মধ্যাহ্ন ভোজের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

মধ্যাহ্ন ভোজ বা দুপুরের খাবার আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ কারন সারাদিনের খাবারের মধ্যে এটি আমাদের প্রধান আহার।এই আহার টি হওয়া উচিত স্বাস্থ্য সম্মত ও পুষ্টিকর ।কিন্তু আমরা খুব কম মানুষই আছি যারা খাবার এবং খাবার খাওয়ার পরিবেশকে খুব একটা গুরুত্ব দেই না।অল্প কিছু খেলেও সেটা কতোটা স্বাস্থ্যকরভাবে খাচ্ছি তা জেনে রাখা জরুরী।
ঘরের খাবার
আমরা যারা কর্মজীবী তারা অনেকেই রোজ বাইরের খাবার খাই।কারন সকালে অনেকেরই খাবার বানানোর সময় থাকে না।কিন্তু যদি রাতে একটু বাড়তি খাবার বানিয়ে রাখা যায় তাহলে সেই খাবার টি পরের দিনের দুপুরের খাবারের জন্য স্বাস্থ্যকর হবে।রেস্তোরার খাবার কে আমাদের সর্বশেষ উপায় ধরা উচিত ।বাইরের খাবার ও পরিবেশ দুটোই অস্বাস্থ্যকর হতে পারে।তাই ঘর থেকে খাবার আনা ভালো ,এতে খরচ কমে ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যায়।
ফাইবার যুক্ত খাবার
হাই ফাইবার খাবার গুলো খাওয়া উচিত কারন এই খাবার গুলো অনেকক্ষণ পেটে থাকে ।ফলে সহজে খিদে পায় না।অন্য খাবারের ঝোঁক কমে যায়।
রঙিন আহার
রঙিন খাবারে অনেক রকমের খনিজ,ভিটামিন, পুষ্টি উপাদান থাকে যা রোগের সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।আর দেখতে মুখরুচক লাগে ,তাই খেতেও তৃপ্তি পাওয়া যায়।
পানি পান
খাবার খাওয়ার আধ ঘন্টা আগে আধা লিটার পানি পান করা উত্তম।এতে ক্ষুধা কমে এবং খাবার খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আনা যায়। একটু পর পর একটু করে পানি পান করা ভালো। একবারে অনেক টুকু পানি খাওয়া ঠিক না।এক বেলার আহারের সাথে ২৫০ মিলি লিটার পানি খাওয়া যথেষ্ট ।এর বেশি খেলে ভারী ভাব হয় এবং বুক জ্বালা পোড়া করার সম্ভাবনা থাকে।
আহার পরবর্তী আলস্য
দুপুরে কি খেয়েছি তার উপর নির্ভর করে খাওয়ার পরের ভাতঘুমের ইচ্ছা বা মিষ্টি কিছু খাওয়ার লোভ ।কার্বোহাইড্রেট এ ভরা খাবার যেমন ভাত, আলু,পাস্তা,অতিরিক্ত রুটি ইত্যাদি আলস্যের প্রধান কারন।তাই বিকল্প হিসেবে সামুদ্রিক খাবার, তেলওয়ালা মাছ,লাল চালের ভাত ,ওটস কেক , রঙিন সবজি খাওয়া শ্রেয়।
ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত।
Thank you for reading!