মাটির চায়ের কাপের ইতিহাস
চা আমাদের সকলের নিত্যদিনের একটি প্রয়োজনীয় ও পছন্দের পানীয়। ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপটা হতে না পেলে মনে হয় দিনটা সঠিক ভাবে শুরু হলো না। প্রতিটি বাড়িতেই সকাল সন্ধ্যা চা খাওয়ার চল রয়েছে। আবার দেখা যায় কিছু কিছু বাড়িতে চা খাওয়ার চল টা অন্যান্য বাড়ির তুলনায় অধিক।
আমরা বাড়িতে সাধারণত চিনেমাটির কাপেই চা খাই। আর বাইরে দোকানগুলোতে চা খাওয়ার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের তৈরি গ্লাস গুলো।কিন্তু বর্তমানে এখন চা খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়েছে মাটির ভাঁড়ে। এখন চা বাইরে হোক বা বাড়িতে চা খাওয়ার ক্ষেত্রে মাটির ভাঁড়ের চাহিদাটা বেশি থাকে।
বাসায় অনেকে শখ করে মাটির তৈরি জিনিস গুলো কিনে এনে চা খাওয়ার চাহিদা মেটায় কিন্তু বাহিরে দেখা যায় এখন বেশির ভাগই মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রি করে। যার নাম দেয়া হয় মটকা চা। বর্তমানে এই চায়ের প্রচলন ও চাহিদা অনেক বেশি।
মাটির ভাঁড়ের প্রচলন হয় সর্বপ্রথম ভারতীর উপমহাদেশে। সেখানে বাজার ও খাবারের দোকানগুলোতে সাধারণত চা জাতীয় গরম পানীয় মাটির ভাঁড়ে পরিবেশন করা হয়। শুধু মাত্র চা নয় এই মাটির ভাঁড়ে চায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন ও পরিবেশণ করা হতো।
বর্তমানে আস্তে আস্তে এটি বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি বহন করে এবং এর চাহিদা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাটির কাপে চা খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু প্লাস্টিকের কাপে গরম কোনো পানীয় খাওয়া ঠিক নয়। কারণ গরমের সংস্পর্শে আসার পর এতে থাকা ক্যামিকেল গরম হতে শুরু করে এবং পরবর্তীতে টা পানীয়তে মিশে যায়। এতে করে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। অন্যদিকে মাটির কাপে চা খেলে এমন কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না।
এছাড়াও মাটির কাপ ব্যবহারে কোনো সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না। মাটির কাপের গুণের শেষ নেই। গবেষণা বলছে, মাটির কাপ বা পাত্র প্রকৃতিতে তৈরি। এতে কিছু পান করলে তা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এসিডের মাত্রা কমাতে শুরু করে। ফলে শরীর সার্বিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই যারা গ্যাস-অম্বলে ভুগে থাকেন তাদের মাটির গ্লাসে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
Thank you for reading!