এই শীতে চা আর কেক ছাড়া কি জমে
শীতে আমরা যখন একদমই জমে জায়,তখন চা আর কেক ছাড়া কি জমে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমাদের সবার খাওয়া উচিত এক কাঁপ চা এক টুকরো কেক।এই প্রচণ্ড ঠাণ্ডাই আমরা সকাল ও বিকালের নাস্তায় খেতে পারি চায়ের সাথে এক টুকরো কেক। তাহলে আর দেরি কেন চলুন দেখে নেই কিভাবে বানাতে হয়।
দারচিনি ও আমন্ড টি কেক
উপকরণ
* 465 গ্রাম মধু
* 225 গ্রাম দুধ
* 375 গ্রাম ময়দা
* 10 গ্রাম বেকিং সোডা
* 9 গ্রাম বেকিং পাউডার
* 38 গ্রাম আমন্ড পাউডার
* 40 গ্রাম আমন্ড
* 3 গ্রাম নুন
* 2টি ডিম
* 13 গ্রাম মশলার গুঁড়ো
* 40 গ্রাম দারচিনির গুঁড়ো
পদ্ধতি
বড়ো একটি শুকনো পাত্রে ময়দা আর বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা চেলে মিশিয়ে নিন।
সরিয়ে রাখুন।
মধু আর দুধটা মিশিয়ে নিন অন্য পাত্রে।
খুব ভালো করে মিশে গেলে একটা একটা করে ডিম ভেঙে এই মিশ্রণে মেশান।
প্রতিটি যোগ করার পর খুব ভালো করে নেড়ে দেবেন।
হ্যান্ড ব্লেন্ডার দিয়ে ফেটাতে থাকুন, মিশ্রণটা ক্রমশ হালকা হয়ে ফুলে উঠবে।
এই মিশ্রণে ধীরে ধীরে ময়দা যোগ করুন। প্রতিবার যোগ করার পর ভালো করে ময়দা ফোল্ড করে দেবেন।
মিশ্রণে যেন কোনও দলা না থাকে সেটা দেখতে হবে।
একেবারে মসৃণ হয়ে গেলে আমন্ড পাউডার, মশলার গুঁড়ো আর দারচিনি গুঁড়োটা ভালো করে মিশিয়ে নিন।
বাদামটাও মেশান, মিশ্রণটা এই অবস্থায় রেখে দিন 10 মিনিটের জন্য।
আভেন 180 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে গরম করে নিন 15 মিনিটের জন্য।
বেকিং ট্রে রেডি করুন বাটার পেপার আর মাখন লাগিয়ে।
এর মধ্যে ব্যাটার ঢেলে দিন।25-30 মিনিটের মধ্যে কেক তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা।
কাঁটা ঢুকিয়ে বের করে দেখুন শুকনো আসছে কিনা, না হলে আরও পাঁচ মিনিট করে বেক করে দেখতে হবে রেডি হওয়া পর্যন্ত।
নামিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে তবেই পরিবেশন করুন মজাদার চায়ের সাথে কেক।
Thank you for reading!
