বর্তমানে কৃষকদের ভুট্টায় ঝোঁক!
জলবায়ুর পরিবর্তন হওয়ায় গম তোলার মৌসুমেই বৃষ্টি শুরু হয়। তাই ক্ষতি আর লোকসান এড়াতে কৃষকরা ফসলে ফলাচ্ছেন ভুট্টা।
জলবায়ুর পরিবর্তন হওয়ায় গম তোলার মৌসুমেই বৃষ্টি শুরু হয়। তাই ক্ষতি আর লোকসান এড়াতে কৃষকরা ফসলে ফলাচ্ছেন ভুট্টা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দিনাজপুর ও উত্তরাঞ্চলের অন্য জেলার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে উঠেছে ভুট্টার চাষ। চাহিদার আধিক্য, স্বল্প ব্যয়ে বেশি ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে, যার অর্ধেকই উৎপাদিত হচ্ছে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে। জেলা বিবেচনায় ভুট্টা চাষে প্রথমেই রয়েছে দিনাজপুর। সমতল ছাড়াও নদীর চর এলাকায় ও গত কয়েক বছরে ভুট্টা চাষে সফল হয়েছেন চাষিরা।
অন্যদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী,
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১০ হাজার ৩৭২ হেক্টর জমিতে গমের উৎপাদন ছিল ৩৩ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন। ২০২৯-২০ সালে তা অর্ধেকে নেমে ৫ হাজার ৩১০ হেক্টর হয়।
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার ২৬৬ মেট্রিক টন।
বিপরীতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৯ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৩ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭৮ হাজার ৬৩২ হেক্টর জমিতে ৮ লাখ ৩১ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদিত হয়।
কৃষকদের মধ্যে বাড়ছে ভুট্টা চাষের আগ্রহ। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট গত ৩৩ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৩৩টি গম ও ৯টি ভুট্টার জাত উদ্ভাবন করেছে। ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানের জমিসংকটের কারণে প্রজনন বীজ নিয়ে পরীক্ষা চালানো যাচ্ছে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, জেলায় বর্তমানে গম ও ভুট্টার বীজের চাহিদা রয়েছে যথাক্রমে ৭৯৬ টন ও ১ হাজার ৪২২ টন। ভুট্টাবীজের উৎপাদন বেশ কম বলে আমদানি করা বীজের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন কৃষকেরা।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইছরাইল হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠান গমের বীজ উৎপাদনে সফল। কিন্তু ভুট্টার বীজে সফলতা আসেনি। এর কারণ জমিসংকট। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।
ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত।
Thank you for reading!