যে ৬ ফুল খাওয়া যায়
বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের কথা বলা হয়ে থাকে। ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য গুল্ম ও মসলা ব্যবহার করা হয়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এমন অনেক ফুল আছে যা খাওয়া যায় এবং সেগুলো চমৎকার প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চলুন তাহলে জেনে নিই এমন কিছু ফুলের কথা।
১। নিম ফুল
নিমের ছোট ছোট পাতলা ফুলগুলো মেটাবলিজমের উন্নতি ঘটায় এবং ওজন কমাতে ফ্যাট ভাংতে সাহায্য করে। নিমফুল পিষে নিয়ে এর সাথে মধু ও চুনের পানি মিশিয়ে পান করুন। সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করলে পেটের মেদ কমতে সাহায্য করে।
২। কলার ফুল
অনেকেই কলার ফুল অর্থাৎ কলার মোচা খেয়ে থাকেন । কলার ফুল ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী এবং পিরিয়ডের সময়ের অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণের নিরাময়ে সাহায্য করে।
৩। ডালিম ফুল
ডালিম ফুল ডায়াবেটিসের একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। ডায়াবেটিস, অবেসিটি এন্ড মেটাবোলিজম নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের মতে, ডালিম ফুল গ্লুকোজের মাত্রা ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এই ফুল কাঁচা খাওয়া যায় অথবা গরম পানিতে দিয়ে চা বানিয়ে পান করা যায়।
৪। গোলাপ ফুল
হ্যাঁ গোলাপ ফুলের নাম শুনে একটু অবাক হচ্ছেন! এটি সবজি বা ফলের ক্যাটাগরিতে পড়েনা কিন্তু এটি বিভিন্ন ধরণের রান্নায় বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। গোলাপের তাজা পাপড়ি বা শুকনো পাপড়ি খাওয়া হয়। পরিপাকে সাহায্য করে গোলাপ ফুল। এছাড়াও ব্যথা সাড়াতে, বমি বমি ভাব, অবসাদ ও র্যাশ ভালো করতে সাহায্য করে গোলাপ ফুল কারণ এতে এস্ট্রিঞ্জেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে।
৫। ক্রিসেন্থিমাম ফুল
সাধারণ ঠান্ডা, জ্বর, গলাব্যথা, চোখের শুষ্কতা ও চুলকানি এবং কফ দূর করতে সাহায্য করে ক্রিসেন্থিমাম ফুল। এছাড়াও এই ফুল হজমে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল কমায় এবং করোনারি আরটারি ডিজিজ নিরাময়ে সাহায্য করে।
৬। জুঁই ফুল
যা ঐতিহ্যগতভাবে চায়ের সুগন্ধ সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়। আসল জুঁই ফুল ডিম্বাকৃতির, চকচকে পাতা এবং নলাকার মোমের মত সাদা ফুল।
Thank you for reading!
আজ আমরা দেখবো খেজুর গুড়ের রসালো চিতই পিঠা
শীতের সময় চারদিকে যেন পিঠা-পুলির হিড়িক পরে যায়। ঘরে ঘরে বাহারি পিঠার আয়োজনে একরকম উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। এ সময় বাহারি সব পিঠার মধ্যে হোল একটি দুধ চিতই। এই শীতে খুব সহজে বানিয়ে ফেলুন দুধ চিতই। তাহলে দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি?
যা যা লাগবে :
চালের গুঁড়া আধা কেজি, দুধ ৩ লিটার, খেজুরের গুড় ২ কাপ, লবণ ১ চিমটি, চিনি ২ টেবিল চামচ, আধা কাপ নারকেল, তেল পরিমাণমতো, পানি পরিমাণমতো।
যেভাবে বানাবেন :
প্রথমে একটি পাত্রে পানি, দুধ ও গুড় জাল দিয়ে ঢেকে রাখুন। এবার পরিমাণ মতো পানি চালের গুড়া, আধা কাপ নারকেল ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে মাঝারি ঘনত্বের গোলা বানিয়ে নিন এবং গোলা চুলায় দিন। ভালো করে নাড়ুন। যখন গরম হয়ে ধোঁয়া উঠবে তখন নামিয়ে নিন।
এবার চিতই পিঠার ছাঁচে অল্প তেল মাখিয়ে নিন। ছাঁচে পিঠার গোলা ঢেলে মিনিট তিনেক ভেজে কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রেখে পিঠা ছাঁচ থেকে তুলে নিন। কিছুক্ষণ পরে পিঠাগুলো উঠিয়ে গরম রসের মধ্যে দিয়ে ঢেকে রাখুন। সারারাত এভাবেই ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পরিবেশন করুন খেজুর গুড়ের রসালো দুধ চিতই পিঠা।
Thank you for reading!