পিকনিকের খাবারের মেনু কেমন হলে ভাল? মাথায় রাখুন কিছু বিষয়
এখন শীতকাল আর এই শীতে আমাদের মনে জাগে নানান রকম আনন্দের ছোঁয়া। তবে আরও একটা কারণেও কিন্তু শীতের মৌসুম আসার অপেক্ষায় থাকে অনেকে, সেটা কী জানেন ? বলছি পিকনিকের কথা। শীতকাল আসবে, আর বন্ধুরা মিলে কিংবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোনও পিকনিকের আয়োজন করা হবে না, তা কি হয়। না, একদমই হয় না! তাহলে আমরা জেনে নিতে পারি পিকনিকের খাবারের মেনু কেমন হলে ভালো হবে।
১) ট্রাভেল টাইম
কতদূরে আপনার পিকনিক স্পট, সেখানে পৌঁঁছতে কতক্ষণ সময় লাগবে, সেটা আগে হিসেব করে নিন। কারণ যদি তাড়াতাড়ি পৌঁছে যান, তাহলে স্পটে গিয়েই জলখাবার খাওয়া হবে। আর নাহলে খেয়ে নিতে হবে যাওয়ার পথেই। ঠিক তেমন ভাবেই পৌঁছতে বেশি সময় লাগলে বেশি আইটেম রান্না করাও সম্ভব হবে না।
২) রান্না হবে নাকি অর্ডার করবেন
পিকনিক মানে একসঙ্গে হুল্লোড়। বেশিরভাগ সময়ই পিকনিকে গিয়ে কোমরে গামছা বেঁধে রান্না করার ছবিটা বাঙালিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। আবার অনেকে একসঙ্গে কোনও একটা বাগান বাড়ি বা পার্কে গিয়ে হুল্লোড় করেন। আর ঠিক সময়ে চলে আসে অর্ডার করা খাবার।
রান্নাটা লিস্ট থেকে বাদ দেন কোনও কোনও গ্রুপ। আপনার পিকনিকটা কোন ধরনের, সেটা ঠিক করুন আগে। অর্থাৎ স্পটে গিয়ে রান্না করবেন নাকি খাবার অর্ডার করবেন, সেই ডিসিশন নিয়ে নিন আগেই।
৩) কারা যাচ্ছেন
আপনাদের গ্রুপে কতজন অ্যাডাল্ট থাকছেন, আর কতজন শিশু সেই হিসেব মাথায় রেখে মেনু সেট করতে হবে। কারণ শিশুর সংখ্যা বেশি থাকলে, তাদের জন্য কম ঝালের রান্না বা হালকা রান্নার ব্যবস্থা রাখতে হবে। আবার দলে টিনএজার বেশি থাকলে তাদের পছন্দ মতো রাখতে হবে স্পাইসি ফুড।
আপনাদের দলের কারও কোনও খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে কিনা, তা জেনে নিন আগে থেকেই। তার একটা লিস্ট করুন। মেনুতে যাতে সেই ধরনের খাবার না থাকে, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি।
৪) স্ন্যাক্স
মেনকোর্সের পাশাপাশি প্রপার স্ন্যাক্সের ব্যবস্থাও রাখুন পিকনিকে। কারণ পিকনিক মানেই পানীয়র ব্যবস্থা থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। সেখানে স্ন্যাক্স লাগবে। আবার যারা পানীয়তে আগ্রহী নন, তাদেরও আলাদা রিফ্রেশমেন্টের প্রয়োজন হবে। ফলে মেনকোর্স সেট করতে গিয়ে স্ন্যাক্সের কথাটা ভুলে গেলে চলবে না।
৫) পছন্দ-অপছন্দ
আপনি হয়তো পিকনিকে গিয়ে মাংস-ভাত খেতে ভালবাসেন। আপনার দলের হয়তো আরও তিনজনের সেটাই পছন্দ। কিন্তু বেশিরভাগের পছন্দ চাইনিজ খাবার। তাই যারা পিকনিকে যাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগের কোন খাবার পছন্দ সেটা জেনে নিয়ে মেনু ঠিক করুন।
Thank you for reading!
এই শীতে শরীর গরম রাখবে যেসব খাবার
এখন চলে এসেছে শীতকাল। আর এই শীত থেকে বাঁচার জন্য আমরা খেতে পারি বিভিন্ন রকমেরে খাবার যেটা খেলে আমাদের শরীর থাকবে গরম।এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে ভেতর থেকে উষ্ণ থাকা সম্ভব। তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে সব খাবার খেলে শরীর থাকবে গরম।
মধু
* কমবেশি সবাই জানি শরীর গরম রাখতে দারুণ উপকারী মধু।আবার সর্দি-কাশি কমাতেও মধুর গুরুত্ব অনেক। মধুতে থাকা উপাদান শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা লাগা কমায়। মধু খেলে এ জন্য ঠাণ্ডা কম লাগে
কফি
শীতে এক কাপ গরম কফি মনকে যেভাবে চাঙ্গা করবে সেই সাথে শরীরের শীতল ভাব ও দূর করবে । যাঁরা শীতকালে রোজ কফি খান, তাঁদের পেট পরিষ্কার থাকে। কফি কোলেসিস্টোকিনিন নামের একটি হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ বেশি মাত্রায় ঢোকে শরীরে।
আদা
* আমাদের রান্নার আরও একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ হলো আদা। নিরামিষ কিংবা আমিষ— দুই রকম রান্নাতেই আদা ব্যবহার করা হয়। আদায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের জন্য ভালো। শীতের সকালে এক কাপ আদা চা সারা দিন আপনাকে চনমনে রাখবে।।
