খুব সহজেই বাড়িতে বানান কোল্ড কফি
আলুর চপ তৈরির সহজ রেসিপি
এই গরমে পান পাতার শরবত
আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, পানের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গরমের সময় পান পাতা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন শরীর ঠান্ডা রাখার মতো একটি পানীয়। গরমে তা খেলে আরাম হবে। আবার হজমের গোলমাল থেকে শুরু করে সর্দি-কাশি-মাথা ব্যথা, গায়ে ব্যথা সবই কমবে।
পানের রস পাকস্থলীর ফোলাভাব কমায়। অন্ত্রের সমস্যা মেটায়। এতে আছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটি শরীরের মধ্যে জমে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যালস, টক্সিন কমায়। উপকার পেতে রাতে জলে পান ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে পান শট বানিয়ে খেলে কমবে অম্বল, গ্যাস, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য। শরীর জীবাণুমুক্ত হলে রোগ ঘেঁষবে না মোটেই।
কী ভাবে বানাবেন পান পাতার শরবত ?
উপকরণ:
পান পাতা: ৪টি (কুচনো), মৌরি: ১ টেবিল চামচ, নারকেল কোরা: ১ টেবিল চামচ, মিছরি: ১/২ টেবিল চামচ, পানি: ১/২ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে কুচনো পান পাতা ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। পান পাতা বাটা হয়ে গেলে পানি ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিন তাতে। আবার সবটা ভালভাবে মিশিয়ে নিন। শেষে পানি দিয়ে আবার মিশ্রণটি ঘেঁটে নিন।
কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা ঠান্ডা খান। গরমকালে শরীর শীতল হবে। আবার নানা অসুস্থতা থেকেও মিলবে মুক্তি।
Thank you for reading!
পিৎজা খাওয়ানোর চুক্তিতে বিয়ে
আমরা অনেক ধরনের বিয়ের কথা শুনেছি বা দেখেছি । কিন্তু আজকে আমরা পিৎজা বিয়ের কথা শুনবো। তাহলে চলুন আসল ঘটনা শুনি-
ভারতীয় এক নবদম্পতি সম্প্রতি তাঁদের বিয়েতে যে চুক্তিতে সই করেন, স্বাভাবিক চুক্তির মতো না হওয়ায় সেই চুক্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, হয়েছে সংবাদের শিরোনাম।
বিয়ের পর কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না—এমন একটি মজার তালিকায় সই করেছেন ওই নবদম্পতি। এই তালিকা তৈরিতে সাহায্য করেছেন বর ও কনের বন্ধুরা। সাধারণত বিয়ের ক্ষেত্রে যে চুক্তি হয় উভয় পক্ষই তা মানতে আইনত বাধ্য থাকে। তবে এই নবদম্পতির করণীয় নিয়ে চুক্তির ক্ষেত্রে সেই বাধ্যবাধকতা নেই।
গত ২১ জুন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরদিন চুক্তির এই ভিডিও চিত্র ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়। অভিনব চুক্তিতে নবদম্পতির সই করার ১৬ সেকেন্ডের ভিডিও চিত্র অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই সাড়া ফেলে।
বিয়েতে বন্ধুদের নিয়ে এমন চুক্তির ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক ভিডিওটি চুক্তির তালিকায় থাকা প্রথম বিষয়টির জন্য মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। প্রথম দফাটি হলো ‘প্রতি মাসে শুধু একটি পিৎজা।’
পিৎজা খাওয়ার প্রতিশ্রুতি চাওয়া কনের নাম শান্তি প্রসাদ। তাঁর বয়স ২৪ বছর। শান্তির বন্ধুরা তাঁকে ‘একজন পিৎজাপ্রেমী’ হিসেবে বর্ণনা করেন। কলেজে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো মিন্টু রায়ের (২৫) সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের গোহাটিতে প্রথা মেনেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে।
