আসুন জেনে নেই গ্রীষ্মকালের কিছু ফল সম্পর্কে
গ্রীষ্মকালে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজ, ডেউয়া, লটকন, গোলাপ জাম, বেতফল, গাব, জামরুল, আতাফল, কাউ, শরীফা প্রভৃতি ফল পাওয়া যায়।
ফলের ঘ্রাণে চারপাশ মৌ মৌ করে। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো যেমন উপাদেয়, তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
আসুন জেনে নিই কিছু গ্রীষ্মকালীন ফল সম্পর্কে :
আম
আম দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি স্বাদ, পুষ্টি ও গন্ধে অতুলনীয়। আম ফলের রাজা।
লিচু
লাল বর্ণের থোকা থোকা লিচুর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন না এমন বেরসিক মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। লিচু গ্রীষ্মকালীন ফল হওয়া সত্বেও খুব কম সময় পাওয়া যায়।
কাঁঠাল
কাঁঠাল জাতীয় ফল। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন-এ।
তরমুজ
প্রায় ৯০% পানি থাকায় ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের জুড়ি নেই।
জাম
প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি আছে এই ফলে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। এতে শর্করা খুব কম। তাই ডায়াবেটিস রোগী নিশ্চিন্তে জাম খেতে পারেন।
তাল
তালে পাওয়া যায় প্রচুর ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। তালের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগে বেশ উপকারী।
বেল
গরমে ঠান্ডা বেলের শরবতে প্রাণ জুড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেল অত্যাধিক উপকারী।
জামরুল
জামরুলে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় খাবার হজম করতে সুবিধা হয়। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে।
সফেদা
সফেদা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ একটি ফল।
আনারস
আনারসে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম ব্রোমেলেইন। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’-পাওয়া যায়।
লটকন
লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং প্রোটিন। যা আপনার ত্বক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত প্রোটিনের কারণে শরীর পায় তার প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস।
ডেউয়া
ডেউয়ার ভিটামিন সি ত্বক, চুল, নখ, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আতাফল
আতা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এছাড়া কিছু ভিটামিন, প্রোটিন, ও যথেষ্ট পরিমাণ মিনারেলও আছে।
কাউফল
ভিটামিন-সি তে ভরপুর কাউ ফলে আছে সর্দি-জ্বর ও ঠাণ্ডা সারাবার মতো ভেষজ গুণাগুণ। দিন দিন তাই বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে এই কাউ ফল।
Thank you for reading!
কাঁচা হলুদ দিয়ে রূপচর্চা
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হলুদকে কাঁচা সোনাও বলা হয়।
হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় নানাবিধ রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ সকালে যদি এক টুকরো কাঁচা হলুদ খাওয়া যায় তাহলে নানা শরীরিক উপকার মিলবে। ফল পাবেন হাতেনাতে। শরীর সুস্থ রাখতে এক কুঁচি কাঁচা হলুদের কোনও বিকল্প হয় না। সকালে খালি পেটে খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আসুন জানে নেই কাঁচা হলুদের কিছু গুণাগুন:
- একটুখানি কাঁচা হলুদ আপনার হজমশক্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে সহজেই খাবার পরিপাক হতে সাহায্য করে এটি।
- যাদের হাড়ে ক্ষয় জনিত সমস্যা রয়েছে, প্রতিদিন একটু করে কাঁচা হলুদ খান। কেননা কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
- কাঁচা হলুদে থাকা ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বিভিন্ন ধরণের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে খাদ্যনালীকে সুরক্ষিত রাখে।
- যাদের ডায়বেটিস রয়েছে তাদের জন্যও বিশেষ উপকারী কাঁচা হলুদ। কেননা এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে ও ইনসুলিন হরমোনের কাজ করতে সহায়তা করে।
- দাঁতে নানারকম জীবাণু ও মাড়িতে ক্ষয় ধরে। কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদান দাঁতকে জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখে। সেই সঙ্গে দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধ করে মজবুত করে তোলে।
- হলুদে থাকে অনেক আয়রন। রক্তে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে বা তা বাড়াতেও সহায়তায় কার্যকর হলুদ।
- কোলেস্টরেল সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্যও কাঁচা হলুদ বিশেষ উপকার। এটা তাদের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
- লিভারে বা যকৃতে উৎপন্ন টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থকে আমাদের শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে।
- কাঁচা হলুদ বি-ডি-এন-এফ এর মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই কাঁচা হলুদের গুনাগুন আমাদের মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
- আলসার থেকে পেটের রোগ থাকলে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
- আধুনিক গবেষণায় জানা গেছে, কাঁচা হলুদের কারকামিন নামক উপাদানের ক্যান্সারনিরোধী ক্ষমতা আছে।
- খাদ্যের সংক্রামক দূর করে।
এছাড়াও কাঁচা হলুদ দিয়ে রূপচর্চার প্রচলন চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। তবে সব জিনিসেরই বিধিসম্মত সতর্কীকরণ থাকে। তাই হলুদের গুণে প্রলোভিত হয়ে প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়া সকলের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
Thank you for reading!
ক্যাকটাস কি খাওয়া যায়?
আজকাল বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস আদালতের ছোট পরিসরের একটু জায়গায় নান্দনিকতা ও সৌন্দর্যের অনেক অংশ জুড়ে জায়গা করে নিয়েছে ক্যাকটাস।
ক্যাকটাসে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ,থায়ামিন, রিবোফ্লাভিনসহ নানান পুষ্টি উপাদান।
ক্যাকটাস উদ্ভিদটির পুরোটাই খাওয়া হয় না। এর পাতা, ফুল, কাণ্ড ও ফলই খাওয়ার যোগ্য। বিভিন্ন উপায়ে এসব অংশ খাওয়া যায়। সেদ্ধ করে ও রান্না করে খাওয়া যায়।ক্যাকটাস জুস করে খাওয়া যায় তবে শুধু ক্যাকটাস তিতকুটে স্বাদের হওয়ায় অন্য যেকোনো ফলের জুসের সাথে ব্লেন্ড করেও জুস বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়া গ্রীল করেও খাওয়া যেতে পারে।
ক্যাকটাসে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি থাকায় এটা ত্বক ও কোষ ভালো রাখে। ভিটামিন-সি থাকায় ইহা স্কার্ভি রোগ হতে বাধা দেয়।
ক্যাকটাসে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা মাংসপেশির ব্যাথা কমাতে সহায়ক। ক্যাকটাসে পানির পরিমাণ অত্যাধিক। এক গ্লাস ক্যাকটাসের জুস হতে পারে মাথা ব্যাথার এক চমৎকার ওষুধ। ক্যাকটাস সেবনে চুল পড়া বন্ধ হবে প্রাকৃতিক ভাবে।
Thank you for reading!
বরফ পানি খাওয়া কি নিরাপদ?
