নিম পাতার খাদ্যগুণ

নিম পাতা তেঁতো হলেও এর গুণের কোন শেষ নেই। শরীর থেকে শুরু করে ত্বকের যত্ন,চুলের যত্ন সব কিছুতেই নিম পাতা খুব উপকারি।গরমকালে প্রতিদিন খালি পেটে যদি একমুঠো নিম পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায় তাহলে বহুবিধ উপকার পাওয়া যাবে।
ইমিউনিটি সিস্টেম জোরদার করায় নিম পাতার জুড়ি মেলা ভার। কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে ক্ষত স্থানে নিম পাতার রস লাগান যেতে পারে,গায়ের দুরগন্ধ,ঘামের দুরগন্ধ, ত্বকের দাগ ছোপ দুর করতে নিম পাতা খুব কার্যকরী ।
চিনি বা চিনির মিছরির সাথে নিম পাতা খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।প্রতিদিন একটু করে নিম পাতা খেলে পরে আর তেমন তিতা লাগে না।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার সাথে সাথে এর রোগ নিরাময়েরও ক্ষমতা আছে। শরীর ফুলে গেলে নিম পাতা খেলে খুব সহজেই প্রতিকার পাওয়া যায়। এটি হার্ট এবং লিভার কে সুস্থ রাখে। তেঁতো স্বাদের কারণে অনেকেই এটি খেতে চায় না । কিন্তু আয়ুর্বেদদের মতে,রোজ সকালে খালি পেটে নিম পাতা খেলে শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ে না শারীরিক ব্যাধিও কেটে যায়।
নিম পাতা অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল,অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।এটি আমাদের দেহের অভ্যন্তরের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া কে মেরে ফেলে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।তাই এটি ত্বকের জন্য উপকারি।এক কাপ নিম পাতায় ৩৫ গ্রাম ক্যালোরি থাকে।তাই রোজ এক গ্রাম নিম পাতা খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
এছাড়াও নিম পাতার নির্যাসে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ডায়াবেটিস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার গুণ কয়েছে।বাজারে এর সিরাপও পাওয়া যায়।নিমের কাণ্ড , মূল, বাকল এবং কাঁচা ফল সব ব্যাবহার করা যায়। নিমের ছাল গ্রামাঞ্চলে ত্বকের রোগ নিরাময়ে ব্যাবহার করা হয়।নিম এমন এক ঔষধি যা দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলো বের করে।ফলে আমাদের রক্ত চলাচল ঠিক থাকে।
Thank you for reading!