এই নবদম্পতি একই কলেজের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন। পাঁচ বছর আগে প্রথম তাঁদের দেখা হয়। এরপরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
শান্তি বলেন, ‘পিৎজা আমার খুবই পছন্দ। কিন্তু কিছুদিন পর মিন্টু অভিযোগ জানাতে শুরু করে। শান্তির কথায় মিন্টু বলতেন, ‘আর কত পিৎজা, এবার চলো অন্য কিছু খাই।’
ওই নবদম্পতি বলছেন, খাবার নিয়ে তাঁরা কখনো ঝগড়া করতেন না। কিন্তু শান্তি বলেন, তিনি সব সময়ই তাঁর বন্ধুদের কাছে অভিযোগ করতেন। তিনি আরও বলতেন, প্রতিদিন পিৎজা খেতে খেতে তিনি কতটা বিরক্ত। এ ছাড়া তাদের এই বিষয় নিয়ে মিন্টুর বন্ধুরা হাসাহাসি করতেন।
বিয়ের আগের সপ্তাহে এই চুক্তির খসড়া করা হয়। সেখানে পিৎজা খাওয়া ছাড়াও আরও কিছু বিষয় ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি শর্ত হলো, প্রতি রোববার মিন্টুকে সকালের নাশতা বানাতে হবে, ১৫ দিন অন্তর শান্তিকে কেনাকাটা করতে নিয়ে যেতে হবে এবং শুধু শান্তিকে নিয়েই মধ্যরাতের কোনো পার্টিতে যেতে পারবে মিন্টু। এ ছাড়া পিৎজা অক্ষত হতে হবে, শান্তিকে প্রতিদিন ব্যায়ামাগারে যেতে হবে ও শাড়ি পরতে হবে। কারণ মিন্টুর মতে, ‘শাড়ি পরলে শান্তিকে অনেক সুন্দর দেখায়।’
খবর বিবিসির।
Thank you for reading!
গরুর বট বা ভুঁড়ি রান্না – কোরবানি ঈদ রেসিপি
বট বা ভুঁড়ি পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুব কম আছে । পুরো বছর জুড়ে মানুষ যে পরিমাণরে বট খায় তার চাইতে অনেক বেশি খায় কোরবানির সময়। তাহলে চলুন জেনে নেই গরুর বট বা ভুঁড়ি রান্না রেসিপি-
উপকরণ
- ভুড়ি দেড় কেজি
- তেল পৌনে ১ কাপ
- পেঁয়াজ ২ কাপ
- আদা/রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ
- গরম মশলার গুঁড়ো ১ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
- মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
- ধনে গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
- জিরা গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
- শুকনো বা কাঁচা মরিচ ৪-৫টি
- পানি ২ কাপ
- লবণ স্বাদমতো
পদ্ধতি
প্রথমে গরুর ভুড়ি ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর একটি প্যানে তেল গরম করে নিতে হবে। মাঝারি আঁচে পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা দিয়ে সামান্য কষিয়ে নিন।তারপর একটু পানি দিয়ে নেড়ে একেক করে সব গুঁড়ো মশলাসহ লবণ মিশিয়ে নিন। তারপর ভালো করে নেড়ে হালকা আঁচে ঢেকে কষিয়ে নিতে হবে।মশলা ভালো করে কষানো হলে, এর মাঝে পরিষ্কার করে রাখা বট বা ভুড়ি দিয়ে ৫-৬ মিনিট বারবার নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিন। এরপর ২ কাপ পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ডেকে রান্না করুন।কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা উঠিয়ে নেড়ে দিন, যাতে নিচে লেগে না যায়। পানি শুকিয়ে গেলে টালা জিড়া গুঁড়ো ও সামান্য গরম মশলার গুঁড়ো উপরে ছড়িয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।যদি আপনি ভুড়ি ভুনায় সামান্য ঝোল বা গ্রেভি রাখতে চান তাহলে এ পর্যায়ে সামান্য গরম পানি মিশিয়ে দিন। ৫ মিনিট চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন।আর যদি ভাজা ভাজ করতে চান; তাহলে চুলার আঁচ কমিয়ে আরও কিছু সময় ভেজে নিন। এ পর্যায়ে দেখবে ভুড়ি ভুনা অনেকটা কালো হতে শুরু করেছে।
নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার ভুড়ি ভুনা। ভাত, রুটি, পরোটা দিয়ে দারুন মানিয়ে যায় ।
Thank you for reading!
