আসুন জেনে নেই গ্রীষ্মকালের কিছু ফল সম্পর্কে

গ্রীষ্মকালে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজ, ডেউয়া, লটকন, গোলাপ জাম, বেতফল, গাব, জামরুল, আতাফল, কাউ, শরীফা প্রভৃতি ফল পাওয়া যায়।
ফলের ঘ্রাণে চারপাশ মৌ মৌ করে। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো যেমন উপাদেয়, তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
আসুন জেনে নিই কিছু গ্রীষ্মকালীন ফল সম্পর্কে :
আম

আম দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি স্বাদ, পুষ্টি ও গন্ধে অতুলনীয়। আম ফলের রাজা।
লিচু

লাল বর্ণের থোকা থোকা লিচুর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন না এমন বেরসিক মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। লিচু গ্রীষ্মকালীন ফল হওয়া সত্বেও খুব কম সময় পাওয়া যায়।
কাঁঠাল

কাঁঠাল জাতীয় ফল। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন-এ।
তরমুজ

প্রায় ৯০% পানি থাকায় ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের জুড়ি নেই।
জাম

প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি আছে এই ফলে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। এতে শর্করা খুব কম। তাই ডায়াবেটিস রোগী নিশ্চিন্তে জাম খেতে পারেন।
তাল

তালে পাওয়া যায় প্রচুর ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। তালের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগে বেশ উপকারী।
বেল

গরমে ঠান্ডা বেলের শরবতে প্রাণ জুড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেল অত্যাধিক উপকারী।
জামরুল

জামরুলে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় খাবার হজম করতে সুবিধা হয়। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে।
সফেদা

সফেদা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ একটি ফল।
আনারস

আনারসে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম ব্রোমেলেইন। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’-পাওয়া যায়।
লটকন

লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং প্রোটিন। যা আপনার ত্বক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত প্রোটিনের কারণে শরীর পায় তার প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস।
ডেউয়া

ডেউয়ার ভিটামিন সি ত্বক, চুল, নখ, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আতাফল

আতা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এছাড়া কিছু ভিটামিন, প্রোটিন, ও যথেষ্ট পরিমাণ মিনারেলও আছে।
কাউফল

ভিটামিন-সি তে ভরপুর কাউ ফলে আছে সর্দি-জ্বর ও ঠাণ্ডা সারাবার মতো ভেষজ গুণাগুণ। দিন দিন তাই বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে এই কাউ ফল।
(Visited 8 times, 1 visits today)
Thank you for reading!