পেয়ারার পুষ্টিগুণ?
হাতের নাগালে বেশ সস্তায় পাওয়া যায় এই দেশি ফল। ভিটামিন সি ও নানান খনিজ উপাদানে ভরপুর।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা।
তিনি বলেন, “পেয়ারা খুব উপকারী একটি ফল। বেশির ভাগ মানুষ এর স্বাদ ও গন্ধের জন্য পছন্দ করেন।।”
তিনি জানান, পেয়ারা থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন সি যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যারোটিন ও নানা রকম খনিজ। ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ’র কাজ করে। সস্তায় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে চাইলে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে।
পেয়ারার নানা উপকারের কথা?
* পেয়ারা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
* ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
* হজমে সাহায্য করে।
* এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে পেয়ারা।
* ক্যারটিন থাকায় পেয়ারা দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
* পেটের অসুখ ও নানারকম সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়া প্রতিকারে পেয়ারা সাহায্য করে।
* পেয়ারার আঁশ দেহের রক্তচাপ কমায়।
* যারা ওজন কমাতে চান তারা দৈনিক ১,২টি পেয়ারা খেতে পারেন। এটি ক্ষুধা নিবারণ করে ও শরীরকে সুস্থ রাখে ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
Thank you for reading!
ধনিয়া পাতা ভর্তা রেসিপি?
ভর্তা ভাতে বাঙ্গালী। একটা ভালো ভর্তা আর সাদা ভাত হলে এক বেলার খাবারে বাঙ্গালীর আর কিছু লাগে বলে মনে হয়না। তাহলে দেরি কেন চলুন দেখে আসি রেসিপি।
উপকরণ?
– ধনে পাতা ১ কাপ,
– পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ,
– রসুন কুচি ১ চা চামচ,
– কাঁচা মরিচ ৫টি,
– সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ,
– লবণ পরিমানমতো।
প্রস্তুত প্রণালী?
ধনেপাতা ধুয়ে একটা প্যানে হালকা করে ভাঁজুন। পানি শুকিয়ে এলে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, হালকা তেল দিয়ে ভেজে নিন। এবার শিলপাটায় মিহি করে বাঁটুন সব একসাথে।
এবার পরিমানমতো লবণ আর তেল দিয়ে মেখে নিন।
এখন এই অসাধারণ স্বাদের ভর্তা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
মজাদার মচমচে বেগুন ভাজার রেসিপি
আমাদের সবার একটা পছন্দের খাবার বেগুন ভাজি।খিচুড়ি কিংবা গরম ভাতের সাথে অনেকে খেতে পছন্দ করেন।বাজারে গেলেই বেগুনের সমাহার দেখা যায়,আর তখনি আমাদের মনে পড়ে মচমচে বেগুন ভাজি খাওয়ার কথা।চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক রেসিপি>
উপকরণ
১. বেগুন ১টি
২. চালের গুঁড়া আধা কাপ
৩. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
৪. মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
৫. জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ
৬. লবণ পরিমাণ মতো
৭. তেল প্রয়োজন মতো
পদ্ধতি
প্রথমে বেগুন গোল কিংবা লম্বা করে কেটে নিন পছন্দের আকারে। এবার কিছুক্ষণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে বেগুন ভাজার পরে কালো হয়ে যাবে না এবং এর ভেতরেও লবণ ঢুকবে। বেগুনের টুকরাগুলো থেকে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বেগুনের টুকরার এপিঠ ওপিঠে মাখিয়ে নিন।
প্যানে তেল দিয়ে ভালোভাবে গরম করুন। এরপর ঢেকে অল্প আঁচে এপিঠ ওপিঠ উল্টে ভেজে নিন। লালচে বা আপনার পছন্দের রং এলে নামিয়ে নিন কিচেন টিস্যুর উপর। ভালোভাবে তেল ঝরিয়ে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে নিন। ব্যাস, হলে গেল মচমচে বেগুন ভাজা।
Thank you for reading!
ভিটামিন ডি আছে যেসব খাবারে?
ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো বা রোদ। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট সরাসরি রোদে থাকলে শরীর পায় পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি। খাবার থেকেও স্বল্প পরিমাণে পেতে পারেন এই ভিটামিন।
* ১০০ গ্রাম মাশরুম থেকে মেলে বেশ খানিকটা ভিটামিন ডি।
* ভিটামিন ডি পেতে স্যামন মাছ রাখুন খাদ্য তালিকায়।
* চিংড়ি থেকেও পাওয়া যায় ভিটামিন ডি।
* কুসুমসহ ডিম থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি।
* চিজ বা পনির রাখুন খাদ্য তালিকায়। বেশ খানিকটা ভিটামিন ডি পাবে দেহ।
* ননীযুক্ত এক কাপ দুধ থেকেও পাওয়া যাবে ভিটামিন ডি।
* দই খেতে পারেন রোজ।
আমরা সবসময় এই খাবার গুলো খেলে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হবে না।
Thank you for reading!
শিশুর পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কি কি?
শিশু মানেই সুন্দর। আর নবজাতক মানে আদরের আর যত্নের আরেক নাম। জন্মের পর বাচ্চার জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। মায়ের দুধই উত্তম খাদ্য। দুধ খাওয়ানোর জন্য কোন সময় নির্ধারণের দরকার হয় না। বাচ্চার ক্ষুধা লাগলে মা তা টের পায়। তখনই বাচ্চাকে খাওয়ানো যায়। কিন্তু শিশু যখন বড় হতে থাকে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি তার অন্য খাবারের প্রয়োজন হয়। শিশুর পূর্ণ ৬ মাস হবার পর শিশুর জন্য পরিপূরক খাবার দেওয়া উচিত।
তাজা মৌসুমি ফল ?
গরমে তরলের চাহিদা ও ভিটামিন মিনারেলের দৈনিক চাহিদা পূরণে ফল দারুণ সাহায্য করে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধেও ফল অনেক কার্যকর। তাই এ সময় তরমুজ, বাঙ্গি, আম, লিচু ইত্যাদি ফল শিশুদের জন্য বেশ উপকারী। তবে একেবারে খালি পেটে ফল খাওয়াবেন না।
খাদ্য তালিকা?
শিশুকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে যথা- ১) ভাত ২) ডাল ৩) শাকসবজি ৪) মাছ/মাংস/ডিম। এছাড়া চাল, ডাল, সবজি (যেমন- মিষ্টিকুমড়া, গাজর, পেঁপে, আলু ইত্যাদি) পরিমাণ মতো তেল ও মসলাসহ খিচুড়ি তৈরি করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। খিচুড়ি তৈরির সময় যে পরিমাণ চাল দেয়া হবে তার অর্ধেক পরিমাণ ডাল দিতে হবে। শিশুকে মুরগির কলিজা খেতে দিতে হবে।
৭–৯ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য?
এ বয়সে শিশু কিছুটা পরিপক্ক হয় এবং ফল ও শস্য জাতীয় খাবার গ্রহণে সক্ষম হয়। এ সময় খাবারের ক্যালোরির চাহিদা বাড়ানো দরকার। খাদ্যে পানির পরিমাণ কমিয়ে কিছুটা ঘন থকথকে খাবার দেয়া যায়। এ সময় শিশু নিজের হাতে ধরে খেতে চেষ্টা করে। রঙ এর প্রতি আকর্ষণ বাড়ে, খাবারের প্রতিও আকর্ষণ বাড়ে। এ সময় সহজ পাচ্য খাবারের মধ্যে আলু সেদ্ধ, মৌসুমি সবজি সেদ্ধ, করে চটকিয়ে খাওয়ানো যায়। যেমন ফুলকপি, বরবটি, পেঁপে, এই ধরনের সবজিগুলো সেদ্ধ করলে নরম হয় যা শিশুর হজম হয়। শিশুর খাদ্যে সামান্য তেল যোগ করতে হয়। ফলে চর্বিতে দ্রব্য ভিটামিনগুলো সহজে শোষিত হয়।
৯–১২ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য?
