চালের গুড়ার রুটির সাথে হাঁসের মাংস

আমরা বাঙ্গালি মানেই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। আমাদের বাঙ্গালির ভোজনরসিক পছন্দের তালিকায় প্রায় শীর্ষ স্থানে আছে হাঁসের মাংস ভুনা ও চালের রুটি।
আমরা কম বেশি সবাই জানি হাঁসের মাংস সবার একটা পছন্দের খাবার আর তার সাথে যদি থাকে চালের রুটি তাহলে তো কথাই নাই। এখন শীত চলে এসেছে এই শীতকালে হাঁসের মাংসের সাথে চালের রুটি সবারই খুব ভালো লাগে। চলুন তাহলে দেখে নেই কিভাবে আমরা রান্না করবো হাঁসের মাংস,আর তার সাথে থাকছে মজাদার চালের রুটি।
চালের গুড়ার রুটি
উপকরণঃ
৩ কাপ চালের গুড়ো, পানি,৩ চা চামচ অয়েল,১/২ চা চামচ লবন।
প্রণালীঃ
পানির মধ্যে লবন ও তেল দিয়ে ফুটাতে দিতে হবে। পানি ফুটলে চালের গুড়া পানির মধ্যে দিতে হবে। গ্যাস কমিয়ে ঢাকা দিয়ে ২মিনিট রাখতে হবে।২ মিনিট পরে গ্যাস বন্ধ করে ৫ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। নামিয়ে ঠান্ডা হলে খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে।
রুটি বেলে নিতে হবে। তাওয়া তে রুটি হালকা ভেজে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চালের গুড়ার রুটি।
হাঁসের মাংস
উপকরণঃ
হাঁস ১টি, চামড়া সহ / চামড়া ফেলে দিতে পারেন )
নতুন আলু ছোট ৫/৬ টি ,
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,
রসুন বাটা ২ চা চামচ,
জিরা বাটা ২ চা চামচ,
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,
মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ, (ঝাল বুঝে মরিচ গুঁড়ো বেশি বা কম করতে পারেন )
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ,
দারুচিনি ৩ টুকরা,এলাচ ৪টি,
তেজপাতা ২/৩ টুকরো ,
কাঁচামরিচ ৫ টি,
আস্ত শুকনো মরিচ ৩টি,
তেল আধা কাপ,
গরম পানি ২/৩ কাপ।
লবণ স্বাদ মত ,
জায়ফল গুঁড়ো এক চিমটি।
রান্নার প্রস্তুত প্রনালীঃ
- আমরা প্রথমে হাঁড়িতে তেল গরম করে গোটা মসলা দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে নিবো। তারপর কাঁচা মরিচ ও জায়ফল গুঁড়ো বাদে সব মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে একটু পানি দিয়ে আরো কষাতে হবে।
- এরপর মাংস ও লবণ দিন। হালকা আঁচে মাংস ভালোমতো কষিয়ে তেল ওপরে উঠলে মাংসে গরম পানি দিন। (হাঁসের মাংশ সিদ্ধ হতে একটু বেশি সময় লাগে )
- তারপর মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে ঝোল মাখা মাখা হলে কাঁচামরিচ ও জায়ফল গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
হয়ে গেলো মজাদার হাঁসের মাংস ও চালের গুড়ির রুটি। এবার আমরা গরম গরম পরিবেশন করতে পারি।
Thank you for reading!