Thank you for reading!

Thank you for reading!

আসুন জেনে নেই গ্রীষ্মকালের কিছু ফল সম্পর্কে

গ্রীষ্মকালে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজ, ডেউয়া, লটকন, গোলাপ জাম, বেতফল, গাব, জামরুল, আতাফল, কাউ, শরীফা প্রভৃতি ফল পাওয়া যায়।

ফলের ঘ্রাণে চারপাশ মৌ মৌ করে। গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো যেমন উপাদেয়, তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।

আসুন জেনে নিই কিছু গ্রীষ্মকালীন ফল সম্পর্কে :

আম

আম দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি স্বাদ, পুষ্টি ও গন্ধে অতুলনীয়। আম ফলের রাজা।

লিচু

লাল বর্ণের থোকা থোকা লিচুর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন না এমন বেরসিক মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। লিচু গ্রীষ্মকালীন ফল হওয়া সত্বেও খুব কম সময় পাওয়া যায়।

কাঁঠাল

কাঁঠাল জাতীয় ফল। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন-এ।

তরমুজ

প্রায় ৯০% পানি থাকায় ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের জুড়ি নেই।

জাম

প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি আছে এই ফলে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। এতে শর্করা খুব কম। তাই ডায়াবেটিস রোগী নিশ্চিন্তে জাম খেতে পারেন।

তাল

তালে পাওয়া যায় প্রচুর ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। তালের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগে বেশ উপকারী।

বেল

গরমে ঠান্ডা বেলের শরবতে প্রাণ জুড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেল অত্যাধিক উপকারী।

জামরুল

জামরুলে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় খাবার হজম করতে সুবিধা হয়। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে।

সফেদা

সফেদা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ একটি ফল।

আনারস

আনারসে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম ব্রোমেলেইন। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’-পাওয়া যায়।

লটকন

লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং প্রোটিন। যা আপনার ত্বক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত প্রোটিনের কারণে শরীর পায় তার প্রয়োজনীয় শক্তির উৎস।

ডেউয়া

ডেউয়ার ভিটামিন সি ত্বক, চুল, নখ, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

আতাফল

আতা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এছাড়া কিছু ভিটামিন, প্রোটিন, ও যথেষ্ট পরিমাণ মিনারেলও আছে।

কাউফল

ভিটামিন-সি তে ভরপুর কাউ ফলে আছে সর্দি-জ্বর ও ঠাণ্ডা সারাবার মতো ভেষজ গুণাগুণ। দিন দিন তাই বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে এই কাউ ফল।

Thank you for reading!

pendora

June 25, 2023

কাঁচা হলুদ দিয়ে রূপচর্চা

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হলুদকে কাঁচা সোনাও বলা হয়।

হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় নানাবিধ রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ সকালে যদি এক টুকরো কাঁচা হলুদ খাওয়া যায় তাহলে নানা শরীরিক উপকার মিলবে। ফল পাবেন হাতেনাতে। শরীর সুস্থ রাখতে এক কুঁচি কাঁচা হলুদের কোনও বিকল্প হয় না। সকালে খালি পেটে খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আসুন জানে নেই কাঁচা হলুদের কিছু গুণাগুন:

