সজনে পাতা দূর করবে ব্লাড প্রেসার জনিত নানান রোগ
প্রাকৃতিক ভাবেই আমরা চাইলে নানা রকম উপায় রোগ সারাতে পারি। সবকিছুতেই ডাক্তারের কাছে যাবার দরকার হয় না। সজনে পাতা দিয়ে ও এমন কিছু রোগ নিরাময় সম্ভব।

সামান্য কিছু হলেই আমরা ডাক্তারের কাছে দৌড়ে যাই। অথচ আমাদের প্রকৃতিতেই এমন কিছু উপাদান আছে যা খেলে রোগ নিরাময় হয়। এমন একটি উপাদান হচ্ছে সাজিনা। আমাদের হাতের কাছে পাওয়া সাজিনা ও এর পাতার নানা ধরণের গুণাগুণ রয়েছে, যার সবগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
১। রক্তল্পতায়ঃ আমাদের অনেকের রক্তল্পতা হয়। শরীরে রক্তের পরিমান কমে গেলে পানি দিয়ে সজনেডাঁটা সেদ্ধ করে তার ক্বাথ এবং ডাঁটা চিবিয়ে খেলে রক্তল্পতা দূর হয়। তবে এটা অনেক দিন নিয়ম করে খেতে হবে।
২।ব্ল্যাড প্রেসারঃ ব্ল্যাড প্রেসার রোগীদের জন্য খাবার লবন অর্থাৎ ‘সোডিয়াম ক্লোরাইড’ খুবই ক্ষতিকর। অপরদিকে, ‘পটাশিয়াম লবন’ কোন ক্ষতি করেনা। সাজনে ডাঁটাতে সোডিয়াম ক্লোরাইড নেই বললেই চলে। তাই এতে ব্ল্যাড প্রেসার নিয়ন্ত্রিত থাকে।
৩।বসন্ত রোগ প্রতিরোধঃ সাজনে ডাঁটা এবং ফুল ভাজা বা তরকারী খেলে জল ও গুটি এ দু’ধরনের বসন্তে আক্রান্ত হবার কোন সম্ভাবনা থাকেনা।
৪। মূলের ছাল নাশক, হজম বৃদ্ধিকারক এবং হৃদপিন্ড ও রক্ত চলাচলের শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে।
৫। সাজিনার ফলের নির্যাস যকৃৎ ও প্লীহার অসুখে ধনুষ্টংকার ও প্যারালাইসিসে উপকারী।
৬। সাজিনার বিচির তেল বাত রোগের চিকিৎসায় মালিশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৭।সাজিনার মূলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মূত্র প্রবৃত্তি হয়। এর রস হাপানি নিবারক ও মূত্রকারক।
৮। সাজিনার ডাঁটা কৃমিনাশক ও জ্বরনাশক বলে দেশীয় ডাক্তাররা পক্ষাঘাত রোগে প্রয়োগ করেন। এর আঠা গর্ভস্রাবকারক।
৯।সাজিনার আঠা দুধে বেটে কপালে লাগালে মাথাধরা আরাম হয় এবং উপদংশজনিত বাগিতে প্রদান করা হয়।
১০। কৃমিনাশক হিসাবেও সাজনার ব্যবহার অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মূল ও ছালের রস নিয়মিত ৩/৪ দিন খেলে শরীর কৃমি মুক্ত হয়ে যায়।
১১। এর ছালের রস গুড়ের সাথে পান করলে শিরঃপীড়া আরাম হয়।
১২। সাজিনা পাতা রেধে খেলে ইনফ্লুয়েঞ্জার জ্বর ও যন্ত্রনাদায়ক সর্দিতে আরাম হয়।
১৩। সাজিনার শেকর, লেবুর রস এবং জলফলের মিশ্রন পেটফাঁপা নিবারক ও উত্তেজক।
১৪। এর ছালের রস গুড়ের সাথে পান করলে শিরঃপীড়া আরাম হয়।
১৫।এর মূলের ছালের প্রলেদে দাদ কমে। তবে প্রতিদিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
১৬।শ্লেষ্মাঘটিত কারনে দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে পাতার ক্বাথ মুখে ধারন করলে ফুলা কমে যায়।
১৭। শরীরের কোন অঙ্গ মচকালে বা থেতলালে আদা ও সজনে ছাল বাটা প্রলেপ দিলে উপশম হয়।
১৮। হিক্কা হতে থাকলে ২/৪ ফোটা করে সজনে পাতার রস দুধের সাথে মিশিয়ে ২/৩ বার খাবেন কমে যাবে।
ইন্তারনেট থেকে সংগ্রহিত
Thank you for reading!