সুস্থ থাকতে কচু খান
কচু আমরা অনেকেই পছন্দ করিনা কিন্তু কচুর ও রয়েছে নানা রকম গুন। যা জানলে আপনি আর কচু না খেয়ে থাকতে পারবেন না।
ছোট বেলা থেকেই দাদি-নানিদের দেখতাম সপ্তাহে নাহলেও দুই থেকে তিন দিন কোন কোন কচুর আইটেম করতো। কচু দিয়ে কত ধরনের তরকারি না আমরা খেয়েছি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কচুর কিকি উপকারিতা আছে। কচু অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমনঃ পানিকচু, মুখিকচু ,ওলকচু ,কচুর লতি ইত্যাদি। গুনাগুনের দিক থেকে কচু ও কচু পাতা দুইটাই খুব উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে কচুর পাতায় ও কালো কচুর ডাটায় মোটামুটি সব উপাদান থাকে। কচুতে আছে আয়রন, মিনারেল ও সব ধরনের ভিটামিন বিভিন্ন পরিমাণে থাকে যার ফলে আমাদের জন্য অনেক ভালো একটি খাবার। কচুর অনেক ধরনের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। গর্ভবস্থা ,খেলোয়ার ,বাড়ন্তশিশু, কেমোথেরাপি পাচ্ছে এমন রোগীদের জন্য কচুর লতি ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ক্যালসিয়াম হাড়শক্ত করেও চুলের ঝরা কমায়। কচুতে আছে ডায়েটারিফাইবার বা আশ যার পরিমাণ অনেক বেশি। কচু আমাদের খাদ্য হজম শক্তি বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কচুর লতিতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি যা বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কচুতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নেই যার ফলে যারা ডায়েট করতে চায় তারা এই খাবার টি খেতে পারে এবং এতে আছে ভিটামিন বি যা হাত,পা,মাথার উপরিভাগ গরম হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়। কচুতে আরো আছে আয়োডিন যা হজম এর পর আমাদের দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ গুলো বের হতে সাহায্য করে তাই কচুর লতি খেলে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা খুব কম।
এছাড়াও গরমের দিনে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় সে কারণে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় কচুর ডাটা বা কচু রাখা যেতে পারে এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, থায়ামিন রয়েছে প্রচুর রক্তের কোলেস্টের লকমায়কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এতেরাত কানা রোগের আশঙ্কা কমে যায় অনেক সময় কচু খেলে গলা চুলকায় এক্ষেত্রে আপনারা খাওয়ার সময় লেবু খেতে পারেন বা তেঁতুল খেতে পারেন।
ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
Thank you for reading!