বাদামের বিভিন্ন উপকারীতা

পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার বাদাম। প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম পাওয়া যায়। সব বাদামেই রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ওজন বাড়ার ভয়ে অনেকেই বাদাম এড়িয়ে চলেন। তবে এই ধারণাটি ঠিক নয়। আকারে ছোট হলেও বাদাম বিভিন্ন খনিজ এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন উপস্থিত। যা স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।আসুন জেনে নিই কোন বাদামে কেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে-
চিনা বাদাম
আমাদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত এবং পছন্দের একটি খাবার চিনা বাদাম। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, খনিজ ও ভিটামিনগুলো সঠিক মাত্রায় থাকায় কার্ডিওভাসকুলার, কোলেস্টেরল এমনকি ক্যান্সারের মতন কঠিন রোগগুলো হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শীতের মৌসুমে অনেকেই পাউরুটির সঙ্গে পিনাট বাটার দিয়ে খেতে ভালবাসেন।
পেস্তা বাদাম
অন্যান্য বাদামগুলোর তুলনায় দাম একটু বেশি হলেও এর পুষ্টিগুণ অনেক। পেস্তা বাদাম খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই পায়েস, অথবা কোনও মিষ্টির ওপরে গার্নিশ করতে পেস্তার ব্যবহার প্রায়ই চোখে পড়ে। এটি ওজন হ্রাস, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
কাজু বাদাম
এটা সত্য যে কাজু বাদাম খেলে ওজন বাড়তে পারে। কিন্তু পরিমিত মাত্রায় খেলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না। শীতকালে দিনে দু-তিনটি কাজুবাদাম খাওয়া খুবই ভালো। শরীর গরম থাকার পাশাপাশি কাজ করার এনার্জি বেড়ে যায়। তবে, কাজু বরফি এড়িয়ে চলুন বরং সুজি, চিড়ের পোলাও বা পায়েস রান্নায় কাজু বাদাম দিতে পারেন।
কাঠ বাদাম
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’, ‘এ’, ‘বি-১’, ‘বি ৬’, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ কাঠ বাদাম আমাদের চুল ও ত্বক দুইটার জন্যই ভালো। ওজন নিয়ন্ত্রণ ও এনার্জি বুস্ট আপ করে কাঠ বাদাম।
আখরোট
আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপদানগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট রয়েছে যা ত্বকের আর্দ্রতা সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিনের খাবার যেমন- সালাদ, কেক, কুকিস বা বিকেলের স্ন্যাক্সের মধ্যে আখরোট রাখুন।
হ্যাজেল নাট
তুরস্ক ও ইতালিতে বেশি উৎপাদন হওয়া বাদাম হ্যাজেল নাট মিনারেল, ভিটামিন ই এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের উৎস বলা হয়। এতে কার্বোইড্রেটও আছে বেশ। হৃদযন্ত্রকে রক্ষা করতে ও কোলেস্টেরল কমাতে এই বাদাম ভালো ভূমিকা রাখে।
পাইন নাট
এটি মূলত ইউরোপে পাইন গাছ থেকে পাওয়া এই বাদামে ভিটামিন ই, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যামাইনো অ্যাসিড বেশি থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর প্রোটিন আছে, শর্করা আছে, ফ্যাট অনেক বেশি।এ বাদাম পাস্তা, সালাদ, পালংশাক, স্প্যাগেটি, কেক, জর্দা, দই এসব খাবার তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ভিটামিন E, D, A,এবং C আছে। এটা শিশু এবং কিশোরদের জন্য খুবই উপকারী তাদের শারিরিক বৃদ্ধির জন্য। এটি সহজে হজম হয়,তাই শিশু ও প্রেগন্যান্ট নারীদের এই বাদাম খেতে পরামর্শ দেয়া হয়। মস্তিষ্কের সমস্যা, চুল ও ত্বকের সমস্যা নিরসনেও এই বাদাম উপকারি।এই জন্য এটাকে শ্রেষ্ঠ খাদ্যও বলা যায়।
Thank you for reading!