চলছে গ্রীষ্মকাল। তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ।
এই গরমে এক গ্লাস বরফ দেয়া পানিই যেনো শরীরে প্রশান্তি এনে দেয়।
অনেকেই বাহিরের থেকে এসেই বা কাজের ফাঁকে বরফ দেয়া এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয় শরীরকে শীতল করার জন্য।এমনকি অনেকেই আছে যাদের প্রতিনিয়ত বরফ দেয়া পানি বা ফ্রিজের পানি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।
কিন্তু ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা বরফ দেয়া পানি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনকি এতে জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে থাকে। স্বাভাবিক পানিয় পান করা স্বাস্থ্যসম্মত কিন্তু বরফ দেয়া পানি বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
আসুন জেনে নেই বরফ দেয়া পানি পানের কিছু খারাপ দিকঃ
- যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের বরফ দেয়া পানি পান করার ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি দেখা দিবে।
- বরফ পানি পান করলে খাদ্যনালী সংকুচিত হয়ে যায়।
- বরফ দেয়া ঠান্ডা পানি পানে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে জ্বর আসতে পারে।
- যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে বা টনসিল এর সমস্যা রয়েছে,বরফ দেয়া পানি খেলে টনসিল ফুলে যেয়ে সংক্রামক বেড়ে যায়।
- খাবারের পর ঠান্ডা পানি পান করলে খাবার হজম হয় না ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।
- ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় কম পানিতেই তৃষ্ণা মিটে যায় ফলে পানির চাহিদা পুরোপুরি পূরণ হয় না।
- যাদের দাঁতে সমস্যা রয়েছে তারা বরফ মিশ্রিত পানি পান করলে দাঁতের শিরশির অনুভূত হয়। এমন কি বরফ মেশানো পানি খেলে দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
- এছাড়া অত্যাধিক ঠান্ডা পানি পানে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই পরিশেষে বলা যায়, সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরে পানির প্রয়োজনীয়তার কথা বলে শেষ করার মতো না।স্বাভাবিক পরিমিত পানি শরীরের জন্য আরামদায়ক।তাই আমরা বরফ মিশ্রিত পানি পান না করে স্বাভাবিক পানি পান করবো।
Thank you for reading!
অর্থকরী ফসল বেত গাছ
বেতফল এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ।
অতি মূল্যবান, ভেষজ ও অর্থকরী উদ্ভিদ বেত গাছ। বেত গাছের ফলকে বেতফল, বেত্তুন, বেত্তুইন ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। বেতফল যেমন পুষ্টিকর তেমন সুস্বাদু ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ। মূলত মাটির অবস্থা ভেদে এই ফল খুব মিষ্টি হয়। তবে এটি সাধারণত টক মিষ্টি স্বাদের একটি ফল।কখনো কখনো এর স্বাদ কষযুক্ত হয়ে থাকে। বাংলা মাসের চৈত্র, বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে বেতফল পাকে।
বাংলাদেশে গ্রামগঞ্জে বেত গাছ দেখা যায়। বেত কাঁটাময়, চিরসবুজ, অরোহী পাম। কাণ্ড লম্বা, কাঁটাযুক্ত ও শাখাহীন। বেত শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন কুটির শিল্প৷ রুচিশীল মানুষ আজও বেতের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারে খুবই উৎসুক উন্নতমানের হস্তশিল্প, গৃহের আসবাবপত্র এবং গ্রামবাংলার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরির জন্য বেতের ব্যবহার বেশি।
বেতের তৈরি জিনিসে রয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া।
এছাড়াও বেত গাছের মূল ও বেতফলে রয়েছে নানান ওষুধিগুণ।যেমন:
আমাশয় সারাতে : বেত গাছের ফল আমাশয় রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যাদের পুরাতন আমাশয় আছে তারা এই বেত গাছের শাঁস খেতে পারেন।
দাঁতের গোড়া শক্ত করতে : প্রথমে বেত গাছের মূল সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এই সিদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।
মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে : বেত গাছের মূলের ক্বাথ সেবন করলে মূত্র সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ নিরাময় হয়।
পিত্তশূল দূর করতে : প্রথমে বেত ফলের রস চিনির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি নিয়মিত খেলে পিত্তশূল ভালো হয়ে যাবে। অনেকে পানের সাথে সুপারীর পরিবর্তে বেত ফলের বীজ খেয়ে থাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে বেত গাছে নরম কান্ড সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে।
অনেক বিদেশি গাছের সমাদরে এই বেত গাছ দেশি গাছ হওয়া সত্বেও আজ বিলুপ্তির পথে।
Thank you for reading!
আজকে বিশ্ব ডিম দিবস
- ডিমে রয়েছে এ ভালো কোলস্টেরল। এটি দেহের মন্দ কোলস্টেরল দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
- একটি ডিম আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পরিপূরক।
- ডিমে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়- যা আমাদের দাঁত, চুল, ত্বক ও চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া ডিমের সাদা অংশ চুল ও ত্বকে লাগালে চুলের রুক্ষতাসহ ত্বক পরিষ্কার করতেও বেশ কার্যকরী।
- ডিমের কেরোটিনয়েড, লু্যটেন ও জিয়েক্সেনথিন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
- ডিমে প্রচুর জিংক, আয়রন এবং ফসফরাস পাওয়া যায়। রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে।
- অনেকের নখ মরে যায় এবং নখ ভেঙে যায়। ডিমের সাদা অংশ মরা বা ভাঙা নখের ওপর প্রলেপ দিলে নখ শক্ত হয়।
- ডিমে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি, যা পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে।
- একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়। কোলাইন যকৃত, স্নায়ু, ও মস্তিস্ক কে সর্বদা সুস্থ রাখে।
- একটি ডিম থেকে প্রায় ৬০-৭০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। শিশুর মেধা বিকাশে ডিম পরিপূরক।
Thank you for reading!
কাঁচা আমের শরবত
চটজলদি আলুর কাটলেন
বাচ্চারা সবজি খেতেই চায় না,বানিয়ে ফেলুন সবজির কেক
মজাদার মচমচে বেগুন ভাজার রেসিপি
আমাদের সবার একটা পছন্দের খাবার বেগুন ভাজি।খিচুড়ি কিংবা গরম ভাতের সাথে অনেকে খেতে পছন্দ করেন।বাজারে গেলেই বেগুনের সমাহার দেখা যায়,আর তখনি আমাদের মনে পড়ে মচমচে বেগুন ভাজি খাওয়ার কথা।চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক রেসিপি>
উপকরণ
১. বেগুন ১টি
২. চালের গুঁড়া আধা কাপ
৩. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
৪. মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
৫. জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ
৬. লবণ পরিমাণ মতো
৭. তেল প্রয়োজন মতো
পদ্ধতি
প্রথমে বেগুন গোল কিংবা লম্বা করে কেটে নিন পছন্দের আকারে। এবার কিছুক্ষণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে বেগুন ভাজার পরে কালো হয়ে যাবে না এবং এর ভেতরেও লবণ ঢুকবে। বেগুনের টুকরাগুলো থেকে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বেগুনের টুকরার এপিঠ ওপিঠে মাখিয়ে নিন।
প্যানে তেল দিয়ে ভালোভাবে গরম করুন। এরপর ঢেকে অল্প আঁচে এপিঠ ওপিঠ উল্টে ভেজে নিন। লালচে বা আপনার পছন্দের রং এলে নামিয়ে নিন কিচেন টিস্যুর উপর। ভালোভাবে তেল ঝরিয়ে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে নিন। ব্যাস, হলে গেল মচমচে বেগুন ভাজা।
Thank you for reading!
