আমরা অনেক অনেক অফিসে দলবেঁধে দুপুরের খাবার খাই সহকর্মীরা। হতে পারে সেটা বাসার বা বাইরের খাবার। আবার কেউ কেউ একা নিজের ডেস্কে বসেই খাবার খান। যাঁরা বাইরে থেকে খাবার কিনে খান, চিকিৎসকেরা মনে করেন তাঁদের শরীর নানাভাবে অসুস্থ থাকে। একান্তই যদি বাসা থেকে খাবার আনা সম্ভব না হয়, তখন মাঝে মাঝে বাইরে খাওয়া যেতে পারে। এখন অফিসে কী খাবার খাওয়া যায় কিংবা বাসা থেকে কেমন ধরনের খাবার আনা উচিত—এটা নিয়ে দ্বিধা দেখা দেয়। আবার রোজ রোজ ভাত বা ভারী খাবার খেলে ওজন মেশিনের কাঁটাও বাড়তে থাকে।
যে খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়
যে খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় এবং হজম করতে সুবিধা হয়, এমন খাবার খাওয়া উচিত। দুপুরে ভারী কোনো খাবার বা তেল-মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে কাজ করতে অনেক সময় অসুবিধা হয়। কিন্তু হালকা ধরনের খাবার খেলে কাজ করতে পারা যায়। যাঁরা ভাত খেতে চান তাঁদের অল্প পরিমাণে ভাত, সবজি এবং ডাল খাওয়া উচিত। তবে কেউ যদি ভাতের বদলে রুটি-সবজি ও ডাল খেতে পারেন, তাহলে খাবারটা হজম হতে বেশি সুবিধা হয়। একই সঙ্গে শরীর প্রোটিন পায় এবং হালকা লাগে।তা ছাড়া ঝামেলা এড়াতে স্যান্ডউইচ, সিরিয়াল এবং ফল খাওয়া যেতে পারে। অনেকে দুপুরের খাবার এড়ানোর জন্য ফলমূল-বাদাম খান। বাসা থেকে ফলমূল যেমন: গাজর, শসা ইত্যাদি নিয়ে আসা যায়। আমেরিকার একজন বিখ্যাত পুষ্টিবিদ জনি ব্রডেন বলেন, অফিসে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা শরীরে প্রোটিন জোগাবে, যা ২০০ ক্যালরির সমান। তা ছাড়া চকলেটও খাওয়া যেতে পারে। চকলেট শরীরে শক্তি জোগায়।
পানি পান করা
অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ লিসা দি ফাজিও বলেন, অফিসে এমন খাবার খাওয়া উচিত নয় যা খাওয়ার ফলে ঘুমঘুম ভাব হয় এবং কাজের প্রতি অনীহা হয়। অফিসে থাকার সময় সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত তা হলো দিনে সবারই অন্তত চার গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে। অনেকেই দেখা যায় ক্লান্ত হওয়ার ফলে ঘন ঘন দুধ চা খাচ্ছেন, কিন্তু দুধ চায়ের বদলে গ্রিন টি পান করা বেশি কার্যকর। কাজের ফাঁকে শুকনা ফল—বাদাম, আখরোট, কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে। এতে ফাস্টফুডও খাওয়া হলো না, ওজন নিয়েও চিন্তা থাকবে না।
Thank you for reading!
FOOD MAGAZINE BANGLADESH | ALL RIGHTS RESERVED | © 2019