বাহ্যিক সৌন্দর্য ও শরীর স্বাস্থ্য রক্ষায় আমলকি।

আমলকি বহু গুণ সমৃদ্ধ। বাহ্যিক সৌন্দর্য থেকে শুরু করে শরীর স্বাস্থ্য সব কিছু কেই ভালো রাখার গুণ রয়েছে আমলকির।তাই ডায়েট ও রূপ চর্যা তে আমলকি রাখতে আমরা পছন্দ করি।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় অনেকেই আমরা সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হই।এই সময় আমরা আমলকির উপর ভরসা রাখতেই পারি।আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমলকি।এর সাথে সাথে শীতকালে পরিবেশে যে পরিমান দূষণ বেড়ে জায়,বাতাসেই সেই দূষিত কণা থেকে আমলকি আমাদের ফুসফুসকে রক্ষা করে।
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । এটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে,লিভারকে রক্ষা করে ও হার্ট ভালো রাখে। আমলকি তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা আমাদের সহজে বয়স্ক হয়ে যেতে দেয় না।তবে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এটি আমাদের রেসিপিরেটরি ট্র্যাক্টকে রক্ষা করে।
আমলকি রস করে খাওয়ার চেয়ে ফল হিসেবে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। শীতের ফল হলেও এখন বারোমাসই টাটকা আমলকী পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে ধুম থেকে উঠে খালি পেটে ১-২ টা আমলকী খাওয়া যেতে পারে।তবে সারাদিনে দুটির বেশি খাওয়া ঠিক না।প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে বেশি খেলে কনস্টিপেশন হতে পারে।
আমলকি চুল পরিচর্যার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।এটি চুল বৃদ্ধি করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।চুলের খুশকির সমস্যা দূর করে ও চুল পাকা রোধ করে।রোজ আমলকির রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
তবে কেউ যদি রক্ত তরল রাখার ওষুধ খান ,তাহলে আমলকি খাওয়ার আগে ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিতে হবে। গর্ববতী মহিলা এবং যে মায়েরা সন্তান কে স্তন্য পান করান তাদের আমলকি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
Thank you for reading!