শিশুর পুষ্টিকর খাবারের তালিকা কি কি?
শিশু মানেই সুন্দর। আর নবজাতক মানে আদরের আর যত্নের আরেক নাম। জন্মের পর বাচ্চার জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। মায়ের দুধই উত্তম খাদ্য। দুধ খাওয়ানোর জন্য কোন সময় নির্ধারণের দরকার হয় না। বাচ্চার ক্ষুধা লাগলে মা তা টের পায়। তখনই বাচ্চাকে খাওয়ানো যায়। কিন্তু শিশু যখন বড় হতে থাকে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি তার অন্য খাবারের প্রয়োজন হয়। শিশুর পূর্ণ ৬ মাস হবার পর শিশুর জন্য পরিপূরক খাবার দেওয়া উচিত।
তাজা মৌসুমি ফল ?
গরমে তরলের চাহিদা ও ভিটামিন মিনারেলের দৈনিক চাহিদা পূরণে ফল দারুণ সাহায্য করে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধেও ফল অনেক কার্যকর। তাই এ সময় তরমুজ, বাঙ্গি, আম, লিচু ইত্যাদি ফল শিশুদের জন্য বেশ উপকারী। তবে একেবারে খালি পেটে ফল খাওয়াবেন না।
খাদ্য তালিকা?
শিশুকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে যথা- ১) ভাত ২) ডাল ৩) শাকসবজি ৪) মাছ/মাংস/ডিম। এছাড়া চাল, ডাল, সবজি (যেমন- মিষ্টিকুমড়া, গাজর, পেঁপে, আলু ইত্যাদি) পরিমাণ মতো তেল ও মসলাসহ খিচুড়ি তৈরি করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। খিচুড়ি তৈরির সময় যে পরিমাণ চাল দেয়া হবে তার অর্ধেক পরিমাণ ডাল দিতে হবে। শিশুকে মুরগির কলিজা খেতে দিতে হবে।
৭–৯ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য?
এ বয়সে শিশু কিছুটা পরিপক্ক হয় এবং ফল ও শস্য জাতীয় খাবার গ্রহণে সক্ষম হয়। এ সময় খাবারের ক্যালোরির চাহিদা বাড়ানো দরকার। খাদ্যে পানির পরিমাণ কমিয়ে কিছুটা ঘন থকথকে খাবার দেয়া যায়। এ সময় শিশু নিজের হাতে ধরে খেতে চেষ্টা করে। রঙ এর প্রতি আকর্ষণ বাড়ে, খাবারের প্রতিও আকর্ষণ বাড়ে। এ সময় সহজ পাচ্য খাবারের মধ্যে আলু সেদ্ধ, মৌসুমি সবজি সেদ্ধ, করে চটকিয়ে খাওয়ানো যায়। যেমন ফুলকপি, বরবটি, পেঁপে, এই ধরনের সবজিগুলো সেদ্ধ করলে নরম হয় যা শিশুর হজম হয়। শিশুর খাদ্যে সামান্য তেল যোগ করতে হয়। ফলে চর্বিতে দ্রব্য ভিটামিনগুলো সহজে শোষিত হয়।
৯–১২ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য?
এ সময় প্রায় বড়দের মত খাবার দেওয়া যায়। আগের তুলনায় আরো ঘন খাবার শিশু খেতে পারে। নরম খিচুড়ি, সিদ্ধ ডিম, ডাল, ভাত, দুধ-রুটি, দই, ক্ষীর, পুডিং ইত্যাদি খাবারগুলো শিশুকে খাওয়াতে হবে। এগুলো পুষ্টি পরিপূরকও বটে। স্যুপ শিশুর জন্য তৈরি করে ৪-৫ বার দেওয়া যায়।
Thank you for reading!
আজ আমরা দেখবো খেজুর গুড়ের রসালো চিতই পিঠা
শীতের সময় চারদিকে যেন পিঠা-পুলির হিড়িক পরে যায়। ঘরে ঘরে বাহারি পিঠার আয়োজনে একরকম উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। এ সময় বাহারি সব পিঠার মধ্যে হোল একটি দুধ চিতই। এই শীতে খুব সহজে বানিয়ে ফেলুন দুধ চিতই। তাহলে দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি?
যা যা লাগবে :
চালের গুঁড়া আধা কেজি, দুধ ৩ লিটার, খেজুরের গুড় ২ কাপ, লবণ ১ চিমটি, চিনি ২ টেবিল চামচ, আধা কাপ নারকেল, তেল পরিমাণমতো, পানি পরিমাণমতো।
যেভাবে বানাবেন :
প্রথমে একটি পাত্রে পানি, দুধ ও গুড় জাল দিয়ে ঢেকে রাখুন। এবার পরিমাণ মতো পানি চালের গুড়া, আধা কাপ নারকেল ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে মাঝারি ঘনত্বের গোলা বানিয়ে নিন এবং গোলা চুলায় দিন। ভালো করে নাড়ুন। যখন গরম হয়ে ধোঁয়া উঠবে তখন নামিয়ে নিন।
এবার চিতই পিঠার ছাঁচে অল্প তেল মাখিয়ে নিন। ছাঁচে পিঠার গোলা ঢেলে মিনিট তিনেক ভেজে কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রেখে পিঠা ছাঁচ থেকে তুলে নিন। কিছুক্ষণ পরে পিঠাগুলো উঠিয়ে গরম রসের মধ্যে দিয়ে ঢেকে রাখুন। সারারাত এভাবেই ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পরিবেশন করুন খেজুর গুড়ের রসালো দুধ চিতই পিঠা।
Thank you for reading!
রসমালাই খেতে কে না পছন্দ করেন। দুধ মালাইয়ে ডুবানো ছোট ছোট তুলতুলে স্পঞ্জ মিষ্টি, যা রসমালাই নামে পরিচিতি। ছোট-বড় সবাই রসমালাই খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে গুঁড়া দুধের রসমালাইয়ের স্বাদ সবারই প্রিয়।সিপিতি?সাধারণত সবাই কমবেশি মিষ্টির দোকান থেকেই কিনে খান রসমালাই! তবে চাইলে কিন্তু খুব সহজে আপনি ঘরেই তৈরি করতে পারবেন রসমালাই। তাহলে জেনে নেই রেসিপি?
উপকরণ?
১. গুড়া দুধ ১ কাপ
২. বেকিং পাউডার আধা চা চামচ
৩. ঘি ১ চা চামচ
৪. এলাচ ২/৩টি
৫. চিনি ২ টেবিল চামচ
৬. কনডেন্স মিল্কআধা কাপ
৭. ডিম ১টি ।
পদ্ধতি?
