পাহাড়িদের মজার সব খাবার
আদিবাসীদের খাবারে রয়েছে নানা রকম ভিন্নতা। দেখে নিন মজার মজার পাহাড়ি কিছু খাবার।
পার্বত্য জেলায় ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেবেন না, তা তো হয় না। পাহাড়িদের এসব বাহারি খাবার যতই বিচিত্র হোক, তা স্বাদে-গুণে অনন্য। তেমনি কিছু মজার পাহাড়ি খাবারের নাম তুলে ধরা হলোঃ
ব্যাম্বু চিকেনঃ
পাহাড় যেমন বিচিত্র, পাহাড়ি খাবার ও তেমনি বিচিত্র। পাহাড়ের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার হলো সুমো হুরো এরা বা ব্যাম্বু চিকেন। বাঁশের মধ্যে রান্না করা হয় বলে এর নাম ব্যাম্বু চিকেন। দেশি মোরগের সাথে আদা, রসুন, মরিচ এবং সাবারাং পাতা মিশিয়ে কাচা বাঁশের ভিতর ঢুকিয়ে কলাপাতা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় বাঁশের মুখ। কয়লা দিয়ে রান্না করা হয় এই বিশেষ খাবারটি।
বাঁশ কোড়লঃ
পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীদের প্রিয় খাবার বাঁশ কোড়ল। বাঁশের গোড়ার কচি নরম অংশকে বলা হয় বাঁশ কোড়ল। স্যুপ, মুন্ডি, মাংস দিয়ে বা ভাজি করে খাওয়া হয় এই বাঁশ কোড়ল।
বর্ষার শুরুতে মাটি নরম হলে বাঁশ গজাতে শুরু করে। তাই শুধু মাএ বর্ষার সময় এই বাঁশ কোড়ল পাওয়া যায়।
নাপ্পিঃ
কক্সবাজারের রাখাইন পল্লীতে এর প্রচলন বেশি। সাগর থেকে আনা ছোট চিংড়িকে তারা ‘মিম ইছা’ বলে থাকে। মিম ইছা রোদে শুকিয়ে লবন ও বিভিন্ন মশলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় নাপ্পি। শুটকির মতো রান্না করা হয়, আবার অন্য খাবারের সাথে পরিবেশন করা হয়ে থাকে। তরকারিতে তেল এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে নাপ্পি।
হেবাংঃ
চাকমাদের শুটকি খুব পছন্দের খাবার। লবন যেমন রান্নার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তেমনি শুটকি ও তাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন রকম শুটকি দিয়ে ভাপের মাধ্যমে তৈরি করা হয় হেবাং। হেবাং মূলত রান্নার একটি পদ্ধতি, শুটকি ছাড়াও মাংস রান্না করা হয় এই পদ্ধতিতে। স্থানীয়রা হেবাং কে ‘সুগুনি হেবাং’ বলা হয়।
মুন্ডিঃ
পাহাড়িদের নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি করা ন্যুডুলস হলো মুন্ডি। মুন্ডি তৈরি করার জন্য প্রায় ১৫ দিনের মতো চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়।এই চালকে ছোট ছিদ্র যুক্ত চালুনির ওপরে রেখে পরিষ্কার করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ঢেঁকিতে পিষে মন্ড তৈরি করা হয়।
এই মন্ডকে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে চাপ দিলে নিচের দিকে চলে আসে নুডুলস এর মত চিকন লম্বা মুন্ডি। তারপর মেশিনের সাহায্যে তৈরি করা হয় নুডুলস মুন্ডি। সাথে মশলা,শুটকি, ধনেপাতা দিয়ে পরিবেশন করা হয় মুন্ডি।
কেবাংঃ
হেবাং এর মতো কেবাং হলো রান্নার সঠিক পদ্ধতি। বাঁশের ভেতর মাংস ঢুকিয়ে আগুনে ঝলসে বা কয়লায় পুড়িয়ে রান্না করা হয়। আদিবাসীরা এতে সাধারণত শূকরের মাংস ব্যবহার করলে ও অন্য মাংস ব্যবহার করলেও এই পদ্ধতিতে রান্না করা যায়। কেবাং পদ্ধতিতে মাছ বা মাংসের সাথে সকল রকম মসলা একসাথে দিয়ে পোড়ানো হয়।
ইইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
Thank you for reading!