আধুনিক পদ্ধতিতে কলার চাষ
বর্তমানে কলা অর্থকরী হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।কলা চাষ লাভজনক বতে।কারন কলা চাষে ধান পাট এর তুলনায় কম শ্রম লাগে এবং বিক্রি করাও খুব সহজ।এছাড়া কলার বাগানে কখন ধস নামে না ।
কলা চাষের আধুনিক পদ্ধতিঃ
জাত বাছাই :
সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কলার জাত বাছাই করা।আমাদের দেশে অনেক ধরনের কলার চাষ হয়,যেমন- অমৃত সাগর, মেহের সাগর, সবরি, অনুপম, চাম্পা, কবরী, নেপালি, মোহনভোগ ইত্যাদি।তবে সবরি, মানিক, মেহের সাগর ও নেপালি কলার চাহিদা আমাদের দেশে একটু বেশি।
জমি তৈরি ও সার প্রয়োগ :
প্রথমে ৭/৮ বার চাষ দিয়ে জমি ভালোভাবে তৈরি করে নিতে হবে। তারপর হেক্টরপ্রতি ১২ টন হিসেবে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।২ মিটার দূরে দূরে গর্ত খনন করতে হবে। প্রতিটি গর্তে ৬ কেজি গোবর, ৫০০ গ্রাম খৈল, ১২৫ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ১০০ গ্রাম এমপি, ১০০ গ্রাম জিপসাম, ১০ গ্রাম জিংক এবং ৫ গ্রাম বরিক এসিড প্রয়োগ করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১৫ দিন পর প্রতিটি গর্তে নির্ধারিত জাতের সতেজ চারা রোপণ করতে হবে। এভাবে একরপ্রতি সাধারণত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১শ’ চারা রোপণ করা যায়। পরবর্তী সময়ে ২ কিস্তিতে গাছপ্রতি ১২৫ গ্রাম ইউরিয়া ও ১০০ গ্রাম এমপি ৩ মাস অন্তর অন্তর প্রয়োগ করতে হবে।
রোপণের সময় :
কলার চারা বছরে তিন মৌসুমে রোপণ করা যায়। প্রথম মৌসুম মধ্য জানুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ। দ্বিতীয় মৌসুম মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে। তৃতীয় মৌসুম মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য নভেম্বর।
পরিচর্যা :
শুকনো মৌসুমে ১৫-২০ দিন পর পর সেচের প্রয়োজন হয়। গাছ রোপণের প্রথম অবস্থায় ৫ মাস পর্যন্ত বাগান আগাছামুক্ত রাখা জরুরি। কলাবাগানে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
কলার রোগ ও প্রতিরোধ :
কলাতে বিটল পোকা, পানামা রোগ, বানচিটপ ভাইরাস ও সিগাটোকা রোগ আক্রমণ করে। কলা কালো কালো দাগযুক্ত হয় বিটল পোকায় আক্রান্ত হলে। প্রতিরোধের জন্য ম্যালথিয়ন অথবা লিবাসিস ৫০ ইসি সহ সেভিন ৮৫ ডব্লিউপি প্রয়োগ করা যেতে পারে। পানামা রোগে কলাগাছের পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করে।মাঝে মাঝে গাছ লম্বালম্বি ফেটে যায়। এ রোগের প্রতিরোধে গাছ উপড়ে ফেলা ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। কলার পাতা আকারে ছোট ও অপ্রশস্ত হয় বাঞ্চিটর ভাইরাসে আক্রান্ত হলে । এই রোগ প্রতিরোধের জন্য রগর বা সুমিথিয়ন পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত।
Thank you for reading!