অর্থকরী ফসল বেত গাছ
বেতফল এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ।
অতি মূল্যবান, ভেষজ ও অর্থকরী উদ্ভিদ বেত গাছ। বেত গাছের ফলকে বেতফল, বেত্তুন, বেত্তুইন ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। বেতফল যেমন পুষ্টিকর তেমন সুস্বাদু ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ। মূলত মাটির অবস্থা ভেদে এই ফল খুব মিষ্টি হয়। তবে এটি সাধারণত টক মিষ্টি স্বাদের একটি ফল।কখনো কখনো এর স্বাদ কষযুক্ত হয়ে থাকে। বাংলা মাসের চৈত্র, বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে বেতফল পাকে।
বাংলাদেশে গ্রামগঞ্জে বেত গাছ দেখা যায়। বেত কাঁটাময়, চিরসবুজ, অরোহী পাম। কাণ্ড লম্বা, কাঁটাযুক্ত ও শাখাহীন। বেত শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন কুটির শিল্প৷ রুচিশীল মানুষ আজও বেতের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারে খুবই উৎসুক উন্নতমানের হস্তশিল্প, গৃহের আসবাবপত্র এবং গ্রামবাংলার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরির জন্য বেতের ব্যবহার বেশি।
বেতের তৈরি জিনিসে রয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া।
এছাড়াও বেত গাছের মূল ও বেতফলে রয়েছে নানান ওষুধিগুণ।যেমন:
আমাশয় সারাতে : বেত গাছের ফল আমাশয় রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যাদের পুরাতন আমাশয় আছে তারা এই বেত গাছের শাঁস খেতে পারেন।
দাঁতের গোড়া শক্ত করতে : প্রথমে বেত গাছের মূল সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এই সিদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।
মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে : বেত গাছের মূলের ক্বাথ সেবন করলে মূত্র সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ নিরাময় হয়।
পিত্তশূল দূর করতে : প্রথমে বেত ফলের রস চিনির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি নিয়মিত খেলে পিত্তশূল ভালো হয়ে যাবে। অনেকে পানের সাথে সুপারীর পরিবর্তে বেত ফলের বীজ খেয়ে থাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে বেত গাছে নরম কান্ড সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে।
অনেক বিদেশি গাছের সমাদরে এই বেত গাছ দেশি গাছ হওয়া সত্বেও আজ বিলুপ্তির পথে।
Thank you for reading!
আজকে বিশ্ব ডিম দিবস
- ডিমে রয়েছে এ ভালো কোলস্টেরল। এটি দেহের মন্দ কোলস্টেরল দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
- একটি ডিম আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পরিপূরক।
- ডিমে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়- যা আমাদের দাঁত, চুল, ত্বক ও চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া ডিমের সাদা অংশ চুল ও ত্বকে লাগালে চুলের রুক্ষতাসহ ত্বক পরিষ্কার করতেও বেশ কার্যকরী।
- ডিমের কেরোটিনয়েড, লু্যটেন ও জিয়েক্সেনথিন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
- ডিমে প্রচুর জিংক, আয়রন এবং ফসফরাস পাওয়া যায়। রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে।
- অনেকের নখ মরে যায় এবং নখ ভেঙে যায়। ডিমের সাদা অংশ মরা বা ভাঙা নখের ওপর প্রলেপ দিলে নখ শক্ত হয়।
- ডিমে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি, যা পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে।
- একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়। কোলাইন যকৃত, স্নায়ু, ও মস্তিস্ক কে সর্বদা সুস্থ রাখে।
- একটি ডিম থেকে প্রায় ৬০-৭০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। শিশুর মেধা বিকাশে ডিম পরিপূরক।
Thank you for reading!
গরমে স্বস্তি দিবে যেসব খাবার
কাঁচা আমের শরবত
টুকরা মাংসের বিরিয়ানি?