বাদাম এবং খেজুর
* এই শীতে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে যায়। এই সময় সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলো বেশি পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম বাদাম এবং খেজুর। প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে এগুলো। এ ছাড়াও শরীর চনমনে রাখতেও বাদাম এবং খেজুর বেশ উপকারী
স্যুপ
* স্যুপ জাতীয় খাবার শীত দূর করার জন্য খেতে পারেন স্যুপ বা স্টু। শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম স্যুপের বাটি নিয়ে মজা নিন স্যুপের। এতে শরীর গরম হবে এবং ঠাণ্ডা দূর হবে নিমেষেই। স্যুপে একটু ঝালও যোগ করতে পারবেন। এছাড়া স্যুপ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারি।
ঘি
ঘি এবং আঁশ জাতীয় খাবার শীতকালে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে খেলে হজম প্রক্রিয়া বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরের তাপমাত্র বাড়তে শুরু করে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু শীতকালের এই সবজিটিরও রয়েছে শীত দূর করার ক্ষমতা। ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড, যার রয়েছে দেহকে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি শীতও কম অনুভব করতে সহায়তা করে।
আমরা নিয়মিত এই খাবার গুলা যদি খাই শীত থেকে বাঁচতে পারি।
Thank you for reading!
কলকাতা স্টাইলে এগ রোল রেসিপি
এগরোল আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি এবং ভালবাসি। স্ট্রিট ফুড এর মধ্যে অন্যতম হলো এগ রোল।
সব রাস্তার স্টল, রেস্তোরাঁ তে কম দামেই পাওয়া যাই এগ রোল।
আজকে আমরা জেনে নিব কিভাবে সুস্বাদু এগ রোল ঘরে বসে বানাতে হয়।চলুন তাহলে দেখে আসি কিভাবে বানাবো।
সরঞ্জাম
- ১ কড়াই
- ১ ইনডাকশন কুকটপ
উপকরণ
পরোটার জন্য
- ২৫০ গ্রাম ময়দা
- নুন
- চিনি
- ১০-১২ গ্রাম সাদা তেল
- গরম জল
পুরের জন্য
- ৩ টে ডিম
- পেয়াঁজ কুচি
- কাঁচা লঙ্কা কুচি
- গন্ধরাজ বা পাতি লেবু
- চাট মশলা
- বিটনুন
- গোলমরিচ গুঁড়ো
পরোটা বানিয়ে নিন
- পরোটা বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে নিতে হবে একটি পাত্রে ময়দা, চিনি, নুন দালদা বা রিফাইনড তেল।
- সমস্ত কিছু একসাথে মিশিয়ে নিয়ে মাখতে থাকুন।
- তারপরে ভাল করে মেখে গরম জলের সাথে মিশিয়ে ৭ থেকে ১০ মিনিট ডলতে থাকুন যতক্ষন না ময়দার দলা নরম হচ্ছে।
- এরপর ময়দার উপর থেকে একটি তেলের কোটিং দিয়ে দিন।
- এরপর পাত্রের উপর ধাক্কা দিয়ে ৩০ মিনিটের মত আলাদা করে রাখুন।
পরোটা ভেজে নিন
- এরপর ময়দা থেকে লেচি কেটে তেল ও ময়দা দিয়ে পরোটার আকারে গড়ে নিন।
- অপরদিকে ডিম নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন এবং তার মধ্যে একটুখানি লাল লঙ্কার গুঁড়ো, নুন, এবং কালো মরিচ দিয়ে দিন।
- এবার ফ্রাইংপ্যানে চার চামচ তেল দিন এবং ভাল করে করকরে করে ভেজে দিন।
- পরোটা ভাল করে ঘুরিয়ে এবং উল্টে পাল্টে ভাজবেন।
- মনে রাখবেন পরোটার ধারগুলো যাতে ভালো করে ভাজা হয়।
- এরপর পরোটার উপর ফেটিয়ে রাখা ডিম দিয়ে দিন।
- তারপর পরোটায় ডিমের সাইডটা উল্টে একটু ভালো করে ভেজে নিন।
- এগ রোল বানিয়ে নিন
- এরপর পরোটার মধ্যে সমস্ত সবজি গুলো দিয়ে তার ওপরে ছড়িয়ে দিয়ে চাট মসলা, বিট নুন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো।
- আপনারা যদি চান তাহলে টমেটো কেচাপ ও চিলি সস ও দিতে পারেন একটু মসলাদার বানানোর জন্য।
- এর উপর পাতি লেবুর রস দিয়ে দিন।
- পরোটা টিকে ভালো করে রোল করে দিন এবং খেয়াল রাখবেন যাতে কোন সবজি পরোটা থেকে বেরিয়ে না যায়।
- পরোটা ভালো করে রোল করে নেওয়ার পরে ২/৩ অংশ কাগজে মুড়িয়ে দিন।
- তাহলেই তৈরী হয়ে গেলো কলকাতা স্টাইলে এগ রোল।
Thank you for reading!