প্রথমে ১-৩ নং পর্যন্ত সব উপকরণ ও ডিম একসঙ্গে মেখে আঁঠালো খামির তৈরি করুন। ফেটানো ডিম দেওয়ার পর যদি খামির নরম না হয় তাহলে সামান্য তরল দুধ মেশাতে পারেন খামির নরম করতে। এরপর ৩০ মিনিট খামির ঢেকে রাখুন। এক লিটার দুধ জ্বালিয়ে নিন এলাচ, চিনি ও কনডেন্স মিল্ক মিশিয়ে। এবার গুঁড়া দুধের খামির থেকে পছন্দমতো আকৃতির রসমালাই তৈরি করে নিন। এ সময় হাতের তালুতে সামান্য ঘি মেখে নিলে হাতে লেগে যাবে না। দুধ জ্বাল দিয়ে যখন শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে যাবে তখন এর মধ্যে আধা কাপ গুঁড়া দুধ গুলিয়ে দিন। তাহলে দুধটা বেশ ঘন হবে। ফুটতে থাকা দুধের মধ্যে এবার রসমালাইগুলো দিয়ে ঢেকে দিন।
২০ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে খুব সাবধানে মিষ্টিগুলো নেড়ে আবার ঢেকে দিন। ১৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখুন ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত। রসমালাইগুলো ফুলে যাবে দুধে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে তারপর পরিবেশন করুন উপরে বাদাম কুচি ছড়িয়ে।
Thank you for reading!
খেজুরের রসের উপকারিতা কি জেনে নিন
চলে এসেছে শীত, আর এই শীতে খেজুরের রস না খেলে যেন চলেই না। খেজুরের রস দিয়ে গুড় বা পিঠা বানিয়ে খেতে তো ভারী মজা, কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনার জানা আছে কি? তাজা খেজুরের রস থেকে পাবেন শরীর সুস্থ রাখার মূলমন্ত্র। আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন খেজুরের রসের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
খেজুরের রসের উপকারিতাঃ
১. পুষ্টিতে ভরপুরঃ
খেজুরের রসে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এতে প্রোটিন, মিনারেল, ভিটামিন, আয়রন, ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ, পটাশিয়াম, এবং সোডিয়াম আছে। এই রস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
২. শরীরে শক্তি জোগায়ঃ
আমাদের শরীরে এনার্জি যোগান দেয় শর্করা। খেজুরের রসে বিদ্যমান শর্করা সারাদিনের শক্তির চাহিদা পূরণ করে। তাছাড়া এতে জলীয় অংশ বেশী আছে। তাই খেজুর রসকে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক বলা হয়। বাজারের কেমিক্যাল ও রংমিশ্রিত জুস বা ড্রিংকের বদলে খেজুরের রস সকালবেলা খেলে শক্তির অভাব তো দূর হবেই, সেই সাথে সারাদিনে ক্লান্তি অনুভূত হবে না।
৩. পেশী শক্তিশালী ও সচল করেঃ
খেজুরের রসের পটাশিয়াম ও সোডিয়াম মাংসপেশি শক্তিশালী করে। তার সাথে পেশীর অসারতাও দূর করে। মানবদেহে স্নায়ুকোষগুলোকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করে নিউরন। আবার নিউরনের ভিতর দিয়ে স্নায়ু সংকেত চলাচল করে। খেজুরের রস স্নায়ু সংকেত চলাচলকে ত্বরান্বিত করে।
৪. কর্মশক্তি যোগায়ঃ
আমাদের শরীরে কর্মশক্তি যোগাতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। খেজুরের রসের ম্যাগনেশিয়াম শরীরে কর্মশক্তির যোগান দেয়। আবার দেহের ক্লান্তি দূর করতেও ম্যাগনেশিয়ামের জুড়ি নেই। নিয়মিত খেজুর রস খেলে দেহ থাকবে সতেজ ও চনমনে।
৫. রক্তস্বল্পতা দূর হয়ঃ
খেজুরের রসে আয়রন আছে, কাজেই এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তবে জ্বাল দেয়া খেজুর রসের চাইতে খেজুরের পাটালি গুড় বা ঝোলা গুড়ে আয়রন বেশী থাকে। তাই রক্তস্বল্পতা থাকলে প্রতিদিন এক টুকরা পাটালি গুড় বা এক চামচ ঝোলা গুড় খেতে পারেন। আবার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে খেজুরের রস পানে সমস্যা দূর হবে।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
খেজুরের রসে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আবার শীতের শুরুতে বা শীত চলাকালীন সময়ে খেজুরের রস সর্দি-কাশি সারায়। পাশাপাশি অত্যধিক শীতে শরীর গরম রাখে খেজুরের ৭. হাড় শক্ত করেঃ
খেজুরের রসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। এটি হাড়ে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে হাড় শক্ত করে। আবার বাড়ন্ত শিশুদের দেহে খেজুরের রস হাড় ও পেশী গঠন করতে সাহায্য করে।
৮. ওজন কমায়ঃ
খেজুরের রস চিনির একটি ভালো বিকল্প হতে পারে৷ এতে বিদ্যমান শর্করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। আবার এই রসে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশী, যা বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়। ফলে বাড়তি চর্বি দেহে জমতে পারে না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৯. হজমশক্তি ঠিক রাখেঃ
খেজুরের রস একটি আঁশসমৃদ্ধ খাবার। এটি হজমে সহায়ক এনজাইমগুলো ক্ষরণে সাহায্য করে এবং হজমক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়, মল নরম করে, এবং মলত্যাগ আরামের হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খেজুর রস বা গুড় খেলে উপকার পাওয়া যায়। খাওয়ার পরে এক চামচ খেজুর গুড় বা রস খেতে পারেন হজম দ্রুত হওয়ার জন্য।
Thank you for reading!
খাসির রেজালা রেসিপি
খাসির মাংস রান্না করার বেশ কিছু প্রচলন রয়েছে। আমাদেশে দেশে এক রকম, আবার অন্য দেশে আরেক রকম রান্না করে। এ দেশের রাজা বা নবাবদের জন্য এক স্টাইলে রান্না করা হত , আর রেস্টুরেন্টে অন্য স্টাইলে রান্না করা হয়। তাই আজকে দেখে নিন, বাদশাহী এবং রেস্টুরেন্টে কিভাবে ভিন্ন স্বাদে খাসির রেজালা রান্না করে। রেস্টুরেন্টের স্বাদে খাসির রেজালা
উপকরণ:
লবন, আদা, পিয়াজ, মরিচ, হলুদ, গোল মরিচ, তেজপাতা, খাসির মাংস, দারুচিনি, লবঙ্গ, টক দই ইত্যাদি।
প্রাণালী:
* দেড় কেজি খাসির মাংসর জন্য
* স্বাদ মতো লবন, ২ টেবিল চামচ
* আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ
* রসুন বাটা, ১ চা চামচ
* মরিচের গুঁড়ো, ২ চা চামচ
* হলুদের গুঁড়ো,২ চা চামচ
* ২ টি তেজপাতা
* সাদা গোল মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ
* সাহি জিরার গুঁড়ো এক চিমটি
* দারুচিনি ২ টুকরা
* ৪টি লবঙ্গ, ১/৩ কাপ তেল
* ২ কাপ পেয়াজ কুঁচি এবং এলাচ ২ থেকে ৩টি দিয়ে মাংস মাখাতে হবে।
এবার এর সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ১ চা চামচ গরম মসলার গুঁড়া, ১ চা চামচ জয়ফলের গুঁড়া, ১ চা চামচ জয়ত্রীর গুঁড়া দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিবেন। আরও দিতে হবে ৩ টেবিল চামচের মতো টক দই। ২ থেকে ৩ মিনিট পর কেউড়া জল দিতে হবে ১ চা চামচ এবং সঙ্গে ১ কাপ পানি দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিবেন। ৬ থেকে ৭ টি কাঁচা মরিচ, ১ টেবিল চামচের মতো মাখন, দেড় টেবিল চামচ মাওয়া, দেড় টেবিল চামচ গুড়া দুধ, এক চা চামচ ঘি দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিবেন। চুলার আঁচ এক দম কমিয়ে আরও ৫ থেকে ৬ মিনিট রান্না করতে হবে। এ ভাবেই তৈরি হয়ে যাবে রেস্টুরেন্টের স্টাইলে খাসির রেজালা।
Thank you for reading!