  • একটুখানি কাঁচা হলুদ আপনার হজমশক্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে সহজেই খাবার পরিপাক হতে সাহায্য করে এটি।
  • যাদের হাড়ে ক্ষয় জনিত সমস্যা রয়েছে, প্রতিদিন একটু করে কাঁচা হলুদ খান। কেননা কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
  • কাঁচা হলুদে থাকা ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বিভিন্ন ধরণের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে খাদ্যনালীকে সুরক্ষিত রাখে।
  • যাদের ডায়বেটিস রয়েছে তাদের জন্যও বিশেষ উপকারী কাঁচা হলুদ। কেননা এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে ও ইনসুলিন হরমোনের কাজ করতে সহায়তা করে।
  • দাঁতে নানারকম জীবাণু ও মাড়িতে ক্ষয় ধরে। কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল উপাদান দাঁতকে জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখে। সেই সঙ্গে দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধ করে মজবুত করে তোলে।
  • হলুদে থাকে অনেক আয়রন। রক্তে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে বা তা বাড়াতেও সহায়তায় কার্যকর হলুদ।
  • কোলেস্টরেল সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্যও কাঁচা হলুদ বিশেষ উপকার। এটা তাদের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
  • লিভারে বা যকৃতে উৎপন্ন টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থকে আমাদের শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে।
  • কাঁচা হলুদ বি-ডি-এন-এফ এর মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই কাঁচা হলুদের গুনাগুন আমাদের মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
  • আলসার থেকে পেটের রোগ থাকলে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
  • আধুনিক গবেষণায় জানা গেছে, কাঁচা হলুদের কারকামিন নামক উপাদানের ক্যান্সারনিরোধী ক্ষমতা আছে।
  • খাদ্যের সংক্রামক দূর করে।

 এছাড়াও কাঁচা হলুদ দিয়ে রূপচর্চার প্রচলন চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। তবে সব জিনিসেরই   বিধিসম্মত সতর্কীকরণ থাকে। তাই হলুদের গুণে প্রলোভিত হয়ে প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়া   সকলের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।

Thank you for reading!

pendora

June 17, 2023

ক্যাকটাস কি খাওয়া যায়?

আজকাল বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস আদালতের ছোট পরিসরের একটু জায়গায় নান্দনিকতা ও সৌন্দর্যের অনেক অংশ জুড়ে জায়গা করে নিয়েছে ক্যাকটাস।

ক্যাকটাসে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ,থায়ামিন, রিবোফ্লাভিনসহ নানান পুষ্টি উপাদান।

ক্যাকটাস উদ্ভিদটির পুরোটাই খাওয়া হয় না। এর পাতা, ফুল, কাণ্ড ও ফলই খাওয়ার যোগ্য। বিভিন্ন উপায়ে এসব অংশ খাওয়া যায়। সেদ্ধ করে ও রান্না করে খাওয়া যায়।ক্যাকটাস জুস করে খাওয়া যায় তবে শুধু ক্যাকটাস তিতকুটে স্বাদের হওয়ায় অন্য যেকোনো ফলের জুসের সাথে ব্লেন্ড করেও জুস বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়া গ্রীল করেও খাওয়া যেতে পারে।

ক্যাকটাসে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি থাকায় এটা ত্বক ও কোষ ভালো রাখে। ভিটামিন-সি থাকায় ইহা স্কার্ভি রোগ হতে বাধা দেয়।

ক্যাকটাসে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা মাংসপেশির ব্যাথা কমাতে সহায়ক। ক্যাকটাসে পানির পরিমাণ অত্যাধিক। এক গ্লাস ক্যাকটাসের জুস হতে পারে মাথা ব্যাথার এক চমৎকার ওষুধ। ক্যাকটাস সেবনে চুল পড়া বন্ধ হবে প্রাকৃতিক ভাবে।

Thank you for reading!

pendora

June 7, 2023

বরফ পানি খাওয়া কি নিরাপদ?

চলছে গ্রীষ্মকাল। তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ।

এই গরমে এক গ্লাস বরফ দেয়া পানিই যেনো শরীরে প্রশান্তি এনে দেয়।

অনেকেই বাহিরের থেকে এসেই বা কাজের ফাঁকে বরফ দেয়া এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয় শরীরকে শীতল করার জন্য।এমনকি অনেকেই আছে যাদের প্রতিনিয়ত বরফ দেয়া পানি বা ফ্রিজের পানি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।

কিন্তু ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা বরফ দেয়া পানি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনকি এতে জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে থাকে। স্বাভাবিক পানিয় পান করা স্বাস্থ্যসম্মত কিন্তু বরফ দেয়া পানি বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

