শিশুর স্কুল টিফিন কেমন হবে?

শিশুর খাবার নিয়ে মা-বাবা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন। শিশু এটা খাবে তো ওটা খাবে না এইরকম বিভিন্ন বায়না থাকে তাদের।আর তাদের বায়নার জন্য মা-বাবারা থাকেন বিরাট টেনশনে। আর যদি তাদের খাবারের বায়না স্কুল টিফিনের ক্ষেত্রে হয় তাহলে তাদের টেনশন আরো বেশি বেড়ে যায়।
দিনের অনেকটা সময় শিশুকে স্কুলে থাকতে হয়। শিশুর টিফিনে যেন পুষ্টি চাহিদার কোনো ঘাটতি না হয়, তাই স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর টিফিন বাচ্চাদের নিশ্চিত করতে হবে। তাই মাকে এমনভাবে টিফিন তৈরি করতে হবে, যাতে খাবারটি পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয়।
স্কুল পড়ুয়া শিশুদের পছন্দ-অপছন্দের খাবার থাকতেই পারে। তাই বলে বাজার বা দোকান থেকে কোনো কেনা খাবার টিফিনে দেওয়া যাবে না। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা থাকে। সেজন্য ঘরে তৈরি নাশতা শিশুদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। তাই শিশুর টিফিনে এমন খাবার দিবেন, যেন ক্ষুধা মেটায়, স্বাস্থ্যকর হয় ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়ার পাশাপাশি সেটি খেয়ে শিশুরা আনন্দ পায়।
বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, টিফিন পছন্দ না হলে শিশুরা খাবারভর্তি বাটি নিয়ে বাড়ি ফেরে। যদি স্বাদ আর স্বাস্থ্য দুটোকেই প্রাধান্য দিয়ে টিফিন দেওয়া হয় তাহলে শিশুরা আনন্দের সাথে টিফিন খাবে।শিশুর টিফিনের খাবার অল্প পরিমাণে হলেও কার্বোহাইড্রেট, চর্বি ও প্রোটিন- এই তিনটি প্রধান পুষ্টি উপাদান যাতে টিফিনে থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
শিশুর স্কুল টিফিন যেমন হাওয়া উচিত –
১.ঘরে তৈরি বিভিন্ন কেক, প্যানকেক, খিচুড়ি, রুটির সঙ্গে জ্যাম, ডিম আলুর চপ, সবজি-মুরগির কাটলেট, ডিম, মুরগি বা টুনা স্যান্ডউইচ, নুডলস, মাছের কাটলেট, ঘরে তৈরি ফ্রায়েড রাইস,বিস্কুট ইত্যাদি শিশু পছন্দ অনুযায়ী টিফিন হিসেবে দিলে শিশু তা আনন্দের সাথে খাবে।
২.মাঝে মাঝে সবুজ ফলমূল যেমন – আপেল, কমলা, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি, কলা, ফ্রুট সালাদ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ফল দিতে পারেন।
৩.মুরগির মাংস, ডিম, মাশরুম, ব্রোকলি, পুঁইশাক, পনির, টুনা, ছোলার ডাল ইত্যাদি দিয়ে স্বাস্থ্যকর রোল তৈরি করে দিন। ক্ষুধা নিবারণের জন্য এ খাবার স্বাস্থ্যকর। রোলে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জোগান দিয়ে সবজির সঙ্গে ডিম ও যে কোনো মাংস দিতে পারেন।
৪.শাকসবজি দিয়ে শিশুকে স্যান্ডউইচ তৈরি করে দিতে পারেন। টমেটো, গাজর, বেগুন, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি পছন্দমতো সবজি নিয়ে রান্না করুন। এবার ভাজা পাউরুটির ওপর সবজি ও আরেক পিস পাউরুটি দিয়ে সহজে স্যান্ডউইচ তৈরি করে শিশুকে টিফিন হিসেবে দিতে পারেন।
৫.স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে শিশুকে টিফিন হিসেবে মজাদার মিল্কশেক দিতে পারেন। দুধ, ভেনিলা আইসক্রিম, চকোলেট ও চকোলেট বিস্কুট ব্লেন্ড করে বানাতে পারেন মজাদার চকোলেটি মিল্কশেক। ফল হিসেবে শেকে যোগ করা যেতে পারে স্ট্রবেরি, কলা, আম, তরমুজ ইত্যাদি।
এভাবে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যেকর খাবার শিশুর টিফিন হিসেবে দিতে পারেন।এতে করে শিশু আনন্দের সাথে সম্পূর্ণ টিফিনও খাবে এবং খাবারের পুষ্টিও পাবে।
Thank you for reading!