। দূর থেকে দেখে মনে হয়, কোথা থেকে যেন সাদা, গোলাপি কিংবা নীল মেঘের ভেলা ভেসে আসছে। ওজনে একদম হালকা আর বিশাল এক টুকরো মুখে ঢোকানোর সঙ্গে সঙ্গেই হাওয়ার মতো মিলিয়ে যায়। আর তাই দেখেই তো এ মুখরোচক খাবারটির নাম হাওয়াই মিঠাই। দেখতে তুলার মতো বলেই এমন নাম। অনেকে তো হাওয়াই মিঠাইকে মজা করে বুড়ির মাথার পাকা চুলও বলে থাকে ।চলুন তাহলে জেনে আশি হাওাই মিঠা সম্পর্কে।
ইতিহাস বলছে, চৌদ্দ শতকে ইতালিতে চিনির তৈরি এ খাবার প্রচলন হয়। ইউরোপে সেটিই প্রথম। সেই সময় ঘরোয়াভাবেই সামান্য চিনির ঘন রস বিশেষ পদ্ধতিতে সুতার মতো বানানো হতো হাওয়াই মিঠাই। আঠারো শতক পর্যন্ত এভাবেই তৈরি হয়েছে খাবারটি। ১৮৯৭ সালে মার্কিন উইলিয়াম মরিসন ও জন সি. ওয়ারটন প্রথমবার এই খাবার তৈরির এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। তবে শুরুর দিকে ওই যন্ত্রে তৈরি হাওয়াই মিঠাই তেমন জনপ্রিয় হয়নি। ব্যাপকভাবে এর প্রসার বাড়ে ১৯০৪ সালে। সে বছর মরিসন আর ওয়ারটন তাঁদের যন্ত্রে তৈরি হাওয়াই মিঠাই নিয়ে হাজির হলেন সেন্ট লুইসের বিশ্ব মেলায়। ওই মেলার প্রথম দিনই ২৫ সেন্ট করে ৬৮ হাজার ৬৫৫ বাক্স হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হয়েছিল। তখনকার হিসাবে সেটি বেশ বড় অঙ্ক!
এরপর ক্রমেই বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায় খাবারটি। চাহিদা ও জনপ্রিয়তার জন্য একাধিক কোম্পানি এগিয়ে এল এই মজাদার খাবার তৈরিতে। টটসি রোল অব কানাডা লি. বিশ্বের সর্বাধিক হাওয়াই মিঠাই উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান। দামি চকলেট, আইসক্রিম কিংবা ক্যান্ডিতে বাজার সয়লাব হলেও পুরোনো সেই হাওয়াই মিঠাইয়ের কদর কিন্তু এখনো কমেনি। আজও মেলায়, স্কুল গেটে কিংবা শপিং মলের বাইরে হাওয়াই মিঠাইওয়ালাকে দেখে অনেকেই ভিড় জমায়। এমনকি এই ছোট্ট ছোট্ট রঙিন মেঘের টুকরো দেখলে বড়দেরও জিবে জল আসতে বাধ্য।
সাধারণত হাওয়াই মিঠাই তৈরির যন্ত্রের নিচের অংশে একটি মোটরচালিত চুলো থাকে। এখানেই সাদা চিনিকে তাপ দিয়ে গলিয়ে ঘন ক্যারামেলে পরিণত করা হয়। এরপর তার সঙ্গে মেশানো হয় ফুড কালার। ক্ষেত্রবিশেষে বিশেষ গন্ধ ও স্বাদের জন্য নানা সুগন্ধিও ব্যবহার করা হয়। যন্ত্রের ওপরের অংশে মোটরের সাহায্যে একটি চাকা তীব্র বেগে ঘুরতে থাকে। চাকাটিকে আবৃত করে থাকে একটি অতি সূক্ষ্ম ছিদ্রযুক্ত পাতলা স্টিলের পাত। গরম ঘন ক্যারামেল ছিদ্রযুক্ত সেই লোহার পাত দিয়ে বের হওয়ার সময় সেগুলো তীব্র গতিতে অনেক সূক্ষ্ম সুতার মতো বের হয়। আর বাইরের বাতাসের স্পর্শে এসেই ঠান্ডা হয়ে যায়। এরপর একটা সরু কাঠি দিয়ে সুন্দর করে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে সংগ্রহ করা হয় হাওয়াই মিঠাই। কিন্তু একটি কাঠিতে হাওয়াই মিঠাই পরিমাণে দেখতে অনেক মনে হলেও সাধারণত এক কাঠিতে মাত্র ৩০ গ্রামের মতো চিনি থাকে। আর বাদবাকি মানে ৭০ ভাগই থাকে হাওয়া কিংবা বাতাস। সে জন্যই তো নাম হাওয়াই মিঠাই।
Thank you for reading!