রসমালাই খেতে কে না পছন্দ করেন। দুধ মালাইয়ে ডুবানো ছোট ছোট তুলতুলে স্পঞ্জ মিষ্টি, যা রসমালাই নামে পরিচিতি। ছোট-বড় সবাই রসমালাই খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে গুঁড়া দুধের রসমালাইয়ের স্বাদ সবারই প্রিয়।সিপিতি?সাধারণত সবাই কমবেশি মিষ্টির দোকান থেকেই কিনে খান রসমালাই! তবে চাইলে কিন্তু খুব সহজে আপনি ঘরেই তৈরি করতে পারবেন রসমালাই। তাহলে জেনে নেই রেসিপি?
উপকরণ?
১. গুড়া দুধ ১ কাপ
২. বেকিং পাউডার আধা চা চামচ
৩. ঘি ১ চা চামচ
৪. এলাচ ২/৩টি
৫. চিনি ২ টেবিল চামচ
৬. কনডেন্স মিল্কআধা কাপ
৭. ডিম ১টি ।
পদ্ধতি?
প্রথমে ১-৩ নং পর্যন্ত সব উপকরণ ও ডিম একসঙ্গে মেখে আঁঠালো খামির তৈরি করুন। ফেটানো ডিম দেওয়ার পর যদি খামির নরম না হয় তাহলে সামান্য তরল দুধ মেশাতে পারেন খামির নরম করতে। এরপর ৩০ মিনিট খামির ঢেকে রাখুন। এক লিটার দুধ জ্বালিয়ে নিন এলাচ, চিনি ও কনডেন্স মিল্ক মিশিয়ে। এবার গুঁড়া দুধের খামির থেকে পছন্দমতো আকৃতির রসমালাই তৈরি করে নিন। এ সময় হাতের তালুতে সামান্য ঘি মেখে নিলে হাতে লেগে যাবে না। দুধ জ্বাল দিয়ে যখন শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে যাবে তখন এর মধ্যে আধা কাপ গুঁড়া দুধ গুলিয়ে দিন। তাহলে দুধটা বেশ ঘন হবে। ফুটতে থাকা দুধের মধ্যে এবার রসমালাইগুলো দিয়ে ঢেকে দিন।
২০ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে খুব সাবধানে মিষ্টিগুলো নেড়ে আবার ঢেকে দিন। ১৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখুন ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত। রসমালাইগুলো ফুলে যাবে দুধে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে তারপর পরিবেশন করুন উপরে বাদাম কুচি ছড়িয়ে।
Thank you for reading!
মজার লাউ শাক ভাজির রেসিপি
মজার লাউ শাক ভাজি আমাদের সবারই অনেক পছন্দের। তাই আপনাদের জন্য এখন দেওয়া হচ্ছে একটি মজার শাক রান্নার রেসিপি। এই শাকটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও অনেক মজার। তাহলে দেখে নিন লাউ শাক ভাজির রেসিপিটি।
উপকরণ ?
* লাউ শাক ও লাউয়ের কচি ডগা
* পেঁয়াজ কুচি
* কাঁচা মরিচ- কয়েকটা ঝাল বুঝে
* তেল- আট/দশ টেবিল চামচ , কম তেলেই রান্না করতে পারেন , ননষ্টিকি কড়াইতে
* লবণ- স্বাদ মত।
প্রণালী?
শাক কেটে পরিস্কার করে ধুয়ে নিন এবং গা গা পানিতে এক চিমটি লবন দিয়ে হাফ সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে রাখুন ।
কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ , মরিচ এবং কাঁচা মরিচ দিন , লবন ( শাকে আগে লবন আছে বলে কম দিয়েই শুরু করুন , পরে দেয়া যাবে ) দিতে ভুলবেন না ।
ভাল করে ভাঁজুন । আগুন কম আঁচে রাখুন , ভাল করে মিশিয়ে নিন ।
লবন দেখুন , পানি থেকে গেলে চুলা বাড়িয়ে দিন , নাড়াতে থাকুন ।
শাকের পানি শুঁকাতে আগুন বাড়িয়ে কড়াইয়ের হাতল ধরে উলট পালট করে দিন । ব্যস প্রস্তুত ।
লাউ শাক এমনিতেই মজাদার , সাথে এমন সুন্দর রান্না হলে তো কথাই নেই ।
Thank you for reading!