পিকনিকের খাবারের মেনু কেমন হলে ভাল? মাথায় রাখুন কিছু বিষয়
এখন শীতকাল আর এই শীতে আমাদের মনে জাগে নানান রকম আনন্দের ছোঁয়া। তবে আরও একটা কারণেও কিন্তু শীতের মৌসুম আসার অপেক্ষায় থাকে অনেকে, সেটা কী জানেন ? বলছি পিকনিকের কথা। শীতকাল আসবে, আর বন্ধুরা মিলে কিংবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোনও পিকনিকের আয়োজন করা হবে না, তা কি হয়। না, একদমই হয় না! তাহলে আমরা জেনে নিতে পারি পিকনিকের খাবারের মেনু কেমন হলে ভালো হবে।
১) ট্রাভেল টাইম
কতদূরে আপনার পিকনিক স্পট, সেখানে পৌঁঁছতে কতক্ষণ সময় লাগবে, সেটা আগে হিসেব করে নিন। কারণ যদি তাড়াতাড়ি পৌঁছে যান, তাহলে স্পটে গিয়েই জলখাবার খাওয়া হবে। আর নাহলে খেয়ে নিতে হবে যাওয়ার পথেই। ঠিক তেমন ভাবেই পৌঁছতে বেশি সময় লাগলে বেশি আইটেম রান্না করাও সম্ভব হবে না।
২) রান্না হবে নাকি অর্ডার করবেন
পিকনিক মানে একসঙ্গে হুল্লোড়। বেশিরভাগ সময়ই পিকনিকে গিয়ে কোমরে গামছা বেঁধে রান্না করার ছবিটা বাঙালিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। আবার অনেকে একসঙ্গে কোনও একটা বাগান বাড়ি বা পার্কে গিয়ে হুল্লোড় করেন। আর ঠিক সময়ে চলে আসে অর্ডার করা খাবার।
রান্নাটা লিস্ট থেকে বাদ দেন কোনও কোনও গ্রুপ। আপনার পিকনিকটা কোন ধরনের, সেটা ঠিক করুন আগে। অর্থাৎ স্পটে গিয়ে রান্না করবেন নাকি খাবার অর্ডার করবেন, সেই ডিসিশন নিয়ে নিন আগেই।
৩) কারা যাচ্ছেন
আপনাদের গ্রুপে কতজন অ্যাডাল্ট থাকছেন, আর কতজন শিশু সেই হিসেব মাথায় রেখে মেনু সেট করতে হবে। কারণ শিশুর সংখ্যা বেশি থাকলে, তাদের জন্য কম ঝালের রান্না বা হালকা রান্নার ব্যবস্থা রাখতে হবে। আবার দলে টিনএজার বেশি থাকলে তাদের পছন্দ মতো রাখতে হবে স্পাইসি ফুড।
আপনাদের দলের কারও কোনও খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে কিনা, তা জেনে নিন আগে থেকেই। তার একটা লিস্ট করুন। মেনুতে যাতে সেই ধরনের খাবার না থাকে, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি।
৪) স্ন্যাক্স
মেনকোর্সের পাশাপাশি প্রপার স্ন্যাক্সের ব্যবস্থাও রাখুন পিকনিকে। কারণ পিকনিক মানেই পানীয়র ব্যবস্থা থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। সেখানে স্ন্যাক্স লাগবে। আবার যারা পানীয়তে আগ্রহী নন, তাদেরও আলাদা রিফ্রেশমেন্টের প্রয়োজন হবে। ফলে মেনকোর্স সেট করতে গিয়ে স্ন্যাক্সের কথাটা ভুলে গেলে চলবে না।
৫) পছন্দ-অপছন্দ
আপনি হয়তো পিকনিকে গিয়ে মাংস-ভাত খেতে ভালবাসেন। আপনার দলের হয়তো আরও তিনজনের সেটাই পছন্দ। কিন্তু বেশিরভাগের পছন্দ চাইনিজ খাবার। তাই যারা পিকনিকে যাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগের কোন খাবার পছন্দ সেটা জেনে নিয়ে মেনু ঠিক করুন।
Thank you for reading!
খুদের ভাত তৈরি করার রেসিপি
ভাত আমরা কমবেশি সবাই খেয়ে থাকি,কিন্তু জানেন কি সুস্বাদু একটি খাবার খুদের ভাত। এই ভাতের সাথে আমরা নানারকম ভর্তা, ডিম ভাজি কিংবা মাংসের ঝোলের সঙ্গে এর স্বাদ অনন্য। অনেকে সকালের নাস্তায়ও এই খাবারটি খেয়ে থাকেন ।তাহলে দেরি না করে জলদী জেনে নেই মজাদার খুদের ভাত রান্নার রেসিপি
উপকরণ :
* খুদের চাল ২ কাপ
* পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ
* আদা বাটা ১ চা চামচ
* রসুন বাটা আধা চা চামচ
* তেজপাতা ২টি
* শুকনা মরিচ ৩টি
* লবণ পরিমানমতো
* তেল ৩ টেবিল চামচ
* পানি ৩ কাপ বা আরও কিছু বেশি।
প্রণালি :
প্রথমে খুদের চাল ভাল ভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটা হাড়িতে খুদের চাল, পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, তেজপাতা, লবণ, তেল ও শুকনা মরিচ টুকরা করে একসাথে মিশিয়ে পানি দিয়ে চুলায় দিয়ে ঢেকে দিন।
ফুটে ওঠা মাত্রই চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। আধা ঘণ্টা বা চাল না ফোটা পর্যন্ত মৃদু আঁচে রেখে নামিয়ে ফেলুন
এবার আমরা ভর্তা বা ভুনা মাংসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করতে পারি।
Thank you for reading!