বরিশালের বিখ্যাত বিস্কি তৈরির রেসিপি
বরিশাল অঞ্চলের একটি বিখ্যাত খাবার বিস্কি। বরিশাল অঞ্চলের মানুষদের বছরে একবার হলেও বিস্কি রান্না করা লাগবেই। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় বরিশালের মানুষ বিস্কি বেশি রান্না করে। তবে বেশি রান্না হয় আউশ ধানের চাল যখন নতুন উঠে। তবে এই প্রজন্মের অনেকে এই বিস্কির সঙ্গে পরিচিত নন। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি রান্না করাও খুব সহজ। বরিশালের বিখ্যাত বিস্কি ছুটির দিনে আপনিও রান্না করে খেতে পারেন। চলুন জেনে নেই বরিশালের বিখ্যাত বিস্কি তৈরির রেসিপিটি- উপকরণ:
- আউশ চালঃ ১কেজি
- গুড়ঃ ৫০০ গ্রাম
- নারিকেল কুচিঃ গোটা একটি নারিকেল কুঁচি
- নারিকেল কোরানোঃ একটা নারিকেলের অধ্যেক/হাফ
- লবণঃ স্বাদ মতো
- দারচিনিঃ ৪-৫ টুকরা
- এলাচঃ ৪-৫টি
- তেজপাতাঃ ৩ টি।
প্রণালী: প্রথমে চালগুলো একটু লবণ মাখিয়ে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে একটু ঠাণ্ডা করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ধুয়ে পানিতে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার একটি পাতিলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে তাতে দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও গুড় দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না গুড় গলে যায়। এবার ভেজে রাখা চাল দিয়ে নারকেল কুচি এবং নারকেল কোরানো দিয়ে আবারো একটু পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। চালগুলো সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন বরিশালের বিখ্যাত বিস্কি।
Thank you for reading!
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী মুইট্টা পিঠা
বরিশালের ঐতিহ্যবাহী পিঠা। এই পিঠা বরিশালের সবাই কম বেশি পছন্দ করে। এখন তো শুধু বরিশাল না বরিশাল ছাড়াও অন্যান্য জায়গার মানুষ এই পিঠা অনেক পছন্দ করে। মুইট্টা পিঠা বেশির ভাগ শীতের আর বৃষ্টির সময় বানায়। বরিশালের মানুষ যেকোন ধরনের পিঠা বানাতে পটুক। চলুন জেনে নেই মুইট্টা পিঠার রেসিপি-
উপকরণঃ
- চালের গুড়াঃ ১কেজি
- গুড়ঃ ৫০০ গ্রাম
- নারিকেল কুচিঃ গোটা একটি নারিকেল কুঁচি
- নারিকেল কোরানোঃ একটা নারিকেলের অধ্যেক/হাফ
- লবণঃ স্বাদ মতো
প্রনালীঃ
প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিন ওই পানির মধ্যে গুড় গলিয়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে চালের গুড়া নিন। তারপর তার মধ্যে লবন, নারিকেল কুঁচানো, নারিকেল কোরানো দিন। সব গুলো উপকরন ভলো করে মিশিয়ে নিন। এরপর গুড়ের পানি দিয়ে দিন। গুরের পানি দেয়ার পরে যদি মনে হয় আর ও পানি লাগবে তাহলে পানি দিন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে একে বারে নরম না হয়ে যায়। এমন ভাবে নরম করতে হবে যাতে এটা চাপ দিলে দলা হয়ে থাকে। এরপর অল্প করে হাতের নিন আর গোল বা চেপ্টা করুন। এই ভাবে সব গুলো করা শেষ হয়ে গেলে। একটা পাতিলে পানি ফুটাতে দিন পিঠা গুলো সিদ্ধ করার জন্য। বাজাকে পিঠা সিদ্ধ করার পাতিল পাওয়া যায়। সেটার মধ্যে সিদ্ধ দিয়ে দিন সিদ্ধ হয়ে গেলে তুলে নিন। হয়ে গেলে বরিশালের মুইট্টা পিঠা।
Thank you for reading!