খুদের ভাত তৈরি করার রেসিপি
ভাত আমরা কমবেশি সবাই খেয়ে থাকি,কিন্তু জানেন কি সুস্বাদু একটি খাবার খুদের ভাত। এই ভাতের সাথে আমরা নানারকম ভর্তা, ডিম ভাজি কিংবা মাংসের ঝোলের সঙ্গে এর স্বাদ অনন্য। অনেকে সকালের নাস্তায়ও এই খাবারটি খেয়ে থাকেন ।তাহলে দেরি না করে জলদী জেনে নেই মজাদার খুদের ভাত রান্নার রেসিপি
উপকরণ :
* খুদের চাল ২ কাপ
* পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ
* আদা বাটা ১ চা চামচ
* রসুন বাটা আধা চা চামচ
* তেজপাতা ২টি
* শুকনা মরিচ ৩টি
* লবণ পরিমানমতো
* তেল ৩ টেবিল চামচ
* পানি ৩ কাপ বা আরও কিছু বেশি।
প্রণালি :
প্রথমে খুদের চাল ভাল ভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটা হাড়িতে খুদের চাল, পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, তেজপাতা, লবণ, তেল ও শুকনা মরিচ টুকরা করে একসাথে মিশিয়ে পানি দিয়ে চুলায় দিয়ে ঢেকে দিন।
ফুটে ওঠা মাত্রই চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। আধা ঘণ্টা বা চাল না ফোটা পর্যন্ত মৃদু আঁচে রেখে নামিয়ে ফেলুন
এবার আমরা ভর্তা বা ভুনা মাংসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করতে পারি।
Thank you for reading!
এই শীতে হয়ে যাক গরম স্যুপ
শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম স্যুপ, শীতের এই সময়টা বাজারে সবজির ছড়াছড়ি। শীতে নতুন আলু, টমেটো, সিম, গাজর এসব খাওয়া হয়ও বেশি। এই সময়ে সবজি দিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার স্যুপ। দেখে নিন শীতে উম বাড়বে এমন কয়েকটি স্যুপের রেসিপি।
* টমেটো ক্রিম স্যুপ
উপকরণঃ
টমেটো ৪টি, মুরগির স্টক ৫ কাপ, লবঙ্গ ৫টি, মাখন ১ টেবিল চামচ, ভাঁজ খোলা পেঁয়াজ ২টি, কাঁচা মরিচ ২টি, গোলমরিচ ১ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, ক্রিম ২ টেবিল চামচ।
প্রণালিঃ
টমেটো সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। সসপ্যানে টমেটো পেস্ট ও মুরগির স্টক দিয়ে চুলায় দিতে হবে। ফুটে উঠলে অন্য সব উপকরণ দিয়ে আবার ফুটতে দিতে হবে। অন্য একটি ফ্রাইপ্যানে মাখন গরম করে তাতে রসুন কুচি দিতে হবে। হালকা বাদামি হলে স্যুপের ওপর ঢেলে দিতে হবে। গরম গরম ব্রেড টোস্টের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে টমেটো ক্রিম স্যুপ।
* পটেটো স্যুপ
সন্ধ্যা থেকেই আজকাল বেশ বোঝা যাচ্ছে যে শীত আসতে আর বেশি দেরি নেই। এমন একটু হিম হিম আগুয়ান শীতের সন্ধ্যায় আরাম পেতে একবাটি উষ্ণ স্যুপের কোনো জুড়ি নেই। শীতের মৌসুমে যেমন ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা অথবা কফি খেতে সবাই খুব ভালোবাসেন, তেমনি আলু দিয়ে তৈরি স্যুপও ভালো লাগে খুব।
উপকরণঃ
আলু বড় কিউব করে কাটা ১ কাপ, গাজর ১টি, পেঁয়াজ ১টি, তেজপাতা ২টি, মাখন ২ চামচ, লবণ স্বাদ মত, গোটা গোলমরিচ ৫টি, লেবু ১টি, ধনেপাতা, পেয়াজ পাতা।
প্রণালীঃ