শীতে আলুর স্যান্ডউইচ
এখন চলে আসছে শীতের সকাল অথবা বিকেল বেলা গরম চায়ের সঙ্গে আমাদের একটা কিছু চাই-ই চাই। তবে মুখরোচক খাবারের পরিবর্তে একটু ভিন্ন কিছু খেতে চাইলে শীতের সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তা হিসেবে তৈরি করতে পারেন মজাদার আলুর স্যান্ডউইচ। খুব সহজেই ঝটপট তৈরি করে ফেলা যায় ভীষণ মজার এই খাবারটি। আসুন তাহলে দেখে আসি আলুর স্যান্ডউইচ কিভাবে বানায়।
উপকরণ:
পাউরুটি ৪ পিস, আলু সেদ্ধ দুটি, সয়াবিন তেল এক টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি একটি, আদা বাটা দেড় চা-চামচ, পুদিনা পাতা কুচি তিন টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি (মাঝারি সাইজের) একটি, হাফ ক্যাপসিক্যাম কুচি, ছোট গাজর কুচি একটি, হাফ টমেটো কুচি, লবণ পরিমাণ মতো, টমেটো সস, বাটার।
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে মেখে নিন। এরপর আলুর সঙ্গে টমেটো সস ও বাটার ব্যতীত বাকি সব উপকরণ মাখিয়ে নিন। একটি পাত্রে তেল গরম করে আলুর মিশ্রণটাকে কিছুক্ষণ ভেজে নিন। এরপর একটি তাওয়ায় পাউরুটি হালকা সেঁকে নিন। এবার পাউরুটিগুলোকে মাঝে কেটে নিন কোণাকুণি করে। পাউরুটির মাঝে প্রথমে বাটার লাগিয়ে নিন তারপর টমেটো সস লাগিয়ে নিন। এরপর আলুর মিশ্রণটি পাউরুটির একটি টুকরাতে একটু পুরু করে লাগিয়ে ওপরে পাউরুটির অপর টুকরাটি বসিয়ে দিন।
ব্যস হয়ে গেল মজাদার আলুর স্যান্ডউইচ। শীতের সকাল অথবা বিকেল বেলা গরম চায়ের সঙ্গে উপভোগ করুন মজাদার এই নাস্তা। চাইলে সেদ্ধ আলুর সঙ্গে সেদ্ধ মটরশুটি যোগ করে খাবারটিকে আরো মুখরোচক করে নিতে পারেন।
Thank you for reading!
পাউডার দুধের পায়েস
পাউডার দুধ মানেই ভিন্ন ভিন্ন খাবারের স্বাদ। আমরা অনেক সময় পাউডার দুধ দিয়ে ক্ষীর পায়েস বা সেমাই অনেক কিছু রান্না করে থাকি। গুড়া দুধ আমাদের সবার একটি রাজকীয় খাবার,এই মজাদার পাউডার দুধের পায়েস খেতে কি কি লাগে চলুন তাহলে দেখে আসি।
উপকরণ
* ২০০ গ্রাম আতক চাল
* ২৫০ গ্রাম (গুঁড়ো দুধ)
* ১কাপ মিছরি
* কয়েকটি কাজুবাদাম
* প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকটি কিসমিস
* ৩-৪ টি এলাচ
* ২ টি তেজপাতা
* ৩ চা চামচ ঘি
রেডি পাউডার দুধ দিয়ে বানানো মিষ্টান্ন পায়েস একদিন বানিয়ে ফেলুন আর এই শীতের দুপুরে জমিয়ে খান।
Thank you for reading!
তিতা খাবার এড়িয়ে যাবেননা,রয়েছে উপকারিতা
আমরা কমবেশি সবাই তিতা খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে সব সময় তিতা খাওয়ার জন্য আমরা বাসায় রান্নাবান্না করে থাকি। অনেক সময় আমরা নিম পাতা, না হয় করলা, অথবা উচ্ছে, নিদেনপক্ষে সজনে ফুল, কিছু না কিছু একটা মেনুতে থাকবেই৷ তিতা সবজি খাওয়ার এই ব্যাপারটা কিন্তু কেবল এ দেশে নয়, বিদেশেও আছে৷ সেখানেও কেল নামে একটি শাকজাতীয় উপাদান মেলে যা স্যালাডে মিশিয়ে খাওয়া হয়, সেটিও তিতকুটে এবং মা-বাবারা পুষ্টিগুণের দোহাই দিয়ে বাচ্চাদের সেটি খেতে বাধ্য করেন৷
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, তিতা খাওয়াটা জরুরি কেন? প্রথম কারণ হচ্ছে এটি মুখের স্বাদ বদলাতে সাহায্য করে, কাজ করে প্রাকৃতিক প্যালেট ক্লেনজ়ার হিসেবে৷ প্রথম পাতে তিতা খান, বাকি সব খাবারই সুস্বাদু লাগবে৷ সাধারণত তিতা সবজিগুলি হজমের পক্ষে সহায়ক হয়, বাড়ায় বিপাকক্রিয়ার হার৷ আর যেহেতু গরমকালে বিপাকের হার ক্রমশ মন্দগতিপ্রাপ্ত হয়, তাই তিতা খাওয়াটা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়৷ লক্ষ করলেই দেখবেন, প্রকৃতিতেও এই সময়টায় অজস্র তিতা সবজি মেলে, সজনের ফুল, কচি নিমপাতা, উচ্ছে, করলা… তাই নিয়মিত তিতা খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো৷
নিমপাতা:
নিমের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই৷ আয়ুর্বেদে মনে করা হয়, নিম নিয়মিত সেবন করলে শরীরের ‘বাত’দোষের খণ্ডন হয়, সেরে যায় সব নিউরোমাসকিউলার সমস্যা৷ সুস্থ থাকে ত্বক-চুল, বাড়ে লিভারের কর্মক্ষমতা৷ নিয়মিত নিমপাতা খেলে ক্ষুদ্রান্ত্রের ব্যাকটেরিয়াও নিয়ন্ত্রণে থাকে৷
উচ্ছে/ করলা:
এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ বাড়ায় প্রতিরোধক্ষমতা, পেটফাঁপা কমে, নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড সুগার৷
সজনে ফুল:
প্রচুর ক্যালশিয়াম আর পটাশিয়াম মেলে৷ যে সব মায়েরা স্তন্যদান করছেন, তাঁদের জন্য আদর্শ৷ আয়ুর্বেদ মতে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, সর্দি-জ্বরের উপশমে এর ব্যবহার আছে৷ খুব কষা লাগলে অল্প গরম জলে মিনিট পাঁচেকের জন্য ভাপিয়ে জলটা ফেলে দিয়ে রান্না করুন৷
ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটের সলিউবল ফাইবার, মিনারেল আর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে৷ ডার্ক চকোলেটের একটি ছোট্ট টুকরো রোজ খেতে পারেন৷
Thank you for reading!
