শীতে আমরা যখন একদমই জমে জায়,তখন চা আর কেক ছাড়া কি জমে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমাদের সবার খাওয়া উচিত এক কাঁপ চা এক টুকরো কেক।এই প্রচণ্ড ঠাণ্ডাই আমরা সকাল ও বিকালের নাস্তায় খেতে পারি চায়ের সাথে এক টুকরো কেক। তাহলে আর দেরি কেন চলুন দেখে নেই কিভাবে বানাতে হয়।
দারচিনি ও আমন্ড টি কেক
উপকরণ
* 465 গ্রাম মধু
* 225 গ্রাম দুধ
* 375 গ্রাম ময়দা
* 10 গ্রাম বেকিং সোডা
* 9 গ্রাম বেকিং পাউডার
* 38 গ্রাম আমন্ড পাউডার
* 40 গ্রাম আমন্ড
* 3 গ্রাম নুন
* 2টি ডিম
* 13 গ্রাম মশলার গুঁড়ো
* 40 গ্রাম দারচিনির গুঁড়ো
পদ্ধতি
বড়ো একটি শুকনো পাত্রে ময়দা আর বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা চেলে মিশিয়ে নিন।
সরিয়ে রাখুন।
মধু আর দুধটা মিশিয়ে নিন অন্য পাত্রে।
খুব ভালো করে মিশে গেলে একটা একটা করে ডিম ভেঙে এই মিশ্রণে মেশান।
প্রতিটি যোগ করার পর খুব ভালো করে নেড়ে দেবেন।
হ্যান্ড ব্লেন্ডার দিয়ে ফেটাতে থাকুন, মিশ্রণটা ক্রমশ হালকা হয়ে ফুলে উঠবে।
এই মিশ্রণে ধীরে ধীরে ময়দা যোগ করুন। প্রতিবার যোগ করার পর ভালো করে ময়দা ফোল্ড করে দেবেন।
মিশ্রণে যেন কোনও দলা না থাকে সেটা দেখতে হবে।
একেবারে মসৃণ হয়ে গেলে আমন্ড পাউডার, মশলার গুঁড়ো আর দারচিনি গুঁড়োটা ভালো করে মিশিয়ে নিন।
বাদামটাও মেশান, মিশ্রণটা এই অবস্থায় রেখে দিন 10 মিনিটের জন্য।
আভেন 180 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে গরম করে নিন 15 মিনিটের জন্য।
বেকিং ট্রে রেডি করুন বাটার পেপার আর মাখন লাগিয়ে।
এর মধ্যে ব্যাটার ঢেলে দিন।25-30 মিনিটের মধ্যে কেক তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা।
কাঁটা ঢুকিয়ে বের করে দেখুন শুকনো আসছে কিনা, না হলে আরও পাঁচ মিনিট করে বেক করে দেখতে হবে রেডি হওয়া পর্যন্ত।
নামিয়ে ঠান্ডা করে নিয়ে তবেই পরিবেশন করুন মজাদার চায়ের সাথে কেক।
Thank you for reading!