আসুন জেনে নেই বরফ দেয়া পানি পানের কিছু খারাপ দিকঃ

  • যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের বরফ দেয়া পানি পান করার ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি দেখা দিবে।
  • বরফ পানি পান করলে খাদ্যনালী সংকুচিত হয়ে যায়।
  • বরফ দেয়া ঠান্ডা পানি পানে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে জ্বর আসতে পারে।
  • যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে বা টনসিল এর সমস্যা রয়েছে,বরফ দেয়া পানি খেলে টনসিল ফুলে যেয়ে সংক্রামক   বেড়ে যায়।
  • খাবারের পর ঠান্ডা পানি পান করলে খাবার হজম হয় না ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।
  • ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় কম পানিতেই তৃষ্ণা মিটে যায় ফলে পানির চাহিদা পুরোপুরি পূরণ হয় না।
  • যাদের দাঁতে সমস্যা রয়েছে তারা বরফ মিশ্রিত পানি পান করলে দাঁতের শিরশির অনুভূত হয়। এমন কি বরফ মেশানো পানি খেলে দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
  • এছাড়া অত্যাধিক ঠান্ডা পানি পানে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই পরিশেষে বলা যায়, সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরে পানির প্রয়োজনীয়তার কথা বলে শেষ করার মতো না।স্বাভাবিক পরিমিত পানি শরীরের জন্য আরামদায়ক।তাই আমরা বরফ মিশ্রিত পানি পান না করে স্বাভাবিক পানি পান করবো।

Thank you for reading!

pendora

June 7, 2023

অর্থকরী ফসল বেত গাছ

বেতফল এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ।

অতি মূল্যবান, ভেষজ ও অর্থকরী উদ্ভিদ বেত গাছ। বেত গাছের ফলকে বেতফল, বেত্তুন, বেত্তুইন ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। বেতফল যেমন পুষ্টিকর তেমন সুস্বাদু ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ। মূলত মাটির অবস্থা ভেদে এই ফল খুব মিষ্টি হয়। তবে এটি সাধারণত টক মিষ্টি স্বাদের একটি ফল।কখনো কখনো এর স্বাদ কষযুক্ত হয়ে থাকে। বাংলা মাসের চৈত্র, বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসে বেতফল পাকে।

বাংলাদেশে গ্রামগঞ্জে বেত গাছ দেখা যায়। বেত কাঁটাময়, চিরসবুজ, অরোহী পাম। কাণ্ড লম্বা, কাঁটাযুক্ত ও শাখাহীন। বেত শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন কুটির শিল্প৷ রুচিশীল মানুষ আজও বেতের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারে খুবই উৎসুক উন্নতমানের হস্তশিল্প, গৃহের আসবাবপত্র এবং গ্রামবাংলার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরির জন্য বেতের ব্যবহার বেশি।

বেতের তৈরি জিনিসে রয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া।

এছাড়াও বেত গাছের মূল ও বেতফলে রয়েছে নানান ওষুধিগুণ।যেমন:

আমাশয় সারাতে : বেত গাছের ফল আমাশয় রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যাদের পুরাতন আমাশয় আছে তারা এই বেত গাছের শাঁস খেতে পারেন।

দাঁতের গোড়া শক্ত করতে : প্রথমে বেত গাছের মূল সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এই সিদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।

মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে : বেত গাছের মূলের ক্বাথ সেবন করলে মূত্র সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ নিরাময় হয়।

পিত্তশূল দূর করতে : প্রথমে বেত ফলের রস চিনির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি নিয়মিত খেলে পিত্তশূল ভালো হয়ে যাবে। অনেকে পানের সাথে সুপারীর পরিবর্তে বেত ফলের বীজ খেয়ে থাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে বেত গাছে নরম কান্ড সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে।

অনেক বিদেশি গাছের সমাদরে এই বেত গাছ দেশি গাছ হওয়া সত্বেও আজ বিলুপ্তির পথে।

Thank you for reading!