অফিসের লাঞ্চের জন্য কোন খাবার বেছে নিবেন
আমরা অনেক অনেক অফিসে দলবেঁধে দুপুরের খাবার খাই সহকর্মীরা। হতে পারে সেটা বাসার বা বাইরের খাবার। আবার কেউ কেউ একা নিজের ডেস্কে বসেই খাবার খান। যাঁরা বাইরে থেকে খাবার কিনে খান, চিকিৎসকেরা মনে করেন তাঁদের শরীর নানাভাবে অসুস্থ থাকে। একান্তই যদি বাসা থেকে খাবার আনা সম্ভব না হয়, তখন মাঝে মাঝে বাইরে খাওয়া যেতে পারে। এখন অফিসে কী খাবার খাওয়া যায় কিংবা বাসা থেকে কেমন ধরনের খাবার আনা উচিত—এটা নিয়ে দ্বিধা দেখা দেয়। আবার রোজ রোজ ভাত বা ভারী খাবার খেলে ওজন মেশিনের কাঁটাও বাড়তে থাকে।
যে খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়
যে খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় এবং হজম করতে সুবিধা হয়, এমন খাবার খাওয়া উচিত। দুপুরে ভারী কোনো খাবার বা তেল-মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে কাজ করতে অনেক সময় অসুবিধা হয়। কিন্তু হালকা ধরনের খাবার খেলে কাজ করতে পারা যায়। যাঁরা ভাত খেতে চান তাঁদের অল্প পরিমাণে ভাত, সবজি এবং ডাল খাওয়া উচিত। তবে কেউ যদি ভাতের বদলে রুটি-সবজি ও ডাল খেতে পারেন, তাহলে খাবারটা হজম হতে বেশি সুবিধা হয়। একই সঙ্গে শরীর প্রোটিন পায় এবং হালকা লাগে।তা ছাড়া ঝামেলা এড়াতে স্যান্ডউইচ, সিরিয়াল এবং ফল খাওয়া যেতে পারে। অনেকে দুপুরের খাবার এড়ানোর জন্য ফলমূল-বাদাম খান। বাসা থেকে ফলমূল যেমন: গাজর, শসা ইত্যাদি নিয়ে আসা যায়। আমেরিকার একজন বিখ্যাত পুষ্টিবিদ জনি ব্রডেন বলেন, অফিসে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা শরীরে প্রোটিন জোগাবে, যা ২০০ ক্যালরির সমান। তা ছাড়া চকলেটও খাওয়া যেতে পারে। চকলেট শরীরে শক্তি জোগায়।
পানি পান করা
অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ লিসা দি ফাজিও বলেন, অফিসে এমন খাবার খাওয়া উচিত নয় যা খাওয়ার ফলে ঘুমঘুম ভাব হয় এবং কাজের প্রতি অনীহা হয়। অফিসে থাকার সময় সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত তা হলো দিনে সবারই অন্তত চার গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে। অনেকেই দেখা যায় ক্লান্ত হওয়ার ফলে ঘন ঘন দুধ চা খাচ্ছেন, কিন্তু দুধ চায়ের বদলে গ্রিন টি পান করা বেশি কার্যকর। কাজের ফাঁকে শুকনা ফল—বাদাম, আখরোট, কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে। এতে ফাস্টফুডও খাওয়া হলো না, ওজন নিয়েও চিন্তা থাকবে না।
Thank you for reading!
যে সব খাবার খেতে খুব সকালে আপনাকে পুরান ঢাকায় যেতে হবে
আমাদের অনেকেরই পুরান ঢাকার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। আমরা ওখানে গেলেই দেখতে পারি কত রকমের সুস্বাদু খাবার,আর ওখানে আছে বিভিন্ন খাবারের বাহারি নাম। আর সেই স্বাদ নিতে বিভিন্ন জাইগা থেকে খাবার প্রেমিরা ভিড় জমান পুরান ঢাকার খাবারের হোটেল গুলোতে। এখন আমরা দেখবো যে সব খাবার খেতে খুব সকালে আমরা পুরান ঢাকাই যাই।
আমরা আগে শ্যামবাজারের দিকে পা বাড়ালেই হাতের ডানে পাবো হোটেল ক্যাফে কর্নার। এখানে এসে দেখতে পাবেন মাথার ওপর মাথা দাঁড়িয়ে। রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় খাবার পরিবেশনকারীদের। সকালের নাশতা এখানে ডাল-ভাজি, হালুয়া, পরোটা, ডিম ও চা। এই খাওয়ার জন্য মানুষের ভিড়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন চলে এসেছেন সকালের নাশতা খেতে। ছুটির দিনে এই অবস্থা দেখে থমকে যেতে হয়। এক ছুটির দিনে আপনিও হোটেল ক্যাফে কর্নারের খাবারের স্বাদ নিতে পারেন। ক্যাফে কর্নারের চায়ে সত্যিকার চায়ের ঘ্রাণ পাবেন। আরেকটি কথা, ক্যাফে কর্নারের বয়সও কিন্তু এক শ বছরের ওপরে!
লুচি ভাজি,খাসির পায়া নান রুটি বিভিন্ন রকমের সকালের নাস্তা
বহু বছর আগে এখানে শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ ছিল। এখন সেই শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ নেই, তবে নিউ শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ আছে। সকালের খাবারের জন্য এই দোকান এককথায় অনন্য। হোটেলটির অবস্থান ইসলামপুরের কাছের ১৮/১ পাটুয়াটুলীতে। রেস্তোরাঁটি মাটির নিচে হওয়ায় একটু খোঁজ করতে হয়। এখানে পরোটা লুচি ও দুই রকম ভাজি পাওয়া যায়। লুচি, ভাজির সঙ্গে মুখরোচক চাটনির জন্য হলেও এখানে ভোজনরসিকদের ভিড় জমে যায়। তা ছাড়া এখানে পাবেন খাসির পায়া, ডাল, স্যুপ ও নানরুটির সঙ্গে গাজর ও বুটের বিভিন্ন প্রকারের হালুয়া, বুন্দিয়া ও জিলাপি। এর সবই সকালের নাশতার পদ।
গরুর মাংস ভুনা ও নেহারি
নাসিরুদ্দিন সর্দার লেনে নাসির হোটেল একনামে পরিচিত ছিল, কেবল গরুর ভুনা মাংসের জন্য। হোটেল মালিক নাসির মারা গেলে এখানকার কর্মচারীদের নিয়ে শুরু হয় বিসমিল্লাহ হোটেলটি। ভুনা মাংস এখানকার প্রধান খাবার হলেও সকালে নেহারি এর প্রধান আকর্ষণ। সারা সপ্তাহ এখানে গরুর নেহারি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শুক্রবার শুক্রবার এখানে স্পেশাল নেহারি বিক্রি হয়, দাম ৮০ টাকা। ধোলাইখালের একেবারে কাছে বিসমিল্লাহ হোটেল। জজকোর্টের পেছনে। কলতাবাজার আল-মঈন মাদ্রাসার ঠিক পাশে। কী, আসছেন তো?
Thank you for reading!
হাওয়াই মিঠাই
আমরা কম বেশি সবাই চিনি হাওাই মিথা। আমাদের বাসার অনেক জায়গা শহরের অলিগলিতে হাঁক মেরে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে হকাররা। বাঁশের কাঠিতে গুঁজে দেওয়া হয় হাওয়াই মিঠাইয়ের তুলতুলে বল। দূর থেকে দেখে মনে হয়, কোথা থেকে যেন সাদা, গোলাপি কিংবা নীল মেঘের ভেলা ভেসে আসছে। ওজনে একদম হালকা আর বিশাল এক টুকরো মুখে ঢোকানোর সঙ্গে সঙ্গেই হাওয়ার মতো মিলিয়ে যায়। আর তাই দেখেই তো এ মুখরোচক খাবারটির নাম হাওয়াই মিঠাই। দেখতে তুলার মতো বলেই এমন নাম। অনেকে তো হাওয়াই মিঠাইকে মজা করে বুড়ির মাথার পাকা চুলও বলে থাকে ।চলুন তাহলে জেনে আশি হাওাই মিঠা সম্পর্কে।
ইতিহাস বলছে, চৌদ্দ শতকে ইতালিতে চিনির তৈরি এ খাবার প্রচলন হয়। ইউরোপে সেটিই প্রথম। সেই সময় ঘরোয়াভাবেই সামান্য চিনির ঘন রস বিশেষ পদ্ধতিতে সুতার মতো বানানো হতো হাওয়াই মিঠাই। আঠারো শতক পর্যন্ত এভাবেই তৈরি হয়েছে খাবারটি। ১৮৯৭ সালে মার্কিন উইলিয়াম মরিসন ও জন সি. ওয়ারটন প্রথমবার এই খাবার তৈরির এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। তবে শুরুর দিকে ওই যন্ত্রে তৈরি হাওয়াই মিঠাই তেমন জনপ্রিয় হয়নি। ব্যাপকভাবে এর প্রসার বাড়ে ১৯০৪ সালে। সে বছর মরিসন আর ওয়ারটন তাঁদের যন্ত্রে তৈরি হাওয়াই মিঠাই নিয়ে হাজির হলেন সেন্ট লুইসের বিশ্ব মেলায়। ওই মেলার প্রথম দিনই ২৫ সেন্ট করে ৬৮ হাজার ৬৫৫ বাক্স হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হয়েছিল। তখনকার হিসাবে সেটি বেশ বড় অঙ্ক!
