প্রচণ্ড গরমে মানুষ অস্থির থাকে। তারপরেও সবাই চায় সুস্থভাবে এই ঋতুকে উপভোগ করতে। কিন্তু কিছু সাধারণ শারীরিক সমস্যা যেমন- কাশি, জ্বর, হিটস্ট্রোক, এলার্জি, কোস্টকাঠিন্য, পানিশূন্যতা, মাথাব্যাথা, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় অনেকেই আক্রান্ত হয়। এছাড়াও পানিবাহিত রোগ যেমন- কলেরা, জন্ডিস, ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিংও হয় অনেকের।
ভীষণ গরমে প্রাণ জুড়াতে ঠান্ডা পানীয়ের বোতলে আপনি চুমুক দিতেই পারেন, কিন্তু সেটি আপনার জন্য উপকারী কি? গরমে নিজেকে আর্দ্র রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খাওয়া জরুরি। তবে অবশ্যই কোমল পানীয় বা কোল্ড ড্রিংক এড়িয়ে চলবেন। কারণ এগুলো খেতে সুস্বাদু মনে হলেও উপকারী নয়।
গরমে নিজে আর্দ্র ও শীতল রাখা জরুরি। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক, গরমে সুস্থ থাকতে কোন খাবারগুলো খাবেন-
কুমড়ো
কুমড়োর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আমাদের চোখ, চুল, ত্বক ভালো রাখতে কাজ করে এই কুমড়ো।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের নানা উপকারিতা সম্পর্কে শুনেছেন কিন্তু এটি যে শরীর শীতল রাখতে পারে,
করলা
তেতো স্বাদের করলা আপনার কাছে খুব একটা পছন্দের নাও হতে পারে। কিন্তু এই গরমে আপনাকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে কাজ করবে এই সবজি। এটি পরিপাকে সাহায্য করে, কৃমি দূর করে। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজ করে করলা।
শসা
গরমে সুস্থ, সতেজ ও শীতল থাকতে আরেকটি খাবার আপনাকে সাহায্য করবে। সেটি হলো শসা। এর প্রায় নব্বই ভাগই পানি। এটি ত্বকের সমস্যায় দারুণভাবে কাজ করে।
লাউ
লাউ নামক সবজির বেশিরভাগ অংশই হলো পানি। তাই গরমে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে খেতে পারেন লাউ।
সুত্র- ইন্টারনেট
Thank you for reading!
আলু পুরি বিকালের নাস্তায় বাঙ্গালীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিকেলে চায়ের আড্ডায় ধোঁয়া তোলা এক কাপ চায়ের সাথে গরম গরম আলু পুরি সাথে একটু পেঁয়াজ আর শসা কুচি।
উপকরণ
সেদ্ধ আলু- ৪টি (মাঝারি আকারের)
ময়দা- ১ কাপ
সুজি- ১ টেবিল চামচ
চিলি ফ্লেকস- ২ চা চামচ
আস্ত জিরা- আধা চা চামচ
হলুদের গুঁড়া- ১ চিমটি
কাঁচা মরিচ কুচি- ১ চা চামচ
ধনিয়া পাতা কুচি- ১ টেবিল চামচ
লবণ- স্বাদ মতো
পানি- ১/৪ কাপ
তেল- ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রণালি
একটি বড় বাটিতে আলু চটকে নিন মিহি করে। পানি বাদে সব উপকরণ মিশিয়ে নিন ভালো করে। সবশেষে অল্প অল্প করে পানি মিশিয়ে ডো তৈরি করুন। পুরি বেলে নেওয়ার আগে ১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন ডো। এবার শো থেকে ছোট ছোট অংশ ছিঁড়ে রুটি বেলার মতো করে পুরি বেলে নিন। তেল গরম করে ভেজে তুলুন মচমচে করে।
তথ্য সূত্রও- ইন্টারনেট
Thank you for reading!
