গাজরের উপকারিতা

শীতকাল মানেই সবজির ভান্ডার। অন্য সকল ঋতুর তুলনায় শীতকালে বেশি সবজি পাওয়া যায়। আর এইসকল শীতকালীন সবজির মধ্যে গাজর অন্যতম। গাজর একপ্রকার মূল জাতীয় সবজি। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আঁশযুক্ত শীতকালীন সবজি যা সারাবছরই পাওয়া যায়। এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এতে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ।
অন্যান্য সকল সবজির তুলনায় গাজর স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো উপকারি সবজি। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
তাহলে চলুন গাজরের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –
১. গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের অন্যান্য সমস্যা যেমন – দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, চোখের পানি পরা ইত্যাদি সমস্যায় বাধা দেয়।
২.গাজর ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম ত্বককে সুস্থ এবং সতেজ রাখে। ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, স্কিন টোনকে উন্নত করা ও ত্বকে দাগ পরা থেকে রক্ষা করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।
৩.গাজর ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে । গাজরের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ক্যান্সার কোষ উৎপাদনে বাধা দেয়।
৪. কোলেস্টরেল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজর ভীষণ উপকারি একটি সবজি। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে ফলে ওজন কমে যায়। গাজরের ক্যালরি এবং সুগারের পরিমাণ কম থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি।
৫. গাজর হৃদপিণ্ডের নানা অসুখে খুব ভালো কাজ করে। এতে থাকা ক্যারোটিনয়েড গুলো হৃদপিণ্ডের নানা অসুখের ঔষুধ হিসেবে কাজ করে ।
৬. সুস্থ ও সুন্দর দাঁতের ক্ষেত্রে গাজর খুবই উপকারি একটি সবজি। গাজর দাঁত ও মুখের ভেতর পরিষ্কার রাখে। গাজরে থাকা মিনারেলগুলো দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে ।
অর্থাৎ গাজরের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যারা নিয়মিত ঔষুধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে গাজর খাওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ এতে যকৃতে বিষাক্ত উপাদান তৈরি হতে পারে। তাই সকাল ও রাতে খাওয়ার পর এবং ঔষুধ সেবনের দুই তিন ঘণ্টা পর গাজর খাওয়া ভালো।
Thank you for reading!