আমাদের যে কোনও অনুষ্ঠান এলে মজাদার খাবারের স্বাদ নেয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়। গরু খাসি বা ভেড়া যেহেতু মাংস নিয়ে চিন্তা করতে হয় না একেবারেই। তার মধ্য রয়েছে মজাদার একটা রেসিপি টুকরা মাংসের বিরিয়ানি রেসিপি।এই রেসিপি যে কোনও মাংস দিয়া করতে পারেন।
নতুন নতুন স্বাদের বিরিয়ানি রান্নার সময় তো এখনই। তাই আজকে একটি মজাদার বিরিয়ানির রেসিপি নিয়ে আমাদের ফিচার। উৎসবে ঝটপট রেঁধে ফেলুন না খাসির মাংসের ঝাল বিরিয়ানি।
উপকরণঃ
* খাসির মাংস ১ কিলোগ্রাম (২ ইঞ্চি টুকরো করে কেতে নিন)
* বাসমতি চাল ২ কাপ
* আদা ৪ টুকরা
* রসুন কোয়া ২০ টি
* দই ২ কাপ
* কাঁচা মরিচ কুচি ২ টি
* মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ
* লবন স্বাদ মতো
* পেঁয়াজ ৪ টি (কুচি করে ভেজে নিন)
* লবঙ্গ ৬ টি
* দারুচিনি ১ টুকরা
* কাঁচা এলাচ ৫ টি
* শুকনো এলাচ ১ টি
* গোলমরিচ ১০ টি
* শাহি জিরা পাউডার আধা চা চামচ
* এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ
* গরম মসলা ২ চা চামচ
* ধনেপাতা কুচি ১ কাপ
* পুদিনা পাতা কুচি আধা কাপ
* অলিভ অয়েল ৫ টেবিল চামচ
* জাফরান দেওয়া দুধ ২ চা চামচ
* গোলাপ জল ১ চা চামচ।
প্রস্তুতপ্রণালিঃ
অর্ধেক আদা ও রসুন ভালো করে মিশিয়ে নিন।কিছু আদা স্লাইস করে কাটুন।
খাসির মাংসের সাথে দই,আদা, রসুন,কাঁচা মরিচ,গুঁড়া মরিচ,হলুদ গুরা,লবন, পেঁয়াজ কুচি ভাজা, লেটুস পাতা মিশিয়ে নিন।
লবঙ্গ,দারুচিনি,কাঁচা ও শুকনো এলাচ,গোল মরিচ, লবণ পাতলা রুমালে বেঁধে রাখুন। কড়াইয়ে ৫ কাপ পানি দিয়ে রুমালে বাঁধা মসলা দিন ।
এরপর লবণ, শাহি জিরা পাউডার এবং চাল দিয়ে আধা সিদ্দ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
ঢাকনা খুলে অর্ধেক চাল উঠিয়ে মাঝ খানে গর্ত করে মেরিনেড করা মাংস দিয়ে বাকি চাল দিয়ে ঢেকে দিন।
আধা ঘন্টা পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
ব্যাচেলরদের প্রধান ভয় রান্না করা! তাদের জন্য সহজ টিপস?
ব্যাচেলররা রান্না করতে চায় না, আবার রান্নার তেমন সময় পায় না এবং পুষ্টিকর খাবার নিয়েও তাদের তেমন কোন ভাবনা নেই। এই কারণে তারা নানান সমস্যায় থাকে। জেনে নিন তাহলে ব্যাচেলরদের সহজ রান্নার কিছু টিপস?
ডিম
পুষ্টিকর খাবার ডিম। এটি রান্না কিংবা পোচ করা খুবই সহজ। একটি ডিম পোচ করে তা দুটি পাউরুটির ভেতরে রেখে স্যান্ডউইচ বানাতে পারেন। এছাড়া সেদ্ধ করেও সহজে ডিম খাওয়ার উপযোগী করা যায়।
ফ্রুট সালাদ
টিভি দেখার সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে ফলমূল খাওয়া অভ্যাস করুন। এজন্য অল্প করে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কিনুন। তা পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপর কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এছাড়া স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য লবণ, মসলা ইত্যাদি দিতে পারেন।
ব্লেন্ডার/মিক্সার ব্যবহার করুন
ফলমূল জুস করে খাওয়ার জন্য ব্লেন্ডার/মিক্সার খুবই উপযোগী। তাই কিছু খরচ করে হলেও একটি ব্লেন্ডার বা মিক্সার কিনে নিন। এতে পরিমাণমতো ফলমূল দিয়ে মুহূর্তেই বানিয়ে ফেলুন মজাদার জুস। এটি বাজারের অস্বাস্থ্যকর পানীয় বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় গ্রহণে উৎসাহিত করবে।
ইনস্ট্যান্ট নুডলস
ইনস্ট্যান্ট নুডলস অনেক ব্যাচেলরেরই প্রিয়। তবে এতে শুধু নুডলস না রেখে ব্যবহার করুন কিছু সবজি। এছাড়া ডিম ও অন্য আমিষও দিতে পারেন।
ফ্রিজ ব্যবহার করুন
আপনার যদি অল্প খাবারের চাহিদা থাকে তাহলে কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন ঝোল তরকারিসহ বেশ কিছু খাবার। এগুলো পরবর্তীতে সম্পূর্ণ গরম করে খাওয়া যায়।
কাটা সবজি : অনেকেই সবজি বা ফলমূল কেটে খাওয়ার ভয়ে তা খাওয়াই ছেড়ে দেন। এক্ষেত্রে তাদের জন্য পরামর্শ হলো সুপারমার্কেটে কাটা সবজি বা ফলমূলের খোঁজ করুন। এটি অর্থ, সময় ও পরিশ্রম বাঁচাবে।
Thank you for reading!
চটজলদি আলুর কাটলেন
বাচ্চারা সবজি খেতেই চায় না,বানিয়ে ফেলুন সবজির কেক
পেয়ারার পুষ্টিগুণ?
