Directions
শীতকালিন সবজি হিসাবে ফুলকপির কোন জবাব নাই। ফুল কপি যদি চাষ করা যায় বাড়ির ছাদে তাহলে তো কথাই নাই। চলুন দেখে নেই টবে ফুলকপি চাষের পদ্ধতিঃ
১। ফুলকপির জন্য সঠিক পাএ নেয়া খুব প্রয়োজন। ছোট , মাঝারি বা ড্রামের অধেক নেয়া যেতে পারে।
২। আমাদের দেশে সাধারণত সংকর জাতের ফুলকপি চাষ হয়। এছাড়াও রয়েছে মাঘী, অগ্রহায়ণী, বারি ফুলকপি
৩। ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করে জমিতে লাগানো হয়। বীজতলার আকার ১ মিটার পাশে ও লম্বায় ৩ মিটার হওয়া উচিত। সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে বীজতলা তৈরি করতে হয়। বীজতলায় চারা রোপণের আগে ৭/৮ দিন পূর্বে প্রতি বীজতলায় ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
৪। ফুলকপি চাষ করার জন্য উপযুক্ত সময় হল আগস্ট মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস। বীজ গজানোর ১০-১২ দিন পর গজানো চারা সরিয়ে নিতে হয় । চারায় ৫-৬টি পাতা হলেই তা রোপণের উপযুক্ত হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব দেয়া লাগে ৬০ সেন্টিমিটার বা ২ ফুট এবং প্রতি সারিতে চারা থেকে চারার দূরত্ব দিতে হবে ৪৫ সেন্টিমিটার বা দেড় ফুট।
৫।ঠাণ্ডা ও আর্দ্র জলবায়ুতে ফুলকপির ভাল ফলন পাওয়া যায়। বীজ থেকে চারা বের হলে সেখান থেকে সুস্থ সবল চারা তুলে নিয়ে উপযুক্ত পাত্রে লাগাতে হবে। এবং প্রতিটি পাত্রের একটি করে চারা লাগাতে হবে। এবং পাত্র গুলো একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে স্থাপন করতে হবে।
৬। ফুলকপি চাষে বাড়িতে তৈরি জৈব সার দেয়া যেতে পারে, যেমনঃতরকারীর খোসা, ময়লা আবর্জনা, ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি অজৈব সার হিসেবে পাত্রের মাটিতে গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি দেয়া যেতে পারে।
৭। ফুলকপির সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হল মাথা খেকো লেদা পোকা। অন্যান্য পোকার মধ্যে ক্রসোডলমিয়া লেদা পোকা, কালো ও হলুদ বিছা পোকা, ঘোড়া পোকা ইত্যাদি মাঝে মাঝে ক্ষতি করে থাকে। এক্ষেত্রে কিছুদিন পর পর গাছে কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।
৮। ফুলকপির রঙ সাদা ও আঁটো সাঁটো থাকতেই ফুলকপি তুলে ফেলা উচিত। মাথা ঢিলা ও রঙ হলদে ভাব ধরলে দাম কমে যায়, খেতে ও ভালো লাগে না।
Thank you for reading!