মাত্র ২০ মিনিটে বানিয়ে নিন মুচমুচে আলুর চিপস
পটেটো চিপস কমবেশি আমাদের সবারই পছন্দের। আমরা বাইরে থেকে সবসময় কিনে না খেয়ে অল্প উপকরণ দিয়ে বাসাতেই বানাতে পারি মুচমুচে আলুর চিপস! আর বাচ্চারা তো চিপস খাওয়ার জন্য বায়না করেই, তাই না? স্ন্যাকস হিসাবে এটি বানিয়ে দিতে পারেন খুব কম সময়ে! অনেকে রোদে শুকিয়ে আলুর চিপস তৈরি করেন, পরে সেটা ভেজে নেন। এতে সময় বেশি লাগে, আবার সবার জন্য রোদে শুকিয়ে নেওয়ার অপশনও থাকে না। মুচমুচে আলুর চিপস কীভাবে তৈরি করবেন, সেটা জেনে নিন তাহলে।
উপকরণ ?
* আলু বড় সাইজের- ২টি
* বিট লবণ- ১/২ চা চামচ
* মরিচের গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
* লবণ- ১ চা চামচ
* টেস্টিং সল্ট- ১ চিমটি
* তেল- ভাজার জন্য
কীভাবে বানাবেন মুচমুচে আলুর চিপস?
১) প্রথমে আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পাতলা পাতলা স্লাইস করে ( গোল শেইপ হবে ) কেটে নিন। ছুরি দিয়ে বা গ্রেটারের সাহায্যে কাটতে পারেন।
২) এবার ঠান্ডা পানির মধ্যে লবণ দিয়ে দিন ও কেটে রাখা আলুর স্লাইসগুলো ডুবিয়ে রাখুন ৫ মিনিটের জন্য।
৩) আলুর টুকরোগুলো কিচেন টিস্যুতে রেখে পানি ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
৪) অন্যদিকে একটি বড় প্যানে তেল গরম করুন। তেল ভালোভাবে গরম হলে আলুর চিপসগুলো ছেড়ে দিন।
৫) চুলার আঁচ মিডিয়ামে রেখে ভালোভাবে ভেজে তুলে নিন।
৬) এবার বিট লবণ, মরিচের গুঁড়া, টেস্টিং সল্ট এবং নরমাল লবণ নিয়ে একসাথে মিশিয়ে নিন এবং চিপসের উপর ছড়িয়ে দিন ভালোভাবে। প্রতিটা চিপসে যেন মসলার কোটিং হয়, সেটা খেয়াল রাখবেন।
২০ মিনিটের মধ্যেই মজাদার মুচমুচে আলুর চিপস তৈরি হয়ে গেলো! চাইলে এতে চাট মসলাও যোগ করতে পারেন, এতে আরও ভালো লাগবে খেতে।
Thank you for reading!