এরপর ক্রমেই বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায় খাবারটি। চাহিদা ও জনপ্রিয়তার জন্য একাধিক কোম্পানি এগিয়ে এল এই মজাদার খাবার তৈরিতে। টটসি রোল অব কানাডা লি. বিশ্বের সর্বাধিক হাওয়াই মিঠাই উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান। দামি চকলেট, আইসক্রিম কিংবা ক্যান্ডিতে বাজার সয়লাব হলেও পুরোনো সেই হাওয়াই মিঠাইয়ের কদর কিন্তু এখনো কমেনি। আজও মেলায়, স্কুল গেটে কিংবা শপিং মলের বাইরে হাওয়াই মিঠাইওয়ালাকে দেখে অনেকেই ভিড় জমায়। এমনকি এই ছোট্ট ছোট্ট রঙিন মেঘের টুকরো দেখলে বড়দেরও জিবে জল আসতে বাধ্য।
সাধারণত হাওয়াই মিঠাই তৈরির যন্ত্রের নিচের অংশে একটি মোটরচালিত চুলো থাকে। এখানেই সাদা চিনিকে তাপ দিয়ে গলিয়ে ঘন ক্যারামেলে পরিণত করা হয়। এরপর তার সঙ্গে মেশানো হয় ফুড কালার। ক্ষেত্রবিশেষে বিশেষ গন্ধ ও স্বাদের জন্য নানা সুগন্ধিও ব্যবহার করা হয়। যন্ত্রের ওপরের অংশে মোটরের সাহায্যে একটি চাকা তীব্র বেগে ঘুরতে থাকে। চাকাটিকে আবৃত করে থাকে একটি অতি সূক্ষ্ম ছিদ্রযুক্ত পাতলা স্টিলের পাত। গরম ঘন ক্যারামেল ছিদ্রযুক্ত সেই লোহার পাত দিয়ে বের হওয়ার সময় সেগুলো তীব্র গতিতে অনেক সূক্ষ্ম সুতার মতো বের হয়। আর বাইরের বাতাসের স্পর্শে এসেই ঠান্ডা হয়ে যায়। এরপর একটা সরু কাঠি দিয়ে সুন্দর করে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে সংগ্রহ করা হয় হাওয়াই মিঠাই। কিন্তু একটি কাঠিতে হাওয়াই মিঠাই পরিমাণে দেখতে অনেক মনে হলেও সাধারণত এক কাঠিতে মাত্র ৩০ গ্রামের মতো চিনি থাকে। আর বাদবাকি মানে ৭০ ভাগই থাকে হাওয়া কিংবা বাতাস। সে জন্যই তো নাম হাওয়াই মিঠাই।
Thank you for reading!
সহজেই বানিয়ে ফেলুন রুটি দিয়ে লাসানিয়া
বাড়িতেই খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন স্পাইসি চিলি চিকেন
চালের গুড়ার রুটির সাথে হাঁসের মাংস
আমরা বাঙ্গালি মানেই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। আমাদের বাঙ্গালির ভোজনরসিক পছন্দের তালিকায় প্রায় শীর্ষ স্থানে আছে হাঁসের মাংস ভুনা ও চালের রুটি।
আমরা কম বেশি সবাই জানি হাঁসের মাংস সবার একটা পছন্দের খাবার আর তার সাথে যদি থাকে চালের রুটি তাহলে তো কথাই নাই। এখন শীত চলে এসেছে এই শীতকালে হাঁসের মাংসের সাথে চালের রুটি সবারই খুব ভালো লাগে। চলুন তাহলে দেখে নেই কিভাবে আমরা রান্না করবো হাঁসের মাংস,আর তার সাথে থাকছে মজাদার চালের রুটি।
চালের গুড়ার রুটি
উপকরণঃ
৩ কাপ চালের গুড়ো, পানি,৩ চা চামচ অয়েল,১/২ চা চামচ লবন।
প্রণালীঃ
পানির মধ্যে লবন ও তেল দিয়ে ফুটাতে দিতে হবে। পানি ফুটলে চালের গুড়া পানির মধ্যে দিতে হবে। গ্যাস কমিয়ে ঢাকা দিয়ে ২মিনিট রাখতে হবে।২ মিনিট পরে গ্যাস বন্ধ করে ৫ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। নামিয়ে ঠান্ডা হলে খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে।
রুটি বেলে নিতে হবে। তাওয়া তে রুটি হালকা ভেজে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চালের গুড়ার রুটি।
হাঁসের মাংস
উপকরণঃ
হাঁস ১টি, চামড়া সহ / চামড়া ফেলে দিতে পারেন )
নতুন আলু ছোট ৫/৬ টি ,
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,
রসুন বাটা ২ চা চামচ,
জিরা বাটা ২ চা চামচ,
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,
মরিচ গুঁড়ো ২ চা চামচ, (ঝাল বুঝে মরিচ গুঁড়ো বেশি বা কম করতে পারেন )
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ,
দারুচিনি ৩ টুকরা,এলাচ ৪টি,
তেজপাতা ২/৩ টুকরো ,
কাঁচামরিচ ৫ টি,
আস্ত শুকনো মরিচ ৩টি,
তেল আধা কাপ,
গরম পানি ২/৩ কাপ।
লবণ স্বাদ মত ,
জায়ফল গুঁড়ো এক চিমটি।
রান্নার প্রস্তুত প্রনালীঃ
- আমরা প্রথমে হাঁড়িতে তেল গরম করে গোটা মসলা দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে নিবো। তারপর কাঁচা মরিচ ও জায়ফল গুঁড়ো বাদে সব মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে একটু পানি দিয়ে আরো কষাতে হবে।
- এরপর মাংস ও লবণ দিন। হালকা আঁচে মাংস ভালোমতো কষিয়ে তেল ওপরে উঠলে মাংসে গরম পানি দিন। (হাঁসের মাংশ সিদ্ধ হতে একটু বেশি সময় লাগে )
- তারপর মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে ঝোল মাখা মাখা হলে কাঁচামরিচ ও জায়ফল গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
হয়ে গেলো মজাদার হাঁসের মাংস ও চালের গুড়ির রুটি। এবার আমরা গরম গরম পরিবেশন করতে পারি।
Thank you for reading!
শীতের সন্ধ্যায় হয়ে যাক এক কাপ গরম গরম হট চকলেট
সকালের নাস্তায় হোক গরম গরম খিচুড়ি
মজাদার চিংড়ি ভাজা
ঘরেই বানান বাটার নান
