বহু গুণে ভরপুর কিসমিস!
আঙুর ফলের শুকনো রূপকে আমরা কিসমিস হিসেবে জানি। এটি খেতে মিষ্টি বলে অনেকে ভাবেন নিয়মিত খাওয়া হলে শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। নানা ধরণের রান্নায় ও মিষ্টি ধরণের খাবার তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়।কিসমিস ভেজানো পানিও শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
কিসমিসে আছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনলস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ফাইবার।পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম।
কিসমিসের উপকারিতাঃ
>প্রতিদিন ভেজা কিসমিস খেলে হাড় সুস্থ ও সুদৃঢ় হবে । হাড় গঠনের জন্য যা প্রয়োজন, তা কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে থাকে। আরও রয়েছে ক্যালসিয়াম ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট।
>কিসমিস সুস্থ উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোয ও পোটেনশিয়াল এনার্জিতে ভরপুর এই কিসমিস।
>কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। বোরন ধ্যান বাড়াতে সহায়ক।এটি বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনোযোগী করে তুলতে পারে।
> কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই এটি শরীরের পরিপাকক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর মত সমস্যা দূর করে।
>কিসমিসে আছে ফেনল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যার জীবাণুনাশক শক্তি, অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাল ইনফেকশানের জন্য হওয়া জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
>কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে কপার, লোহা ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স রয়েছে। কপার রক্তের লোহিত কণার পরিমাণ বাড়ায়। প্রতিদিন কিশমিশ খেলে শরীরে লোহার অভাব ও রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
>কিসমিস দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।চোখের জন্নি এটি আদর্শ খাবার। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন-এ ও বিটা ক্যারোটিন।
>এটি শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে । কারন এতে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা যা শরীরে বাড়তি ক্যালরি যোগ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
Thank you for reading!