আমাদের সবার একটা পছন্দের খাবার বেগুন ভাজি।খিচুড়ি কিংবা গরম ভাতের সাথে অনেকে খেতে পছন্দ করেন।বাজারে গেলেই বেগুনের সমাহার দেখা যায়,আর তখনি আমাদের মনে পড়ে মচমচে বেগুন ভাজি খাওয়ার কথা।চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক রেসিপি>
উপকরণ
১. বেগুন ১টি
২. চালের গুঁড়া আধা কাপ
৩. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
৪. মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
৫. জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ
৬. লবণ পরিমাণ মতো
৭. তেল প্রয়োজন মতো
পদ্ধতি
প্রথমে বেগুন গোল কিংবা লম্বা করে কেটে নিন পছন্দের আকারে। এবার কিছুক্ষণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে বেগুন ভাজার পরে কালো হয়ে যাবে না এবং এর ভেতরেও লবণ ঢুকবে। বেগুনের টুকরাগুলো থেকে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বেগুনের টুকরার এপিঠ ওপিঠে মাখিয়ে নিন।
প্যানে তেল দিয়ে ভালোভাবে গরম করুন। এরপর ঢেকে অল্প আঁচে এপিঠ ওপিঠ উল্টে ভেজে নিন। লালচে বা আপনার পছন্দের রং এলে নামিয়ে নিন কিচেন টিস্যুর উপর। ভালোভাবে তেল ঝরিয়ে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে নিন। ব্যাস, হলে গেল মচমচে বেগুন ভাজা।
Thank you for reading!
রসমালাই খেতে কে না পছন্দ করেন। দুধ মালাইয়ে ডুবানো ছোট ছোট তুলতুলে স্পঞ্জ মিষ্টি, যা রসমালাই নামে পরিচিতি। ছোট-বড় সবাই রসমালাই খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে গুঁড়া দুধের রসমালাইয়ের স্বাদ সবারই প্রিয়।সিপিতি?সাধারণত সবাই কমবেশি মিষ্টির দোকান থেকেই কিনে খান রসমালাই! তবে চাইলে কিন্তু খুব সহজে আপনি ঘরেই তৈরি করতে পারবেন রসমালাই। তাহলে জেনে নেই রেসিপি?
উপকরণ?
১. গুড়া দুধ ১ কাপ
২. বেকিং পাউডার আধা চা চামচ
৩. ঘি ১ চা চামচ
৪. এলাচ ২/৩টি
৫. চিনি ২ টেবিল চামচ
৬. কনডেন্স মিল্কআধা কাপ
৭. ডিম ১টি ।
পদ্ধতি?
প্রথমে ১-৩ নং পর্যন্ত সব উপকরণ ও ডিম একসঙ্গে মেখে আঁঠালো খামির তৈরি করুন। ফেটানো ডিম দেওয়ার পর যদি খামির নরম না হয় তাহলে সামান্য তরল দুধ মেশাতে পারেন খামির নরম করতে। এরপর ৩০ মিনিট খামির ঢেকে রাখুন। এক লিটার দুধ জ্বালিয়ে নিন এলাচ, চিনি ও কনডেন্স মিল্ক মিশিয়ে। এবার গুঁড়া দুধের খামির থেকে পছন্দমতো আকৃতির রসমালাই তৈরি করে নিন। এ সময় হাতের তালুতে সামান্য ঘি মেখে নিলে হাতে লেগে যাবে না। দুধ জ্বাল দিয়ে যখন শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে যাবে তখন এর মধ্যে আধা কাপ গুঁড়া দুধ গুলিয়ে দিন। তাহলে দুধটা বেশ ঘন হবে। ফুটতে থাকা দুধের মধ্যে এবার রসমালাইগুলো দিয়ে ঢেকে দিন।
২০ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে খুব সাবধানে মিষ্টিগুলো নেড়ে আবার ঢেকে দিন। ১৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখুন ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত। রসমালাইগুলো ফুলে যাবে দুধে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে তারপর পরিবেশন করুন উপরে বাদাম কুচি ছড়িয়ে।
Thank you for reading!