আম বাজার থেকে পুরপুরো চলে যায় নাই। যারা আচার বানাবেন বানাবেন কিন্তু এখনো ভেবে পাচ্ছেন না, তাঁরা শুরু করে দিতে পারেন। আপনি চাইলে বাসায় তৈরি করতে পারেন আমের আচার।
যা যা লাগবে
কাঁচা আম ১ কেজি, সিরকা আধা কাপ, সরিষার তেল এক কাপ, রসুনবাটা দুই চা-চামচ, আদাবাটা দুই চা-চামচ, হলুদ গুড়া দুই চা-চামচ, চিনি তিন টেবিল-চামচ, মেথি গুঁড়া এক চা-চামচ, জিরা গুঁড়া দুই চা-চামচ, মৌরি গুঁড়া এক চা-চামচ, সরষেবাটা তিন টেবিল-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া দুই টেবিল-চামচ, কালো জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
খোসাসহ কাঁচা আম টুকরো করে লবণ দিয়ে মেখে একরাত রেখে দিতে হবে। পরের দিন ধুয়ে আদা, হলুদ, রসুন মাখিয়ে কিছুক্ষণ রোদে রাখুন।এরপর সসপ্যানে আধা কাপ তেল দিয়ে আমগুলো নাড়া-চাড়া করতে থাকুন, গলে গেলে নামিয়ে ফেলুন। অন্য একটি সসপ্যানে বাকি তেল দিয়ে চিনিটা গলিয়ে ফেলুন। কম আঁচে চিনি গলে গেলে সব মসলা দিয়ে (মৌরি,মেথি গুঁড়া ছাড়া) আম কষিয়ে নিতে হবে। আম গলে গেলে মৌরি গুঁড়া, মেথি গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
Thank you for reading!
আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, পানের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গরমের সময় পান পাতা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন শরীর ঠান্ডা রাখার মতো একটি পানীয়। গরমে তা খেলে আরাম হবে। আবার হজমের গোলমাল থেকে শুরু করে সর্দি-কাশি-মাথা ব্যথা, গায়ে ব্যথা সবই কমবে।
পানের রস পাকস্থলীর ফোলাভাব কমায়। অন্ত্রের সমস্যা মেটায়। এতে আছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটি শরীরের মধ্যে জমে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যালস, টক্সিন কমায়। উপকার পেতে রাতে জলে পান ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে পান শট বানিয়ে খেলে কমবে অম্বল, গ্যাস, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য। শরীর জীবাণুমুক্ত হলে রোগ ঘেঁষবে না মোটেই।
কী ভাবে বানাবেন পান পাতার শরবত ?
উপকরণ:
পান পাতা: ৪টি (কুচনো), মৌরি: ১ টেবিল চামচ, নারকেল কোরা: ১ টেবিল চামচ, মিছরি: ১/২ টেবিল চামচ, পানি: ১/২ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে কুচনো পান পাতা ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। পান পাতা বাটা হয়ে গেলে পানি ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিন তাতে। আবার সবটা ভালভাবে মিশিয়ে নিন। শেষে পানি দিয়ে আবার মিশ্রণটি ঘেঁটে নিন।
কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা ঠান্ডা খান। গরমকালে শরীর শীতল হবে। আবার নানা অসুস্থতা থেকেও মিলবে মুক্তি।
Thank you for reading!
আমাদের পছন্দের খাবারের মধ্যে চিকেন ফ্রাইড রাইস সেরা । এটি একটি সুস্বাদু খাবার। যা আপনি ঘরেই তৈরি করতে পারেন। আসুন জেনে নেই, কীভাবে রান্না করবেন চিকেন ফ্রাইড রাইস ।
উপকরণ
প্রণালী
চাল ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে পানি গরম করুন, পানি ফুটে উঠলে চাল দিন।
চাল হালকা সিদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ভাত যেন শক্ত থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। মাংসের কিমা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে সামান্য লবণ মেখে সিদ্ধ করে নিন।
সবজিগুলো ভালো করে ধুয়ে ভাপ দিয়ে নিন। ডিম ফেটে গরম তেলে ঝুরি ভেজে রাখুন।
এবার হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, আদা-রসুন হালকা বাদামি করে ভেজে মাংসের কিমা দিয়ে নেড়ে কষাতে থাকুন, সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে ভাজা হলে রান্না করা ভাত ও সিদ্ধ করা সবজি, কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে ২-৩ মিনিট ভেজে টমেটো-ওয়েস্টারসস, পেঁয়াজপাতা কুচি, ডিম ঝুরি ও গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ২ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
Thank you for reading!
FOOD MAGAZINE BANGLADESH | ALL RIGHTS RESERVED | © 2019