মজাদার টমেটোর টক রান্নার রেসিপি
টমেটো কমবেশি সবাই আমরা পছন্দ করি। অনেক উপকারী একটি সবজি হলো টমেটো। শীতের সময়ে এটি বেশি পাওয়া যায়। টমেটোর সালাদ কিংবা সস ছাড়া অনেকের চলেই না। আবার গরম ভাতের সঙ্গে খেতে ভালো লাগে টমেটোর টকও। এটি রান্না করা কিন্তু খুব সহজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক মজাদার টমেটোর টক রান্না করার রেসিপি।
রান্না করতে যা লাগবে
* টমেটো- ৫-৬ টি
* হলুদের গুঁড়া- ১ চা চামচ
* পেঁয়াজ- ১টি
* রসুন- ১-২ কোয়া
* লবণ- স্বাদমতো
* কাঁচা মরিচ- ১-২ টি
* ধনেপাতা- স্বাদমতো
* তেল- ২ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
টমেটো ধুয়ে কিউব করে কেটে নিন। পরিমাণমতো পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে এলে টমোটোগুলো নেড়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এবার তাতে দিন সামান্য হলুদের গুঁড়া। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার অন্য একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে ভেজে নিন। পেঁয়াজ-রসুন বাদামি হলে এলে তাতে সেদ্ধ করে রাখা টমেটো মিশিয়ে দিন। এরপর জ্বাল দিন আরও মিনিট দুয়েক। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে দিন।
হয়ে গেলো মজাদার টমেটো টক এবার গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
খেজুরের রসের উপকারিতা কি জেনে নিন
চলে এসেছে শীত, আর এই শীতে খেজুরের রস না খেলে যেন চলেই না। খেজুরের রস দিয়ে গুড় বা পিঠা বানিয়ে খেতে তো ভারী মজা, কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনার জানা আছে কি? তাজা খেজুরের রস থেকে পাবেন শরীর সুস্থ রাখার মূলমন্ত্র। আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন খেজুরের রসের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
খেজুরের রসের উপকারিতাঃ
১. পুষ্টিতে ভরপুরঃ
খেজুরের রসে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এতে প্রোটিন, মিনারেল, ভিটামিন, আয়রন, ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ, পটাশিয়াম, এবং সোডিয়াম আছে। এই রস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
২. শরীরে শক্তি জোগায়ঃ
আমাদের শরীরে এনার্জি যোগান দেয় শর্করা। খেজুরের রসে বিদ্যমান শর্করা সারাদিনের শক্তির চাহিদা পূরণ করে। তাছাড়া এতে জলীয় অংশ বেশী আছে। তাই খেজুর রসকে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক বলা হয়। বাজারের কেমিক্যাল ও রংমিশ্রিত জুস বা ড্রিংকের বদলে খেজুরের রস সকালবেলা খেলে শক্তির অভাব তো দূর হবেই, সেই সাথে সারাদিনে ক্লান্তি অনুভূত হবে না।
৩. পেশী শক্তিশালী ও সচল করেঃ
খেজুরের রসের পটাশিয়াম ও সোডিয়াম মাংসপেশি শক্তিশালী করে। তার সাথে পেশীর অসারতাও দূর করে। মানবদেহে স্নায়ুকোষগুলোকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে নিউরন। আবার নিউরনের ভিতর দিয়ে স্নায়ু সংকেত চলাচল করে। খেজুরের রস স্নায়ু সংকেত চলাচলকে ত্বরান্বিত করে।
৪. কর্মশক্তি যোগায়ঃ
আমাদের শরীরে কর্মশক্তি যোগাতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। খেজুরের রসের ম্যাগনেশিয়াম শরীরে কর্মশক্তির যোগান দেয়। আবার দেহের ক্লান্তি দূর করতেও ম্যাগনেশিয়ামের জুড়ি নেই। নিয়মিত খেজুর রস খেলে দেহ থাকবে সতেজ ও চনমনে।
৫. রক্তস্বল্পতা দূর হয়ঃ
খেজুরের রসে আয়রন আছে, কাজেই এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তবে জ্বাল দেয়া খেজুর রসের চাইতে খেজুরের পাটালি গুড় বা ঝোলা গুড়ে আয়রন বেশী থাকে। তাই রক্তস্বল্পতা থাকলে প্রতিদিন এক টুকরা পাটালি গুড় বা এক চামচ ঝোলা গুড় খেতে পারেন। আবার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে খেজুরের রস পানে সমস্যা দূর হবে।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
খেজুরের রসে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আবার শীতের শুরুতে বা শীত চলাকালীন সময়ে খেজুরের রস সর্দি-কাশি সারায়। পাশাপাশি অত্যধিক শীতে শরীর গরম রাখে খেজুরের ৭. হাড় শক্ত করেঃ
খেজুরের রসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। এটি হাড়ে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে হাড় শক্ত করে। আবার বাড়ন্ত শিশুদের দেহে খেজুরের রস হাড় ও পেশী গঠন করতে সাহায্য করে।
৮. ওজন কমায়ঃ
খেজুরের রস চিনির একটি ভালো বিকল্প হতে পারে৷ এতে বিদ্যমান শর্করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। আবার এই রসে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশী, যা বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়। ফলে বাড়তি চর্বি দেহে জমতে পারে না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৯. হজমশক্তি ঠিক রাখেঃ
খেজুরের রস একটি আঁশসমৃদ্ধ খাবার। এটি হজমে সহায়ক এনজাইমগুলো ক্ষরণে সাহায্য করে এবং হজমক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়, মল নরম করে, এবং মলত্যাগ আরামের হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খেজুর রস বা গুড় খেলে উপকার পাওয়া যায়। খাওয়ার পরে এক চামচ খেজুর গুড় বা রস খেতে পারেন হজম দ্রুত হওয়ার জন্য।
Thank you for reading!