টমেটো আমাদের সবার একটা পরিচিত খাবার,প্রতিদিন টমেটো খেলে আমাদের শরীরের অনেক পুষ্টি যোগায়। প্রতিদিন টমেটো খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে অত্যন্ত এই শীতে প্রতিদিন টমেটো খাই সুস্থ থাকি,তাহলে জেনে নেই টমেটোর উপকারিতা কি।
* আমরা জানি পুষ্টিতে ভরপুর টমেটো। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট এবং পটাসিয়াম। টমেটো থেকে আরও পাওয়া যায় থায়ামিন, নায়াসিন, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং কপার। এ ছাড়াও এই এক কাপের টমেটোর মধ্যেই থাকে দুই গ্রামের মতো ফাইবার। অনেকটা পানিও রয়েছে এর মধ্যে।
* চর্মরোগের জন্য টমেটো অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। ত্বকে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে প্রক্রিয়াজাত করে টমেটোর ব্যবহার করতে পারেন। চর্মরোগ নিরাময়ে এর রস কাজ করে থাকে।
* মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে টমেটো বেশ কার্যকর। এর রস মুখের ত্বক মসৃণ ও কোমল করে। বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের মুখে যে বয়সের ছাপ পড়ে, তা টমেটো দেওয়ার ফলে সেই ছাপ লুকাতে সাহায্য করে।
* এটি খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি বা দুটি টমেটো খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।
* রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে সাহায্য করে। যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য টমেটো বেশ উপকারী। প্রতিদিন
এক বা দুইবার টমেটো খেলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হতে পারে।
* সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও টমেটো বেশ কার্যকর। সর্দি-কাশি হলে এক বা দুটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে অল্প চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে পাত্রে গরম করে স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। এর ফলে সর্দি-কাশিতে উপকার পাবেন।
* জ্বরের নিরাময়ে সহায়ক। গায়ের তাপমাত্রা নানান কারণে বাড়তে পারে। সামান্য জ্বর হলে টমেটো খেলেই আরাম পেতে পারেন।
* মাড়ি থেকে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সির অভাবে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাত হয়। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে মাড়ি থেকে যদি রক্তপাতের বিষয় থাকে উপকার পাবেন।
টমেটো সস ও কেচাপ যেকোনো খাবারের সঙ্গে বিশেষ করে মুখরোচক ভাজাভাজি বা নাশতার সঙ্গে খেলে মজা লাগে। আজকাল নানা নতুন কায়দার গরুর মাংস, মুরগির মাংস রান্নায় টমেটো সস মেশানো হয়। তাতে স্বাদে ভিন্নতা আসে। খেতেও সুস্বাদু হয়।
Thank you for reading!
ঘি আমরা কম বেশি সবাই খেতে পছন্দ করি কিন্তু কোনটা ভেজাল আর কোনটা ভেজাল নয় এটা কি আমরা দেখে খাই। শীত কাল মানেই ঘি খাওয়া কেউ কেউ ভুনা খিচুড়ির সাথে খেয়ে থাকি,আবার কেউ বিভিন্ন খাবারের সাথে খেতে ভালবাসি ,চলুন তাহলে দেখে নেই ভেজাল ঘি কি ভাবে চিনবো।
* হিট টেস্ট: একটি প্যানে ১ চামচ ঘি নিয়ে গরম করুন। যদি ঘি তাৎক্ষণিকভাবে গলে যায় এবং গাঢ় বাদামি রঙে পরিণত হয়, তবে এটি খাঁটি ঘি। যদি ঘি গলতে সময় নেয় এবং হলদে হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন, ঠকেছেন আপনি।
* পাম টেস্ট: ১ চা চামচ ঘি নিন হাতের তালুতে। ঘি যদি ত্বকের সংস্পর্শে আপনাতেই গলে যায় তবে বুঝবেন ঘি বিশুদ্ধ। এর ব্যতিক্রম হলে ওই ঘি এড়িয়ে চলুন।
* ডাবল-বয়লার মেথড চেক: একটি কাচের বয়ামে সামান্য পরিমাণ ঘি নিন। একটি গরম পানির পাত্রে বয়ামটি বসিয়ে গরম করুন। গলে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন বয়াম। ঘি যদি এক লেয়ারে জমে তাহলে বুঝবেন খাঁটি ঘি। কিন্তু যদি দুই লেয়ারে জমে, তা হলে বুঝবেন ঘিয়ের সঙ্গে নারিকেল তেল মেশানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ঘি এবং নারকেল তেলের দুটি আলাদা লেয়ার দেখতে পাবেন।
* আয়োডিন টেস্ট: অল্প পরিমাণ ঘি গলিয়ে তার মধ্যে দুই ফোঁটা আয়োডিন সলিউশন দিন। আয়োডিন যদি বেগুনি রঙ ধারণ করে তাহলে বুঝবেন ঘি ভালো নয়।
* বোতল টেস্ট: এক চামচ ঘি গলিয়ে একটি স্বচ্ছ বোতলে রাখুন। এবার এতে এক চিমটি চিনি দিন। এরপর বোতলের মুখ বন্ধ করে খুব জোরে জোরে ঝাঁকান। ৫ মিনিটের জন্য বোতলটি স্থির অবস্থায় রেখে দিন। এরপর খেয়াল করুন বোতলের নিচে লাল রঙের আস্তরণ পড়েছে কি না। যদি লাল রঙের আস্তরণ পড়ে, তাহলে বুঝবেন ঘিয়ে ভেজাল মেশানো আছে।
Thank you for reading!
