সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন ওজন নিয়ন্ত্রন :
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তুলনামুলকভাবে অনেক কম। এই নেতিবাচক মানসিক অবস্থার জন্য অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ক্রটিপূর্ণ জীবনশৈলী। প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ এখন আরামপ্রিয় ,সেই সঙ্গে রয়েছে মানুষের ক্রটিপূর্ণ খাদ্যভ্যাস। এই অবস্থা থেকে বাচঁতে প্রথমত প্রয়োজন ক্রটিপূর্ণ জীবনশৈলীর ইতিবাচক পরিবর্তন। আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং আরো বেশি প্রাণচঞ্চল থাকুন। স্থুলকায় এবং অতিরিক্ত ওজনের মানুষের সংখ্যা সম্প্রতি জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থুলতার কারণে হতে পারে, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস-সম্পর্কিত অবস্থা, হার্টব্লকেজ, উচ্চ রক্ত চাপ এবং ক্যানসার। আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। সপ্তাহে পাঁচ দিন, প্রতি দিন কম পক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। হাঁটা, মই দিয়ে উঠা, বাইকে চড়া, সাঁতার কাটা, দৌড়ানো বা জগিং ও আরোহনের ন্যায় কিছু ব্যায়াম আপনি প্রতিদিন ১০ মিনিট করতে পারেন। শিশুদের কমপক্ষে প্রতিদিন ৬০ মিনিট দ্রুতগামী ব্যায়াম করা উচিত। প্রোটিন সহ একটি সুষম খাবার সকালের নাস্তায় খান, শস্য দানা, ফল এবং শাকসবজি। ফাস্ট ফুড এবং জাঙ্ক খাবার কম খান। দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করুন, জলখাবারে ফল ও শাক-সবজি খান। কম ফ্যাট এবং হ্রাস করা ফ্যাট যুক্ত খাবার খান; এবং আপনার পুস্টিবিদের সাথে ডায়েট এবং প্রয়োজনীয় ব্যায়াম পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলুন। নিয়মিত ব্যায়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিয়মিত ব্যায়াম করা হলে মানবদেহে অতিরিক্ত ফ্যাট চর্বি ষ্টোর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। অতিরিক্ত ওজন যাদের আছে তাদের যদি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস থাকে তাহলে ভেবেচিন্তে যে সমস্ত ব্যায়াম তাদের ক্ষতি করবে না সেটি গ্রহণ করা দরকার। ব্যায়াম সম্ভব না হলে নিয়মিত প্রত্যহ ১ কিলোমিটার জোড়ে হাটার অভ্যাস করা প্রয়োজন।
পরামর্শ :
১. অতিরিক্ত ওজন এবং ওবেসিটি সমস্যা থাকলে যথাসম্ভব তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার এরিয়ে চলা উচিৎ।
২. বাহিরের ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার (যে সমস্ত খাবার তেল দিয়ে ভাজা হয়) এই সমস্ত খাবার ও সেই সঙ্গে কোল্ড ড্রিংক জাতীয় পানীয় এরিয়ে চলতে পারলে ভাল।
৩. খাবারের সঙ্গে সর্বদা কুসুম গরম পানি অতিরিক্ত ওজন যাদের আছে এবং হৃদরোগীদের জন্য উপকারী । সুতরাং খাবারের সঙ্গে নিয়মিত কুসুম গরম পানি গ্রহন করা উত্তম।
৪. সকালে ও রাত্রে সালাদ কিংবা কচি শসা অতিরিক্ত ওজন ও ওবেসিটি, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী প্রমানিত। হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ এবং অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রনে সালাত বা শসার বিশেষ ভূমিকা অনস্বীকার্য। কারণ কারণ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত হয়েছে যে, দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট ও কলেষ্টরেল কমাতে শসা বিশেষ ভুমিকা পালন করে।
৫. দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট, বেড কলেষ্টরেল ও অতিরিক্ত ওজন কমাতে টক দই একটি আদর্শ খাবার। নিয়মিত প্রভাতে ও রাতে টক দই খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া হৃদরোগ এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে টক দইয়ের ভূমিকা রয়েছে।
৬. সালমন ফিস এর তেল দ্বারা তৈরি ওমেগা-৩ অতিরিক্ত ওজন, ওবেসিটি, উচ্চরক্তচাপ এবং হৃদরোগীদের জন্য উপকারী । বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী ওমোগ-৩ ক্যাপসুল আকারে বের করেছে। এছাড়া তিশিতেও ওমেগা-৩ পর্যাপ্ত পরিমান বিদ্যমান আছে। সামগ্রিকভাবে ওমেগা-৩ হৃদরোগ, অতিরিক্ত ওজন, ওবেসিটি, উচ্চরক্তচাপ রোগী সহ সকল মানুষের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি ফ্যাটি এসিড।
৭. এককাপ কুসুম গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ পরিমান আদার রস প্রত্যহ সকাল বিকাল সেবন করলে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র- Easy Diet BD
Thank you for reading!
FOOD MAGAZINE BANGLADESH | ALL RIGHTS RESERVED | © 2019