খাসির মাংস রান্না করার বেশ কিছু প্রচলন রয়েছে। আমাদেশে দেশে এক রকম, আবার অন্য দেশে আরেক রকম রান্না করে। এ দেশের রাজা বা নবাবদের জন্য এক স্টাইলে রান্না করা হত , আর রেস্টুরেন্টে অন্য স্টাইলে রান্না করা হয়। তাই আজকে দেখে নিন, বাদশাহী এবং রেস্টুরেন্টে কিভাবে ভিন্ন স্বাদে খাসির রেজালা রান্না করে। রেস্টুরেন্টের স্বাদে খাসির রেজালা
উপকরণ:
লবন, আদা, পিয়াজ, মরিচ, হলুদ, গোল মরিচ, তেজপাতা, খাসির মাংস, দারুচিনি, লবঙ্গ, টক দই ইত্যাদি।
প্রাণালী:
* দেড় কেজি খাসির মাংসর জন্য
* স্বাদ মতো লবন, ২ টেবিল চামচ
* আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ
* রসুন বাটা, ১ চা চামচ
* মরিচের গুঁড়ো, ২ চা চামচ
* হলুদের গুঁড়ো,২ চা চামচ
* ২ টি তেজপাতা
* সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ
* সাহি জিরার গুঁড়ো এক চিমটি
* দারুচিনি ২ টুকরা
* ৪টি লবঙ্গ, ১/৩ কাপ তেল
* ২ কাপ পেয়াজ কুঁচি এবং এলাচ ২ থেকে ৩টি দিয়ে মাংস মাখাতে হবে।
এবার এর সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ১ চা চামচ গরম মসলার গুঁড়া, ১ চা চামচ জয়ফলের গুঁড়া, ১ চা চামচ জয়ত্রীর গুঁড়া দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিবেন। আরও দিতে হবে ৩ টেবিল চামচের মতো টক দই। ২ থেকে ৩ মিনিট পর কেউড়া জল দিতে হবে ১ চা চামচ এবং সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিবেন। ৬ থেকে ৭ টি কাঁচা মরিচ, ১ টেবিল চামচের মতো মাখন, দেড় টেবিল চামচ মাওয়া, দেড় টেবিল চামচ গুড়া দুধ, এক চা চামচ ঘি দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিবেন। চুলার আঁচ এক দম কমিয়ে আরও ৫ থেকে ৬ মিনিট রান্না করতে হবে। এ ভাবেই তৈরি হয়ে যাবে রেস্টুরেন্টের স্টাইলে খাসির রেজালা।
Thank you for reading!
আমরা কমবেশি সবাই তিতা খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে সব সময় তিতা খাওয়ার জন্য আমরা বাসায় রান্নাবান্না করে থাকি। অনেক সময় আমরা নিম পাতা, না হয় করলা, অথবা উচ্ছে, নিদেনপক্ষে সজনে ফুল, কিছু না কিছু একটা মেনুতে থাকবেই৷ তিতা সবজি খাওয়ার এই ব্যাপারটা কিন্তু কেবল এ দেশে নয়, বিদেশেও আছে৷ সেখানেও কেল নামে একটি শাকজাতীয় উপাদান মেলে যা স্যালাডে মিশিয়ে খাওয়া হয়, সেটিও তিতকুটে এবং মা-বাবারা পুষ্টিগুণের দোহাই দিয়ে বাচ্চাদের সেটি খেতে বাধ্য করেন৷
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, তিতা খাওয়াটা জরুরি কেন? প্রথম কারণ হচ্ছে এটি মুখের স্বাদ বদলাতে সাহায্য করে, কাজ করে প্রাকৃতিক প্যালেট ক্লেনজ়ার হিসেবে৷ প্রথম পাতে তিতা খান, বাকি সব খাবারই সুস্বাদু লাগবে৷ সাধারণত তিতা সবজিগুলি হজমের পক্ষে সহায়ক হয়, বাড়ায় বিপাকক্রিয়ার হার৷ আর যেহেতু গরমকালে বিপাকের হার ক্রমশ মন্দগতিপ্রাপ্ত হয়, তাই তিতা খাওয়াটা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়৷ লক্ষ করলেই দেখবেন, প্রকৃতিতেও এই সময়টায় অজস্র তিতা সবজি মেলে, সজনের ফুল, কচি নিমপাতা, উচ্ছে, করলা… তাই নিয়মিত তিতা খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো৷
নিমপাতা:
নিমের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই৷ আয়ুর্বেদে মনে করা হয়, নিম নিয়মিত সেবন করলে শরীরের ‘বাত’দোষের খণ্ডন হয়, সেরে যায় সব নিউরোমাসকিউলার সমস্যা৷ সুস্থ থাকে ত্বক-চুল, বাড়ে লিভারের কর্মক্ষমতা৷ নিয়মিত নিমপাতা খেলে ক্ষুদ্রান্ত্রের ব্যাকটেরিয়াও নিয়ন্ত্রণে থাকে৷
উচ্ছে/ করলা:
এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ বাড়ায় প্রতিরোধক্ষমতা, পেটফাঁপা কমে, নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড সুগার৷
সজনে ফুল:
প্রচুর ক্যালশিয়াম আর পটাশিয়াম মেলে৷ যে সব মায়েরা স্তন্যদান করছেন, তাঁদের জন্য আদর্শ৷ আয়ুর্বেদ মতে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, সর্দি-জ্বরের উপশমে এর ব্যবহার আছে৷ খুব কষা লাগলে অল্প গরম জলে মিনিট পাঁচেকের জন্য ভাপিয়ে জলটা ফেলে দিয়ে রান্না করুন৷
ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটের সলিউবল ফাইবার, মিনারেল আর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে৷ ডার্ক চকোলেটের একটি ছোট্ট টুকরো রোজ খেতে পারেন৷
Thank you for reading!
