শশার বিভিন্ন গুণ

শসা বেশ জনপ্রিয় একটি সবজি। সালাদ এবং রান্নার শসা ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির। সৌন্দর্য চর্চায় ও শসার রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।
এই সবজি প্রায় ১০-১২ ইঞ্চি লম্বা হয়। শসার বাইরের রং সবুজ, পাকলে হলুদ, ভেতরে সাদাটে সবুজ রং, মধ্যভাবে ছোট অথবা বড় বিচি থাকে।
শসার উপকারীতাঃ
শসা শরীরের জন্য অনেক উপকারী সবজি। শসাতে পানি ও ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি। একটি কাঁচা শসায় ১০০ গ্রামে ক্যালরির পরিমাণ ২০ কিলো ক্যালরি।
শসাতে কোন চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই, খোসা ও বিচিসহ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকটা কমে যায়। আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও এটি খুবই উপকারী ।
এছাড়াও শসা দেহের ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ থেকে সুরক্ষা করে। শসার উপাদান উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় উপকার করে।
শসা নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে, এতে কিডনি ও মূত্রথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকেনা।
শসার পুষ্টি উপাদানঃ
শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি,ভিটামিন বি, ভিটামিন এ, ম্যাগনিসিয়াম, সিলিকা, পটাসিয়াম, আঁশপদার্থ, বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, লুটেইন নামক ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
তারণ্য ধরে রাখতে এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুলোর জুড়ি নেই। শসার টুকরো চোখে দিয়ে রাখলে চোখের চারপাশের ফোলা ভাব, ত্বকের নানান সমস্যা, কালো দাগ দূর করে ত্বককে প্রাণবন্ত ও সজীব করে।
শসার বিস্তারঃ
শসার আদি আবাস ভারতবর্ষ হলেও বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।
Thank you for reading!