গরুর মাংসের শুটকি ভুনা
ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই পরিবার ও আত্মীয় স্বজন নিয়ে আড্ডায় সময় কাটানো। তবে কোরবানির ঈদে যুক্ত হয় নানা রকম মাংস খাওয়ার প্রতিযোগিতা। কখনো গরুর মাংসের শুটকি ভুনা খেয়েছেন কি? না খেয়ে থাকলে আপনি নিজে ঘরেই তৈরি করে নিন রেসিপিটি। আগে জেনে নিতে হবে গরুর মাংসের শুটকি তৈরি করার পদ্ধতি। আর সেই সঙ্গে জানতে হবে গরুর মাংসের শুটকি ভুনা তৈরির সঠিক রেসিপিটি। চলুন জেনে নেয়া যাক- গরুর মাংসের শুটকি তৈরি পদ্ধতি: হাড় ছাড়া গরুর মাংস ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। এবার ধুয়ে সুই-সুতা দিয়ে গেথে ২-৩ দিন ধরে কড়া রোদে লবণ ও হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে শুকিয়ে নিন। চাইলে লবন, হলুদ মাখিয়ে সিদ্ধ করে ও নিতে পারেন। যার যে ভাবে সহজ হয়। নিয়ে ও রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। তৈরি হয়ে গেলো গরুর মাংসের শুটকি। উপকরণ:
- গরুর মাংসের শুটকি ১ কেজি
- পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ
- আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
- মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
- ধনে গুঁড়া ২ চা চামচ
- জিরা বাটা বা গুঁড়া ১ চা চামচ
- কাঁচা মরিচ ৪ চা চামচ
- এলাচ ৬ টি
- দারচিনি ৬ টুকরা
- তেজপাতা৪-৬টি
- তেল আধা কাপ
- লবণ পরিমাণমতো। প্রণালী:
প্রথমে গরুর মাংসের শুটকি গরম পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এবার প্রেশার কুকার-এ সামান্য পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। যখন ৭-৮টা সিটি দেবে, তখন চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর একটি প্যান-এ গরম মশলাগুলো ও লবণ দরকার হলে দিয়ে তার গন্ধ ছড়ানো পর্যন্ত ভেজে নিন। এরপর এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ মশলা দিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা কষানো হয়ে গেলে, তাতে গরুর মাংসের শুটকি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এখন এক কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখুন। পানি শুকিয়ে তেল উঠে এলে নামিয়ে নিন! হয়ে গেলো মজাদার গরুর মাংসের শুটকি ভুনা।
Thank you for reading!
কোরবানি ঈদের আগে রান্নাঘরের প্রস্তুতি
ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। কোরবানির ঈদ আসলেই যেন রান্নাঘরে একটা বাড়তি চাপ আসে। দেখা যাবে আপনার সারাটাদিন রান্নাঘরকে ঘিরেই কেটে ভাবে। রান্নাঘরটি গুছিয়ে রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তোলা দরকার। চলুন জেনে নেই রান্নাঘরের প্রস্তুতি।
এছাড়াও আছে কোরবানির মাংসের সঠিক ব্যবহার ও বণ্টন । কেননা প্রতি বছর ঐ একটা দিনে রান্নাঘরে মাংস আর হাড়ের পাহাড় জমা হয়, সাথে রক্ত আর চর্বির উৎপাত তো আছেই। এই দিনটি কেটে যায় নানা ব্যস্ততায়। অতিথি আপ্যায়ন করা থেকে কোরবানির মাংস কাটাকাটি, এরপর ভাগ বাটোয়ারা তারপর ঝটপট রান্না করা, সবকিছুই যথেষ্ট সময়ের ব্যাপার। তাই ঈদের আগেই রান্নাঘরটা একটু গুছিয়ে রাখা প্রয়োজন। ঈদের দিন যেসব জিনিস দরকার পড়বে সেগুলো হাতের কাছে মজুদ রাখতে হবে আগেই। বুদ্ধি