Thank you for reading!
Thank you for reading!
হাতের নাগালে বেশ সস্তায় পাওয়া যায় এই দেশি ফল। ভিটামিন সি ও নানান খনিজ উপাদানে ভরপুর।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা।
তিনি বলেন, “পেয়ারা খুব উপকারী একটি ফল। বেশির ভাগ মানুষ এর স্বাদ ও গন্ধের জন্য পছন্দ করেন।।”
তিনি জানান, পেয়ারা থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন সি যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যারোটিন ও নানা রকম খনিজ। ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ’র কাজ করে। সস্তায় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে চাইলে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে।
পেয়ারার নানা উপকারের কথা?
* পেয়ারা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
* ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
* হজমে সাহায্য করে।
* এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে পেয়ারা।
* ক্যারটিন থাকায় পেয়ারা দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
* পেটের অসুখ ও নানারকম সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়া প্রতিকারে পেয়ারা সাহায্য করে।
* পেয়ারার আঁশ দেহের রক্তচাপ কমায়।
* যারা ওজন কমাতে চান তারা দৈনিক ১,২টি পেয়ারা খেতে পারেন। এটি ক্ষুধা নিবারণ করে ও শরীরকে সুস্থ রাখে ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
Thank you for reading!
ভর্তা ভাতে বাঙ্গালী। একটা ভালো ভর্তা আর সাদা ভাত হলে এক বেলার খাবারে বাঙ্গালীর আর কিছু লাগে বলে মনে হয়না। তাহলে দেরি কেন চলুন দেখে আসি রেসিপি।
উপকরণ?
– ধনে পাতা ১ কাপ,
– পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ,
– রসুন কুচি ১ চা চামচ,
– কাঁচা মরিচ ৫টি,
– সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ,
– লবণ পরিমানমতো।
প্রস্তুত প্রণালী?
ধনেপাতা ধুয়ে একটা প্যানে হালকা করে ভাঁজুন। পানি শুকিয়ে এলে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, হালকা তেল দিয়ে ভেজে নিন। এবার শিলপাটায় মিহি করে বাঁটুন সব একসাথে।
এবার পরিমানমতো লবণ আর তেল দিয়ে মেখে নিন।
এখন এই অসাধারণ স্বাদের ভর্তা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
আমাদের সবার একটা পছন্দের খাবার বেগুন ভাজি।খিচুড়ি কিংবা গরম ভাতের সাথে অনেকে খেতে পছন্দ করেন।বাজারে গেলেই বেগুনের সমাহার দেখা যায়,আর তখনি আমাদের মনে পড়ে মচমচে বেগুন ভাজি খাওয়ার কথা।চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক রেসিপি>
উপকরণ
১. বেগুন ১টি
২. চালের গুঁড়া আধা কাপ
৩. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
৪. মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
৫. জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ
৬. লবণ পরিমাণ মতো
৭. তেল প্রয়োজন মতো
পদ্ধতি
প্রথমে বেগুন গোল কিংবা লম্বা করে কেটে নিন পছন্দের আকারে। এবার কিছুক্ষণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে বেগুন ভাজার পরে কালো হয়ে যাবে না এবং এর ভেতরেও লবণ ঢুকবে। বেগুনের টুকরাগুলো থেকে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বেগুনের টুকরার এপিঠ ওপিঠে মাখিয়ে নিন।
প্যানে তেল দিয়ে ভালোভাবে গরম করুন। এরপর ঢেকে অল্প আঁচে এপিঠ ওপিঠ উল্টে ভেজে নিন। লালচে বা আপনার পছন্দের রং এলে নামিয়ে নিন কিচেন টিস্যুর উপর। ভালোভাবে তেল ঝরিয়ে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে নিন। ব্যাস, হলে গেল মচমচে বেগুন ভাজা।
Thank you for reading!
ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো বা রোদ। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট সরাসরি রোদে থাকলে শরীর পায় পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি। খাবার থেকেও স্বল্প পরিমাণে পেতে পারেন এই ভিটামিন।
* ১০০ গ্রাম মাশরুম থেকে মেলে বেশ খানিকটা ভিটামিন ডি।
* ভিটামিন ডি পেতে স্যামন মাছ রাখুন খাদ্য তালিকায়।
* চিংড়ি থেকেও পাওয়া যায় ভিটামিন ডি।
* কুসুমসহ ডিম থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি।
* চিজ বা পনির রাখুন খাদ্য তালিকায়। বেশ খানিকটা ভিটামিন ডি পাবে দেহ।
* ননীযুক্ত এক কাপ দুধ থেকেও পাওয়া যাবে ভিটামিন ডি।
* দই খেতে পারেন রোজ।
আমরা সবসময় এই খাবার গুলো খেলে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হবে না।
Thank you for reading!
শিশু মানেই সুন্দর। আর নবজাতক মানে আদরের আর যত্নের আরেক নাম। জন্মের পর বাচ্চার জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। মায়ের দুধই উত্তম খাদ্য। দুধ খাওয়ানোর জন্য কোন সময় নির্ধারণের দরকার হয় না। বাচ্চার ক্ষুধা লাগলে মা তা টের পায়। তখনই বাচ্চাকে খাওয়ানো যায়। কিন্তু শিশু যখন বড় হতে থাকে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি তার অন্য খাবারের প্রয়োজন হয়। শিশুর পূর্ণ ৬ মাস হবার পর শিশুর জন্য পরিপূরক খাবার দেওয়া উচিত।
তাজা মৌসুমি ফল ?
গরমে তরলের চাহিদা ও ভিটামিন মিনারেলের দৈনিক চাহিদা পূরণে ফল দারুণ সাহায্য করে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধেও ফল অনেক কার্যকর। তাই এ সময় তরমুজ, বাঙ্গি, আম, লিচু ইত্যাদি ফল শিশুদের জন্য বেশ উপকারী। তবে একেবারে খালি পেটে ফল খাওয়াবেন না।
খাদ্য তালিকা?
শিশুকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে যথা- ১) ভাত ২) ডাল ৩) শাকসবজি ৪) মাছ/মাংস/ডিম। এছাড়া চাল, ডাল, সবজি (যেমন- মিষ্টিকুমড়া, গাজর, পেঁপে, আলু ইত্যাদি) পরিমাণ মতো তেল ও মসলাসহ খিচুড়ি তৈরি করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। খিচুড়ি তৈরির সময় যে পরিমাণ চাল দেয়া হবে তার অর্ধেক পরিমাণ ডাল দিতে হবে। শিশুকে মুরগির কলিজা খেতে দিতে হবে।
৭–৯ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য?
এ বয়সে শিশু কিছুটা পরিপক্ক হয় এবং ফল ও শস্য জাতীয় খাবার গ্রহণে সক্ষম হয়। এ সময় খাবারের ক্যালোরির চাহিদা বাড়ানো দরকার। খাদ্যে পানির পরিমাণ কমিয়ে কিছুটা ঘন থকথকে খাবার দেয়া যায়। এ সময় শিশু নিজের হাতে ধরে খেতে চেষ্টা করে। রঙ এর প্রতি আকর্ষণ বাড়ে, খাবারের প্রতিও আকর্ষণ বাড়ে। এ সময় সহজ পাচ্য খাবারের মধ্যে আলু সেদ্ধ, মৌসুমি সবজি সেদ্ধ, করে চটকিয়ে খাওয়ানো যায়। যেমন ফুলকপি, বরবটি, পেঁপে, এই ধরনের সবজিগুলো সেদ্ধ করলে নরম হয় যা শিশুর হজম হয়। শিশুর খাদ্যে সামান্য তেল যোগ করতে হয়। ফলে চর্বিতে দ্রব্য ভিটামিনগুলো সহজে শোষিত হয়।
৯–১২ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য?