হাতের নাগালে বেশ সস্তায় পাওয়া যায় এই দেশি ফল। ভিটামিন সি ও নানান খনিজ উপাদানে ভরপুর।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা।
তিনি বলেন, “পেয়ারা খুব উপকারী একটি ফল। বেশির ভাগ মানুষ এর স্বাদ ও গন্ধের জন্য পছন্দ করেন।।”
তিনি জানান, পেয়ারা থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন সি যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যারোটিন ও নানা রকম খনিজ। ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ’র কাজ করে। সস্তায় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে চাইলে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া যেতে পারে।
পেয়ারার নানা উপকারের কথা?
* পেয়ারা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।
* ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
* হজমে সাহায্য করে।
* এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে পেয়ারা।
* ক্যারটিন থাকায় পেয়ারা দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
* পেটের অসুখ ও নানারকম সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়া প্রতিকারে পেয়ারা সাহায্য করে।
* পেয়ারার আঁশ দেহের রক্তচাপ কমায়।
* যারা ওজন কমাতে চান তারা দৈনিক ১,২টি পেয়ারা খেতে পারেন। এটি ক্ষুধা নিবারণ করে ও শরীরকে সুস্থ রাখে ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
Thank you for reading!
ধনিয়া পাতা ভর্তা রেসিপি?
ভর্তা ভাতে বাঙ্গালী। একটা ভালো ভর্তা আর সাদা ভাত হলে এক বেলার খাবারে বাঙ্গালীর আর কিছু লাগে বলে মনে হয়না। তাহলে দেরি কেন চলুন দেখে আসি রেসিপি।
উপকরণ?
– ধনে পাতা ১ কাপ,
– পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ,
– রসুন কুচি ১ চা চামচ,
– কাঁচা মরিচ ৫টি,
– সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ,
– লবণ পরিমানমতো।
প্রস্তুত প্রণালী?
ধনেপাতা ধুয়ে একটা প্যানে হালকা করে ভাঁজুন। পানি শুকিয়ে এলে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, হালকা তেল দিয়ে ভেজে নিন। এবার শিলপাটায় মিহি করে বাঁটুন সব একসাথে।
এবার পরিমানমতো লবণ আর তেল দিয়ে মেখে নিন।
এখন এই অসাধারণ স্বাদের ভর্তা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
মজাদার মচমচে বেগুন ভাজার রেসিপি
আমাদের সবার একটা পছন্দের খাবার বেগুন ভাজি।খিচুড়ি কিংবা গরম ভাতের সাথে অনেকে খেতে পছন্দ করেন।বাজারে গেলেই বেগুনের সমাহার দেখা যায়,আর তখনি আমাদের মনে পড়ে মচমচে বেগুন ভাজি খাওয়ার কথা।চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক রেসিপি>
উপকরণ
১. বেগুন ১টি
২. চালের গুঁড়া আধা কাপ
৩. হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
৪. মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ
৫. জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ
৬. লবণ পরিমাণ মতো
৭. তেল প্রয়োজন মতো
পদ্ধতি
প্রথমে বেগুন গোল কিংবা লম্বা করে কেটে নিন পছন্দের আকারে। এবার কিছুক্ষণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে বেগুন ভাজার পরে কালো হয়ে যাবে না এবং এর ভেতরেও লবণ ঢুকবে। বেগুনের টুকরাগুলো থেকে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বেগুনের টুকরার এপিঠ ওপিঠে মাখিয়ে নিন।
প্যানে তেল দিয়ে ভালোভাবে গরম করুন। এরপর ঢেকে অল্প আঁচে এপিঠ ওপিঠ উল্টে ভেজে নিন। লালচে বা আপনার পছন্দের রং এলে নামিয়ে নিন কিচেন টিস্যুর উপর। ভালোভাবে তেল ঝরিয়ে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে নিন। ব্যাস, হলে গেল মচমচে বেগুন ভাজা।
Thank you for reading!
ভিটামিন ডি আছে যেসব খাবারে?
ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো বা রোদ। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট সরাসরি রোদে থাকলে শরীর পায় পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি। খাবার থেকেও স্বল্প পরিমাণে পেতে পারেন এই ভিটামিন।
* ১০০ গ্রাম মাশরুম থেকে মেলে বেশ খানিকটা ভিটামিন ডি।
* ভিটামিন ডি পেতে স্যামন মাছ রাখুন খাদ্য তালিকায়।
* চিংড়ি থেকেও পাওয়া যায় ভিটামিন ডি।
* কুসুমসহ ডিম থেকে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি।
* চিজ বা পনির রাখুন খাদ্য তালিকায়। বেশ খানিকটা ভিটামিন ডি পাবে দেহ।
* ননীযুক্ত এক কাপ দুধ থেকেও পাওয়া যাবে ভিটামিন ডি।
* দই খেতে পারেন রোজ।
আমরা সবসময় এই খাবার গুলো খেলে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হবে না।
Thank you for reading!
