লাউ আমাদের সবার একটা প্রিয় খাবার আমরা কম বেশি সবাই এটি খেয়ে থাকি,তার থেকে আরো মজাদার খাবার হচ্ছে লাউয়ের খোসা ভাজি। এই শীতে গরম ভাতের সাথে লাউয়ের খোসা থাকলে আর কিছুই লাগেনা। আমরা অনেক সময় লাউয়ের খোসা ফেলে দেই এটি ফেলে না দিয়ে আমরা রান্না করতে পারি মজার একটা ভাজি। আসুন দেখে আসি কিভাবে রান্না করতে হয় মজাদার লাউয়ের খোসা ভাজি।
উপকরণ
লাউয়ের খোসা – ১টি মাঝারি মাপের।
কালোজিরা – ১চা চামচ।
পিঁয়াজ – ১ টি মাঝারি মাপের।
কাঁচা লঙ্কা – ৩ টি।
হলুদ গুঁড়া – ১চা চামচ।
লবণ – স্বাদ মতো।
সরিষার তেল – ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালী
* প্রথমে লাউয়ের থেকে লাউয়ের খোসা গুলো কিন্তু ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবারে লাউয়ের খোসা গুলো ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
* এবার লাউয়ের খোসা গুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে। তার জন্য আমি ব্যবহার করছি একটা প্রেসার কুকার। প্রেসার কুকারে এবার লাউয়ের খোসা গুলো দিয়ে দিলাম। এবার এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছে হাফ কাপ পরিমাণ পানি , সামান্য পরিমাণ লবণ ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো। এবারে লাউ এর খোসাগুলো সেদ্ধ করে নেব।
* এবারে রান্নাটা করার জন্য নিয়ে নিয়েছি একটা কড়াই তার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি ৩ টেবিল চামচ সরিষার তেল। ফরন এর জন্য দিচ্ছি ১ চা চামচ কালোজিরা ফরণ টা একটু গরম করে নিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিলাম একটা মিডিয়াম সাইজের পেঁয়াজ কুচি।
* পিয়াজ টি কিন্তু ভালো করে ভাজা করে নিতে হবে। পিয়াজ টা যখন ভাজা হয়ে আসবে তখন এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছি । তার সাথে দিতে হবে তিনটি চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা।
* এবারে এই সব কিছু ২থেকে ৩ মিনিটের জন্য একটু ভাল করে ভেজে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে স্বাদমতো লবণ আর ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো। এরপর পেঁয়াজ টা কে কিন্তু আরো একবার ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
* লাউয়ের খোসা টা এই কারণেই সিদ্ধ করে নিয়েছি যাতে লাউয়ের খোসা টা খুব ভালো করে ভাজা হয় আর যাতে নরম হয়ে যায়। এবারে লাউয়ের খোসা টা কিন্তু পেঁয়াজ আর আলুর সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে তারপর কম আঁচে রেখে কিন্তু এই সবকিছু একটু ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
* লাউয়ের খোসা ভাজি কিন্তু প্রায়ই হয়ে এসেছে তবে আরেকটু লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।
* তার জন্য সময় লাগবে ২ – ৩ মিনিট। লাউয়ের খোসা ভাজি কিন্তু একদমই তৈরি হয়ে গেছে এবারে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে নিচ্ছি ।
আসুন এবার গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করি মজাদার লাউয়ের খোসা ভাজি।
Thank you for reading!
ফুলকপি আমাদের সবার একটা প্রিয় খাবার,আর সাথে যদি থাকে ফুলকপির ডাটা তাহলে খাবারের স্বাদ টা ভিন্ন রকম লাগে।
এখন শীতকাল আমাদের সবার কম বেশি পছন্দ ফুলকপির ডাটা চচ্চড়ি। বাসায় রান্নার সাথে যদি থাকে ফুলকপির ডাটা চচ্চড়ি তাহলে খাওয়ার স্বাদ টা ও খুব মজা লাগে,আসুন দেখে আসি কিভাবে ফুলকপির ডাটা চচ্চড়ি করা হয়।
উপকরণ
Thank you for reading!
আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া। আমরা যদি প্রতিদিন দুধ খাওয়ার অভ্যাস করে থাকি , তাহলে সকলের মনে এই প্রশ্ন আসতেই পারে, কোন দুধ শরীরের জন্য বেশি উপকারি? ঠান্ডা দুধ খেলে বেশি উপকার আসবে নাকি গরম দুধ খেলে। । সবারই জেনে নেওয়া উচিত কোনটি আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকারী। চলুন দেখে আসি তাহলে?
বেশিরভাগ মানুষ গরম দুধ খাওয়া পছন্দ করলেও, অনেকে আবার ঠান্ডা দুধ খেতেই বেশি ভালোবাসেন। ডায়েট এক্সপার্ট ডা. রঞ্জনা সিং-এর মতে, দুধ ঠান্ডা হোক বা গরম দুটোই উপকারি। দুই ধরনের দুধ একেক ধরনের উপকার নিয়ে আসে। আসলে আপনি দুধ গরম খাবেন না ঠান্ডা, তা পুরোপুরি নির্ভর করে ঋতুর ওপর।
অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু সবারই উচিত প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া। এতে হাড় ও মাংসপেশি শক্ত হয়। গরমের সময় ঠান্ডা দুধ খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এটি পরিপাকতন্ত্রকেও ঠান্ডা রাখে। অন্য দিকে, রাতে দুধ খেয়ে ঘুমনোর অভ্যাস থাকলে শীতের সময় গরম দুধ অবশ্যই খাবেন। এটি শরীরকে গরম রাখে ও ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায়।
গরম দুধের উপকারিতাঃ
ডা. রঞ্জনা সিং মনে করেন দুধ গরম থাকলে তা খুব সহজেই হজম করা যায়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা, পেট খারাপ, গ্যাস থেকে দূরে থাকতে গরম দুধ পান করুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধ পান করলে ঘুম ভালো হয়, কারণ দুধে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন-কে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে বিশ্রাম দিতে সাহায্য করে।
ঠান্ডা দুধের উপকারিতা
ডা. সিং-এর মতে ঠান্ডা দুধ পান করলে শরীর ক্যালসিয়াম বেশি মাত্রায় গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। এমনকী, অ্যাসিডের সমস্যা হলে ঠান্ডা দুধ পান করলে খানিকটা আরাম মিলতে পারে। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে ইলেকট্রোলাইটস থাকায় এটি শরীরের আদ্রতাও বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা দুধ না খাওয়াই ভালো। এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঙ্গে কফ, সর্দি-কাশির সমস্যাও হতে পারে।
এই গুলো জেনে নেওয়া খুবই উপকারী পতিদিন দুধ পান করি নিজেদেরকে সুস্থ রাখি।
Thank you for reading!
