গরুর নাম যখন হিরো আলম
গরুর নাম যখন হিরো আলম
আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে ঈদুল আযহা। চলছে গরু, মহিষ, ছাগল, কেনা বেচা। প্রতিবছরের মতো এবারও সবার দৃষ্টি সবথেকে বড় গরুর দিকে।তবে এবার বগুড়ার ফুলবাড়ি এলাকার শৌখিন খামারি জিয়ামের এই গরু এখন আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, আদর করে এই গরুর নাম রেখেছেন হিরো আলম। এই নামে না ডাকলে মন খারাপ করেন পশুটির মালিক।
আমি তো হিরো আলম নাম রেখেছি। যার কারণে নাম ধরেই বলবেন।’ হিরো আলম নামের গরুটিকে গরু ডাকায় অভিমান করে এ কথাই বলেন পশুটির মালিক জিয়াম।ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টির ওজন ৯০০ কেজি। উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুটের বেশি। লম্বায় প্রায় ৯ ফুট। প্রতিদিন তিন কেজি নাজিরশাইল চালের ভাত ছাড়াও ভুট্টা, ভুসি থাকে খাদ্যতালিকায়। এর বাইরে দৈনিক ৩০ থেকে ৪০টি কলা খাওয়ানো হয় হিরো আলমকে। কোনো প্রশিক্ষণ না থাকলেও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকে গরুটি লালনপালন করছেন জিয়াম। পোষা চতুষ্পদের প্রতি ভালোবাসা থেকে খাবারের খরচও কখনো হিসাব করে রাখেননি জিয়াম।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত ব্যক্তির নামে নামকরণ করার পেছনেও আছে তার ভিন্নধর্মী যুক্তি। জিয়াম বলেন, গরুটি জন্ম হওয়ার পর আমি সেটিকে নিজে লালনপালন করার সিদ্ধান্ত নিই। আমি যদি হিরো আলমের কিছু কিছু গুণ বলতে চাই, তাহলে সেগুলো বেশ বড় গুণ। আমি হিরো আলমের যেসব ভিডিও দেখেছি, বিশেষ করে কোভিড-১৯-এর সময় মানুষ যখন বাইরে যেতে পারত না, তখন সে মানুষকে অনেক সহায়তা করেছে। মূলত তার প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমি আমার গরুটির নাম হিরো আলম রেখেছি।হিরো আলমকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন এলাকার মানুষ। অনেকেই আসছেন দূরদূরান্ত থেকে। হিরো আলম আর তার মালিকের জন্য এখন স্থানীয়রাও গর্বিত।
এ বিষয়ে তিনি কী ভাবছেন হিরো আলম ?এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাকে ভালোবাসে বলেই আমার নামে একেক সময় একেক জিনিসের নামকরণ করেন। তারা আমাকে ভালোবাসেন বলেই আমার নাম ব্যবহার করছেন।’ হিরো আলমের বিক্রয়মূল্য হিসেবে ৮ লাখ টাকা চাইলেও এখন পর্যন্ত একজন ক্রেতা সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম বলেছেন বলে জানান মালিক জিয়াম। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কত দামে বিক্রয় হয়।
Thank you for reading!