বাজারে এসেছে শীতের শাক,রইলো কিছু রেসিপি

আমরা জানি এখন শীত কাল আর এই শীতে আমাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকমের শাকসবজির আয়োজন । এই শীতে বাজারে গেলেই দেখা যাই মজার মজার শাক। আর এই শাকসবজিতে রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্যর জন্য নানা রকম স্বাস্থ্যগুণ। দেখা যাই বাজারে গেলে অনেক শাক দেখে মনে চাই বাসায় নিয়া সুন্দর করে রান্না করে খাই ,আর আমরা শাক থেকে পায় প্রচুরপরিমাণে ভিটামিন। আজ আমরা দেখবো শীতের শাক কিভাবে রান্না করতে হয়।
সর্ষে শাক ভাজি
এটি শুধু খেতেই দারুণ নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য সর্ষে শাক। মাঝারি আঁচে প্যানে তেল গরম করে নিন। তেলে কয়েকটি শুকনা মরিচ ও ৪ কোয়া রসুন থেঁতো করে দিয়ে দিন। এক মিনিট নেড়েচেড়ে ৫০০ গ্রাম সর্ষে শাক কুচি দিয়ে দিন। স্বাদ মতো লবণ, দেড় চা চামচ চিনি ও ১ চা চামচ তিলের তেল দিয়ে নাড়তে থাকুন। সব কিছু ভালো করে মিশে গেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন এক মিনিট। নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম ভাতের সঙ্গে।
কলই শাক রান্না
প্রথমে পরিমাণমতো শাক বেছে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কলই শাক বাছলে খুব অল্পই পাওয়া যায়। বাকিটা ফেলে দিতে হয় নির্দয়ের মতো।
যাই হোক শাকগুলো ধুয়ে একদম পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। কারণ এই শাক রান্নার পর থাকবে একদম ঝরঝরা এবং সবুজ। শাকের গায়ে পানি থাকলে যা সম্ভব নয়।
লাল শাক ভাজি
১। প্রথমেই খুব ভাল করে লাল শাকগুলো ডাঁটি থেকে আলাদা করে পানিতে ধুয়ে নিন যাতে বালি বা কাদা না থাকে, এবং নেটের একটি জালিতে পানিতে ঝরানোর জন্য রেখে দিন। পানি ঝরে গেলে শাক কুঁচিয়ে নিন।
২। একটি কড়াই গরম করে তাতে কুঁচিয়ে রাখা লাল শাক ও সামান্য নুন দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন যাতে লাল শাক থেকে পানি বেরিয়ে যায়। নুনের পরিমাণ খুব সামান্য দেবেন কারণ শাক নরম হয়ে এলে পরিমাণে অনেকটা কমে যায়, ফলে নুন বেশি দিলে রেসিপিটির স্বাদই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩। শাক সেদ্ধ হয়ে গেলে অতিরিক্ত জলটা ফেলে দিন এবং আলাদা করে রেখে দিন।
৪। এবারে কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে তাতে শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন এবং ওই একই তেলে বাদাম ভেজে নিন। আপনি চাইলে বাদামগুলো ভেঙেও দিতে পারেন আবার গোটাও রাখতে পারেন।
এবার গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!