ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে পান করুন অ্যালোভেরা জুস
১।হার্টের ক্ষমতা বাড়ে
হার্ট সুস্থ রাখতে অ্যলোভেরা সাহায্য করে। অ্যলোভেরা কোলেস্টেরলের মাএা কমিয়ে দেয়। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে দেয়। এতে দীর্ঘদিন হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে।
২।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
অ্যালোভেরার জুস রক্তের সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়া খেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
৩।মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করে
মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ অ্যালোভেরা কাযর্করী। ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেল এর ক্রিম লাগানো লাগালে ব্যথা কমে যায়।
৪। দাঁতের যত্নে
দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরা জুস এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। তাতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে অ্যালোভেরা জুস।
৫।ক্ষতের চিকিৎসায় কাজে আসে
চোট-আঘাত লাগলে সেই ক্ষত সারতে খুব কাজ করে অ্যালোভেরা জুসে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে, যে কোনও ধরনের ক্ষত সারতে সময় লাগে না। ক্ষতের উপরে অ্যালোভেরা জেল লাগালেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
৬।নানাবিধ হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হয়
নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে প্রয়োজনীয় হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হতে শুরু করে। ফলে হরমেনাল ইমব্যালেন্স হওয়ার মতো সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প প্যানক্রিয়াস সংক্রান্ত নানা রোগের চিকিৎসাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭।পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়
নিয়মিত এই প্রকৃতিক উপদানটি খাওয়া শুরু করলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতিও দূর হতে থাকে। প্রসঙ্গত, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল সেই উপাদান, যা আমাদের শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যালোভেরা জেলকে যদি তুলসি, করলা অথবা আমলকির রসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে আরও বেশি উপকার মেলে। সে ক্ষেত্রে ভিতর এবং বাইরে থেকে শরীরের ক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৮।শরীর থেকে টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই রসটা যদি খেতে পারেন, তাহলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর পরিমাণ এত বৃদ্ধি পায় যে দেহের প্রতিটি কোণায় জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। এই সব টক্সিক উপাদানদের মাত্রা যদি বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাহলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ফলে নানাবিধ রোগ ঘারে চেপে বসতে সময়ই নেয় না।
৯।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
সুস্থভাবে দীর্ঘদিন যদি বাঁচতে চান তাহলে অ্যালোভেরা রস খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ নিয়মিত এই প্রকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
১০।হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
শীত মানেই পিকনিক, সেই সঙ্গে এদিক-সেদিকের খাবার খাওয়া তো রোজের নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়েছে। আর এমনটা করতে গিয়ে কি পেটের হাল বেজায় বেহাল হয়ে পরেছে? তাহলে তো আজ থেকেই অ্যালোভেরা জুস খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর পাচক রসের ক্ষরণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বদ-হজমের মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি এবং কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে। খাদ্যরসিকদের জন্য অ্যালোভেরা রস খাওয়ার অনেক প্রয়োজন।
ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
Thank you for reading!