ভাতে পাবেন জিংক
চালেও পাবেন জিংক , অপুষ্টি নিরসনে আরেক ধাপ
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এই দেশের অধিকাংশ মানুষই আর্থিক কারণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাবে জনিত রোগে ভুগে থাকেন। সবাই কার্বোহাইড্রেট হিসেবে ভাতের যোগান দিতে পারলেও অনেকের কপালে জোটে না ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার। তাই অপুষ্টিজনিত রোগ এর সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন।
এসব সমস্যা সমাধানে অক্লান্ত দিনরাত পরিশ্রম করছেন বিজ্ঞানীরা। এরই সূত্রে বাংলাদেশ এ নতুন ভ্যারাইটি এসেছে চালের৷ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট “বিরি ধান 72 ” নামের একটি ভ্যারাইটি উদ্ভাবন করে। এই ধানের বিশেষত্ব হচ্ছে এই যে ধান থেকে যে ভাত পাওয়া যাবে তাতে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকবে৷ এছাড়া এই ধানের ফলনও হবে সাধারণ ধানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। 2016 মাঝামাঝি সময় থেকে এই ধান কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলার প্রচেষ্টা চলছে।
প্রতি হেক্টরে এর ফলন হবে প্রায় 5.7 টন। তবে সঠিক যত্ন নিয়ে একে সাড়ে সাত টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে বলে আশা করেন বিজ্ঞানীরা৷ বিরি ধান 72 এর প্রতি কেজি চাল থেকে 9 শতাংশ প্রোটিন এবং 23 মিলিগ্রাম জিংক পাওয়া যাবে। সম্পূর্ণ ফসল করতে সময় লাগবে 125 দিন। যা অন্যান্য সাধারণ ধানের চেয়ে প্রায় 20 দিন কম। এটি মূলত তৈরি করা হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষের উপযোগী করে। এটি তৃতীয় ভ্যারাইটি যা জিংক জমা রাখতে পারে।
Thank you for reading!