আমরা অনেক ধরনের বিয়ের কথা শুনেছি বা দেখেছি । কিন্তু আজকে আমরা পিৎজা বিয়ের কথা শুনবো। তাহলে চলুন আসল ঘটনা শুনি-

ভারতীয় এক নবদম্পতি সম্প্রতি তাঁদের বিয়েতে যে চুক্তিতে সই করেন, স্বাভাবিক চুক্তির মতো না হওয়ায় সেই চুক্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, হয়েছে সংবাদের শিরোনাম।

 

বিয়ের পর কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না—এমন একটি মজার তালিকায় সই করেছেন ওই নবদম্পতি। এই তালিকা তৈরিতে সাহায্য করেছেন বর ও কনের বন্ধুরা। সাধারণত বিয়ের ক্ষেত্রে যে চুক্তি হয় উভয় পক্ষই তা মানতে আইনত বাধ্য থাকে। তবে এই নবদম্পতির করণীয় নিয়ে চুক্তির ক্ষেত্রে সেই বাধ্যবাধকতা নেই।

গত ২১ জুন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরদিন চুক্তির এই ভিডিও চিত্র ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়। অভিনব চুক্তিতে নবদম্পতির সই করার ১৬ সেকেন্ডের ভিডিও চিত্র অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই সাড়া ফেলে।

বিয়েতে বন্ধুদের নিয়ে এমন চুক্তির ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক ভিডিওটি চুক্তির তালিকায় থাকা প্রথম বিষয়টির জন্য মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। প্রথম দফাটি হলো ‘প্রতি মাসে শুধু একটি পিৎজা।’

পিৎজা খাওয়ার প্রতিশ্রুতি চাওয়া কনের নাম শান্তি প্রসাদ। তাঁর বয়স ২৪ বছর। শান্তির বন্ধুরা তাঁকে ‘একজন পিৎজাপ্রেমী’ হিসেবে বর্ণনা করেন। কলেজে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো মিন্টু রায়ের (২৫) সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের গোহাটিতে প্রথা মেনেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে।

এই নবদম্পতি একই কলেজের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন। পাঁচ বছর আগে প্রথম তাঁদের দেখা হয়। এরপরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

শান্তি বলেন, ‘পিৎজা আমার খুবই পছন্দ। কিন্তু কিছুদিন পর মিন্টু অভিযোগ জানাতে শুরু করে। শান্তির কথায় মিন্টু বলতেন, ‘আর কত পিৎজা, এবার চলো অন্য কিছু খাই।’

ওই নবদম্পতি বলছেন, খাবার নিয়ে তাঁরা কখনো ঝগড়া করতেন না। কিন্তু শান্তি বলেন, তিনি সব সময়ই তাঁর বন্ধুদের কাছে অভিযোগ করতেন। তিনি আরও বলতেন, প্রতিদিন পিৎজা খেতে খেতে তিনি কতটা বিরক্ত। এ ছাড়া তাদের এই বিষয় নিয়ে মিন্টুর বন্ধুরা হাসাহাসি করতেন।

বিয়ের আগের সপ্তাহে এই চুক্তির খসড়া করা হয়। সেখানে পিৎজা খাওয়া ছাড়াও আরও কিছু বিষয় ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি শর্ত হলো, প্রতি রোববার মিন্টুকে সকালের নাশতা বানাতে হবে, ১৫ দিন অন্তর শান্তিকে কেনাকাটা করতে নিয়ে যেতে হবে এবং শুধু শান্তিকে নিয়েই মধ্যরাতের কোনো পার্টিতে যেতে পারবে মিন্টু। এ ছাড়া পিৎজা অক্ষত হতে হবে, শান্তিকে প্রতিদিন ব্যায়ামাগারে যেতে হবে ও শাড়ি পরতে হবে। কারণ মিন্টুর মতে, ‘শাড়ি পরলে শান্তিকে অনেক সুন্দর দেখায়।’

 

খবর বিবিসির।

(Visited 21 times, 1 visits today)

Thank you for reading!

