কলার খোসার গুনাগুণ!!
শরীর সুস্থ রাখার ফলের গুরুত্ব অনেক। এনার্জি বাড়ানো থেকে শুরু করে ওজন কমান সব কিছুতেই ডায়েট চার্টে সবার শুরুতেই থাকে ফল।তবে ডায়াটেশিয়ানরা মনে করেন ,ফলের চেয়ে ফলের খোসার উপকারিতা বেশি।যেমন কলার চেয়ে কলার খোসার উপকারিতা বেশি।
কলায় আছে পটাসিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি৬ ,ভিটামিন বি১২,ফাইবার ইত্যাদি । যা পেট পরিষ্কার করে ও হজমে সাহায্য করে। কলা আমরা বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকি।কলা যেভাবেই খাই না কেন,কলার খোসাটি স্থান পায় ময়লার ঝুড়িতে ।কিন্তু এই কলার খোসাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ।যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সাথে যেকোনো সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে।খোসার মধ্যে থাকা লুটিন নামক পদার্থ দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। খোসায় থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
জাপানে এক গবেষণায় দেখা গেছে,হলুদ খোসা সবুজ খোসা থেকে বেশি উপকারি।এই খোসা রক্তে শ্বেত কণিকার পরিমান ঠিক রেখে ক্যান্সার মোকাবেলা করতে পারে। সবুজ খোসায় থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ত্রিপ্টোফ্যানের কারণে রাতে ভালো ঘুম হয়।আবার সবুজ খোসায় থাকা সিরোটোনিন অবসাদের মোকাবেলা করতেও কার্যকরী। ডোপামিনের সাহায্যে কিডনিতে রক্ত চলাচল ভালো হয়।
কলার খোসা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। এশিয়া ও ক্যারাবিয়ান দ্বীপগুলোতে কলার শাঁস ও খোসা প্রায় এক সাথেই খাওয়া হয়। স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে বানানা পিল টি বা বানানা পিল স্মুদি অনেক জনপ্রিয়। কেউ কাঁচা খোসা আবার কেউ সিদ্ধ খোসা খেতে পছন্দ করেন।
ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত।
Thank you for reading!