এ সময় প্রায় বড়দের মত খাবার দেওয়া যায়। আগের তুলনায় আরো ঘন খাবার শিশু খেতে পারে। নরম খিচুড়ি, সিদ্ধ ডিম, ডাল, ভাত, দুধ-রুটি, দই, ক্ষীর, পুডিং ইত্যাদি খাবারগুলো শিশুকে খাওয়াতে হবে। এগুলো পুষ্টি পরিপূরকও বটে। স্যুপ শিশুর জন্য তৈরি করে ৪-৫ বার দেওয়া যায়।
Thank you for reading!
যারা ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন, তাদের কাছে শুকনা মরিচের ভর্তার নাম শুনলেই জিহ্বে জল চলে আসে। চলুন খুব সহজ এ রেসিপিটা জেনে নেই।
উপকরণ?
প্রণালী?
প্রথমেই শুকনা মরিচ তেলে মচমচে করে ভেজে নিন। এবারে একটা বাটিতে পেয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, শুকনা মরিচ নিয়ে লবন দিয়ে ভালো করে কচলে ভর্তা করে নিন।এবারে সরিষার তেল দিন, এবং ভালো মতো আরো ১ বার কচলে ভর্তা পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
আনারস আমরা কে না চিনি,কমবেশি সবাই খেয়ে থাকি এটা স্বাদে অতুলনীয় এবং স্বাস্থ্যকর। আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি । তাহলে দেরি কেন চলুন জেনে নেয়া যাক আনারসের পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে।
১। পুষ্টির অভাব দূর করে?
আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এই সকল উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
২। হজমশক্তি বাড়ায়?
আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩। হাড়ের সুস্থতায়?
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমান আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৪। ওজন কমায়?
শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।
৫। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
Thank you for reading!
আজ বড়দিন,এই বড়দিনের উৎসবে কেক তো চাই-ই। জেনে নিন কীভাবে ঝামেলা ছাড়াই প্রেসার কুকারে ঝটপট বানাবেন চকলেট কেক।
উপকরণ?
* ময়দা- ১ কাপ
* কোকো পাউডার- ৪ চা চামচ
* বেকিং পাউডার- দেড় চা চামচ
* মাখন- ৪ চা চামচ
* চিনি- আধা কাপ অথবা স্বাদ মতো
* পানি আধা কাপ
* ডিম- ২টি
* লবণ- স্বাদ মতো
* ভ্যানিলা এসেন্স- ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালি?
ময়দা, বেকিং পাউডার, কোকো পাউডার, মাখন, চিনি, পানি ও ভ্যানিলা এসেন্স একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ডিম ফেটিয়ে মিশ্রণে দিয়ে মিশিয়ে নিন। প্রেসার কুকারের আকার অনুযায়ী একটি বাটিতে মাখন ভালো করে মেখে নিন। এবার কেকের মিশ্রণ বাটিতে ঢেলে রাখুন।
একটি প্রেসার কুকারের উপরের লিড খুলে মাঝারি আঁচে বসিয়ে দিন। ঢাকনা ঢেকে দিলেও প্রেসার কুকারের লিড খুলে রাখবেন। ৪-৫ মিনিট গরম করে বাটিটা খালি প্রেসার কুকারের ভিতরে বসিয়ে দিন।
এরপর প্রেসার কুকারের লিড ছাড়াই কুকার ঢেকে সামান্য আঁচে অন্তত ৩০ মিনিট বসিয়ে রাখুন। পানি দেবেন না একেবারেই। ৩০ মিনিট পর কেক হয়েছে কিনা দেখে নিন। কেক তৈরি হয়ে গেলে প্রেসার কুকারের ভেতরেই রেখে দিন ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কেকের ওপরে চকলেট সস বা চকলেট কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট কেক।
Thank you for reading!
FOOD MAGAZINE BANGLADESH | ALL RIGHTS RESERVED | © 2019