জানা অজানা অনেক খাবার থাকে কেউ আমরা চিনতে পারি আবার কেউ হয়তো কখনো দেখি নাই। এমন একটি মজাদার খাবার হচ্ছে মাটির নিচের আলু,অনেকেরই জানা নেই এটি খেতে কতো মজা,যেমন দেখতে অনেক সুন্দর খেতে ও তেমনি সুস্বাদু। দেখা যাই গ্রাম এ অনেক বাড়িতেই এই আলুটি থাকে,কেউ ভর্তা খেতে ভালবাসে কেউবা মাছ দিয়ে খেতে ভালোবাসে,তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে আসি কিভাবে মাটির নিচের আলু দিয়ে মাছের ঝোল রান্না করে।
উপকরণ:
* মেটে আলু ডুমো করে কাটা : ৩০০ গ্রাম
* রুই মাছ : ৬ টুকরো
* আদা ও কাঁচালঙ্কা ও জিরে বাটা : ১ টেবিল চামচ
* হলুদ গুঁড়ো : ১ চা চামচ
* নুন : স্বাদমত
* তেল : পরিমাণ মত
* গোটা জিরে : ফোড়নের জন্য।
প্রণালী:
আলু একটু গরম পানি ভাপিয়ে নিন। পানি ছেঁকে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে মাছ নুন হলুদ মেখে লাল করে ভেজে তুলে নিন। এবার ওই তেলে আলু ভেজে নিন। এর সাথে বাটা ও গুড়ো মশলা দিয়ে কষিয়ে নিন। পানি ও মাছ দিন। আলু সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন। এবার কড়াইতে ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে মাছ ও আলুর ঝোল টা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে কিছুটা টালা জিরের গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিন।
এবার আমরা গরম ভাতের সাথে খেতে পারি মজাদার মাটির নিচের আলু দিয়ে মাছের ঝোল।
Thank you for reading!
লাউ আমাদের সবার একটা প্রিয় খাবার আমরা কম বেশি সবাই এটি খেয়ে থাকি,তার থেকে আরো মজাদার খাবার হচ্ছে লাউয়ের খোসা ভাজি। এই শীতে গরম ভাতের সাথে লাউয়ের খোসা থাকলে আর কিছুই লাগেনা। আমরা অনেক সময় লাউয়ের খোসা ফেলে দেই এটি ফেলে না দিয়ে আমরা রান্না করতে পারি মজার একটা ভাজি। আসুন দেখে আসি কিভাবে রান্না করতে হয় মজাদার লাউয়ের খোসা ভাজি।
উপকরণ
লাউয়ের খোসা – ১টি মাঝারি মাপের।
কালোজিরা – ১চা চামচ।
পিঁয়াজ – ১ টি মাঝারি মাপের।
কাঁচা লঙ্কা – ৩ টি।
হলুদ গুঁড়া – ১চা চামচ।
লবণ – স্বাদ মতো।
সরিষার তেল – ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালী
* প্রথমে লাউয়ের থেকে লাউয়ের খোসা গুলো কিন্তু ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবারে লাউয়ের খোসা গুলো ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
* এবার লাউয়ের খোসা গুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে। তার জন্য আমি ব্যবহার করছি একটা প্রেসার কুকার। প্রেসার কুকারে এবার লাউয়ের খোসা গুলো দিয়ে দিলাম। এবার এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছে হাফ কাপ পরিমাণ পানি , সামান্য পরিমাণ লবণ ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো। এবারে লাউ এর খোসাগুলো সেদ্ধ করে নেব।
* এবারে রান্নাটা করার জন্য নিয়ে নিয়েছি একটা কড়াই তার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি ৩ টেবিল চামচ সরিষার তেল। ফরন এর জন্য দিচ্ছি ১ চা চামচ কালোজিরা ফরণ টা একটু গরম করে নিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিলাম একটা মিডিয়াম সাইজের পেঁয়াজ কুচি।
* পিয়াজ টি কিন্তু ভালো করে ভাজা করে নিতে হবে। পিয়াজ টা যখন ভাজা হয়ে আসবে তখন এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছি । তার সাথে দিতে হবে তিনটি চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা।
* এবারে এই সব কিছু ২থেকে ৩ মিনিটের জন্য একটু ভাল করে ভেজে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে স্বাদমতো লবণ আর ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো। এরপর পেঁয়াজ টা কে কিন্তু আরো একবার ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
* লাউয়ের খোসা টা এই কারণেই সিদ্ধ করে নিয়েছি যাতে লাউয়ের খোসা টা খুব ভালো করে ভাজা হয় আর যাতে নরম হয়ে যায়। এবারে লাউয়ের খোসা টা কিন্তু পেঁয়াজ আর আলুর সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে তারপর কম আঁচে রেখে কিন্তু এই সবকিছু একটু ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
* লাউয়ের খোসা ভাজি কিন্তু প্রায়ই হয়ে এসেছে তবে আরেকটু লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে।
* তার জন্য সময় লাগবে ২ – ৩ মিনিট। লাউয়ের খোসা ভাজি কিন্তু একদমই তৈরি হয়ে গেছে এবারে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে নিচ্ছি ।
আসুন এবার গরম ভাতের সাথে গরম গরম পরিবেশন করি মজাদার লাউয়ের খোসা ভাজি।
Thank you for reading!
FOOD MAGAZINE BANGLADESH | ALL RIGHTS RESERVED | © 2019