দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবার সিদল।
দিনাজপুরের মুখরোচক খাবার হিসেবে সিদল খুবই পরিচিত একটি খাবার। এর বৈশিষ্ট্য ও স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা। এই খাবারটি দিনাজপুরের মানুষের খুবই প্রিয়।
সিদল দিয়ে দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষজন মেহমান আপ্যায়ন থেকে শুরু করে ঘরোয়া যে কোনো অনুষ্ঠানেই বিভিন্ন রান্নার আইটেমের সাথে এটি ব্যবহার করে থাকে।
সময়ে
বদলানোর সাথে
সাথে
আমাদের
দেশে
ছোট
মাছের
বিলুপ্তি হওয়াতে এই
খাবারটি এখন
আর
তেমন
তৈরি
করতে
দেখা
যায়
না।
এখন
আর
নারীদের কর্মব্যস্ততা তে
সিদল তৈরী
করতে
দেখা
যায়
না
এবং
হাটে-বাজারে ও এর
বেচাকেনা তেমন
একটা
নেই।
তবে
এখনো
অনেকে
শখ
করে
এই
ঐতিহ্যবাহী খাবারটি তৈরি
করে
থাকে।
- সিদল তৈরি হয় ছোট মাছ যেমন – পুটি, মলা এসব ধরনের মাছ দিয়ে। মাছগুলো কড়া রোদে এক সপ্তাহ মতো শুকিয়ে নিতে হয়। মাছগুলো মচমচে হলে শিল পাটায় বেটে আধাভাঙ্গা করা হয়। এরপর মান কচু অথবা কাল কচুর ডাটা পরিষ্কার করে কাঁচা অবস্থায় বেটে নিতে হয়। কচুর সঙ্গে গুড়া করা মাছগুলো এবং আদা বাটা , রসুন বাটা,লবণ, গুড়া মরিচ সবকিছু পরিমাণ মতো মিশিয়ে একদিন রেখে দিতে হয়। এরপর হলুদ ও সরিষার তেল দিয়ে মেখে হাতে গোল বা চ্যাপ্টা করে পাঁচ থেকে ছয় দিন রোদে শুকাতে হয়।রোদে শুকানোর সময় অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে যাতে কোন প্রকার পাখি পোকামাকড় নষ্ট না করে ।রোদে শুকিয়ে শক্ত হলে বেশ তৈরি হয়ে গেল সিদল।
- এটি প্লাস্টিকের কাগজে মুড়িয়ে অথবা ফ্রিজে রেখে তিন বছর পর্যন্ত খাওয়া যায় এবং মাঝেসাজে রোদে শুকানো প্রয়োজন হয়।
সিদল দিয়ে বড় মাছের তরকারি একটু ঝাল বেশি দিয়ে রান্না করা হয় আবার শাক এর সাথে রান্না করা হয়। সবচেয়ে প্রচলিত যে রেসিপিটি সিদল দিয়ে তৈরি করা হয় তা হলো সিদল ভর্তা। এক্ষেত্রে ভাত নামানোর ৫ মিনিট আগে সিদল ভাতে দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হয়, পরবর্তীতে সেটির সাথে পিয়াজ, মরিচ, রসুন ,লবণ, সরিষার তেল দিয়ে ভেজে মিশিয়ে হাতে বা পাটায় পিষে নিতে হয়।
Thank you for reading!