ঝরঝরে ভাত রান্নার নতুন কৌশল
যাদের রান্না করে খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তারা এই প্রতিবেদনের শিরোনাম পড়ে এরই মধ্যে মুখ বাঁকিয়ে ভাবছেন, এটা আবার কোনো বিষয় হল তবে যারা রান্নায় অনভিজ্ঞ তারা চাল আর পানির পরিমাণ নিয়ে হয়ত হিমশিম খান, সেখানে ঝরঝরা ভাত তো অনেক দূরের বিষয়।এক্ষেত্রে রাইস কুকার বলতে গেলে নবিশ পাচকদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আর যদি এই যন্ত্রটা না থাকে?তাই রান্নাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ভাত রান্নার সহজ একটি কৌশল এখানে দেওয়া হল।
প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেতে হবে, ঝরঝরা ভাত চান নাকি কিছুটা আঠালো। যে কোনো তরকারি, ভাজি, সবজি সালাদের ব্যঞ্জন ইত্যাদির সঙ্গে ঝরঝরা ভাত আদর্শ। আর সুশি বানাতে কিংবা ফলের ডেজার্টের সঙ্গে খাওয়ার ক্ষেত্রে আঠালো ভাত যথার্থ।
ঝরঝরে ভাত চাইলে বেছে নেওয়া উচিত লম্বা এবং চিকন সাদা অথবা বাদামি চাল। মোটা চালের ভাত আঠালো হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ভাত রান্নার প্রচলিত পদ্ধতি হল চাল আর পানি একসঙ্গে পাত্রে নিয়ে ফুটানো। তবে চালগুলোকে সামান্য ভেজে তারপর ফুটন্ত পানিতে ঢাললে ঝরঝরে ভাত পাওয়া আরও সহজ হবে।
পদ্ধতিটি হল
এক কাপ লম্বা বাদামি চাল ধুয়ে একটি পাত্রে নিয়ে বাদামের মতো গন্ধ আসা এবং হাতে ধরলে গরম লাগা পর্যন্ত ভাজতে হবে। শুকনা পাত্রেই ভাজা যাবে, চাইলে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়েও ভাজতে পারেন। এবার ওই পাত্রে যোগ করুন সোয়া এক কাপ ফুটন্ত পানি ও এক চা-চামচ লবণ। তারপর পাত্রটি ঢেকে দিতে হবে।
ফুটে উঠলে চুলার আগুন কমিয়ে পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে প্রায় আধা ঘণ্টা। এ সময় পাত্রের ঢাকনা খোলা কিংবা কোনো কিছু দিয়ে নাড়া যাবে না। এবার চুলা থেকে নামিয়ে আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট ওই পাত্রেই ঢাকা অবস্থায় রেখে দিতে হবে। সবশেষে কাঁটাচামচ দিয়ে ভাত ঝরঝরে করে নিতে হবে।
ওভেনে রান্নার ক্ষেত্রে চাল একটি বেইক করার পাত্রে নিয়ে ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ভেজে নিতে হবে। এবার এতে পানি যোগ করে পাত্রটির মুখ ফয়েল পেপারে মুড়ে পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে।
কি এবার সহজ মনে হচ্ছে তো! তাহলে আর দেরি কেনো, নিজেই তৈরি করুন ঝরঝরে ভাত।
Thank you for reading!