করে সমস্ত সামগ্রী আগে ভাগে সংগ্রহ করে আর সেগুলো ঠিকঠাক করিয়ে নিলে কোরবানি ঈদে কাজের বোঝা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। আগেই যেসব জিনিস গুছিয়ে রাখতে হবে সেগুলো হলো- হাঁড়ি-পাতিল, ছুরি, চাকু, বটি, মসলা তৈরির যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। সব কিছুর জন্য আপনার রান্নাঘর প্রস্তুত তো? ফ্রিজ আপনার রান্নাঘরের সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজনে পড়বে সেটা হল ফ্রিজ। আর তাই আগে ভাগে ফ্রিজটি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে রাখুন, সাথে মাংসগুলো যাতে সাচ্ছন্দে রাখতে পারেন তার জন্য ফ্রিজের মধ্যে জায়গা রেডি করুন।
জিনিসপত্র ছুরি, বটি, দা, কাঁচি, চপার বোর্ড, হাড়ি পাতিল সবগুলো গুছিয়ে রাখুন। জিনিসগুলোতে শাণ দেয়া প্রয়োজন হলে সেগুলো আগে থেকেই শাণ দিয়ে রাখুন।
কাটিং বোর্ড কাটিং বোর্ডে কাজ করার অভ্যাস যদি থাকে, তাহলে শাকসবজি আর মাংসের জন্য আলাদা বোর্ড ব্যবহার করুন। যদি আপনার বোর্ডটি টেম্পারড গ্লাস এর হয়ে থাকে তাহলে তা ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ কেননা এর তল মসৃণ এবং এতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে না। ছুরি ছুরির ক্ষেত্রেও একই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত; মাংস কাটার পরপরই ভালোভাবে না ধুয়ে একই ছুরি শাকসবজি কাটার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। অনেক খাবারের আইটেম এমন আছে। যেগুলো কাটা-ধোয়া থেকে শুরু করে রান্না করা পর্যন্ত আলাদা রাখা উচিত, নাহলে পরস্পর থেকে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পিপীলিকা রান্নার কাজে প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন ওভেন, রাইসকুকার, ব্লেন্ডার ও ফুড প্রসেসর এসবগুলো পরিষ্কার করে পরিপাটি করে রাখুন। রান্নাঘরে স্বভাবতই পিঁপড়ার উৎপাত বাড়তে পারে আর তাই পিঁপড়া দূর করার প্রস্তুতিও আগে থেকে নিয়ে রাখুন। পরিষ্কার রান্নাঘর স্বাভাবিকভাবেই রক্ত আর মাংসের গন্ধ ও দাগে ভরে যাবে। তাই যাতে তাড়াতাড়ি এসব নোংরা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলা যায় তার সব রকম আয়োজন করে রাখুন। ভিনেগার, ক্লিনার, ডেটল, স্যাভলন অথবা ব্লিচিং পাউডার হাতের কাছে রাখুন। মশলা ঈদের আগেই মাংসের জন্য আদা, রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ, মরিচ, তেজপাতা, গরম মশলা, গোলমরিচ, জায়ফল, শাহি জিরা, জয়ত্রী, পোস্তদানা, সয়া সস, তেল, টক দই এবং প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখুন। গুঁড়া মশলাগুলো আলাদা আলাদা কৌটায় নাম লিখে গুছিয়ে রাখুন। আদা, রসুন, পেঁয়াজ বেটে রাখুন। দা, বটি ও ছুরি দা, বটি ও ছুরি দিয়ে মাংস ও শক্ত হাড় কাটতে হয় তাই এগুলো আগে থেকেই ধার করিয়ে নেয়া উচিত। বড় পাতিল মাংস রাঁধার জন্য প্রয়োজন হয় বড় পাতিলের। বড় পাতিলগুলো পুরো বছর আর তেমন প্রয়োজন পড়ে না বলে ময়লা হয়ে থাকতে পারে। তাই এগুলো ঈদের আগেই পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখুন।
কোরবানির সময় বাসায় মেহমান বেশি আসে তাই সব কিছু আগে থাকে গুছিয়ে রাখুন।
Thank you for reading!