কিভাবে দারুণ সুস্বাদু পাতুরি রাঁধা হয় দেখুন
পাতুরি আমাদের কমবেশি সবারই একটা পছন্দের খাবার। অনেকের হয়তো জানা থাকে কিভাবে রান্না করতে হয়,আবার অনেকেই জানেন না।চলুন তাহলে দেরি না করে দেখে আসি মজাদার পাতুরি কিভাবে রান্না করতে হয়।
ভেটকি মাছের পাতুরি
উপকরণ
* 4 পিস ভেটকি ফিলে, পাতুরির জন্য কাটিয়ে আনবেন
* 2 টেবিলচামচ সরষে
* 1 টেবিলচামচ পোস্ত
* ¼ কাপ নারকেল কোরা
* 7টি কাঁচামরিচ চিরে নিন
* 1 চাচামচ হলুদ গুঁড়ো
* স্বাদ অনুযায়ী নুন
* 1টি কলাপাতা, চারটি টুকরোয় কেটে নিন
* 2 টেবিলচামচ সরষের তেল।
পদ্ধতি
ভেটকি মাছের ফিলেতে নুন আর হলুদ মাখিয়ে নিন।
মিক্সিতে বা শিলে সরষে আর পোস্ত বেটে কাচামরিচ খুব অল্প পানি ব্যবহার করবেন বাটার সময়।
নারকেল কোরা, নুন আর হলুদ এই মশলার সঙ্গে মিশিয়ে নিন খুব ভালো করে।
মশলাটা মাছের গায়ে মাখিয়ে ফ্রিজে রাখুন এক ঘণ্টার জন্য।
ফ্রিজ থেকে বের করে মাছগুলো তুলে নিন মশলা থেকে, তার গায়ে মাখান সরষের তেল।
এবার কলার পাতাগুলি গ্যাসের আঁচে খুব হালকা করে সেঁকে নিন, তাতে মুড়তে সুবিধে হবে।
প্রতিটি পাতার উপর প্রথমে এক টেবিলচামচ বাটা মশলা দিন, তার উপর মাছের টুকরো রাখুন।
শেষে আবার এক চামচ মশলা দিয়ে পুরো মাছটা ঢেকে দিন।
উপরে একটা কাঁচামরিচ রাখুন, সামান্য তেলও দেওয়া যায়।
এবার পাতা মুড়ে সাদা সুতো দিয়ে বেঁধে নিন। সবগুলি পাতুরি মোড়া হলে ভাজার পালা।
নন-স্টিক প্যানে সামান্য তেল দিন, তার মধ্যে পাতুরি সাজিয়ে দেবেন।
ঢাকা দিয়ে কম আঁচে ভাজুন।
7-8 মিনিট মাঝারি আঁচে প্রতিটি পিঠ ভাজলে পাতা পুড়ে কালো হয়ে যাবে, তখন বুঝবেন মাছ রেডি।
নামিয়ে পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
কাচকি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি
কাচকি মাছ আমরা কম বেশি সবাই খেয়ে থাকি। কাচকি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি অনেকেই জানতে চান। তাই আজ কাচকি মাছের রেসিপি দিলাম। কাচকি মাছ আমাদের সবারই কম-বেশি প্রিয় মাছ। ধনেপাতা দিয়ে কাচকি মাছের চচ্চড়ি খেতে খুব সুস্বাদু। মজাদার কাচকি মাছ এর চচ্চড়ি রান্নার রেসিপি দেখে নেওয়া যাক।
কাচকি চচ্চড়ির উপকরণ
১। কাচকি মাছ ২৫০ গ্রাম
২। পেঁয়াজকুচি ১ কাপ
৩ ।আলুকুচি বড় ১টা
৪। সরিষার তেল ৪ টেবিল-চামচ
৫। কাঁচা মরিচ ৪-৫টা
৬। জিরা আধা চা-চামচ
৭। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ
৮। আদাবাটা আধা চা-চামচ
৯। টমেটো লম্বা কুচি ১টা
১০। ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো
১১। রসুনবাটা আধা চা-চামচ
১২। লবণ পরিমাণমতো
কাচকি মাছ রান্না করার নিয়ম
প্রথমে কাচকি মাছ বেছে নিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ফেলতে হবে। এখন মাছ ছাড়া অন্যান্য সকল মশলা উপকরণ একসাথে মাখিয়ে তার মধ্যে অল্প একটু পানি দিতে হবে। এবার ধুয়ে রাখা কাচকি মাছগুলো মেশানো মশলা উপকরণের উপরে বিছিয়ে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়ে জ্বাল বেশি দিতে হবে। কাচকি মাছ রান্না অবশ্যই ঢেকে করতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে অল্প আঁচে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাখামাখা ঝোল রেখে দিতে হবে। এখন ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