এ সময় প্রায় বড়দের মত খাবার দেওয়া যায়। আগের তুলনায় আরো ঘন খাবার শিশু খেতে পারে। নরম খিচুড়ি, সিদ্ধ ডিম, ডাল, ভাত, দুধ-রুটি, দই, ক্ষীর, পুডিং ইত্যাদি খাবারগুলো শিশুকে খাওয়াতে হবে। এগুলো পুষ্টি পরিপূরকও বটে। স্যুপ শিশুর জন্য তৈরি করে ৪-৫ বার দেওয়া যায়।
Thank you for reading!
শুকনা মরিচের ভর্তা রেসিপি?
যারা ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন, তাদের কাছে শুকনা মরিচের ভর্তার নাম শুনলেই জিহ্বে জল চলে আসে। চলুন খুব সহজ এ রেসিপিটা জেনে নেই।
উপকরণ?
- শুকনা মরিচ (৮-১০ টা)
- পেয়াজ (বড় সাইজের ১ টা)
- ধনে পাতা (২ টেবিল চামচ)
- সরিষার তেল (১ টেবিল চামচ)
- লবন (স্বাদমতো)
প্রণালী?
প্রথমেই শুকনা মরিচ তেলে মচমচে করে ভেজে নিন। এবারে একটা বাটিতে পেয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, শুকনা মরিচ নিয়ে লবন দিয়ে ভালো করে কচলে ভর্তা করে নিন।এবারে সরিষার তেল দিন, এবং ভালো মতো আরো ১ বার কচলে ভর্তা পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
জেনে নিন আনারসের ৫ উপকারিতা কি?
আনারস আমরা কে না চিনি,কমবেশি সবাই খেয়ে থাকি এটা স্বাদে অতুলনীয় এবং স্বাস্থ্যকর। আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরি । তাহলে দেরি কেন চলুন জেনে নেয়া যাক আনারসের পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে।
১। পুষ্টির অভাব দূর করে?
আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এই সকল উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
২। হজমশক্তি বাড়ায়?
আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩। হাড়ের সুস্থতায়?
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমান আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৪। ওজন কমায়?
শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।
৫। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
Thank you for reading!
প্রেসার কুকারে চকলেট কেক বানাবেন যেভাবে
আজ বড়দিন,এই বড়দিনের উৎসবে কেক তো চাই-ই। জেনে নিন কীভাবে ঝামেলা ছাড়াই প্রেসার কুকারে ঝটপট বানাবেন চকলেট কেক।
উপকরণ?
* ময়দা- ১ কাপ
* কোকো পাউডার- ৪ চা চামচ
* বেকিং পাউডার- দেড় চা চামচ
* মাখন- ৪ চা চামচ
* চিনি- আধা কাপ অথবা স্বাদ মতো
* পানি আধা কাপ
* ডিম- ২টি
* লবণ- স্বাদ মতো
* ভ্যানিলা এসেন্স- ১ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালি?
ময়দা, বেকিং পাউডার, কোকো পাউডার, মাখন, চিনি, পানি ও ভ্যানিলা এসেন্স একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ডিম ফেটিয়ে মিশ্রণে দিয়ে মিশিয়ে নিন। প্রেসার কুকারের আকার অনুযায়ী একটি বাটিতে মাখন ভালো করে মেখে নিন। এবার কেকের মিশ্রণ বাটিতে ঢেলে রাখুন।
একটি প্রেসার কুকারের উপরের লিড খুলে মাঝারি আঁচে বসিয়ে দিন। ঢাকনা ঢেকে দিলেও প্রেসার কুকারের লিড খুলে রাখবেন। ৪-৫ মিনিট গরম করে বাটিটা খালি প্রেসার কুকারের ভিতরে বসিয়ে দিন।
এরপর প্রেসার কুকারের লিড ছাড়াই কুকার ঢেকে সামান্য আঁচে অন্তত ৩০ মিনিট বসিয়ে রাখুন। পানি দেবেন না একেবারেই। ৩০ মিনিট পর কেক হয়েছে কিনা দেখে নিন। কেক তৈরি হয়ে গেলে প্রেসার কুকারের ভেতরেই রেখে দিন ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কেকের ওপরে চকলেট সস বা চকলেট কুচি ছিটিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চকলেট কেক।
Thank you for reading!