আমরা চানাচুর খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করি,কখনো কখনো ঘর ছাড়া বাহিরে ও খেয়ে থাকি । চানাচুর আমাদের সবার একটা প্রিয় খাবার আমরা এটি সবাই বেশি পছন্দ করি । অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে বিকেলের আড্ডা এমনকি অবসর সময়ে খাওয়ার জন্য চানাচুরের চাহিদা অনেক থাকে । আমরা সাধারণত সবাই দোকান থেকেই চানাচুর কিনে খেয়ে থাকি । তবে চাইলে কিন্তু খুব সহজেই মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘরেই চানাচুর বানাতে পারি। বানানো ও খুব সহজ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক মজাদার চানাচুর বানানোর রেসিপি
উপকরণ:
১. বেসন আধা কেজি
২. কালিজিরা ১ চা চামচ
৩. খাবার সোডা আধা চা চামচ
৪. তেল আধা কাপ (ময়ান)
৫. পানি আধা কাপের একটু বেশি
৬. বাদাম ২৫০ গ্রাম
৭. চিড়া ২৫০ গ্রাম
৮. লবণ স্বাদমতো
৯. বিট লবণ ১ চা চামচ
১০. টক লবণ ১ চা চামচ
১১. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
১২. মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ
১৩. চাট মসলা ২ চা চামচ
১৪. তেল আধা লিটার (ভাজার জন্য)
পদ্ধতি
আমরা প্রথমে বেসন চেলে নিবো । এতে কালোজিরা ও তেল দিয়ে ময়ান করে লবণ আর পানি দিয়ে ঘন গোলা তৈরি করে নিবো । এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে চানাচুর ডাইসের উপর বেসনের গোলা রেখে হাতে চেপে চেপে তেলের উপর ফেলতে হবে।
তারপর ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে তুলে কিচেন টিস্যুর উপর রাখুন। মোটা ডিজাইনগুলো ভাজা হলে এরপর বেসনের মধ্যে ৪ চামচ পানি দিয়ে একটু পাতলা করে নিতে হবে গোলা। এবার চিকন ছাচের ঝুরি বানাতে হবে।
সবশেষে আবারো অল্প পানি দিয়ে বেসনের গোলাটা পাতলা করে বুন্দিয়া ভেজে নিতে হবে। বেসন পর্ব শেষ হলে ওই তেলেই বাদাম ভেজে নিনে। তেল খুব গরম করে চিড়া মুচমুচে করে ভেজে তুলে নিতে হবে।
এভাবে সব ভাজা হয়ে গেলে মশলা মেশাতে হবে। বাকি সব মসলাগুলো চানাচুর গরম থাকতে থাকতেই ভালো করে হাতে ডলে মিশিয়ে নিতে হবে। হয়ে গেল সস্বাদু চানাচুর। এভাবেই বানিয়ে খেতে পারেন মজাদার চানাচুর অনেক দিন ঘরে রাখে ।
Thank you for reading!
দুধ আমাদের সবার একটা পছন্দের খাবার, কিন্ত এই দুধ সকালে নাকি রাতে খেলে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তা সবার জানা থাকে না। আমরা প্রতিদিন দুধ থেকে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন পেয়ে থাকি । ল্যাকটোজে (দুধের একটি উপাদান) অস্বস্তি না থাকলে দুধ পানে কোনো অসুবিধা নেই। তবে নির্দিষ্ট উপকারের জন্য নির্দিষ্ট সময় দুধ পান করলে উপকারটি ভালোভাবে পাওয়া যায়।
* প্রতিদিন সকালের নাস্তায় বেশি প্রোটিন পেতে চাইলে সকালে দুধ পান করতে পারেন। ক্যালসিয়াম, প্রোটিনের বাইরেও দুধে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন। নিয়মিত দুধ পান করলে এসব পুষ্টিও পাবেন।
* প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে চাইলে, সকালে দুধ পান করুন। এতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম পাবেন। আপনার হাড় ও পেশির বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন জরুরি।
* আমাদের ঘুমের সমস্যা হলে এবং ভালোভাবে ঘুমাতে চাইলে, রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এটি ঘুমাতে সাহায্য করবে।
* আমাদের সারাদিন পরিশ্রমের পর ক্লান্ত লাগলে রাতে দুধ পান করুন। দুধের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো এসিড। এটি মস্তিষ্কের সেরোটোনিনের হরমোর নিঃসরণে সাহায্য করে। শরীর শিথিল রাখে।
ঠান্ডা দুধের চেয়ে গরম দুধ পান করাই ভালো। গরম দুধ হজমে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত দুধ পান করবেন না। দিনে ১৬০ থেকে ২২০ মিলিলিটারই যথেষ্ট।
Thank you for reading!
FOOD MAGAZINE BANGLADESH | ALL RIGHTS RESERVED | © 2019