বাচ্চাদের শীতের দিনে যেসব খাবার দেয়া উচিত নয়।
শীত কালে শিশুদের কি সব খাবার দেয়া যায়?
শিশুদের সারা বছরই যত্ন নিতে হয় কিন্তু শীতের দিনে একটু বেশি যত্ন নিতে হয়। শীতকালে ঘরে সর্দি – কাশি বেড়ে যায়। আর বাচ্চাদের সর্দি – কাশি ,জ্বর, ত্বকের সমস্যা লেগেই থাকে। শীতে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যায় কিন্তু বাচ্চাদের কিছু খাবার থেকে দূরে রাখাই ভালো। শীতের দিনে বাচ্চাদের এমন খাবার দিতে হবে যা বাচ্চাদের শরীরে জলের ঘাটতি না করে। শীতকালে পানির অভাবে বাচ্চাদের শরীরে রুক্ষতা দেখা যায়।
যেসব খাবার শীতকালে বাচ্চাদের দেওয়া উচিত না :
১. বাচ্চারা মুখরোচক খাবার খেতে অনেক বেশি ভালোবাসে। কিন্তু শীতকালে চেষ্টা করবেন লবণাক্ত বা নোনতা ,ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার না দিতে।
২. শীতকাল হোক কিংবা গরমকাল ক্যান্ডি বাচ্চাদের জন্য সারা বছরই ক্ষতিকারক একটি খাবার। কারণ ক্যান্ডিতে থাকা সাদা চিনি বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক খারাপ।শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যেতে পারে এবং হতে পারে নানান ধরনের অসুখ-বিসুখ।
৩. মাংস কমবেশি প্রতিদিনই খাওয়া হয়।কিন্তু বাচ্চাদের মাংস একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে দিতে হবে। মাঝে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যার ফলে বৃদ্ধি হতে পারে মিউকাস। যা বাড়লে গলায় সংক্রমণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।প্রক্রিয়াজাত করা মাংস, ডিম একদমই দেয়া উচিত না। শীতকালে বাচ্চাদের মাছ বেশি করে খাওয়ানো উচিত।
৪. ম্যায়নিজে আছে প্রচুর পরিমাণে হিস্টামিন আমাদের শরীরে এলার্জির বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।শীতকালে এর পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে মিল্কাস বৃদ্ধি হয় এর ফলে গলা ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও টমেটো অ্যাভোকাডো , মাশরুম, ভিনেগার ,আচারে হিস্টামিন থাকে
৫. দুধ- দুধ জাতীয় খাবার হলো অ্যানিমেল প্রোটিন । শীতকালে অ্যানিমেল প্রোটিন স্যালাইভা ও মিউকাস কে গাড় করে দেয়। এর ফলে বাচ্চাদের গলা ব্যথা ও ঢোক গেলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শীতকালে বাচ্চাদের দুধ, চিজ, ক্রিম কম দেয়াই ভালো।
Thank you for reading!