আমাদের প্রতিদিন রুটি ছাড়া কি সকালের নাস্তা হয়। প্রতিদিন সকালে ঘরে ঘরেই তো রুটি তৈরি ।তার সঙ্গে থাকে নানা রকম সবজি, ডিম ভাজি কিংবা ভুনা মাংস। আমাদের এক এক বাসায় আবার রুটির আকৃতিও হয় এক এক রকম। কোনো বাসায় বিশাল বড় রুটি বানানো হয় আবার কোনো বাসায় ছোট ছোট অনেক গুলো।
আজকাল পাউরুটি, বাটার নান, লুচি, পরোটার ভিড়ে রুটি যেন অনেকটাই অবহেলিত। কেননা রুটি মেলে না হোটেলে বা দোকানে, কষ্ট করে বানিয়ে নিতে হয় নিজেকেই। কিন্তু জানেন কি, এই হাতে গড়া রুটির আছে অত্যন্ত চমৎকার সব স্বাস্থ্য
উপকারিতা:
জেনে নিন রুটি খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো:
লাল আটার রুটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। লাল আটায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান থাকে। লাল আটার রুটি পছন্দ না করলে সাদা আটার রুটিই খেতে পারেন। কারণ সাদা আটাতেও প্রচুর পুষ্টিগুণ আছে যা শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং রক্ত চলাচল বাড়িয়ে শরীরকে সচল রাখে।
সহজে হজম হয়:
আমরা অনেকেই আছি যারা কিছু খেলেই হজম সমস্যায় ভোগেন। যারা সহজে কিছু হজম করতে পারেন না তাঁরাও সকালের নাস্তায় রুটি বেছে নিতে পারেন। কারণ রুটি আঁশযুক্ত গম দিয়ে তৈরি হয় এবং এটা সহজেই হজম করা যায়।
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কমায়
রুটির দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। দ্রবণীয় ফাইবার পায়খানাকে নরম করে এবং সহজেই বের হতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।
কম ক্যালোরি
রুটি ভাজতে কোনো তেল না ঘি লাগে না। শুধু মাত্র তাওয়ায় সেঁকেই রুটি তৈরি করে ফেলা হয়। ফলে রুটিতে অতিরিক্ত কোনো ক্যালোরি যুক্ত হয় না। যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা পরোটার বদলে সকালের নাস্তায় নিয়মিত রুটি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সঙ্গে মাংসের বদলে বেছে নিন সবজি ভাজি। তাহলে ওজন কমে যাবে সহজেই।
পুষ্টিকর
রুটি একটি পুষ্টিকর খাবার। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় রুটি রাখলে সারাদিন শরীরে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম রুটিতে আছে ১৭০ ক্যালোরি, ১.৫৫ গ্রাম ফ্যাট, ৩২.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৫.৮৪ গ্রাম প্রোটিন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
রুটিতে উপস্থিত ভিটামিন ই, ফাইবার ও সেলেনিয়াম শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রুটি রাখুন।
Thank you for reading!
পাউরুটি খেতে আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি,ছোট বড় সবাই খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কি এক টুকরা পাউরুটি দিয়ে আমরা বানাতে পারি মজাদার নাস্তা। আমরা সকাল ও বিকালের নাস্তায় পাউরুটি দিয়ে সহজেই বানিয়ে নিতে পারি মজাদার নাস্ত ,আসুন তাহলে জেনে নেই পাউরুটির টুকরো থেকে মজাদার নাস্তা কিভাবে বানাই।
ফ্রেঞ্চ টোস্ট
বিকেলের নাস্তায় পাউরুটি দিয়ে সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন ফ্রেঞ্চ টোস্ট। পাউরুটির ধারগুলো ফেলে দিন। এবার অন্য একটি পাত্রে ডিম ভেঙে তার মধ্যে পেঁয়াজ, লঙ্কা, রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে ফাটিয়ে নিন। পাউরুটিগুলো ডিমের মিশ্রণে চুবিয়ে নিয়ে ভেজে নিলেই তৈরি ফ্রেঞ্চ টোস্ট।
পাউরুটির চকোলেট বল
খাবারের নাম শুনে বিদেশি মনে হলেও তৈরির পদ্ধতি একেবারে সহজ। কড়াইয়ে পাউরুটি সেঁকে নিয়ে মিক্সিতে একবার ঘুরিয়ে নিন। এবার পাউরুটি আর বিস্কুটের গুঁড়ো খানিকটা চকোলেট সস দিয়ে একসঙ্গে মেখে ছোট ছোট লেচি তৈরি করে নিন। লেচির মধ্যে চাইলে আমন্ড কুচি করে দিতে পারেন। অন্য একটি পাত্রে মিল্ক চকোলেট আর সামান্য মাখন মিশিয়ে গলিয়ে নিয়ে পাউরুটির বলে মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। শক্ত হয়ে এলে হোয়াইট চকোলেটের গুঁড়ো ছড়িয়ে গরম কফির সঙ্গে পরিবেশন করুন পাউরুটির চকোলেট বল।
এভাবেই আমরা প্রতিদিন বানাতে পারি মজাদার পাউরুটির নাস্তা,খেতে ও অনেক সুস্বাদু।
Thank you for reading!
