হ্যামবার্গার আবিষ্কার নিয়ে নানা কথা।
হ্যামবার্গারের আবিষ্কার নিয়ে অনেক মতবাদ থাকলেও এটি আবিষ্কারের মূল উৎস হামবুর্গ, জার্মানি। হামবুর্গ জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ।সব ধরণের ‘বার্গার’ হামবুর্গ থেকে আগত মাংসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হলেও তাদের সকলের প্রস্তুতির শুরু এই মহান শহরেই।
কেবলমাত্র গরুর মাংস থেকেই যে বার্গার তৈরি করা হয় তা নয়, আজকাল টার্কি বার্গার, বাফেলো বার্গার, চিকেন বার্গার, ইমু বার্গার ইত্যাদি সব গুলোই ‘হ্যামবার্গার’ এর পরিচয়ে পরিচিত। কে ভাববে যে এত সাধারণ খাবার এতগুলি জিনিসের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে?
আসলে হ্যামবার্গার কে আবিষ্কার করেছিলেন তা নিয়ে অনেক ভিন্ন মত রয়েছে ।এমন অনেকে আছেন যারা মনে করেন যে বার্গারটি অটো কুয়েস বা অটো ক্রাউস নামে এক ভদ্রলোক ১৮৮১ সালে তৈরি করেছিলেন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের গ্রন্থাগারটি ভিন্ন তথ্য জানা যায়। সব গল্পের মধ্যে বেশি গ্রহণযোগ্য গল্পটি হচ্ছে ১৯০০ সালে লুই লাসেনের গল্পটি।গল্পটিতে দেখা যায় যে একজন ব্যবসায়ী হুড়োহুড়িতে ছিলেন এবং জলদি কিছু খাবার চেয়েছিলেন। লুইস দুটি টোস্টের মধ্যে টুকরো করা গ্রিলড মাংস দিয়ে বার্গার আবিষ্কার করেছিলেন।
মজার বিষয় হচ্ছে মার্কিনরা অটো ক্রাউজের কথা বাদ দিয়েছিলেন কারণ তার নামের তিনটি আলাদা বানান রয়েছে, যা জার্মান নামের সাথে প্রচলিত। লাসেনের গল্পের কথা বলতে গেলে বলা যায় টোস্টের মধ্যে গ্রিল মাংস রাখার বিষয় টি তিনি একটু দেরিতেই শুরু করেছেন ,কারন ১০৪৫ সাল থেকে চীনারা এটি করছিল।
সুতরাং এটি অটো, লাসসেন বা ঝো রাজবংশের লোকদের দ্বারা আবিষ্কৃতই হোক না কেন ,যে বিষয় নিয়ে কোনও দ্বিমত হবে না তা হচ্ছে হ্যামবার্গার ইতিহাসের অন্যতম সেরা সৃষ্টি । হ্যামবার্গার ডে এমন এক দিবস যা কয়েক শতাব্দী ধরে চলতে থাকবে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
Thank you for reading!