আমরা সব সময় বাচ্চাকে সলিড খাবার খাওয়ানোর কথা ভাবলেই মাথাই অনেক চিন্তা চলে আসে।আর ভালো খাবার খাওয়ানোর জন্য মায়েরা চিন্তায় পড়ে যান, বাচ্চাকে কি রান্না করে খাওয়াবেন তা নিয়ে সাধারণ সবজি খিচুড়ি হতে পারে আপনার বাচ্চার জন্য আদর্শ খাবার। খুবই সাধারন একটি খাবার হলেও এর পুষ্টিগুণ অনেকটা বাড়িয়ে নেয়া যায়। জেনে নিন পুষ্টিগুন বজায় রেখে কিভাবে সবজি খিচুড়ি রান্না করবেন.
উপকরণ
* পোলাও-এর চালঃ হাফ কাপ
* মুসরির ডালঃ হাফ কাপ
* ডিমঃ সাদা অংশ ১টি
* বড় মাছের টুকরোঃ ১ পিস (অপশনাল)
* তেলঃ অল্প পরিমাণ
* সবজিঃ আলু ১টি, গাজর, পেপে, মিস্টি কুমড়া ইত্যাদি অল্প কয়েক টুকরা।
* পেঁয়াজ, আদা ও রসুন বাটা সামান্য, লবন এবং পানি পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
প্রথমে মাছ ভাপে সেদ্ধ করে কাঁটা ছাড়িয়ে নিবো। ১টি হাড়িতে হাফ চা চামচ তেল দিয়ে তাতে পিঁয়াজ কুচি, আদা ও রসুন বাটা দিয়ে একটু ভেজে নিবো। অল্প একটু লবণ ব্যবহার করা যেতে পারে। একটু লাল লাল হয়ে আসলে তাতে ধুয়ে রাখা চাল, এবং ডাল হাড়িতে ঢেলে দিন। একসাথে কিছুক্ষন ভেজে নিন। তারপর এতে ধাপে ধাপে সব ধরণের সবজি গুলো ছোট করে কেটে মিশিয়ে নিন। একটু নেড়ে তাতে পানি দিয়ে দিন। বাচ্চার খিচুড়ি হবে পাতলা। তাই সে পরিমান পানি দিন। চাল কিছুটা সেদ্ধ হয়ে আসলে তাতে মাছ এবং ডিমের সাদা অংশ দিয়ে আরও কিছুক্ষন রান্না করে নিন। খিচুড়ি হয়ে আসলে নামিয়ে নিন। খিচুড়িতে কেউ কেউ শাক ব্যবহার করতে চাইলে করতে পারেন তবে অনেক বাচ্চাদের শাক খাওয়ার পর বদহজম হতে পারে।
Thank you for reading!
দুধ আমরা কম বেশি সবাই সব সময় খেয়ে থাকি। কিন্ত অনেকেই হয়তো জানেননা দুধ ঠাণ্ডা না গরম খেলে শরীরের জন্য বেশি উপকারি ।তাহলে আমরা জেনে নিতে পারি দুধ গরম করে খাওয়া হই কেন,এ বিষয়ে কি কখনো ভেবে দেখেছেন
আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, খাওয়ার আগে হালকা আঁচে দুধ ফুটিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু এ কথাও অনেকে শুনেছেন যে, দুধ জাল দিয়ে নিলে বা ফুটিয়ে নিলে তার পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই কাঁচা অবস্থায় দুধ খেলেই নাকি সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে দুধ ফুটিয়ে খাওয়া উচিত নাকি কাঁচা খাওয়া ভালো। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।
বর্তমানে বেশির ভাগ স্থানেই যে প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া যায়, সেগুলো ‘পাস্তুরাইজড’। অর্থাত্, জীবাণুমুক্ত এবং সংরক্ষণের উপযুক্ত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্যাকেটজাত দুধও ফুটিয়ে খাওয়াই ভালো। পাস্তুরাইজ করার পরও দুধ ১০০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা যায় না।
কারণ, দুধে সালমোনেল্লা, সিউডোমোনাস, ব্যাসিলাস, এনটারোব্যাকটর, ই-কোলাই-এর মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরাও এ বিষয়ে কর্ণেল বিশ্ববদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে একমত। প্যাকেটের দুধও ফুটিয়ে খাওয়াই ভালো।
পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা দুধে যেসব ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, সামান্য আগুনে ফোটালে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলো মরে যায়। পাস্তরাইজ করা প্যাকেটজাত দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় না ফোটালেও সামান্য গরম করে খেতে পারলে দুধের পুষ্টিগুণ বজায় রেখে তা ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা সম্ভব হবে।
Thank you for reading!
FOOD MAGAZINE BANGLADESH | ALL RIGHTS RESERVED | © 2019