জনপ্রিয় রঙিন কাঁঠাল
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল । আমাদের দেশে এ ফল হয়ত চাষ হয় না কিন্তু মিষ্টি এ ফল কম বেশি দেশের সব জায়গায় হয়ে থাকে । স্বাদ পরিবরতন এর জন্য দেশি কাঁঠালের পাশাপাশি ভিয়েতনাম এর লাল রঙের কাঁঠাল খুব জনপ্রিয়তা পাচ্ছে । থাইল্যান্ড , মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম কাঁঠালের কিছু নতুন জাত আবিষ্কার করেছে । সেগুলর মধ্যে অন্যতম এই অপেক্ষাকৃত ছোট ও আঠা বিহীন লাল কাঁঠাল
লাল কাঁঠালে ছোবড়া নেই । শুধু কোয়া তে ঠাসা । অতি মিষ্টি আর রঙ বেরঙের । দেশি কাঁঠালের চেয়ে এই কাঁঠালের দাম প্রায় তিন গুন বেশি । কিন্তু এ কাঁঠালের বাগানে খরচ কম লাভ বেশি । একটি বারমাসি জাত ও আছে এবং তা লাগানো হলে অসময়ে বেশি দামে প্রচুর ফলের বিপনন সুবিধা নিশ্চিত হতে পারে ।
লাল কাঁঠাল জমিতে , ছাদে বা ড্রামে রোপণের নিয়মঃ
ভুমি বাছাইঃ
বৃষ্টির পানি জমে না এমন উঁচু অ মাঝারি উর্বর জমি উপযোগী । ছাদে বা ড্রামে লাগাতে হলে মাঝারি থেকে বড় মাপের ড্রাম নির্বাচন করতে হবে ।
চারা তৈরিঃ
বীজ থেকে কাঁঠালের চারা তৈরি করতে হবে। তবে কলম এর চারাতে ফলন ভালো হয় । এছাড়া বিভিন্ন নার্সারি থেকেও লাল কাঁঠালের চারা কেনা যেতে পারে । অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিবেন দোকানী আপনাকে ভালো কলম চারা দিচ্ছে কিনা ।
চারা রোপণঃ
বাগাণে, বাড়ীর আঙিনায়, ছাদে ড্রামে ,পুকুর পাড়ে এ চারা লাগানো যায় । বসতবাড়ি তে শখ করে গাছ লাগানো যেতে পারে । জ্যৈষ্ঠ থেকে মাঝ শ্রাবণে সুস্থ রোগ মুক্ত চারা রোপণ করতে হবে । চারা থেকে চারার দূরত্ব ১২ মিটার করে রাখলে ভালো । চারা রোপণের পর নিয়মিত পরিচর্যা ছাড়া কিছু করা লাগে না ।
ফল সংগ্রহঃ
কাঁঠাল গাছে ফূল আসার পর মুচি থেকে কাঁঠাল বড়ো হয়ে পাকতে ১২০-১৫০ দিন সময় লাগে।
ইণ্টারনেট থেকে সংগ্রহীত।
Thank you for reading!