pendora

June 3, 2023

আজকে বিশ্ব ডিম দিবস

National Egg Day!! 
June 3rd is time to get a crack on the annual observance of National Egg Day ! They are an egg-cellent. source of protein & are delicious too !! 
পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের জুড়ি নেই। ডিম খাওয়ার সব ধরনের উপায়ের মধ্যে সিদ্ধ করে ডিম খাওয়াকে সবচেয়ে পুষ্টিকর উপায় মনে করা হয়। কারণ সিদ্ধ ডিমের ক্যালোরি মোটামুটি কম। এতে প্রচুর পুষ্টি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। আপনি যদি দ্রুত ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন তবে সিদ্ধ ডিম আপনাকে সাহায্য করতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন ওমলেট, পোচের তুলনায় সিদ্ধ ডিমই কিন্তু বেশি উপকারি।
ডিম খাওয়ার উপকারিতা —
  • ডিমে রয়েছে এ ভালো কোলস্টেরল। এটি দেহের মন্দ কোলস্টেরল দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
  • একটি ডিম আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পরিপূরক।
  • ডিমে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়- যা আমাদের দাঁত, চুল, ত্বক ও চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া ডিমের সাদা অংশ চুল ও ত্বকে লাগালে চুলের রুক্ষতাসহ ত্বক পরিষ্কার করতেও বেশ কার্যকরী।
  • ডিমের কেরোটিনয়েড, লু্যটেন ও জিয়েক্সেনথিন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা       কমায়।
  • ডিমে প্রচুর জিংক, আয়রন এবং ফসফরাস পাওয়া যায়। রক্তশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে।
  • অনেকের নখ মরে যায় এবং নখ ভেঙে যায়। ডিমের সাদা অংশ মরা বা ভাঙা নখের ওপর প্রলেপ দিলে নখ শক্ত হয়।
  • ডিমে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি, যা পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে।
  • একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়। কোলাইন যকৃত, স্নায়ু, ও মস্তিস্ক কে সর্বদা সুস্থ রাখে।
  • একটি ডিম থেকে প্রায় ৬০-৭০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। শিশুর মেধা বিকাশে ডিম পরিপূরক।
তাহলে আর চিন্তা কেন, প্রতিদিন খাবারের ম্যানুতে সবার বয়স ভেদে ১/২/৩ টা করে ডিম রাখি।
মজার ম্যানু দিয়ে আমিও শুরু করলাম প্রতিদিন ডিম খাওয়া।
Shakshuka / শাকশুকা :
উপকরন :
* ২ টেবিল চা্মচ অলিভ অয়েল
* ১ টা বড় সাইজের পেয়াজ কুচি
* ২ টা লাল ক্যাপসিকাম কুচি
* ৩ কোয়া রসুন কুচি
* টমেটো পেস্ট
* ২ টা টমেটো কুচি
* ১ চা চামচ জিরা গুড়া
* ১ চা চামচ প্যাপরিকা
* ১/২ চা চামচ ধনে গুড়া
* ১/২ চা চামচ চিলি ফ্ল্যাক্স
* গোল মরিচ গুড়া
* লবন, আন্দাজ মত
* ৬/৮ টা ডিম
* ১/২ কিউব ফেটা পনির
* ধনে পাতা কুচি সাজানোর জন্য
* টোস্ট পাউরুটি, সাথে খাওয়ার জন্য
প্রনালী:
কড়াইতে অলিভ অয়েল গরম করে পেয়াজ + রসুন লাল করে ভাজতে হবে। এরপর একে একে জিরা, ধনে গুড়া, ক্যাপসিকাম, টমেটো, দিয়ে ভাল করে কষাতে হবে। প্যাপরিকা, চিলি ফ্ল্যাক্স, গোল মরিচ গুড়া, লবন দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। এবার বড় গোল চামচের পিছন দিয়ে চেপে থকথকে গ্রেভির উপরে গর্ত মত করে ৬/৮ টা ডিম ভেংগে দিতে হবে (পোচ করার মত)। উপরে কুড়ানো ফেটা চিজ ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকনা দিতে হবে। যখন ডিমের সাদা অংশ শক্ত হয়ে যাবে তখন বুঝতে হবে রান্না হয়ে গেছে। ধনে পাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে। পুরা প্রক্রিয়াটা ওভেনেও করা যায়।
টোস্টেড পাউরুটি দিয়ে সকালের নাস্তার জন্য  Shakshuka  একটি মজাদার আইটেম।
লিখা ও ছবি : রোয়েনা মতিন।