তারপর গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
খাসির রেজালা রেসিপি
খাসির মাংস রান্না করার বেশ কিছু প্রচলন রয়েছে। আমাদেশে দেশে এক রকম, আবার অন্য দেশে আরেক রকম রান্না করে। এ দেশের রাজা বা নবাবদের জন্য এক স্টাইলে রান্না করা হত , আর রেস্টুরেন্টে অন্য স্টাইলে রান্না করা হয়। তাই আজকে দেখে নিন, বাদশাহী এবং রেস্টুরেন্টে কিভাবে ভিন্ন স্বাদে খাসির রেজালা রান্না করে। রেস্টুরেন্টের স্বাদে খাসির রেজালা
উপকরণ:
লবন, আদা, পিয়াজ, মরিচ, হলুদ, গোল মরিচ, তেজপাতা, খাসির মাংস, দারুচিনি, লবঙ্গ, টক দই ইত্যাদি।
প্রাণালী:
* দেড় কেজি খাসির মাংসর জন্য
* স্বাদ মতো লবন, ২ টেবিল চামচ
* আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ
* রসুন বাটা, ১ চা চামচ
* মরিচের গুঁড়ো, ২ চা চামচ
* হলুদের গুঁড়ো,২ চা চামচ
* ২ টি তেজপাতা
* সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ
* সাহি জিরার গুঁড়ো এক চিমটি
* দারুচিনি ২ টুকরা
* ৪টি লবঙ্গ, ১/৩ কাপ তেল
* ২ কাপ পেয়াজ কুঁচি এবং এলাচ ২ থেকে ৩টি দিয়ে মাংস মাখাতে হবে।
এবার এর সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ১ চা চামচ গরম মসলার গুঁড়া, ১ চা চামচ জয়ফলের গুঁড়া, ১ চা চামচ জয়ত্রীর গুঁড়া দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিবেন। আরও দিতে হবে ৩ টেবিল চামচের মতো টক দই। ২ থেকে ৩ মিনিট পর কেউড়া জল দিতে হবে ১ চা চামচ এবং সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিবেন। ৬ থেকে ৭ টি কাঁচা মরিচ, ১ টেবিল চামচের মতো মাখন, দেড় টেবিল চামচ মাওয়া, দেড় টেবিল চামচ গুড়া দুধ, এক চা চামচ ঘি দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিবেন। চুলার আঁচ এক দম কমিয়ে আরও ৫ থেকে ৬ মিনিট রান্না করতে হবে। এ ভাবেই তৈরি হয়ে যাবে রেস্টুরেন্টের স্টাইলে খাসির রেজালা।
Thank you for reading!
আলু দিয়ে লাল শাক ভাজি’র রেসিপি
আপনাদের জন্য এখন দেওয়া হচ্ছে একটি মজার ভাজির রেসিপি। এটি হলো আলু দিয়ে লাল শাক ভাজি’র রেসিপি। তাহলে দেখে নিন আলু দিয়ে লাল শাক ভাজি এর রেসিপিটি।
কুচি করে কাটা লালশাক: ৫০০ গ্রাম
(ছোট) আলু কুচি করে কাটা: ১ টি
রসুন কুচি : ১ টেবিল চামচ
সরিষার তেল : ৩ টেবিল চামচ
শুকনো মরিচ: ৪-৫ টি
হলুদ: ১ চিমটি
পানি ও লবণ পরিমাণমতো
প্রণালী:
আলুতে একটু হলুদ ও লবণ দিয়ে আধা সেদ্ধ করতে হবে।
এবার আলুর ভেতর শাক ছড়িয়ে দিয়ে ওপরে লবণ দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে।
প্রয়োজনে পানি দিতে হবে।
সেদ্ধ হয়ে এলে অন্য হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে শুকনো মরিচ লাল করে ভেজে তুলে রাখতে হবে।
এবার রসুন লাল করে ভেজে রান্না করা শাক ফোড়ন দিয়ে নামিয়ে ভাজা মরিচ দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
Thank you for reading!
