আমাদের অনেকেরই পুরান ঢাকার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। আমরা ওখানে গেলেই দেখতে পারি কত রকমের সুস্বাদু খাবার,আর ওখানে আছে বিভিন্ন খাবারের বাহারি নাম। আর সেই স্বাদ নিতে বিভিন্ন জাইগা থেকে খাবার প্রেমিরা ভিড় জমান পুরান ঢাকার খাবারের হোটেল গুলোতে। এখন আমরা দেখবো যে সব খাবার খেতে খুব সকালে আমরা পুরান ঢাকাই যাই।

আমরা আগে শ্যামবাজারের দিকে পা বাড়ালেই হাতের ডানে পাবো  হোটেল ক্যাফে কর্নার। এখানে এসে দেখতে পাবেন মাথার ওপর মাথা দাঁড়িয়ে। রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় খাবার পরিবেশনকারীদের। সকালের নাশতা এখানে ডাল-ভাজি, হালুয়া, পরোটা, ডিম ও চা। এই খাওয়ার জন্য মানুষের ভিড়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন চলে এসেছেন সকালের নাশতা খেতে। ছুটির দিনে এই অবস্থা দেখে থমকে যেতে হয়। এক ছুটির দিনে আপনিও হোটেল ক্যাফে কর্নারের খাবারের স্বাদ নিতে পারেন। ক্যাফে কর্নারের চায়ে সত্যিকার চায়ের ঘ্রাণ পাবেন। আরেকটি কথা, ক্যাফে কর্নারের বয়সও কিন্তু এক শ বছরের ওপরে!

লুচি ভাজি,খাসির পায়া নান রুটি বিভিন্ন রকমের সকালের নাস্তা

বহু বছর আগে এখানে শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ ছিল। এখন সেই শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ নেই, তবে নিউ শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ আছে। সকালের খাবারের জন্য এই দোকান এককথায় অনন্য। হোটেলটির অবস্থান ইসলামপুরের কাছের ১৮/১ পাটুয়াটুলীতে। রেস্তোরাঁটি মাটির নিচে হওয়ায় একটু খোঁজ করতে হয়। এখানে পরোটা লুচি ও দুই রকম ভাজি পাওয়া যায়। লুচি, ভাজির সঙ্গে মুখরোচক চাটনির জন্য হলেও এখানে ভোজনরসিকদের ভিড় জমে যায়। তা ছাড়া এখানে পাবেন খাসির পায়া, ডাল, স্যুপ ও নানরুটির সঙ্গে গাজর ও বুটের বিভিন্ন প্রকারের হালুয়া, বুন্দিয়া ও জিলাপি। এর সবই সকালের নাশতার পদ।

 

গরুর মাংস ভুনা ও নেহারি

নাসিরুদ্দিন সর্দার লেনে নাসির হোটেল একনামে পরিচিত ছিল, কেবল গরুর ভুনা মাংসের জন্য। হোটেল মালিক নাসির মারা গেলে এখানকার কর্মচারীদের নিয়ে শুরু হয় বিসমিল্লাহ হোটেলটি। ভুনা মাংস এখানকার প্রধান খাবার হলেও সকালে নেহারি এর প্রধান আকর্ষণ। সারা সপ্তাহ এখানে গরুর নেহারি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শুক্রবার শুক্রবার এখানে স্পেশাল নেহারি বিক্রি হয়, দাম ৮০ টাকা। ধোলাইখালের একেবারে কাছে বিসমিল্লাহ হোটেল। জজকোর্টের পেছনে। কলতাবাজার আল-মঈন মাদ্রাসার ঠিক পাশে। কী, আসছেন তো?

(Visited 19 times, 1 visits today)

Thank you for reading!

 

আমাদের অনেকেরই পুরান ঢাকার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। আমরা ওখানে গেলেই দেখতে পারি কত রকমের সুস্বাদু খাবার,আর ওখানে আছে বিভিন্ন খাবারের বাহারি নাম। আর সেই স্বাদ নিতে বিভিন্ন জাইগা থেকে খাবার প্রেমিরা ভিড় জমান পুরান ঢাকার খাবারের হোটেল গুলোতে। এখন আমরা দেখবো যে সব খাবার খেতে খুব সকালে আমরা পুরান ঢাকাই যাই।

আমরা আগে শ্যামবাজারের দিকে পা বাড়ালেই হাতের ডানে পাবো  হোটেল ক্যাফে কর্নার। এখানে এসে দেখতে পাবেন মাথার ওপর মাথা দাঁড়িয়ে। রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় খাবার পরিবেশনকারীদের। সকালের নাশতা এখানে ডাল-ভাজি, হালুয়া, পরোটা, ডিম ও চা। এই খাওয়ার জন্য মানুষের ভিড়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন চলে এসেছেন সকালের নাশতা খেতে। ছুটির দিনে এই অবস্থা দেখে থমকে যেতে হয়। এক ছুটির দিনে আপনিও হোটেল ক্যাফে কর্নারের খাবারের স্বাদ নিতে পারেন। ক্যাফে কর্নারের চায়ে সত্যিকার চায়ের ঘ্রাণ পাবেন। আরেকটি কথা, ক্যাফে কর্নারের বয়সও কিন্তু এক শ বছরের ওপরে!

লুচি ভাজি,খাসির পায়া নান রুটি বিভিন্ন রকমের সকালের নাস্তা

বহু বছর আগে এখানে শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ ছিল। এখন সেই শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ নেই, তবে নিউ শাহি দিল্লি রেস্তোরাঁ আছে। সকালের খাবারের জন্য এই দোকান এককথায় অনন্য। হোটেলটির অবস্থান ইসলামপুরের কাছের ১৮/১ পাটুয়াটুলীতে। রেস্তোরাঁটি মাটির নিচে হওয়ায় একটু খোঁজ করতে হয়। এখানে পরোটা লুচি ও দুই রকম ভাজি পাওয়া যায়। লুচি, ভাজির সঙ্গে মুখরোচক চাটনির জন্য হলেও এখানে ভোজনরসিকদের ভিড় জমে যায়। তা ছাড়া এখানে পাবেন খাসির পায়া, ডাল, স্যুপ ও নানরুটির সঙ্গে গাজর ও বুটের বিভিন্ন প্রকারের হালুয়া, বুন্দিয়া ও জিলাপি। এর সবই সকালের নাশতার পদ।

 

গরুর মাংস ভুনা ও নেহারি

নাসিরুদ্দিন সর্দার লেনে নাসির হোটেল একনামে পরিচিত ছিল, কেবল গরুর ভুনা মাংসের জন্য। হোটেল মালিক নাসির মারা গেলে এখানকার কর্মচারীদের নিয়ে শুরু হয় বিসমিল্লাহ হোটেলটি। ভুনা মাংস এখানকার প্রধান খাবার হলেও সকালে নেহারি এর প্রধান আকর্ষণ। সারা সপ্তাহ এখানে গরুর নেহারি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শুক্রবার শুক্রবার এখানে স্পেশাল নেহারি বিক্রি হয়, দাম ৮০ টাকা। ধোলাইখালের একেবারে কাছে বিসমিল্লাহ হোটেল। জজকোর্টের পেছনে। কলতাবাজার আল-মঈন মাদ্রাসার ঠিক পাশে। কী, আসছেন তো?

(Visited 19 times, 1 visits today)

Thank you for reading!

  • Home
  • নাস্তা
  • যে সব খাবার খেতে খুব সকালে আপনাকে পুরান ঢাকায় যেতে হবে