ড্রামে বা টবে আমড়া চাষ পদ্ধতি।
আমড়া খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফলের নাম । পিরোজপুর জেলায় এর উৎপাদন তুলনামূলক বেশী। থাইল্যান্ড থেকে আমদানীকৃত আমড়া বারমাস ফল দেয়।তাই চাষ করার জন্য বারমাসী এই আমড়াই বেশী উপযোগী । আমড়াতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি ।
চাষ পদ্ধতিঃ
ছাদে আমড়ার চারা লাগানোর জন্য ২০ ইঞ্চি উচ্চতার ড্রাম বা টব সংগ্রহ করতে হবে । ড্রামের তলায় ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে, যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে।টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে । টব বা ড্রামের গাছটিকে ছাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে সবসময় রোদ থাকে । এবার ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ২ কেজি কাঠের ছাই এবং ২০০ গ্রাম হাড়ের গুড়া একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টবে পানি দিয়ে ১০-১২ দিন রেখে দিতে হবে। এরপর মাটি খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন একইভাবে রেখে দিতে হবে । মাটে ঝুরঝুরে হয়ে এলে একটি সবল সুস্থ কলমের চারা টবে রোপন করতে হবে । চারা রোপনের সময় খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়া যেন মাটি থেকে আলাদা না হয়ে যায় এবং চারা গাছটিকে সোজা করে লাগাতে হবে । গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে । একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেধে দিতে হবে ।আমড়া গাছে পানি জমে থাকা যাবে না।তাই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে ।
গাছের পরিচর্যাঃ
চারা লাগানোর ৬/৭ মাস পর থেকে ৩০-৪০ দিন পর পর সরিষার খৈল এর পচা পানি প্রয়োগ করতে হবে। সরিষার খৈল ১০ দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে । তারপর সেই পচা খৈলের পানি পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিতে হবে । ১ বছর পর টবের কিছুটা মাটি পরিবর্তন করে দিতে হবে । ২ ইঞ্চি প্রস্থে এবং ৬ ইঞ্চি গভীরে শিকরসহ মাটি ফেলে দিয়ে নতুন সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে তা ভরে দিতে হবে । বর্ষার শেষ এবং শীতের আগে মাটি পরিবর্তনের কাজটি করলেই ভাল হয় । গাছের মরা ডালপালা ছেটে দিতে হবে এবং ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর টব বা ড্রামের মাটি কিছুটা খুঁচিয়ে দিতে হবে ।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
Thank you for reading!