আমাদের অনেকেরই পুরান ঢাকার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। আমরা ওখানে গেলেই দেখতে পারি কত রকমের সুস্বাদু খাবার,আর ওখানে আছে বিভিন্ন খাবারের বাহারি নাম। আর সেই স্বাদ নিতে বিভিন্ন জাইগা থেকে খাবার প্রেমিরা ভিড় জমান পুরান ঢাকার খাবারের হোটেল গুলোতে। এখন আমরা দেখবো যে সব খাবার খেতে খুব সকালে আমরা পুরান ঢাকাই যাই।
আমরা আগে শ্যামবাজারের দিকে পা বাড়ালেই হাতের ডানে পাবো হোটেল ক্যাফে কর্নার। এখানে এসে দেখতে পাবেন মাথার ওপর মাথা দাঁড়িয়ে। রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় খাবার পরিবেশনকারীদের। সকালের নাশতা এখানে ডাল-ভাজি, হালুয়া, পরোটা, ডিম ও চা। এই খাওয়ার জন্য মানুষের ভিড়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন চলে এসেছেন সকালের নাশতা খেতে। ছুটির দিনে এই অবস্থা দেখে থমকে যেতে হয়। এক ছুটির দিনে আপনিও হোটেল ক্যাফে কর্নারের খাবারের স্বাদ নিতে পারেন। ক্যাফে কর্নারের চায়ে সত্যিকার চায়ের ঘ্রাণ পাবেন। আরেকটি কথা, ক্যাফে কর্নারের বয়সও কিন্তু এক শ বছরের ওপরে!
লুচি ভাজি,খাসির পায়া নান রুটি বিভিন্ন রকমের সকালের নাস্তা
বহু বছর আগে এখানে শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ ছিল। এখন সেই শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ নেই, তবে নিউ শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ আছে। সকালের খাবারের জন্য এই দোকান এককথায় অনন্য। হোটেলটির অবস্থান ইসলামপুরের কাছের ১৮/১ পাটুয়াটুলীতে। রেস্তোরাঁটি মাটির নিচে হওয়ায় একটু খোঁজ করতে হয়। এখানে পরোটা লুচি ও দুই রকম ভাজি পাওয়া যায়। লুচি, ভাজির সঙ্গে মুখরোচক চাটনির জন্য হলেও এখানে ভোজনরসিকদের ভিড় জমে যায়। তা ছাড়া এখানে পাবেন খাসির পায়া, ডাল, স্যুপ ও নানরুটির সঙ্গে গাজর ও বুটের বিভিন্ন প্রকারের হালুয়া, বুন্দিয়া ও জিলাপি। এর সবই সকালের নাশতার পদ।
গরুর মাংস ভুনা ও নেহারি
নাসিরুদ্দিন সর্দার লেনে নাসির হোটেল একনামে পরিচিত ছিল, কেবল গরুর ভুনা মাংসের জন্য। হোটেল মালিক নাসির মারা গেলে এখানকার কর্মচারীদের নিয়ে শুরু হয় বিসমিল্লাহ হোটেলটি। ভুনা মাংস এখানকার প্রধান খাবার হলেও সকালে নেহারি এর প্রধান আকর্ষণ। সারা সপ্তাহ এখানে গরুর নেহারি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শুক্রবার শুক্রবার এখানে স্পেশাল নেহারি বিক্রি হয়, দাম ৮০ টাকা। ধোলাইখালের একেবারে কাছে বিসমিল্লাহ হোটেল। জজকোর্টের পেছনে। কলতাবাজার আল-মঈন মাদ্রাসার ঠিক পাশে। কী, আসছেন তো?
Thank you for reading!
FOOD MAGAZINE BANGLADESH | ALL RIGHTS RESERVED | © 2019