পেঁয়াজ পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
পেঁয়াজের পাতা খুবই সুস্বাদু এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার ।পেঁয়াজের মতোই এর পাতার রয়েছে পুষ্টিগুণ ও বহমূখী স্বাস্থ্য উপকারিতা।এই নরম কচি পেঁয়াজে ক্যালরি কম থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পেঁয়াজ পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে?
পুষ্টিগুণ?
পেঁয়াজের পাতা প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে আর্দ্রতা ৭৮.৯%, আমিষ ১.৮%, চর্বি ০.১%, খনিজ পদার্থ ০.৭%, শর্করা ১৭.২%, ক্যালসিয়াম ০.০৫%, ফসফরাস ০.০৭%, লোহা ২.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ৩০ আই ইউ, ভিটামিন-বি১ ০.২৩ মি.গ্রাম, ভিটামিন-সি ১১ মি. গ্রাম ও এনার্জি ৩৪ কিলোক্যালরি আছে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
* পেঁয়াজ পাতায় উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে থাকে যা হাড়ের স্বাভাবিক কার্যাবলির জন্য প্রয়োজনীয়।
* পেঁয়াজ পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলের কাজে বাধা প্রদান করে কোষ কলার এবং ডিএনএ এর ক্ষতি রোধ করতে পারে।
* পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চ মাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
* লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েড এর উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ পাতা চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন এ যা স্প্রিং অনিওন এর সবুজ অংশে থাকে।
* অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠান্ডা, ফ্লু ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
* পেঁয়াজ পাতার খনিজ উপাদান সালফার ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।
* সবুজ পেঁয়াজের সালফার যাতে অ্যালাইল সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যানসার বিরোধী উপাদান ফ্লেভনয়েড থাকে।
* সবুজ পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারী ভূমিকা রাখে। অধিকন্তু রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও পেঁয়াজ পাতার উচ্চ মাত্রার ফাইবার হজম সহায়ক।
Thank you for reading!
গোলাপ ফুল কি খাওয়া যায়?
পৃথিবীতে প্রায় ১৫০ প্রজাতির গোলাপ ফুল রয়েছে। গোলাপ কে বলা হয় ভালবাসা ও সৌন্দর্যের প্রতীক। গোলাপ ফুল খেলেও যে উপকার পাওয়া যায় তা কি জানতেন?
মনের পাশাপাশি শরীরের জন্যও গোলাপ উপকারী?
পিরিয়ডের সমস্যায় গোলাপের পাপড়ি উপকারী। গোলাপের পাপড়িতে থাকে প্রায় ৯৫% পানি। ফলে এতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে খুবই কম। সেইসঙ্গে এই ফুলের পাপড়িতে থাকে ভিটামিন সি। ওজন নিয়ন্ত্রণ গোলাপ ভালো। প্রতিদিন একটি তাজা গোলাপ ছিঁড়ে এনে খেয়ে নিন। এতেই কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। গোলাপ থেকে সুগন্ধি যুক্ত গোলাপজল প্রস্তুত করা হয় যা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত থেকে শুরু করে ঔষুধি কাজেও ব্যবহার হয়ে থাকে। গোলাপ ফুল খেলে তা আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ করে তুলবে। আবার আপনি যদি স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অনুভব করেন তবে গোলাপের গন্ধ আপনাকে অনেকটাই হালকা করবে।
Thank you for reading!
রেড ভেলভেট কেক
রেড ভেলভেট কেক আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি ।আজ আমরা দেখবো কিভাবে রেড ভেলভেট কেক বানানো হয়।
উপাদানগুলি?
রেড ভেলভেট কেকের স্পঞ্জ বানানোর জন্য লাগবে?
* ১ কাপ ময়দা
* ১ চা চামচ বেকিং পাউডার
* 1/2 চা চামচ বেকিং সোডা
* 3 টে ডিম
* 1 চা চামচ ভিনিগার
* 1 কাপ গুঁড়ো চিনি
* 1 চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
* 2 চা চামচ কোকো পাউডার
* 1/4 কাপ সাদা তেল
* 1-2টেবিল চামচ দুধ
* 4-5 ড্রপ রেড ফুড কালার/ বীটের রস
ফ্রস্টিং এর জন্য লাগবে?