আমরা অনেক ধরনের বিয়ের কথা শুনেছি বা দেখেছি । কিন্তু আজকে আমরা পিৎজা বিয়ের কথা শুনবো। তাহলে চলুন আসল ঘটনা শুনি-

ভারতীয় এক নবদম্পতি সম্প্রতি তাঁদের বিয়েতে যে চুক্তিতে সই করেন, স্বাভাবিক চুক্তির মতো না হওয়ায় সেই চুক্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, হয়েছে সংবাদের শিরোনাম।

 

বিয়ের পর কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না—এমন একটি মজার তালিকায় সই করেছেন ওই নবদম্পতি। এই তালিকা তৈরিতে সাহায্য করেছেন বর ও কনের বন্ধুরা। সাধারণত বিয়ের ক্ষেত্রে যে চুক্তি হয় উভয় পক্ষই তা মানতে আইনত বাধ্য থাকে। তবে এই নবদম্পতির করণীয় নিয়ে চুক্তির ক্ষেত্রে সেই বাধ্যবাধকতা নেই।

গত ২১ জুন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরদিন চুক্তির এই ভিডিও চিত্র ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়। অভিনব চুক্তিতে নবদম্পতির সই করার ১৬ সেকেন্ডের ভিডিও চিত্র অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই সাড়া ফেলে।

বিয়েতে বন্ধুদের নিয়ে এমন চুক্তির ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক ভিডিওটি চুক্তির তালিকায় থাকা প্রথম বিষয়টির জন্য মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। প্রথম দফাটি হলো ‘প্রতি মাসে শুধু একটি পিৎজা।’

পিৎজা খাওয়ার প্রতিশ্রুতি চাওয়া কনের নাম শান্তি প্রসাদ। তাঁর বয়স ২৪ বছর। শান্তির বন্ধুরা তাঁকে ‘একজন পিৎজাপ্রেমী’ হিসেবে বর্ণনা করেন। কলেজে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো মিন্টু রায়ের (২৫) সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের গোহাটিতে প্রথা মেনেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে।

এই নবদম্পতি একই কলেজের বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন। পাঁচ বছর আগে প্রথম তাঁদের দেখা হয়। এরপরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

শান্তি বলেন, ‘পিৎজা আমার খুবই পছন্দ। কিন্তু কিছুদিন পর মিন্টু অভিযোগ জানাতে শুরু করে। শান্তির কথায় মিন্টু বলতেন, ‘আর কত পিৎজা, এবার চলো অন্য কিছু খাই।’

ওই নবদম্পতি বলছেন, খাবার নিয়ে তাঁরা কখনো ঝগড়া করতেন না। কিন্তু শান্তি বলেন, তিনি সব সময়ই তাঁর বন্ধুদের কাছে অভিযোগ করতেন। তিনি আরও বলতেন, প্রতিদিন পিৎজা খেতে খেতে তিনি কতটা বিরক্ত। এ ছাড়া তাদের এই বিষয় নিয়ে মিন্টুর বন্ধুরা হাসাহাসি করতেন।

বিয়ের আগের সপ্তাহে এই চুক্তির খসড়া করা হয়। সেখানে পিৎজা খাওয়া ছাড়াও আরও কিছু বিষয় ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি শর্ত হলো, প্রতি রোববার মিন্টুকে সকালের নাশতা বানাতে হবে, ১৫ দিন অন্তর শান্তিকে কেনাকাটা করতে নিয়ে যেতে হবে এবং শুধু শান্তিকে নিয়েই মধ্যরাতের কোনো পার্টিতে যেতে পারবে মিন্টু। এ ছাড়া পিৎজা অক্ষত হতে হবে, শান্তিকে প্রতিদিন ব্যায়ামাগারে যেতে হবে ও শাড়ি পরতে হবে। কারণ মিন্টুর মতে, ‘শাড়ি পরলে শান্তিকে অনেক সুন্দর দেখায়।’

 

খবর বিবিসির।

(Visited 21 times, 1 visits today)

Thank you for reading!