পিপীলিকার খাবার সংগ্রহ
পিপীলিকার খাবার সংগ্রহঃ
ক্ষুদ্রতম প্রাণীর মধ্যে পিপড়া অন্যতম। পিপড়া অনেক গুণে গুণান্বিত প্রাণী। এরা খুবই পরিশ্রমী ও দূরদর্শী। কর্ম বৈশিষ্ট্যের জন্য এ ক্ষুদ্র প্রাণী কে অনেক সময় উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পিপড়াদের মধ্যে একাত্মবোধ সবচেয়ে বেশি।খাবার জোগাড় করা বা যে কোন কাজে এরা দলবদ্ধ হয়ে লাইন ধরে চলাফেরা করে। রানী পিপড়ে কে মেনে চলে সবাই। একটি রানি পিঁপড়া লক্ষাধিক বাচ্চা দিতে পারে। অন্য পিঁপড়াদের পাখা না হলেও রানিদের পাখা গজায়।
শীতকালের জন্য খাবার কতটা জোগাড় করছে এবং কতটা জোগাড় করা বাকি আছে, তা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয়।শীতকালে ঠান্ডার জন্য খাবার সংগ্রহ করতে কষ্ট হবে বলে এরা গ্রীষ্মকালেই শীতকালের খাবার মজুদ করে রাখে। সারা বছর পরিশ্রম করে শীতকালে আরাম করে বেড়ায়।
পিঁপড়ের পেট দুটি। একটিতে নিজের জন্য খাদ্য জমা রাখে, অন্যটিতে অন্যের জন্য। পিঁপড়া প্রায় সবই খায়। তবে চিনিযুক্ত খাবার, যেমন ফল-ফুলের রস, পচনশীল মৃত প্রাণী, উদ্ভিদভোজী কীটপতঙ্গের দেহ নিঃসৃত মিষ্টি রস ইত্যাদি পিঁপড়ার পছন্দের খাবার বিপদ থেকে বাঁচার জন্য দল বেঁধে চলা-ফেরা করে। কোন বিপদের কথা শুনলে মুহুর্তের মধ্যে সবার কাছে ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষুদ্র এ প্রাণি অক্লান্ত পরিশ্রমি। পোকামাকড়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় মস্তিষ্কের অধিকারী এরা এবং শরীরের ওজনের চেয়েও ২০ গুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে। এরা ঘুমায় না। এরা পানির তলদেশে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে ।
সারা বিশ্বে প্রায় আট হাজার প্রজাতির পিঁপড়ার বর্ণনা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২৫০ প্রজাতির পিঁপড়ার কথা জানা যায় । সব প্রজাতির পিপড়ায় পরিশ্রমী।
Thank you for reading!