আলু, গাঁজর, পেঁয়াজ ধুয়ে নিন। তারপর একটি পাত্রে পরিমাণ মত পানিতে ফুটতে দিন। এর মধ্যে তেজপাতা, লবণ দিয়ে দিন। সুঘন্ধ বের হলে গোলমরিচ দানা দিয়ে দিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে হালকা ঠাণ্ডা করুন। ব্লেন্ডারে পিষে করে পেস্ট করে নিন।
প্যানে মাখন দিয়ে গরম করে নিন তারপর পেস্টটি ঢেলে দিন কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। লাগলে আরো গরম পানি দিন। ফুটে আসলে লেবুর রস ও ধনে পাতা, পেঁয়াজ পাতা দিয়ে দিন। দিতে পারেন ভাজা মাংসও। পরিবেশন করুন গরম গরম।
শীতের এই সময়টাতে বয়স্ক, শিশু আর বড়রা যে কেউ সকাল-বিকেল আর সন্ধা-রাতই বলুন না কেনো নাস্তা হিসেবে যখন তখনই স্যুপ খেতে পারবে। এই সময়ে স্যুপ শরীরে তাপ তৈরি করবে।
Thank you for reading!
জেনে নিন ৬ টি আয়ুর্বেদিক খাবার
সমস্ত জীবের সুষমএবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতির একটি হল আয়ুর্বেদ। প্রাচীন এই শাস্ত্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার দিকেও নজর দিত। আয়ুর্বেদে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু বলা আছে।
আপনি যে খাবার গ্রহণ করেন, তার পাশাপাশি, আয়ুর্বেদিক নিয়মগুলিও ভালো করে জানা দরকার। তাতে সুস্থতার সম্ভাবনা বাড়ে। কী কী সেই নিয়ম?
এইচটি লাইফস্টাইলের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, চিকিৎসক এবং আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বৈশালী এই ৬টি নিয়মের কথা বলেছেন।
নিয়ম ১
সর্বদা আপনার খিদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে পেট ভরান। তাতে খাবারটি ভালোভাবে হজম হতে পারে। সর্বদা ৭০-৩০-এর নিয়ম মেনে চলুন। এর অর্থ হল অপনার পেটের ৭০ শতাংশ ভরা উচিত এবং ৩০ শতাংশ খালি থাকা উচিত।
নিয়ম ২
দুপুরের খাবার অবশ্যই দিনের সবচেয়ে ভারী খাবার হবে। যেহেতু হজম প্রক্রিয়া সূর্যের গতিবিধি অনুসরণ করে, তাই আপনাকে অবশ্যই দুপুরের খাবার ভালো করে পেট ভরে খেতে হবে। এতে শরীর সবচেয়ে বেশি পুষ্টি পাবে।
নিয়ম ৩
গভীর রাতে রাতের খাবার খাবেন না। রাত যত বাড়ে শরীর তত বেশি করে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়। ফলে আমাদের হজম প্রক্রিয়া স্লথ হয়ে যায়। এতে ক্যালোরিগুলি সব চর্বিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ঘুমোনোর আগে রাতের খাবার এড়িয়ে চলুন। চেষ্টা করুন ঘুমোনোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে।
নিয়ম ৪
আয়ুর্বেদ অনুসারে আপনার খাবার বারবার গরম করা উচিত নয়। বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন এবং আপনার খাবার বারবার গরম করবেন না। দিনে তৈরি খাবার, রাতে খাওয়া তাও ঠিক আছে, কিন্তু ফ্রিজে রেখে দিনের পর দিন খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তাজা রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
নিয়ম ৫
ঘন ঘন বদহজম হলে উপবাস করা ভালো। আপনি যদি মনে করেন
নিয়ম ৬
আপনার আগের খাবার সম্পূর্ণরূপে হজম হয়নি এবং পেট ভর্তি রয়েছে, তাহলে পরের খাবার আর খাবেন না। বরং শুকনো আদা গরম জলে দিয়ে পান করুন। তাতে খাবার হজম হবে। মেদও কিছুটা কমবে।
Thank you for reading!