* 1 কাপ হুইপড ক্রীম
* 1/2 কাপ ক্রীম চিজ
* 2-3টেবিল চামচ গুঁড়ো চিনি
* 1 চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
চিনির সিরার জন্য লাগবে?
* 3-4টেবিল চামচ চিনি
* 1/2 কাপ গরম জল (ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে)
হার্ট সেপ চকলেট বানানোর জন্য লাগবে?
* 1 কাপ হোয়াইট চকলেট গ্রেট করা
* 4-5 ফোঁটা রেড ফুড কালার
* 1 টা চৌকো বাটার পেপার
কেক সাজানোর জন্য?
* 1/2 কাপ হোয়াইট চকলেট চকলেট গ্রেট করা
* 1/2 কাপ কেকের গুঁড়ো।
Thank you for reading!
ঝরঝরে ভাত রান্নার নতুন কৌশল
যাদের রান্না করে খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তারা এই প্রতিবেদনের শিরোনাম পড়ে এরই মধ্যে মুখ বাঁকিয়ে ভাবছেন, এটা আবার কোনো বিষয় হল তবে যারা রান্নায় অনভিজ্ঞ তারা চাল আর পানির পরিমাণ নিয়ে হয়ত হিমশিম খান, সেখানে ঝরঝরা ভাত তো অনেক দূরের বিষয়।এক্ষেত্রে রাইস কুকার বলতে গেলে নবিশ পাচকদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আর যদি এই যন্ত্রটা না থাকে?তাই রান্নাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ভাত রান্নার সহজ একটি কৌশল এখানে দেওয়া হল।
প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেতে হবে, ঝরঝরা ভাত চান নাকি কিছুটা আঠালো। যে কোনো তরকারি, ভাজি, সবজি সালাদের ব্যঞ্জন ইত্যাদির সঙ্গে ঝরঝরা ভাত আদর্শ। আর সুশি বানাতে কিংবা ফলের ডেজার্টের সঙ্গে খাওয়ার ক্ষেত্রে আঠালো ভাত যথার্থ।
ঝরঝরে ভাত চাইলে বেছে নেওয়া উচিত লম্বা এবং চিকন সাদা অথবা বাদামি চাল। মোটা চালের ভাত আঠালো হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ভাত রান্নার প্রচলিত পদ্ধতি হল চাল আর পানি একসঙ্গে পাত্রে নিয়ে ফুটানো। তবে চালগুলোকে সামান্য ভেজে তারপর ফুটন্ত পানিতে ঢাললে ঝরঝরে ভাত পাওয়া আরও সহজ হবে।
পদ্ধতিটি হল
এক কাপ লম্বা বাদামি চাল ধুয়ে একটি পাত্রে নিয়ে বাদামের মতো গন্ধ আসা এবং হাতে ধরলে গরম লাগা পর্যন্ত ভাজতে হবে। শুকনা পাত্রেই ভাজা যাবে, চাইলে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়েও ভাজতে পারেন। এবার ওই পাত্রে যোগ করুন সোয়া এক কাপ ফুটন্ত পানি ও এক চা-চামচ লবণ। তারপর পাত্রটি ঢেকে দিতে হবে।
ফুটে উঠলে চুলার আগুন কমিয়ে পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে প্রায় আধা ঘণ্টা। এ সময় পাত্রের ঢাকনা খোলা কিংবা কোনো কিছু দিয়ে নাড়া যাবে না। এবার চুলা থেকে নামিয়ে আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট ওই পাত্রেই ঢাকা অবস্থায় রেখে দিতে হবে। সবশেষে কাঁটাচামচ দিয়ে ভাত ঝরঝরে করে নিতে হবে।
ওভেনে রান্নার ক্ষেত্রে চাল একটি বেইক করার পাত্রে নিয়ে ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ভেজে নিতে হবে। এবার এতে পানি যোগ করে পাত্রটির মুখ ফয়েল পেপারে মুড়ে পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে।
কি এবার সহজ মনে হচ্ছে তো! তাহলে আর দেরি কেনো, নিজেই তৈরি করুন ঝরঝরে ভাত।
Thank you for reading!