Thank you for reading!

pendora

June 3, 2023

গরমে স্বস্তি দিবে যেসব খাবার

গ্রীষ্মে উত্তপ্ত রোদের তাপে আমাদের দেহ প্রায় অনেক সময় পানিশুন্যতায় ভোগে। ফলে শরীরে এনার্জির অভাব দেখা দেয়। বিষয়টি অবহেলার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।...

pendora

May 16, 2023

কাঁচা আমের শরবত

বাজারে আসা শুরু করেছে কাঁচা আম। গরম ও পড়েছে প্রচুর। এই সময় টাতে কাঁচা আমের ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। কাঁচা আমের শরবত শরীরের জন্য খুব উপকারী।

pendora

May 16, 2023

টুকরা মাংসের বিরিয়ানি?

 

আমাদের যে কোনও অনুষ্ঠান এলে মজাদার খাবারের স্বাদ নেয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়। গরু খাসি বা ভেড়া যেহেতু  মাংস নিয়ে চিন্তা করতে হয় না একেবারেই। তার মধ্য রয়েছে মজাদার একটা রেসিপি টুকরা মাংসের বিরিয়ানি রেসিপি।এই রেসিপি যে কোনও মাংস দিয়া করতে পারেন।

নতুন নতুন স্বাদের বিরিয়ানি রান্নার সময় তো এখনই। তাই আজকে একটি মজাদার বিরিয়ানির রেসিপি নিয়ে আমাদের ফিচার। উৎসবে ঝটপট রেঁধে ফেলুন না খাসির মাংসের ঝাল বিরিয়ানি।

উপকরণঃ

* খাসির মাংস ১ কিলোগ্রাম (২ ইঞ্চি টুকরো করে কেতে নিন)

* বাসমতি চাল ২ কাপ

* আদা ৪ টুকরা

* রসুন কোয়া ২০ টি

* দই ২ কাপ

* কাঁচা মরিচ কুচি ২ টি

* মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ

* লবন স্বাদ মতো

* পেঁয়াজ ৪ টি (কুচি করে ভেজে নিন)

* লবঙ্গ ৬ টি

* দারুচিনি ১ টুকরা

* কাঁচা এলাচ ৫ টি

* শুকনো এলাচ ১ টি

* গোলমরিচ ১০ টি

* শাহি জিরা পাউডার আধা চা চামচ

* এলাচ গুঁড়া আধা চা চামচ

* গরম মসলা ২ চা চামচ

* ধনেপাতা কুচি ১ কাপ

* পুদিনা পাতা কুচি আধা কাপ

* অলিভ অয়েল ৫ টেবিল চামচ

* জাফরান দেওয়া দুধ ২ চা চামচ

* গোলাপ জল ১ চা চামচ।

প্রস্তুতপ্রণালিঃ

অর্ধেক আদা ও রসুন ভালো করে মিশিয়ে নিন।কিছু আদা স্লাইস করে কাটুন।

খাসির মাংসের সাথে দই,আদা, রসুন,কাঁচা মরিচ,গুঁড়া মরিচ,হলুদ গুরা,লবন, পেঁয়াজ কুচি ভাজা, লেটুস পাতা মিশিয়ে নিন।

লবঙ্গ,দারুচিনি,কাঁচা ও শুকনো এলাচ,গোল মরিচ, লবণ পাতলা রুমালে বেঁধে রাখুন। কড়াইয়ে ৫ কাপ  পানি দিয়ে রুমালে বাঁধা মসলা দিন ।

এরপর লবণ, শাহি জিরা পাউডার এবং চাল দিয়ে আধা সিদ্দ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।

ঢাকনা খুলে অর্ধেক চাল উঠিয়ে মাঝ খানে গর্ত করে মেরিনেড করা মাংস দিয়ে বাকি চাল দিয়ে ঢেকে  দিন।

আধা ঘন্টা পর নামিয়ে পরিবেশন করুন।   

 

Thank you for reading!