নতুন আলুর ভরতা
এখন বাজারে এসেছে নতুন আলু,আর এই শীতের সময় আলু ভরতা খেতে কে না ভালবাসে। প্রতিদিন সকালে গরম ভাতের সাথে আলু ভর্তা খেতে খুবই মজা লাগে। চলুন তাহলে দেখে নেই কি ভাবে বানাতে হয়।
- ৪ টা মাজারি সাইজের আলু
- ১ টা পিয়াজ কুচি
- ৩-৪ টা আস্ত শুকনা মরিচ গুড়া
- ১ টে চামচ সরিষার তেল
- লবণ
- ভাজা জিরা গুড়া
এবার গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
এই শীতে পিঠা বানিয়ে আয় করুন
এখন শীতকাল আর এই শীতের কুয়াশা ভেজা সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা পুলি বাঙ্গালির বিভিন্ন আয়োজন। কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারনে ইচ্ছে থাকলেও এখন অনেকেই ঘরে শীতের পিঠা বানিয়ে খেতে পারেননা বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলা এড়াতে অনেকেই স্বাদ মিটাচ্ছে দোকান থেকে পিঠা ক্রয় করে।
তাদের জন্যই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পিঠা বিক্রি করেন অনেকে। শীতের পিঠা বিক্রি করে চলছে অনেকের সংসার,আতপ চালের গুঁড়া দিয়ে ভাপা পিঠা,খোলা পিঠা আর তেলের পিঠা বিক্রি করেন অনেকে। প্রতি পিস ৫ টাকা করে বিক্রি করে দৈনিক হাজার বারোশ টাকা আয় করা যায়।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন মোড় ও পাড়া–মহল্লায় হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের লোকজন গড়ে তুলেছেন শতাধিক পিঠার দোকান। এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও পিঠা বিক্রি করছেন। এর মাধ্যমে তারা বাড়তি আয় করতে পারছেন।
Thank you for reading!
ভাইরাল কাঁঠালের বার্গার
খ্রিস্টমাস ফ্রুট কেক
দুধ-রসুন একসঙ্গে পানের জাদুকরী ৭ উপকারিতা
অনেকে রসুন দুধ এক সঙ্গে দেখেই অবাক হতে পারেন ।আমরা অনেকেই হয়তো এটির নাম সুনিনাই,এটি দুধ সুষম পুষ্টিগুণে ভরপুর আর রসুন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। দুটোই সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর বাইরেও রসুন ব্যাকটেরিয়া রোধক ও প্রদাহরোধী উপাদান হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে শরীরের হাড় ব্যথার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
দুধ রসুন অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে, তা না হলে শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মিশ্রণ তৈরির জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ও পানি মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর রসুন দিন। মিশ্রণ করে এবার ফুটিয়ে নিন। দুধ ফুটানোর সময় জাল করতে করতে প্রকৃত দুধের অর্ধেক করে নিতে হবে। এরপর স্বাদ মতো চিনি নিন। তারপর হালকা উষ্ণ গরম অবস্থায় পান করতে থাকুন।
তাহলে চুলুন দেরি না করে দেখে আসি।
১। ঠান্ডা-কাশি কমাতে অনেক উপকারী এই পানীয়।
২। এই মিশ্রণে ঘুমের সমস্যা দূর হয়।
৩। প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে উপকারী।
৪। নিয়মিত এই মিশ্রণ খেলে অ্যাজমা প্রতিরোধে কাজ করে।
৫। আরথ্রাইটিসের সমস্যা কমে যায় অনেকটা।
৬। রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৭। শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
Thank you for reading!