ক্ষতিকর মোজাইক রোগ এর উপসর্গ ও প্রতিকার।
মোজাইক ভাইরাস নামটি আমরা প্রায়ই শুনি। এটি বেশ কয়েকটি ফসলের যেমন টমেটো, মরিচ, বেগুন, কাঁচা, বোতলজাতি, কুমড়া, শসা এবং গ্রীষ্মের স্কোয়াশের ক্ষতি করে। ভাইরাসটির বিভিন্ন ধরণ রয়েছে এবং তাদের রয়েছে বিভিন্ন রকমের উপসর্গ।
উপসর্গঃ
মোজাইক ভাইরাসে আক্রান্ত গাছের পাতাগুলিতে দাগ দেখা যায়, পাতা আকারে ছোট এবং অনিয়মিত হয়ে যায়।আক্রান্ত পাতাগুলিতে অনিয়মিত ইমালসনের দাগ তৈরি হয়। এই দাগগুলি সাধারণত কুমড়ো প্রজাতির গাছের পাতা এবং ফলগুলিতে দেখা যায়। কচি পাতা সরু হয়ে কুঁচকে এবং খসখসে হয়ে যায়। অনেক সময় ফলের চেহারাও খারাপ হয়ে যায়। এই রোগে আক্রান্ত পাতাগুলি সাধারণত বানরের পাজরের আকার নেয়। রোগাক্রান্ত গাছপালা ছোট থাকে এবং ফলন কম দেয়।
যেভাবে ছড়ায়ঃ
বীজ থেকে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। লিফহপারস বা ছোট আকৃতির ফড়িং এই রোগ ছড়াতে সাহায্য করে। জাব পোকাও এই রোগ ছড়ায়। খামারে কর্মরত কৃষি , শ্রমিক এবং খামারের কাজের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলি দ্বারাও এই রোগটি একটি উদ্ভিদ থেকে অন্য উদ্ভিদে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিকারঃ
সবসময় রোগমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর বীজ ব্যবহার করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ গাছপালা উপড়ে ফেলতে হবে এবং তাদের যথাযথভাবে ধ্বংস করতে হবে । রোগাক্রান্ত গাছগুলিকে স্পর্শ করা যাবে না । খামারের আশেপাশে জড়ো করা আগাছা ধ্বংস করে ফেলতে হবে । চাষের জন্যে ব্যবহৃত সরঞ্জাম সবসময় জীবানুমুক্ত রাখতে হবে, এদেরকে চুলায় ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঘন্টাখানেক রেখে দিলে জীবানুমুক্ত হয়, এরপর ঠান্ডা করে ব্যবহার করতে হবে। যন্ত্রপাতিগুলো ০.৫২৫% সোডিয়াম হাইপোক্লোরেট দ্রবণে চুবিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলেও জীবাণুমুক্ত করা যায় ।
Thank you for reading!