ঢাকায় পোড়া মাটির কাপে তান্দুরি চা

‘তন্দুরি’ নামটির সাথে আমরা কম বেশি সকলেই পরিচিত। তন্দুরি চিকেনের সাথে নান রুটি কে না পছন্দ করে বলুন। তবে তন্দুরি শব্দটির সাথে আগে আমরা চিকেন শব্দটি ব্যবহার করলেও এখন এর সাথে ‘চা ‘ শব্দটি যুক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে ‘তন্দুরি চা’।
কি শুনে কিছুটা অবাক হয়েছেন তাই না ? কতো রকমেরই তো চায়ের নাম শুনলাম। লাল চা, দুধ চা, মালাই চা, লেবু চা আরও কতো কি। কিন্তু এই তন্দুরি চা টা আসলে কি!
তন্দুরি চা টা হলো আসলে দুধ চায়ের সাথে হালকা একটু ধোঁয়ার ঘ্রাণ। গ্রামের খড়ির চুলায় রান্না করলে যেমন একটা সুন্দর ঘ্রাণ পাওয়া যায় তন্দুরি চাও খেতে কিছুটা সেইরকম লাগে। বিভিন্ন প্রকার মসলার সাথে ঘন দুধ দিয়ে তন্দুরে পোড়ানো এই চা সবার মন কেড়ে নেয়। মনে নিয়ে আসে অমায়িক তৃপ্তি।
সাধারণত পুরান ঢাকায় বিখ্যাত এই তন্দুরি চা।সেখানের জনবহুল ও ঐতিহ্যবাহী এলাকায় এই চায়ের কোনো জুড়ি নেই। নতুন স্বাদের এই চা সকলের মন কেড়ে নেয়।
পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় জাফরানি তন্দুরি চা নামের দোকানটিতে এই চা পাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমানে শুধু পুরান ঢাকায় নয়, এছাড়াও আরো নানা জায়গায় এই চা পাওয়া যায়। এই চায়ের রয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা।
চা প্রেমীদের কাছে বিকেলের আড্ডায় এই মসলা যুক্ত চা যেনো এক অমায়িক তৃপ্তির নাম। প্রধানত মসলা দুধ চা এর উপর নির্ভর করে এই তন্দুরি চা তৈরি করা হয়। মাংসকে তন্দুর করার জন্য কয়লার ভাটি এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তবে এখানে থাকছে মাটির ভাঁড়। প্রধানত কয়লার ভাটির মধ্যে পাথর কয়লা, কাঠ কয়লার সঙ্গে মাটির ভাঁড় পোড়ানো হচ্ছে। এরপর ঘন দুধ মেশানো মশলা চা পোড়া মাটির ভাঁড়ের মধ্যে ঢালা হচ্ছে। সাধারণ চায়ের তিন কাপ ওই পোড়া মাটির ভাঁড়ের এক কাপের সমান। রয়েছে বিভিন্ন দামের তন্দুরি চা। সাধারণত ৩০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে তন্দুরি চা।
পোড়া মাটির ভাঁড়ের আলাদা স্বাদ যেনো এই চায়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরো বেশি বাড়িয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন চায়ের দোকানে জায়গা করে নিয়েছে এই তন্দুরি চা। চায়ের দোকানে এই চায়ের জন্য ভিড় জমে যায় চা প্রেমীদের।
এই তন্দুরি চা বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এবং চা প্রেমীদের মনে বিশাল জায়গা করে নেয়। এই চা তৈরির আকর্ষণীয় পদ্ধতি যেনো সকলকে আরো বেশি কৌতুহলী করে তোলে এই চা খাওয়ার জন্য।
Thank you for reading!