Food Magazine

March 15, 2023

ব্যাচেলরদের প্রধান ভয় রান্না করা! তাদের জন্য সহজ টিপস?

 

ব্যাচেলররা রান্না করতে চায় না, আবার রান্নার তেমন সময় পায় না এবং পুষ্টিকর খাবার নিয়েও তাদের তেমন কোন ভাবনা নেই। এই কারণে তারা নানান সমস্যায় থাকে। জেনে নিন তাহলে ব্যাচেলরদের সহজ রান্নার কিছু টিপস?

ডিম

পুষ্টিকর খাবার ডিম। এটি রান্না কিংবা পোচ করা খুবই সহজ। একটি ডিম পোচ করে তা দুটি পাউরুটির ভেতরে রেখে স্যান্ডউইচ বানাতে পারেন। এছাড়া সেদ্ধ করেও সহজে ডিম খাওয়ার উপযোগী করা যায়।

ফ্রুট সালাদ

টিভি দেখার সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে ফলমূল খাওয়া অভ্যাস করুন। এজন্য অল্প করে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল কিনুন। তা পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপর কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এছাড়া স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য লবণ, মসলা ইত্যাদি দিতে পারেন।

ব্লেন্ডার/মিক্সার ব্যবহার করুন

 ফলমূল জুস করে খাওয়ার জন্য ব্লেন্ডার/মিক্সার খুবই উপযোগী। তাই কিছু খরচ করে হলেও একটি ব্লেন্ডার বা মিক্সার কিনে নিন। এতে পরিমাণমতো ফলমূল দিয়ে মুহূর্তেই বানিয়ে ফেলুন মজাদার জুস। এটি বাজারের অস্বাস্থ্যকর পানীয় বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় গ্রহণে উৎসাহিত করবে।

ইনস্ট্যান্ট নুডলস 

ইনস্ট্যান্ট নুডলস অনেক ব্যাচেলরেরই প্রিয়। তবে এতে শুধু নুডলস না রেখে ব্যবহার করুন কিছু সবজি। এছাড়া ডিম ও অন্য আমিষও দিতে পারেন।

ফ্রিজ ব্যবহার করুন

আপনার যদি অল্প খাবারের চাহিদা থাকে তাহলে কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন ঝোল তরকারিসহ বেশ কিছু খাবার। এগুলো পরবর্তীতে সম্পূর্ণ গরম করে খাওয়া যায়।

কাটা সবজি : অনেকেই সবজি বা ফলমূল কেটে খাওয়ার ভয়ে তা খাওয়াই ছেড়ে দেন। এক্ষেত্রে তাদের জন্য পরামর্শ হলো সুপারমার্কেটে কাটা সবজি বা ফলমূলের খোঁজ করুন। এটি অর্থ, সময় ও পরিশ্রম বাঁচাবে।

 

Thank you for reading!

Food Magazine

March 14, 2023

চটজলদি আলুর কাটলেন

আমরা প্রত্যেকেই হয়ত আলুকে রান্নার কাজে ব্যবহার করি।যার কারনে আমাদের মধ্যে একঘেয়েমি চলে আসছে। আমরা চাইলেই আলু দিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে নতুন কিছু বানাতে পারি।চলুন দেখে নেয়া যাক আজকের নতুন রেসিপি।

Food Magazine

March 11, 2023

বাচ্চারা সবজি খেতেই চায় না,বানিয়ে ফেলুন সবজির কেক

প্রথমেই সবজি,ধনেপাতা,পেয়াজ,কাচামরিচ মিহি কুচি করে নেই। একটি ডিশে মাখন ছাড়া সব উপকরন একসঙ্গে ভালো ভাবে মিশিয়ে নেই। ওভেন প্রুফ ডিশে মাখন মেখে সবজির মিশ্রন ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে মাইক্রো পাওয়ার...

Food Magazine

March 11, 2023