পরিবার নিয়ে পিকনিকে, কেমন খাবার নিয়ে বের হবেন
আমরা সারা বছরই বেড়ানোর জন্যে উপযুক্ত সময় থাকলেও আমরা সাধারণত শীতকালেই পিকনিক করতে বেশি পছন্দ করি। শীতের মধ্যে স্কুল-কলেজ কিছুটা বন্ধ থাকে। তাই কিছুদিন একটা ছুটির আমেজ থাকে। আর পিকনিকের জন্যেও শীতের আবহাওয়া বেশ উপযোগী। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্টাডি ট্যুরের জন্যে এই সময়টাই বেছে নেয়।নোদন ও মানসিক প্রশান্তির জন্যে কর্মস্থল থেকে সবাই মিলে শীতে পিকনিক করা খুব সাধারণ ব্যপার হয়ে গেছে। শীত এলেই পরিবার পরিজন নিয়ে দেশে নাকি বিদেশে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, শুরু হয়ে যায় নানা পরিকল্পনা।
কোথায় ঘুরতে যাওয় যায় তা নিয়ে অনেকেই অনেক রকম পিকনিক পরিকল্পনা করছেন। কোথায় পিকনিক করবেন তার চেয়েও গুরুত্বপূর্র্ণ বিষয় হলো পিকনিক প্রস্তুতি। ঘুরতে যাবার আগে ভালো প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করবে পিকনিক কতটা আনন্দময় হবে। পিকনিক পূর্ববর্তী প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে পিকনিক সময় কি কি বিষয় আগে থেকে জানা দরকার, তা নিয়েও ভাবতে হবে।
পিকনিকের খাদ্য
টুরিস্ট রেস্টুরেন্টগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। যেখানে বেড়াতে গেছেন সেখানে আশপাশে ঘুরে, লোকাল বসবাসকারীরা যেখানে খান সেখানে খাওয়া-দাওয়া সারবেন। খরচটা কমবে উল্লেখযোগ্যভাবে। পিকনিকের খাবার-দাবারের ব্যাপারে প্রথমে যে জিনিসটি মাথায় রাখা উচিত তা হল হাইজেনিক ফ্যাক্টর। আপনি যে খাবারটি খাচ্ছেন তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না তা যাচাই করে নেয়া উচিত।
খাওয়া দাওয়া নিয়ে কিছু জিনিস
সঙ্গে করে সবসময় কিছু শুকনো খাবার সাথে রাখতে পারেন।
স্থানীয় কোন ঐতিহ্যবাহী খাবার থাকলে তা খেয়ে দেখতে পারেন।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোড়কজাত খাবার কেনার বেলায় এক্সপায়ার ডেটের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন এবং সঙ্গে অবশ্যই মেনুফেচার।
পিকনিকে একবারে বেশি করে খাবার না গ্রহণ করাই উচিত। কারণ পুরো ভুঁড়িভোজন শরীরে আলস্য নিয়ে আসে, যা পিকনিকে একান্তই কাম্য নয়।
সকালের নাস্তায় আঁশযুক্ত এবং শর্করাসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। সঙ্গে লো-ফ্যাট দধি, ফলজাতীয় খাবার, সিদ্ধ ডিম, চা-কফি থাকতে পারে।
লাঞ্চে আমরা ভারী খাবার খেতে অভ্যস্ত। তাই খাবার হওয়া উচিত কম মশলাদার, তেল পরিমিত রান্না করা, সহজে পরিপাক হয় এমন। এক্ষেত্রে ভাজা-পোড়া মেন্যু পরিহার করাই শ্রেয়।
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে দেহকে রিচার্জ করতে রাতের খাবার হওয়া উচিত উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং সহজপাচ্য।
পিকনিকের খাবারে ফাস্টফুড আইটেম, বেভারেজ, ফ্লেভারড জুস, চিপস ইত্যাদি পরিহার করুন। এইসবের পরিবর্তে দেশীয় ফল খেতে পারেন।
খাবারের তালিকায় বেশি তেলে ভাজা খাবারের পরিবর্তে স্বাভাবিক খাবার রাখুন।
Thank you for reading!