আপনার শরীরে কি বিশেষ কোনও খাবারে অ্যালার্জি হয়। চিনে নিন তার লক্ষণগুলি কি।
কম বেশি আমাদের শরীরে সবার এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কোনওরকমভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেই বিপদ । চিকিৎসা করানোর জন্য হাতের কাছে কোনও ডাক্তারও পাবেন না। তাই সাবধানে থাকাটাই সবচেয়ে কাজের কথা। নানা খাবার থেকেও কিন্তু অ্যালার্জি হয়, তার লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন। অ্যালার্জি খুব বেড়ে গেলেও কিন্তু শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। আর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে কী হতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চয়ই আপনার সম্যক ধারণা আছে।
কোনও বিশেষ খাবার থেকে কেন আমাদের অ্যালার্জি হয় জানতে চান।
কোনও বিশেষ খাবার থেকে কেন আমাদের অ্যালার্জি হয় জানতে চান। কোনও খাবার খাওয়ার পর যদি আপনার শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা সেই খাবারে উপস্থিত কোনও উপাদানকে ক্ষতিকারক বা বিপদের কারণ বলে ভেবে নেয়, তা হলে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণের মাধ্যমে তা বুঝিয়ে দেয়। সেই লক্ষণগুলিই হচ্ছে অ্যালার্জি। নিউট্রিশনিস্ট ময়ঙ্কা সিঙ্ঘল বলছেন, “অ্যালার্জির নানা লক্ষণ থাকতে পারে, কোনও বিশেষ খাবার খেলে কারও ডায়েরিয়া হয়, কারও র্যাশ বেরোয়। বার বার যদি পেট ফাঁপা, গ্যাস্ট্রাইটিস বা বদ হজমের সমস্যায় ভোগেন, তা হলেও সাবধান হতে হবে। ভেবে দেখুন ঠিক কোন খাবার খেলেই এই সমস্যাগুলি হচ্ছে। সেগুলি বাদ দিন খাদ্যতালিকা থেকে।”
এখানে আরো দু’টি কথা বলে রাখা ভালো। এক নম্বর, বিশেষ বিশেষ ফুড গ্রুপে অ্যালার্জি অনেক সময়েই পারিবারিক সূত্রে উত্তরাধিকার হিসেবে মেলে, আবার শিশুবয়স পেরিয়ে গেলে তা কমেও যায়। দুই, ত্বক, গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল ট্র্যাক্ট, কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম এবং শ্বাসনালীতে এই লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে। একসঙ্গে একাধিক অঙ্গে প্রতিক্রিয়া হয়েছে, এমনও হতে পারে। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, কারও কারও ক্ষেত্রে আবার ঘণ্টা দুই-তিন পরে লক্ষণ ফুটে ওঠে।
যে যে খাবার থেকে অ্যালার্জি হয় সাধারণত সেগুলি হচ্ছে
দুধ, ডিম, বাদাম, সরষে-সূর্যমুখিসহ বীজ, গম, ডাল, সোয়াবিন, সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী (তার মধ্যে চিংড়িও পড়ে)। যাঁদের দুধে অ্যালার্জি থাকে, তাঁদের অনেকেরই গমের প্রোটিন থেকেও সমস্যা হয়। যাঁদের সোয়াবিন সহ্য হয় না, তাঁরা রাজমাও হজম করতে পারেন না। প্রথমদিকে হয়তো স্রেফ দুখে অসুবিধে হবে, তার পর দেখবেন ঘি-মাখন-ছানা খেলেও কষ্ট হচ্ছে।
এই অবস্থায়, কী করা উচিত জানতে চান? রাতারাতি না পারলেও ধীরে ধীরে এই ধরনের সব খাবার থেকে দূরে সরিয়ে নিন নিজেকে। তাতে শরীরও ভালো থাকবে।
Thank you for reading!